নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিয় ছায়ানটে শিল্পী, সংস্কৃতিকর্মীরা অশ্রু-গান ও ফুলের শ্রদ্ধায় শেষ বিদায় জানিয়েছেন সন্জীদা খাতুনকে।তিনি ছিলেন ছায়ানটের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এবং সর্বশেষ সভাপতি। তার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে আজ বুধবার সকাল থেকেই ছায়ানট ভবনে ভিড় করেন শিল্পী, সংস্কৃতিকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। তাদের দীর্ঘ লাইন ছায়ানট ভবন ছাড়িয়ে ধানমণ্ডি ২৭ নম্বরে গিয়ে ঠেকে।
ছায়ানট ভবনে তার সহকর্মী, সহযোদ্ধা আর শিক্ষার্থীদের চোখে জল, কণ্ঠে রবীন্দ্রনাথ-লালনের গান। যে গানকে সঙ্গী করে বাঙালি সংস্কৃতির বিকাশে বর্ণাঢ্য এক জীবন কাটিয়েছেন সন্জীদা খাতুন।
একদিকে শিল্পীদের কণ্ঠে গান, অন্যদিকে সারিবদ্ধভাবে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন। ছায়ানটের উঠানে আসা হাজারো মানুষের চোখে জল। কেউ কেউ কেঁদেছেন অঝোর ধারায়।
তার মরদেহ ঘিরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বসন্তের গান 'ঝরা পাতা গো' গেয়ে শোনাচ্ছিলেন শিল্পীরা। শেষযাত্রার এই আয়োজনে 'তুমি যে সুরের আগুন', 'মারের সাগর পাড়ি দেব', 'মানু্ষ ছাড়া ক্ষ্যাপারে মূল হারাবি'সহ বেশ কিছু গান গেয়ে ছায়ানটের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বিদায় জানান তাদের গুরুকে।
বেলা সোয়া ১টার দিকে সন্জীদা খাতুনের মরদেহ ছায়ানট থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে রওনা হয়। সেখানে দীর্ঘদিন অধ্যাপনায় যুক্ত ছিলেন সনজীদা খাতুন।
বেলা আড়াইটায় তার কফিন নেওয়া হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। সেখানে সর্বস্তরের মানুষ তাকে শেষ বিদায় জানাবে।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের শ্রদ্ধা অনুষ্ঠান শেষে সন্জীদা খাতুনের মরদেহ ফিরিয়ে নেওয়া হবে হাসপাতালের হিমঘরে। পরের আনুষ্ঠানিকতা কী হবে, সে বিষয়ে এখনো কিছু জানায়নি তার পরিবার।
ছায়ানটের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরাও এসেছিলেন শ্রদ্ধা জানাতে।
ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৯১ বছর বয়সে মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় মারা যান সন্জীদা খাতুন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা ও জাতীয় অধ্যাপক কাজী মোতাহার হোসেনের মেয়ে সন্জীদা খাতুনের জন্ম ১৯৩৩ সালের ৪ এপ্রিল। পড়েছেন ঢাকার কামরুন্নেসা স্কুল, ইডেন কলেজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং শান্তি নিকেতনের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক ও রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর করে ১৯৭৮ সালে সেখান থেকেই পিএইচডি করেন। দীর্ঘদিন অধ্যাপনার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ থেকে তিনি অবসর নেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী থাকা অবস্থায় শুদ্ধ সংগীতের চর্চার পাশাপাশি বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন সন্জীদা খাতুন।
গান ছিল তার আত্মপরিচয়ের অন্বেষণ। তার তত্ত্বাবধানেই ছায়ানট এখন বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠান, যা শাস্ত্রীয় সংগীত ও নৃত্যের প্রসারে কাজ করছে।
একুশে পদক, বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরস্কার, রবীন্দ্র স্মৃতি পুরস্কারে (পশ্চিমবঙ্গ, ভারত) ভূষিত সন্জীদা ১৬টি বই লিখেছেন
প্রিয় ছায়ানটে শিল্পী, সংস্কৃতিকর্মীরা অশ্রু-গান ও ফুলের শ্রদ্ধায় শেষ বিদায় জানিয়েছেন সন্জীদা খাতুনকে।তিনি ছিলেন ছায়ানটের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এবং সর্বশেষ সভাপতি। তার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে আজ বুধবার সকাল থেকেই ছায়ানট ভবনে ভিড় করেন শিল্পী, সংস্কৃতিকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। তাদের দীর্ঘ লাইন ছায়ানট ভবন ছাড়িয়ে ধানমণ্ডি ২৭ নম্বরে গিয়ে ঠেকে।
ছায়ানট ভবনে তার সহকর্মী, সহযোদ্ধা আর শিক্ষার্থীদের চোখে জল, কণ্ঠে রবীন্দ্রনাথ-লালনের গান। যে গানকে সঙ্গী করে বাঙালি সংস্কৃতির বিকাশে বর্ণাঢ্য এক জীবন কাটিয়েছেন সন্জীদা খাতুন।
