রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫
  • সর্বশেষ
  • বিশ্ব
  • বিশেষ সংবাদ
  • রাজনীতি
  • বিনোদন
  • জীবনযাপন
  • খেলা
  • বাংলাদেশ
  • অর্থনীতি
  • ইপেপার
  • ইপেপার
nikhad logo
অনুসরণ করুন
facebooktwittertiktokpinterestyoutubelinkedininstagramgoogle
  • নিখাদ খবর
  • বিজ্ঞাপন
  • সার্কুলেশন
  • শর্তাবলি ও নীতিমালা
  • গোপনীয়তা নীতি
  • যোগাযোগ
স্বত্ব: ©️ দৈনিক নিখাদ খবর|প্রকাশক ও সম্পাদক: পারভীন আফরোজ খান
বিশেষ সংবাদ
বিবিধ

হযরত আলীর জন্য ব্যাংকের ফোর্স লোন বৃদ্ধির শঙ্কা

প্রতিনিধি
বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ৩০ নভেম্বর ২০২৫, ১৯: ৩৮
আপডেট : ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯: ৪৭
logo

হযরত আলীর জন্য ব্যাংকের ফোর্স লোন বৃদ্ধির শঙ্কা

বিশেষ প্রতিনিধি

প্রকাশ : ৩০ নভেম্বর ২০২৫, ১৯: ৩৮
Photo

শেরপুরের রোজবার্গের মালিক হযরত আলীর এলসির কাগজপত্রে জাল-জালিয়াতির বিষয়টি ধরা পড়ে শুরুতেই। পরে সোনালী ব্যাংক পুরো অর্থ আটকে দেয়। খবর পেয়ে তৎপর হয় দুর্নীতি দমন কমিশন। অর্থ আটকে দেওয়ার পরে রোজবার্গ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড থেকে একটি রিট পিটিশন দায়ের করা হয়।

পিটিশনে বাংলাদেশ ব্যাংককে ১ নম্বর বিবাদী, সোনালী ব্যাংককে ২ নম্বর ও সোনালী ব্যাংকের ইন্টারকন্টিনেন্টাল শাখাকে ৩ নম্বর বিবাদী করা হয়। ২০১৪ সালের ১৫ জুন পিটিশনের রায় ব্যাংকের বিপক্ষে যায়। এরপর ব্যাংক কর্তৃপক্ষ পুনরায় আপিল করেন, যার সিএমপি নং-৮১১/২০১৪। সিএমপিতে আপিল বিভাগ No Order আদেশ প্রদান করলে একই বছরের ৫ আগস্ট ব্যাংক কর্তৃক সিপিএলএ নং-১৯৭৭/২০১৪ দায়ের করা হয়। পরের বছরের ২৬ মে আপিল বিভাগ সিপিএলএ নং-১৯৭৭/২০১৪ এর Leave Grant করেন। ব্যাংক কর্তৃক ২ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগে সিভিল আপিল নং-৩০৬/২০১৫ দায়ের করা হয়। ২০১৮ সালের ২ জানুয়ারি আপিল বিভাগ ব্যাংকের পক্ষে রায় দেন। সেই রায়ে আপিল বিভাগ বলেছে,

এই এলসিগুলো কেবল কমার্শিয়াল এলসি। এগুলো আন্তর্জাতিক এলসি নয়, যেহেতু পণ্য উৎপাদন বা সাপ্লাইয়ে কোনো আন্তর্জাতিক পার্টিসিপেশন নেই। সুতরাং বিবাদী বিষয়টি বাণিজ্যিক চুক্তি-সংক্রান্ত হওয়ায় রিট জুরিসডিকশনের আওতায় পড়বে না।

রায়ে আরও বলা হয়,

বিলগুলোতে ডিসক্রেপেন্সির অভিযোগ থাকায়, বিলগুলো জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে প্রস্তুত করার অভিযোগ থাকায় এবং বিলগুলোর বিষয়ে সিভিল ও ক্রিমিনাল মামলা চলমান থাকায় এই বিষয়ে হাইকোর্ট বিভাগের জুডিশিয়াল রিভিউয়ের কোনো এখতিয়ার নেই। রিট পিটিশনটি টিকসই নয়। হাইকোর্ট বিভাগের সিদ্ধান্তও যথোপযুক্ত হয়নি।

এরপর রোজ বার্গ লিমিটেড পুনরায় সিভিল পিটিশন দায়ের করে। তবে সবশেষ চলতি বছরের ২৮ আগস্ট মামলাটি কজলিস্টে থাকলেও শুনানি করা হয়নি।

ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বলছে,

আপিল বিভাগের রায় ব্যাংকের পক্ষে যাওয়ায় রোজবার্গ কর্তৃপক্ষ শুনানি করাতে ভয় পাচ্ছে। তাই তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতি সহায়তা বিধানের অপব্যবহার করছে। এই বিধানের অর্থ হলো— যা আইন কাভার করে না, তবে নীতিগত কারণে অব্যবসায়িক দৃষ্টিভঙ্গির আচরণের সম্মুখীন হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন— তাদের ব্যাবসা ও আর্থিক ব্যবস্থা পুনর্গঠনপূর্বক সচল ও লাভজনক পর্যায়ে উন্নীত করার মাধ্যমে ব্যাংকের ঋণ আদায় নিশ্চিত করতে সহায়তা। যেই ঋণের আওতায় কোনোভাবেই রোজবার্গ ইন্ডাস্ট্রি পড়ে না। জাল-জালিয়াতির কারণে তাদের পেমেন্টে আটকায় ব্যাংক।

সোনালী ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নিখাদ খবরকে বলেন,

বিলগুলোর বিষয়ে দুদকের অনুসন্ধান চলমান, রোজবার্গ ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হযরত আলী কর্তৃক এ ব্যাংকের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা চলমান, এবং সোনালী ব্যাংক পিএলসি কর্তৃক বাংলাদেশ ব্যাংককে মোকাবিলা বিবাদী ও সংশ্লিষ্ট পক্ষসমূহকে বিবাদী করে দায়েরকৃত ৩৪টি মানি-স্যুট মামলা, যা এখনো আদালতে বিচারাধীন রয়েছে, তা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
অর্থাৎ বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক এ ব্যাংকের হিসাব বিকলন করে ১৪২৩টি বিল পরিশোধের বিষয়ে ৩৪টি মানি-স্যুট মামলায় দাবীকৃত ২৮৬৭.৫৩ কোটি টাকার দাবি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক প্রদত্ত ১৪২৩টি বিলের বাইরে একই ধরনের আরও ৩৮০টি স্বীকৃত বিলের পাওনা দাবি করে এ ব্যাংকের বিরুদ্ধে অর্থ ঋণ আদালতে বিভিন্ন ব্যাংক কর্তৃক ১৫টি মামলা দায়ের করা হয়েছে, যা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বিভিন্ন বেনিফিশিয়ারি কর্তৃক ব্যাংকের বিরুদ্ধে দায়ের করা ৮টি রিট পিটিশন মামলাও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এবং ব্যাংকের ফোর্স লোন আরও বৃদ্ধি পাবে।
এছাড়াও, যে সকল বেনিফিশিয়ারি এখনো স্বীকৃত বিলের পাওনা পায়নি এবং কোনো মামলা দায়ের করেনি, তারাও পুনরায় ব্যাংকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে উৎসাহী হতে পারে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান নিখাদ খবরকে বলেন,

তদন্তাধীন বিষয়ে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত অর্থ ছাড়ের কোনো সুযোগ নেই। এটা অনুচিত। দুদকের এখানে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে, যাতে রাষ্ট্রীয় অর্থ ক্ষতি না হয়। আইন অনুযায়ী দুদকের ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতি সহায়তা যা কিছুই থাকুক না কেন, এই ধরনের প্রতিষ্ঠানকে এই সুবিধা দেওয়ার সুযোগ নেই— যারা আগে থেকেই জালজালিয়াতি ও অর্থ লুটপাটের মামলায় অভিযুক্ত। এটি করা হলে এখানে একটি ভুল বার্তা যাবে। এই সুবিধার অপব্যবহার করা হবে।

জানতে চাইলে দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) মো. আক্তার হোসেন বলেন,

বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধান চলছে। অনুসন্ধান শেষে অনুসন্ধানকারী দল প্রতিবেদন প্রেরণ করবেন। এরপর সেই প্রতিবেদনের আলোকে কমিশনের সিদ্ধান্তক্রমে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিষয়ে হযরত আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,

আমি বিএনপির নেতা। আমার ব্যাবসায়িক সুনাম রয়েছে। আমি কোন জাল জালিয়াতির আশ্রয় নেইনি। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে আমাকে বার বার হয়রানি করা হয়েছে। জেলে যেতে হয়েছে। ব্যাংকের তৎকালীন ম্যানেজার আমার বিরুদ্ধে অর্থঋণ আদালতে মিথ্যা মামলা করে জেল খাটিয়েছে। এতে করে আমার ব্যাবসায়িকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। আমার মত যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তারা সবাই ব্যাংক থেকে এ সুবিধা ভোগ করেছেন। এসময় তিনি দেশের বেশ কয়েকজন বিএনপি নেতার নাম উল্লেখ করে বলেন, তারা পেলে আমি পাবো না কেন? তদেরকে নিয়েও রিপোর্ট করেন।

