সাতক্ষীরা
সাতক্ষীরার আশাশুনির কাকড়াবুনিয়ায় মৎস্য ঘের দখলের চেষ্টা, ৫ লাখ টাকা চাঁদাদাবী ও নগদ ৬০ হাজার টাকা জোর পূর্বক চাঁদা আদায়সহ মোট ৪ লাখ ৬৫ হাজার টাকার মাছ ও মালামাল লুটের অভিযোগে ৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৭/৮ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামীরা সবাই স্থানীয় বিএনপির ক্যাডার।
গত ২২ মার্চ আশাশুনি থানায় এজাহারটি জমা দেন জেলা মহিলা দলের সদস্য ও সাতক্ষীরা শহরের মধ্য কাটিয়া এলাকার ভুক্তভোগী আম্বিয়া বেগম। সাতক্ষীরার পুলিশ সুপারের নির্দেশে এজাহারটি আমলে নিয়ে আশাশুনি থানার ওসি এটি তদন্তের জন্য এসআই নাহিদের উপর দায়ীত্ব দিয়েছেন। তদন্ত কর্মকর্তা এসআই নাহিদ ইতিমধ্যে বিষয়টির সত্যতা পেয়েছেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
এ মামলায় যাদের আসামী করা হয়েছে তারা হলেন, আশাশুনি উপজেলার কাকড়াবুনিয়া গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের পুত্র মোস্তাক (৩০), মৃত গফুর সানার পুত্র দ্বীন মোহাম্মদ সানা দ্বীনু (৩৫), মোস্তফা আকুঞ্জির পুত্র জহুরুল আকুঞ্জি (২৮), গোলাম বারীর পুত্র মোঃ সাগর (৩০), গফুর সানার পুত্র রফিকুল ইসলাম সানা হাসেম (৪০), জব্বার সার পুত্র জমাত সানা (৩৮) ও গফুর সানার পুত্র জাহাঙ্গীর ওরফে নাটা (৩৮)। মামলায় অভিযোগকারীরা সবাই স্থানীয় বিএনপির ক্যাডার।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, আশাশুনি উপজেলার কাকড়াবুনিয়া এলাকায় আম্বিয়া বেগমের জামাতা আব্দুল্লাহ আলমামুনের ৩০ বিঘা জমির উপর একটি মৎস্য ঘের রয়েছে। উক্ত ঘেরে লক্ষ লক্ষ টাকা বাগদা ও গলদাসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ রয়েছে। গত ৫ আগষ্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ৭ আগস্ট আনুমানিক বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে স্থানীয় বিএনপি ক্যাডার বেআইনি জনতা দলবদ্ধ হয়ে হাতে ধারালো দা ও চাইনিজ কুড়ালসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আম্বিয়া বেগমের জামাতা আব্দুল্লাহ আল মামুনের ঘেরে প্রবেশ করে।
এসময় সেখানে পাহারারত জামাতার ভাই হাবিবুর রহমান বাধা দিলে তারা তাকে খুন জখমের হুমকি প্রদান করে এবং এখানে ঘের করতে হলে তাদের ৫ লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে বলে জানায়। একপর্যায়ে তারা তাকে ঘের থেকে জোরপূর্বক তাড়িয়ে দিয়ে ঘেরের বাসায় থাকায় মাছ বিক্রির নগদ ৭০ হাজার টাকাসহ ১ লাখ ৫ হাজার টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এরপর তারা একাধিকবার উক্ত মৎস্য ঘেরে প্রবেশ করে আরো প্রায় ৩ লাখ টাকার মাছ ধরে তা লুট করে নিয়ে যায়। এমাতাবস্থায় ২৩ ফেব্রুয়ারী উক্ত আসামীরা আবারো অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মৎস্য ঘেরটি দখলে নেয়ার চেষ্টা করতে থাকলে আম্বিয়ার বোন জেলা মহিলা দলের নেত্রী সালেহা হক কেয়া ও জামাতা আব্দুল্লাহ আল মামুন এতে বাধা দিলে তারা বলে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দিলে তারা এখুনি চলে যাবে।
এসময় টাকা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করায় বিএনপির ক্যাডার রফিকুল সানার, সাগর,ন্যাটার নেতৃত্বে জহুরুল আকুঞ্জি, জামাত সানা সো আসামীরা আম্বিয়ার জামাতা আব্দুল্লাহকে ধারালো দা দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় কোপ মারিয়া রক্তাক্ত জখম করে ৬০ হাজার টাকা কেড়ে নেয়। এসময় আম্বিয়া ঠেকানোর চেষ্টা করলে তাকে কিল ঘুষি মারিয়া অসৎ উদ্ধেশ্যে পরনের কাপড় চোপড় খুলে শ্লীলতাহানী ঘটায় এবং কিল ঘুষি মেরে ফোলা জখম করে।এসময় তারা নারীদের স্লীলতাহানী ঘটায়। এরপর উক্ত সকল আসামীরা তাদেরকে মৎস্য ঘেরের ঘরের মধ্যে আটকিয়ে রেখে বাহিরের থেকে তালা লাগাইয়া দিয়ে চলে যাওয়ার সময় আবারো ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে যা ১৫ দিনের মধ্যে তাদেরকে পরিশোধ করতে হবে বলে জানায়। অন্যথায় তারা মৎস্য ঘের দখলে নেওয়াসহ খুন জখমের হুমকি দিয়ে চলে যায়।
