আপত্তিকর অবস্থায় আ.লীগ নেত্রী আটক

প্রতিনিধি
টাঙ্গাইল
Thumbnail image
ছবি: প্রতিনিধি

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে আপত্তিকর অবস্থায় পরকীয়া প্রেমিকসহ মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রী রেহানা পারভীন (৩৮) জনতার হাতে আটক হয়েছেন। বর্তমানে তার প্রেমিকসহ তিনি ভূঞাপুর থানা হেফাজতে রয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১২ জুন) ভূঞাপুর থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম রেজাউল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আটক আওয়ামী লীগ নেত্রী রেহানা পারভীন উপজেলার নিকরাইল ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি পলশিয়া গ্রামের শাহ আলমের স্ত্রী এবং তার পরকীয়া প্রেমিকের নাম বাবলু মিয়া (৪৫)।

বাবলু একই গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে। বাবলু মিয়া ৪ ছেলে ও এক মেয়ে সন্তানের বাবা এবং রেহেনা পারভীন ৩ সন্তানের মা। গত বুধবার রাতে উপজেলার সিরাজকান্দি গ্রামে ওই নারী নেত্রী রেহানার নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

এলাকাবাসীরা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে নিকরাইল ইউনিয়ন নারী নেত্রী রেহানা পারভীন এবং বাবলুর মধ্যে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। প্রায়ই বাবলু রেহানার বাড়িতে আসা-যাওয়া করতো।

বুধবার রাতে রেহানার বাড়িতে তারা একত্রিত হলে, অপেক্ষায় থাকা স্থানীয় কিছু ব্যক্তি তাদের আটক করে। এ সময় উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় এবং কিছু মানুষ উত্তেজিত হয়ে তাদের মারধরও করেন। পরে খবর পেয়ে ভূঞাপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদেরকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

রেহেনা পারভীনের ছেলে আব্দুল্লাহ জানায়, বাবলু মিয়ার সাথে তাদের পারিবারিক এবং ধারদেনা সম্পর্ক রয়েছে। এর বাইরে কোনো সম্পর্ক নেই, এটি ষড়যন্ত্র।

ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম রেজাউল করিম বলেন, স্থানীয়রা তাদের আটক করে পুলিশকে খবর দেয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে তাদেরকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে আনা হয়। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।

বিষয়:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

অপরাধ নিয়ে আরও পড়ুন

টাঙ্গাইলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মামলায় গ্রেফতারকৃত জেলা মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি আমীর হামজাকে (৭৯) কারাগারে প্রেরণ করেছে আদালত।

৯ মিনিট আগে

পঞ্চগড়ের আটোয়ারী ও সদর উপজেলায় পুকুর ও ডোবার পানিতে ডুবে তিন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (২০ আগস্ট) বিকেলে আটোয়ারী উপজেলার বলরামপুর ইউনিয়নের আরাজী মন্ডলহাট বলরামপুর, চুচুলী পটেশ্বরী ও সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের ফুঁটকিপাড়া এলাকায় এসব ঘটনা ঘটে।

১ ঘণ্টা আগে

জামালপুর একটি শান্তিপূর্ণ জেলা। তবে মাঝে মধ্যে জেলায় মাজার ভাঙার সুর এসেছে এবং এখনো আসতেছে। আমরা সজাগ আছি এবং পুলিশ প্রশাসনকে বলবো আপনারাও সজাগ থাকবেন। । এখানে কিছু ধর্ম ব্যবসায়ী আছে যারা উসকানি দিয়ে থাকেন ব্যবসা টিকিয়ে রাখার জন্য। তারা সবসময় জামালপুরকে অশান্ত রাখতে চায়

৩ ঘণ্টা আগে

রেমিট্যান্স যোদ্ধা হিসাবে দেশে যেখানে আমার সর্বোচ্চ সম্মান পাওয়ার কথা থাকলেও আইন প্রয়োগকারী সংস্থা পুলিশের একজন দায়িত্বশীল ওসি সাহেবের প্রত্যক্ষ ইন্ধনে সাবেক স্ত্রীর দ্বারা বে-আইনিভাবে নির্যাতনের শিকার হয়ে পথে পথে ঘুরে বেড়াচ্ছি

৪ ঘণ্টা আগে