তাঁর মেয়ে এবার শেরপুর সদর -১ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, এ রিপোর্ট বন্ধ করেন। ঢাকায় এসে আমি আপনার সাথে দেখা করবো।

এদিকে এ বিষয়ে কথা বলার জন্য সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ শওকত আলী খানকে বার বার ফোন দিলেও তিনি ফোন ধরেননি। পরে খুদে বার্তা পাঠালেও তিনি কোনো জবাব দেননি।

Thumbnail image

শেরপুরের রোজবার্গের মালিক হযরত আলীর এলসির কাগজপত্রে জাল-জালিয়াতির বিষয়টি ধরা পড়ে শুরুতেই। পরে সোনালী ব্যাংক পুরো অর্থ আটকে দেয়। খবর পেয়ে তৎপর হয় দুর্নীতি দমন কমিশন। অর্থ আটকে দেওয়ার পরে রোজবার্গ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড থেকে একটি রিট পিটিশন দায়ের করা হয়।

পিটিশনে বাংলাদেশ ব্যাংককে ১ নম্বর বিবাদী, সোনালী ব্যাংককে ২ নম্বর ও সোনালী ব্যাংকের ইন্টারকন্টিনেন্টাল শাখাকে ৩ নম্বর বিবাদী করা হয়। ২০১৪ সালের ১৫ জুন পিটিশনের রায় ব্যাংকের বিপক্ষে যায়। এরপর ব্যাংক কর্তৃপক্ষ পুনরায় আপিল করেন, যার সিএমপি নং-৮১১/২০১৪। সিএমপিতে আপিল বিভাগ No Order আদেশ প্রদান করলে একই বছরের ৫ আগস্ট ব্যাংক কর্তৃক সিপিএলএ নং-১৯৭৭/২০১৪ দায়ের করা হয়। পরের বছরের ২৬ মে আপিল বিভাগ সিপিএলএ নং-১৯৭৭/২০১৪ এর Leave Grant করেন। ব্যাংক কর্তৃক ২ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগে সিভিল আপিল নং-৩০৬/২০১৫ দায়ের করা হয়। ২০১৮ সালের ২ জানুয়ারি আপিল বিভাগ ব্যাংকের পক্ষে রায় দেন। সেই রায়ে আপিল বিভাগ বলেছে,

এই এলসিগুলো কেবল কমার্শিয়াল এলসি। এগুলো আন্তর্জাতিক এলসি নয়, যেহেতু পণ্য উৎপাদন বা সাপ্লাইয়ে কোনো আন্তর্জাতিক পার্টিসিপেশন নেই। সুতরাং বিবাদী বিষয়টি বাণিজ্যিক চুক্তি-সংক্রান্ত হওয়ায় রিট জুরিসডিকশনের আওতায় পড়বে না।

রায়ে আরও বলা হয়,

বিলগুলোতে ডিসক্রেপেন্সির অভিযোগ থাকায়, বিলগুলো জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে প্রস্তুত করার অভিযোগ থাকায় এবং বিলগুলোর বিষয়ে সিভিল ও ক্রিমিনাল মামলা চলমান থাকায় এই বিষয়ে হাইকোর্ট বিভাগের জুডিশিয়াল রিভিউয়ের কোনো এখতিয়ার নেই। রিট পিটিশনটি টিকসই নয়। হাইকোর্ট বিভাগের সিদ্ধান্তও যথোপযুক্ত হয়নি।

এরপর রোজ বার্গ লিমিটেড পুনরায় সিভিল পিটিশন দায়ের করে। তবে সবশেষ চলতি বছরের ২৮ আগস্ট মামলাটি কজলিস্টে থাকলেও শুনানি করা হয়নি।

ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বলছে,

আপিল বিভাগের রায় ব্যাংকের পক্ষে যাওয়ায় রোজবার্গ কর্তৃপক্ষ শুনানি করাতে ভয় পাচ্ছে। তাই তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতি সহায়তা বিধানের অপব্যবহার করছে। এই বিধানের অর্থ হলো— যা আইন কাভার করে না, তবে নীতিগত কারণে অব্যবসায়িক দৃষ্টিভঙ্গির আচরণের সম্মুখীন হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন— তাদের ব্যাবসা ও আর্থিক ব্যবস্থা পুনর্গঠনপূর্বক সচল ও লাভজনক পর্যায়ে উন্নীত করার মাধ্যমে ব্যাংকের ঋণ আদায় নিশ্চিত করতে সহায়তা। যেই ঋণের আওতায় কোনোভাবেই রোজবার্গ ইন্ডাস্ট্রি পড়ে না। জাল-জালিয়াতির কারণে তাদের পেমেন্টে আটকায় ব্যাংক।