পরে তাদের সেখান থেকে উদ্ধার করেন স্থানীয় অলিয়ার, তুহিনসহ কয়েকজন। এমামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশাশুনি থানার এসআই নাহিদ জানান, অভিযোগটি হাতে পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলেই গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে তিনি এ ঘটনার সত্যতা পেয়েছেন বলে এ প্রতিবেদককে জানান। এ ব্যাপারে আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নোমান হোসেন জানান, তদন্ত কর্মকর্তা নাহিদ বিষয়টি তদন্ত করে রিপোর্ট দেয়ার পর এ ঘটনায় পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সাতক্ষীরার আশাশুনির কাকড়াবুনিয়ায় মৎস্য ঘের দখলের চেষ্টা, ৫ লাখ টাকা চাঁদাদাবী ও নগদ ৬০ হাজার টাকা জোর পূর্বক চাঁদা আদায়সহ মোট ৪ লাখ ৬৫ হাজার টাকার মাছ ও মালামাল লুটের অভিযোগে ৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৭/৮ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামীরা সবাই স্থানীয় বিএনপির ক্যাডার।
গত ২২ মার্চ আশাশুনি থানায় এজাহারটি জমা দেন জেলা মহিলা দলের সদস্য ও সাতক্ষীরা শহরের মধ্য কাটিয়া এলাকার ভুক্তভোগী আম্বিয়া বেগম। সাতক্ষীরার পুলিশ সুপারের নির্দেশে এজাহারটি আমলে নিয়ে আশাশুনি থানার ওসি এটি তদন্তের জন্য এসআই নাহিদের উপর দায়ীত্ব দিয়েছেন। তদন্ত কর্মকর্তা এসআই নাহিদ ইতিমধ্যে বিষয়টির সত্যতা পেয়েছেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
এ মামলায় যাদের আসামী করা হয়েছে তারা হলেন, আশাশুনি উপজেলার কাকড়াবুনিয়া গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের পুত্র মোস্তাক (৩০), মৃত গফুর সানার পুত্র দ্বীন মোহাম্মদ সানা দ্বীনু (৩৫), মোস্তফা আকুঞ্জির পুত্র জহুরুল আকুঞ্জি (২৮), গোলাম বারীর পুত্র মোঃ সাগর (৩০), গফুর সানার পুত্র রফিকুল ইসলাম সানা হাসেম (৪০), জব্বার সার পুত্র জমাত সানা (৩৮) ও গফুর সানার পুত্র জাহাঙ্গীর ওরফে নাটা (৩৮)। মামলায় অভিযোগকারীরা সবাই স্থানীয় বিএনপির ক্যাডার।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, আশাশুনি উপজেলার কাকড়াবুনিয়া এলাকায় আম্বিয়া বেগমের জামাতা আব্দুল্লাহ আলমামুনের ৩০ বিঘা জমির উপর একটি মৎস্য ঘের রয়েছে। উক্ত ঘেরে লক্ষ লক্ষ টাকা বাগদা ও গলদাসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ রয়েছে। গত ৫ আগষ্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ৭ আগস্ট আনুমানিক বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে স্থানীয় বিএনপি ক্যাডার বেআইনি জনতা দলবদ্ধ হয়ে হাতে ধারালো দা ও চাইনিজ কুড়ালসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আম্বিয়া বেগমের জামাতা আব্দুল্লাহ আল মামুনের ঘেরে প্রবেশ করে।
এসময় সেখানে পাহারারত জামাতার ভাই হাবিবুর রহমান বাধা দিলে তারা তাকে খুন জখমের হুমকি প্রদান করে এবং এখানে ঘের করতে হলে তাদের ৫ লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে বলে জানায়। একপর্যায়ে তারা তাকে ঘের থেকে জোরপূর্বক তাড়িয়ে দিয়ে ঘেরের বাসায় থাকায় মাছ বিক্রির নগদ ৭০ হাজার টাকাসহ ১ লাখ ৫ হাজার টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এরপর তারা একাধিকবার উক্ত মৎস্য ঘেরে প্রবেশ করে আরো প্রায় ৩ লাখ টাকার মাছ ধরে তা লুট করে নিয়ে যায়। এমাতাবস্থায় ২৩ ফেব্রুয়ারী উক্ত আসামীরা আবারো অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মৎস্য ঘেরটি দখলে নেয়ার চেষ্টা করতে থাকলে আম্বিয়ার বোন জেলা মহিলা দলের নেত্রী সালেহা হক কেয়া ও জামাতা আব্দুল্লাহ আল মামুন এতে বাধা দিলে তারা বলে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দিলে তারা এখুনি চলে যাবে।