একদিকে শিল্পীদের কণ্ঠে গান, অন্যদিকে সারিবদ্ধভাবে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন। ছায়ানটের উঠানে আসা হাজারো মানুষের চোখে জল। কেউ কেউ কেঁদেছেন অঝোর ধারায়।
তার মরদেহ ঘিরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বসন্তের গান 'ঝরা পাতা গো' গেয়ে শোনাচ্ছিলেন শিল্পীরা। শেষযাত্রার এই আয়োজনে 'তুমি যে সুরের আগুন', 'মারের সাগর পাড়ি দেব', 'মানু্ষ ছাড়া ক্ষ্যাপারে মূল হারাবি'সহ বেশ কিছু গান গেয়ে ছায়ানটের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বিদায় জানান তাদের গুরুকে।
বেলা সোয়া ১টার দিকে সন্জীদা খাতুনের মরদেহ ছায়ানট থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে রওনা হয়। সেখানে দীর্ঘদিন অধ্যাপনায় যুক্ত ছিলেন সনজীদা খাতুন।
বেলা আড়াইটায় তার কফিন নেওয়া হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। সেখানে সর্বস্তরের মানুষ তাকে শেষ বিদায় জানাবে।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের শ্রদ্ধা অনুষ্ঠান শেষে সন্জীদা খাতুনের মরদেহ ফিরিয়ে নেওয়া হবে হাসপাতালের হিমঘরে। পরের আনুষ্ঠানিকতা কী হবে, সে বিষয়ে এখনো কিছু জানায়নি তার পরিবার।
ছায়ানটের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরাও এসেছিলেন শ্রদ্ধা জানাতে।
ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৯১ বছর বয়সে মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় মারা যান সন্জীদা খাতুন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা ও জাতীয় অধ্যাপক কাজী মোতাহার হোসেনের মেয়ে সন্জীদা খাতুনের জন্ম ১৯৩৩ সালের ৪ এপ্রিল। পড়েছেন ঢাকার কামরুন্নেসা স্কুল, ইডেন কলেজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং শান্তি নিকেতনের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক ও রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর করে ১৯৭৮ সালে সেখান থেকেই পিএইচডি করেন। দীর্ঘদিন অধ্যাপনার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ থেকে তিনি অবসর নেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী থাকা অবস্থায় শুদ্ধ সংগীতের চর্চার পাশাপাশি বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন সন্জীদা খাতুন।
গান ছিল তার আত্মপরিচয়ের অন্বেষণ। তার তত্ত্বাবধানেই ছায়ানট এখন বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠান, যা শাস্ত্রীয় সংগীত ও নৃত্যের প্রসারে কাজ করছে।
একুশে পদক, বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরস্কার, রবীন্দ্র স্মৃতি পুরস্কারে (পশ্চিমবঙ্গ, ভারত) ভূষিত সন্জীদা ১৬টি বই লিখেছেন
জামালপুর জেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন বাতিলের দাবিতে হরতাল ঘোষণার পর মশাল মিছিল থেকে বোমা সদৃশ বস্তু বিস্ফোরণ শব্দ পাওয়া গেছে। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে পুরো শহর জুড়ে।
১২ ঘণ্টা আগেখবর পেয়ে নিউজ কভারেজের জন্য থানার সামনে মিডিয়া কর্মীরা পৌঁছলে তাদেরকেও থানার মধ্যে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।
১৩ ঘণ্টা আগেটাঙ্গাইলে সদ্য নিয়োগ পাওয়া আদালতের সরকারি আইন কর্মকর্তা (জিপি) বজলুর রহমান মিয়াকে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যা দিয়ে তার কার্যালয়ে তালা দিয়েছেন আইনজীবীরা।
১৩ ঘণ্টা আগেসাতক্ষীরায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৪ ঘণ্টা আগেজামালপুর জেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন বাতিলের দাবিতে হরতাল ঘোষণার পর মশাল মিছিল থেকে বোমা সদৃশ বস্তু বিস্ফোরণ শব্দ পাওয়া গেছে। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে পুরো শহর জুড়ে।
খবর পেয়ে নিউজ কভারেজের জন্য থানার সামনে মিডিয়া কর্মীরা পৌঁছলে তাদেরকেও থানার মধ্যে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।
টাঙ্গাইলে সদ্য নিয়োগ পাওয়া আদালতের সরকারি আইন কর্মকর্তা (জিপি) বজলুর রহমান মিয়াকে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যা দিয়ে তার কার্যালয়ে তালা দিয়েছেন আইনজীবীরা।
সাতক্ষীরায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।