সোনালী ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নিখাদ খবরকে বলেন,

বিলগুলোর বিষয়ে দুদকের অনুসন্ধান চলমান, রোজবার্গ ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হযরত আলী কর্তৃক এ ব্যাংকের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা চলমান, এবং সোনালী ব্যাংক পিএলসি কর্তৃক বাংলাদেশ ব্যাংককে মোকাবিলা বিবাদী ও সংশ্লিষ্ট পক্ষসমূহকে বিবাদী করে দায়েরকৃত ৩৪টি মানি-স্যুট মামলা, যা এখনো আদালতে বিচারাধীন রয়েছে, তা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
অর্থাৎ বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক এ ব্যাংকের হিসাব বিকলন করে ১৪২৩টি বিল পরিশোধের বিষয়ে ৩৪টি মানি-স্যুট মামলায় দাবীকৃত ২৮৬৭.৫৩ কোটি টাকার দাবি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক প্রদত্ত ১৪২৩টি বিলের বাইরে একই ধরনের আরও ৩৮০টি স্বীকৃত বিলের পাওনা দাবি করে এ ব্যাংকের বিরুদ্ধে অর্থ ঋণ আদালতে বিভিন্ন ব্যাংক কর্তৃক ১৫টি মামলা দায়ের করা হয়েছে, যা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বিভিন্ন বেনিফিশিয়ারি কর্তৃক ব্যাংকের বিরুদ্ধে দায়ের করা ৮টি রিট পিটিশন মামলাও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এবং ব্যাংকের ফোর্স লোন আরও বৃদ্ধি পাবে।
এছাড়াও, যে সকল বেনিফিশিয়ারি এখনো স্বীকৃত বিলের পাওনা পায়নি এবং কোনো মামলা দায়ের করেনি, তারাও পুনরায় ব্যাংকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে উৎসাহী হতে পারে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান নিখাদ খবরকে বলেন,

তদন্তাধীন বিষয়ে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত অর্থ ছাড়ের কোনো সুযোগ নেই। এটা অনুচিত। দুদকের এখানে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে, যাতে রাষ্ট্রীয় অর্থ ক্ষতি না হয়। আইন অনুযায়ী দুদকের ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতি সহায়তা যা কিছুই থাকুক না কেন, এই ধরনের প্রতিষ্ঠানকে এই সুবিধা দেওয়ার সুযোগ নেই— যারা আগে থেকেই জালজালিয়াতি ও অর্থ লুটপাটের মামলায় অভিযুক্ত। এটি করা হলে এখানে একটি ভুল বার্তা যাবে। এই সুবিধার অপব্যবহার করা হবে।

জানতে চাইলে দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) মো. আক্তার হোসেন বলেন,

বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধান চলছে। অনুসন্ধান শেষে অনুসন্ধানকারী দল প্রতিবেদন প্রেরণ করবেন। এরপর সেই প্রতিবেদনের আলোকে কমিশনের সিদ্ধান্তক্রমে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিষয়ে হযরত আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,

আমি বিএনপির নেতা। আমার ব্যাবসায়িক সুনাম রয়েছে। আমি কোন জাল জালিয়াতির আশ্রয় নেইনি। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে আমাকে বার বার হয়রানি করা হয়েছে। জেলে যেতে হয়েছে। ব্যাংকের তৎকালীন ম্যানেজার আমার বিরুদ্ধে অর্থঋণ আদালতে মিথ্যা মামলা করে জেল খাটিয়েছে। এতে করে আমার ব্যাবসায়িকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। আমার মত যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তারা সবাই ব্যাংক থেকে এ সুবিধা ভোগ করেছেন। এসময় তিনি দেশের বেশ কয়েকজন বিএনপি নেতার নাম উল্লেখ করে বলেন, তারা পেলে আমি পাবো না কেন? তদেরকে নিয়েও রিপোর্ট করেন।

তাঁর মেয়ে এবার শেরপুর সদর -১ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, এ রিপোর্ট বন্ধ করেন। ঢাকায় এসে আমি আপনার সাথে দেখা করবো।

এদিকে এ বিষয়ে কথা বলার জন্য সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ শওকত আলী খানকে বার বার ফোন দিলেও তিনি ফোন ধরেননি। পরে খুদে বার্তা পাঠালেও তিনি কোনো জবাব দেননি।