এসময় টাকা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করায় বিএনপির ক্যাডার রফিকুল সানার, সাগর,ন্যাটার নেতৃত্বে জহুরুল আকুঞ্জি, জামাত সানা সো আসামীরা আম্বিয়ার জামাতা আব্দুল্লাহকে ধারালো দা দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় কোপ মারিয়া রক্তাক্ত জখম করে ৬০ হাজার টাকা কেড়ে নেয়। এসময় আম্বিয়া ঠেকানোর চেষ্টা করলে তাকে কিল ঘুষি মারিয়া অসৎ উদ্ধেশ্যে পরনের কাপড় চোপড় খুলে শ্লীলতাহানী ঘটায় এবং কিল ঘুষি মেরে ফোলা জখম করে।এসময় তারা নারীদের স্লীলতাহানী ঘটায়। এরপর উক্ত সকল আসামীরা তাদেরকে মৎস্য ঘেরের ঘরের মধ্যে আটকিয়ে রেখে বাহিরের থেকে তালা লাগাইয়া দিয়ে চলে যাওয়ার সময় আবারো ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে যা ১৫ দিনের মধ্যে তাদেরকে পরিশোধ করতে হবে বলে জানায়। অন্যথায় তারা মৎস্য ঘের দখলে নেওয়াসহ খুন জখমের হুমকি দিয়ে চলে যায়।
পরে তাদের সেখান থেকে উদ্ধার করেন স্থানীয় অলিয়ার, তুহিনসহ কয়েকজন। এমামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশাশুনি থানার এসআই নাহিদ জানান, অভিযোগটি হাতে পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলেই গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে তিনি এ ঘটনার সত্যতা পেয়েছেন বলে এ প্রতিবেদককে জানান। এ ব্যাপারে আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নোমান হোসেন জানান, তদন্ত কর্মকর্তা নাহিদ বিষয়টি তদন্ত করে রিপোর্ট দেয়ার পর এ ঘটনায় পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দিনাজপুরের চিরিরবন্দর ফতেজংপুর মহাবিদ্যালয়ে উচ্চ মাধ্যমিক ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে " রোড সেফটি এবং সড়ক দুর্ঘটনা ' সংক্রান্তে একটি সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
৭ ঘণ্টা আগেরংপুরের গংগাচড়ায় গৃহবধু সালেহা হত্যা মামলায় একজনের যাবজ্জীবন, এক জনের ১ বছর ও তিনজনের ৬ মাসের কারাদন্ড দিয়েছে আদালত।
৭ ঘণ্টা আগেকণ্ঠশিল্পী ও সাবেক সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের রিমান্ড শুনানিকে কেন্দ্র করে ঢাকার নিম্ন আদালতে বিভিন্ন গণমাধ্যমে কাজ করা সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হয়ে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন বিএনপিপন্থি কয়েকজন আইনজীবী।
৭ ঘণ্টা আগেজুলাই-আগষ্টে ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত পরিবারের মাঝে সরকার কর্তৃক আর্থিক অনুদানের চেক হস্তান্তর করা হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগেদিনাজপুরের চিরিরবন্দর ফতেজংপুর মহাবিদ্যালয়ে উচ্চ মাধ্যমিক ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে " রোড সেফটি এবং সড়ক দুর্ঘটনা ' সংক্রান্তে একটি সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
রংপুরের গংগাচড়ায় গৃহবধু সালেহা হত্যা মামলায় একজনের যাবজ্জীবন, এক জনের ১ বছর ও তিনজনের ৬ মাসের কারাদন্ড দিয়েছে আদালত।
কণ্ঠশিল্পী ও সাবেক সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের রিমান্ড শুনানিকে কেন্দ্র করে ঢাকার নিম্ন আদালতে বিভিন্ন গণমাধ্যমে কাজ করা সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হয়ে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন বিএনপিপন্থি কয়েকজন আইনজীবী।
জুলাই-আগষ্টে ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত পরিবারের মাঝে সরকার কর্তৃক আর্থিক অনুদানের চেক হস্তান্তর করা হয়েছে।