মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • সর্বশেষ
  • বিশ্ব
  • বিশেষ সংবাদ
  • রাজনীতি
  • বিনোদন
  • জীবনযাপন
  • খেলা
  • বাংলাদেশ
  • অর্থনীতি
  • ইপেপার
  • ইপেপার
nikhad logo
অনুসরণ করুন
facebooktwittertiktokpinterestyoutubelinkedininstagramgoogle
  • নিখাদ খবর
  • বিজ্ঞাপন
  • সার্কুলেশন
  • শর্তাবলি ও নীতিমালা
  • গোপনীয়তা নীতি
  • যোগাযোগ
স্বত্ব: ©️ দৈনিক নিখাদ খবর|ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: পারভীন আফরোজ খান ওপ্রকাশক: আ. হ. ম তারেক উদ্দীন
বাংলাদেশ
রাজধানী

সামরিক ও বেসামরিক ফ্লাইট একই রানওয়েতে, প্রশ্ন নিরাপত্তা নিয়ে

প্রতিনিধি
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ২৩ জুলাই ২০২৫, ১০: ০৬
আপডেট : ২৩ জুলাই ২০২৫, ১৭: ৫৩
logo

সামরিক ও বেসামরিক ফ্লাইট একই রানওয়েতে, প্রশ্ন নিরাপত্তা নিয়ে

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ : ২৩ জুলাই ২০২৫, ১০: ০৬
Photo
ছবি: সংগৃহীত

বর্তমানে শাহজালালে একটি মাত্র রানওয়েতে উঠানামা করছে বেসামরিক ও সামরিক উভয় ধরনের ফ্লাইট। এরই পাশাপাশি উত্তর পাশ দিয়ে উড়ছে হেলিকপ্টার। বিষয়টি আন্তর্জাতিক সিভিল এভিয়েশন নীতিমালার সঙ্গে সাংঘর্ষিক হলেও, স্থানের অভাব ও আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে এই ব্যবস্থাই চালু রয়েছে বহু বছর ধরে।

এ প্রসঙ্গে সাবেক সেনা পাইলট কর্নেল মো. সোহেল রানা বলেন, ‘সিভিল এভিয়েশনের নিয়ম অনুযায়ী সামরিক ও বেসামরিক বিমান একসঙ্গে একটি রানওয়ে ব্যবহার করতে পারে না। কিন্তু আমাদের দেশে জায়গা ও অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতার কারণে বাধ্য হয়ে একই জায়গা থেকে উড্ডয়ন করতে হয়।

বিমানবন্দর ঘিরে গড়ে ওঠা আবাসিক এলাকা, শিল্পপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ নানা স্থাপনা জননিরাপত্তাকে প্রতিনিয়ত ঝুঁকির মুখে ফেলছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঢাকা থেকে বিমানবন্দর স্থানান্তর করার সিদ্ধান্ত বহু আগেই নেওয়া উচিত ছিল। অন্তত সামরিক ফ্লাইট কার্যক্রম অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে এখনই চিন্তা করা দরকার।

সোমবার (২১ জুলাই) উত্তরায় বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে হতাহতের ঘটনার পর বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় এসেছে।

সময়ের বিবর্তনে ঢাকার এই বিমানবন্দর এখন অভিজাত আবাসিক এলাকা ও শিল্পাঞ্চলের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। এর আশপাশে একের পর এক গজিয়ে উঠেছে উঁচু আবাসিক ভবন ও বাণিজ্যিক স্থাপনা। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বাস্তবতা মেনে নিয়েছে বটে, তবে নিরাপত্তার প্রশ্নে বিষয়টি অগ্রাহ্য করা যাচ্ছে না।

পাইলটরা জানান, শুধু নিরাপত্তা নয়, একই রানওয়ে ব্যবহারের কারণে ফ্লাইট শিডিউলও মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়। টেক-অফের জন্য ৩০ থেকে ৪০ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় যাত্রীদের, যার ফলে বিমানেই ভোগান্তি বাড়ছে।

এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ কাজী ওয়াহিদুল আলম বলেন, ‘এমন ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় যদি কোনো যাত্রীবাহী বিমান দুর্ঘটনার শিকার হয়, তাহলে বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।’

অবসরপ্রাপ্ত এয়ার কমডোর ইশফাক এলাহী চৌধুরী বলেন, ‘এত ঘনবসতিপূর্ণ জায়গায় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পরিচালনার পাশাপাশি সেখানে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর মূল বেইসও পরিচালিত হচ্ছে, যা এক অনিরাপদ পরিস্থিতি তৈরি করছে। ২০ বছর আগেই বিমানবন্দর আরিয়াল বিল এলাকায় স্থানান্তরের পরিকল্পনা ছিল, কিন্তু স্থানীয় রাজনৈতিক চাপে তা বাস্তবায়ন হয়নি।’