বিষয়:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

বিবিধ নিয়ে আরও পড়ুন

জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে বেগম খালেদা জিয়া

জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে বেগম খালেদা জিয়া

দেশের গণতন্ত্র, স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, জাতীয়তাবাদ, ভোট ও নারীর অধিকার, সাম্য ও ন্যায্যতার জন্য নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন অকাতরে। মিথ্যে মামলার জালে চার দেয়ালের মাঝে কাটিয়েছেন বছরের পর বছর।

৪ দিন আগে
সোনালী ব্যাংক থেকে ৩০ লাখ ডলার লুট হওয়ার পথে

সোনালী ব্যাংক থেকে ৩০ লাখ ডলার লুট হওয়ার পথে

গত ১২ বছর আগে খোলা এলসির মূল্য সুদে-আসলে এখন দাঁড়িয়েছে ৩ গুণ বা প্রায় ৩০ লাখ ডলার। জালিয়াত চক্রের প্রভাবে সেই অর্থ এখন ছাড় করতে যাচ্ছে সোনালী ব্যাংক। সমালোচিত ও বহুল বিতর্কিত ওই প্রতিষ্ঠানটি হলো— রোজবার্গ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।

৮ দিন আগে
আরাফাত এখনো বিসিকের ডন

আরাফাত এখনো বিসিকের ডন

কেয়ারটেকার থেকে হয়েছেন বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) এর প্রভাবশালী ঠিকাদার। নিয়মকে অনিয়মে পরিণত করে শত শত কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন ঠিকাদার ইয়াছির আরাফাত। ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে বিসিকে তার যে দাপট ছিল, এখনো চলছে তাঁর সেই একচেটিয়া প্রভাব।

১৮ দিন আগে
অনুমতি না মেলায় ঢাকা আসছেন না জাকির নায়েক

অনুমতি না মেলায় ঢাকা আসছেন না জাকির নায়েক

অনুমতি না মেলায় নির্বাচনের আগে বাংলাদেশে আসছেন না বিশিষ্ট ইসলামী স্কলার ডা. জাকির নায়েক। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আয়োজক সংস্থা স্পার্ক ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট এ তথ্য জানায়।

০৬ নভেম্বর ২০২৫
জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে বেগম খালেদা জিয়া

জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে বেগম খালেদা জিয়া

দেশের গণতন্ত্র, স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, জাতীয়তাবাদ, ভোট ও নারীর অধিকার, সাম্য ও ন্যায্যতার জন্য নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন অকাতরে। মিথ্যে মামলার জালে চার দেয়ালের মাঝে কাটিয়েছেন বছরের পর বছর।

৪ দিন আগে
হযরত আলীর জন্য ব্যাংকের ফোর্স লোন বৃদ্ধির শঙ্কা

হযরত আলীর জন্য ব্যাংকের ফোর্স লোন বৃদ্ধির শঙ্কা

শেরপুরের রোজবার্গের মালিক হযরত আলীর এলসির কাগজপত্রে জাল-জালিয়াতির বিষয়টি ধরা পড়ে শুরুতেই। পরে সোনালী ব্যাংক পুরো অর্থ আটকে দেয়। খবর পেয়ে তৎপর হয় দুর্নীতি দমন কমিশন। অর্থ আটকে দেওয়ার পরে রোজবার্গ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড থেকে একটি রিট পিটিশন দায়ের করা হয়।

৭ দিন আগে
সোনালী ব্যাংক থেকে ৩০ লাখ ডলার লুট হওয়ার পথে

সোনালী ব্যাংক থেকে ৩০ লাখ ডলার লুট হওয়ার পথে

গত ১২ বছর আগে খোলা এলসির মূল্য সুদে-আসলে এখন দাঁড়িয়েছে ৩ গুণ বা প্রায় ৩০ লাখ ডলার। জালিয়াত চক্রের প্রভাবে সেই অর্থ এখন ছাড় করতে যাচ্ছে সোনালী ব্যাংক। সমালোচিত ও বহুল বিতর্কিত ওই প্রতিষ্ঠানটি হলো— রোজবার্গ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।

৮ দিন আগে
আরাফাত এখনো বিসিকের ডন

আরাফাত এখনো বিসিকের ডন

কেয়ারটেকার থেকে হয়েছেন বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) এর প্রভাবশালী ঠিকাদার। নিয়মকে অনিয়মে পরিণত করে শত শত কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন ঠিকাদার ইয়াছির আরাফাত। ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে বিসিকে তার যে দাপট ছিল, এখনো চলছে তাঁর সেই একচেটিয়া প্রভাব।

১৮ দিন আগে