বর্তমানে শাহজালালে একটি মাত্র রানওয়েতে উঠানামা করছে বেসামরিক ও সামরিক উভয় ধরনের ফ্লাইট। এরই পাশাপাশি উত্তর পাশ দিয়ে উড়ছে হেলিকপ্টার। সাবেক সেনা পাইলট কর্নেল মো. সোহেল রানা বলেন, ‘সিভিল এভিয়েশনের নিয়ম অনুযায়ী সামরিক ও বেসামরিক বিমান একসঙ্গে একটি রানওয়ে ব্যবহার করতে পারে না। কিন্তু আমাদের দেশে জায়গা ও অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতার কারণে বাধ্য হয়ে একই জায়গা থেকে উড্ডয়ন করতে হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘এটি স্থানান্তরের জন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ও বিপুল বিনিয়োগ প্রয়োজন। তাই তা সহজ নয়।’

বিশেষজ্ঞদের মতে, অন্য বিমানবন্দরগুলো—বিশেষত চট্টগ্রাম বিমানবন্দর, যা সমুদ্রের কাছাকাছি এবং অতটা ঘনবসতিপূর্ণ নয়—সামরিক ফ্লাইট পরিচালনার জন্য বিকল্প হতে পারে।

Thumbnail image
ছবি: সংগৃহীত

বর্তমানে শাহজালালে একটি মাত্র রানওয়েতে উঠানামা করছে বেসামরিক ও সামরিক উভয় ধরনের ফ্লাইট। এরই পাশাপাশি উত্তর পাশ দিয়ে উড়ছে হেলিকপ্টার। বিষয়টি আন্তর্জাতিক সিভিল এভিয়েশন নীতিমালার সঙ্গে সাংঘর্ষিক হলেও, স্থানের অভাব ও আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে এই ব্যবস্থাই চালু রয়েছে বহু বছর ধরে।

এ প্রসঙ্গে সাবেক সেনা পাইলট কর্নেল মো. সোহেল রানা বলেন, ‘সিভিল এভিয়েশনের নিয়ম অনুযায়ী সামরিক ও বেসামরিক বিমান একসঙ্গে একটি রানওয়ে ব্যবহার করতে পারে না। কিন্তু আমাদের দেশে জায়গা ও অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতার কারণে বাধ্য হয়ে একই জায়গা থেকে উড্ডয়ন করতে হয়।

বিমানবন্দর ঘিরে গড়ে ওঠা আবাসিক এলাকা, শিল্পপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ নানা স্থাপনা জননিরাপত্তাকে প্রতিনিয়ত ঝুঁকির মুখে ফেলছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঢাকা থেকে বিমানবন্দর স্থানান্তর করার সিদ্ধান্ত বহু আগেই নেওয়া উচিত ছিল। অন্তত সামরিক ফ্লাইট কার্যক্রম অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে এখনই চিন্তা করা দরকার।

সোমবার (২১ জুলাই) উত্তরায় বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে হতাহতের ঘটনার পর বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় এসেছে।

সময়ের বিবর্তনে ঢাকার এই বিমানবন্দর এখন অভিজাত আবাসিক এলাকা ও শিল্পাঞ্চলের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। এর আশপাশে একের পর এক গজিয়ে উঠেছে উঁচু আবাসিক ভবন ও বাণিজ্যিক স্থাপনা। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বাস্তবতা মেনে নিয়েছে বটে, তবে নিরাপত্তার প্রশ্নে বিষয়টি অগ্রাহ্য করা যাচ্ছে না।

পাইলটরা জানান, শুধু নিরাপত্তা নয়, একই রানওয়ে ব্যবহারের কারণে ফ্লাইট শিডিউলও মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়। টেক-অফের জন্য ৩০ থেকে ৪০ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় যাত্রীদের, যার ফলে বিমানেই ভোগান্তি বাড়ছে।

এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ কাজী ওয়াহিদুল আলম বলেন, ‘এমন ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় যদি কোনো যাত্রীবাহী বিমান দুর্ঘটনার শিকার হয়, তাহলে বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।’

অবসরপ্রাপ্ত এয়ার কমডোর ইশফাক এলাহী চৌধুরী বলেন, ‘এত ঘনবসতিপূর্ণ জায়গায় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পরিচালনার পাশাপাশি সেখানে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর মূল বেইসও পরিচালিত হচ্ছে, যা এক অনিরাপদ পরিস্থিতি তৈরি করছে। ২০ বছর আগেই বিমানবন্দর আরিয়াল বিল এলাকায় স্থানান্তরের পরিকল্পনা ছিল, কিন্তু স্থানীয় রাজনৈতিক চাপে তা বাস্তবায়ন হয়নি।’

বর্তমানে শাহজালালে একটি মাত্র রানওয়েতে উঠানামা করছে বেসামরিক ও সামরিক উভয় ধরনের ফ্লাইট। এরই পাশাপাশি উত্তর পাশ দিয়ে উড়ছে হেলিকপ্টার। সাবেক সেনা পাইলট কর্নেল মো. সোহেল রানা বলেন, ‘সিভিল এভিয়েশনের নিয়ম অনুযায়ী সামরিক ও বেসামরিক বিমান একসঙ্গে একটি রানওয়ে ব্যবহার করতে পারে না। কিন্তু আমাদের দেশে জায়গা ও অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতার কারণে বাধ্য হয়ে একই জায়গা থেকে উড্ডয়ন করতে হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘এটি স্থানান্তরের জন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ও বিপুল বিনিয়োগ প্রয়োজন। তাই তা সহজ নয়।’

বিশেষজ্ঞদের মতে, অন্য বিমানবন্দরগুলো—বিশেষত চট্টগ্রাম বিমানবন্দর, যা সমুদ্রের কাছাকাছি এবং অতটা ঘনবসতিপূর্ণ নয়—সামরিক ফ্লাইট পরিচালনার জন্য বিকল্প হতে পারে।

বিষয়:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

রাজধানী নিয়ে আরও পড়ুন

দুর্গাপূজার আনন্দ ঢেকে দিয়েছে উচ্ছেদের ভয়

দুর্গাপূজার আনন্দ ঢেকে দিয়েছে উচ্ছেদের ভয়

হরিজন সম্প্রদায়ের পরিবারগুলোর অভিযোগ, দুর্গাপুজোর পর যে কোনো সময় কলোনি থেকে সরে যাওয়ার জন্য মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে। কলোনির ভেতর এখন নেই পুজোর আনন্দ

৫ ঘণ্টা আগে
সৈয়দপুরে কেন্দ্রীয় দুর্গাপূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

সৈয়দপুরে কেন্দ্রীয় দুর্গাপূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

এসময় বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্ট, বাংলাদেশ পূজা উদ্‌যাপন ফ্রন্ট, সৈয়দপুর হিন্দু কল্যাণ সমিতির নেতৃবৃন্দ ৯৮ বছরের পুরোনো সৈয়দপুর কেন্দ্রীয় দুর্গাপূজা মণ্ডপের ইতিহাস তুলে ধরে তাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের কাছে জানান

৫ ঘণ্টা আগে
জীববৈচিত্র্য মুখি করতে বাফলার বিলের কচুরীপানা অপসারণ

জীববৈচিত্র্য মুখি করতে বাফলার বিলের কচুরীপানা অপসারণ

ঐতিহ্যবাহী বাফলার বিল কচুরিপানায় পরিবেশ ও জীববৈচিত্র হুমকির মুখে পড়ায় উপজেলা প্রশাসন ও ওয়ার্ড ভিশনের উদ্যোগে কচুরিপানা অপসারণ শুরু করেছে

৬ ঘণ্টা আগে
ডিমলায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে জরিমানা

ডিমলায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে জরিমানা

জনসাধারণের চলাচলের রাস্তার জায়গা দখল করে ঝুঁকিপূর্ণভাবে ব্যবসা পরিচালনার অপরাধে খগাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের দুই ব্যবসায়ীকে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ এর আওতায় ৪ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়

৬ ঘণ্টা আগে
দুর্গাপূজার আনন্দ ঢেকে দিয়েছে উচ্ছেদের ভয়

দুর্গাপূজার আনন্দ ঢেকে দিয়েছে উচ্ছেদের ভয়

হরিজন সম্প্রদায়ের পরিবারগুলোর অভিযোগ, দুর্গাপুজোর পর যে কোনো সময় কলোনি থেকে সরে যাওয়ার জন্য মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে। কলোনির ভেতর এখন নেই পুজোর আনন্দ

৫ ঘণ্টা আগে
সৈয়দপুরে কেন্দ্রীয় দুর্গাপূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

সৈয়দপুরে কেন্দ্রীয় দুর্গাপূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

এসময় বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্ট, বাংলাদেশ পূজা উদ্‌যাপন ফ্রন্ট, সৈয়দপুর হিন্দু কল্যাণ সমিতির নেতৃবৃন্দ ৯৮ বছরের পুরোনো সৈয়দপুর কেন্দ্রীয় দুর্গাপূজা মণ্ডপের ইতিহাস তুলে ধরে তাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের কাছে জানান

৫ ঘণ্টা আগে
জীববৈচিত্র্য মুখি করতে বাফলার বিলের কচুরীপানা অপসারণ

জীববৈচিত্র্য মুখি করতে বাফলার বিলের কচুরীপানা অপসারণ

ঐতিহ্যবাহী বাফলার বিল কচুরিপানায় পরিবেশ ও জীববৈচিত্র হুমকির মুখে পড়ায় উপজেলা প্রশাসন ও ওয়ার্ড ভিশনের উদ্যোগে কচুরিপানা অপসারণ শুরু করেছে

৬ ঘণ্টা আগে
ডিমলায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে জরিমানা

ডিমলায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে জরিমানা

জনসাধারণের চলাচলের রাস্তার জায়গা দখল করে ঝুঁকিপূর্ণভাবে ব্যবসা পরিচালনার অপরাধে খগাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের দুই ব্যবসায়ীকে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ এর আওতায় ৪ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়

৬ ঘণ্টা আগে