প্রেসক্লাব নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সন্ত্রাসী হামলার জের
সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিরোধের জের ধরে পাল্টা পাল্টি মামলায় ৫৫ সাংবাদিককে আসামি করা হয়েছে।
পুলিশের উপস্থিতিতে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের হামলার ১০ সাংবাদিক আহতদের ঘটনায় ১৮ হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের একদিন পর বুধবার ভোরে আহত তিন সাংবাদিকসহ ৩৭ জন সাংবাদিকদের নামে সদর থানায় পালটা আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সদর থানার ওসি শামিনুল ইসলাম বলেছেন উপরের চাপেই পরবর্তী মামলা নিতে হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বিএনপি জামায়াত সমর্থিত বেশকিছু সাংবাদিক প্রেসক্লাবের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। এসময় ক্লাবের পদ পদবি নিয়ে বিএনপি ও জামায়াত পন্থী সাংবাদিকদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। যুগের বার্তা পত্রিকার সম্পাদক আ ন ম আবু সাঈদ সভাপতি ও দৈনিক দিনকাল পত্রিকার আব্দুল বারী সাধারণ সম্পাদক হয়ে প্রেসক্লাবের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে গত আট মাসেরও অধিক সময় তারা দায়িত্ব পালন করছেন। এই গ্রুপের সাথে বিএনপি জামায়াত ও আওয়ামী লীগ সমর্থিত কয়েকজন সাংবাদিকও রয়েছেন।
অন্যদিকে বিএনপিপন্থি সাংবাদিকদের অপর গ্রুপের নেতা ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের সাংবাদিক আবুল কাশেম ও বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) সাংবাদিক আসাদুজ্জামান আসাদ বিএনপি ও জামায়াত সমর্থিত সাংবাদিকদের নিয়ে প্রেসক্লাবের পৃথকভাবে আরেক কমিটি পরিচালনা করে আসছেন। তাদের নেতৃত্বে জেলার মূলধারার অনেক সাংবাদিকও রয়েছেন বলে দাবি তাদের।
গত ৩০ জূন বেলা ১১ টায় প্রেসক্লাবের সাধারণ সভা আহ্বান জানান আবুল কাশেম ও আসাদুজ্জামান গ্রুপের সাংবাদিকরা।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী প্রেসক্লাবের সাধারণ সভায় যাওয়ার সময় ক্লাবের মূল ফটকেই বহিরাগত সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হন আবুল কাশেম ও আসাদুজ্জামান গ্রুপের সাংবাদিকরা। আগে থেকেই ক্লাব চত্বরে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন ছিল। পুলিশের উপস্থিতিতে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের হামলায় জামায়াত নেতা ও দৈনিক ভোরের আকাশের সাংবাদিক আমিনুর রহমান, ডিবিসি নিউজের সাংবাদিক বেলাল হোসেন, অনির্বানের সোহরাব হোসেন , আবুল কাশেম সহ অন্তত ১০ সাংবাদিক গুরুতর আহত হন।
এঘটনায় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাদী হয়ে ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করে। মামলায় বহিরাগত সন্ত্রাসী ছাড়াও আ ন ম আবু সাঈদ, আব্দুল বারী সহ বেশ কয়েকজন সাংবাদিকও আসামি হয়।
এর একদিন পর বুধবার ভোররাতে আ ন ম আবু সাঈদ বাদী হয়ে সাংবাদিক কল্যাণ ব্যানার্জি, আবুল কালাম, আবুল কাশেম, আসাদুজ্জামান সহ ৩৭ সাংবাদিকদের নামে পালটা একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে তাদের মধ্যে দুই জন এখনো হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন এবং বেশিরভাগ সাংবাদিক বাদী আবু সাঈদ গ্রুপের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হন।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শামিনুল ইসলাম জানান, পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের হয়েছে স্বীকার করে বলেন, সাংবাদিকদের মামলা নিয়ে ঝামেলায় আছি।
এদিকে হামলার শিকার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল কাশেম বলেন, গত ৩০ জুন আমরা শান্তিপূর্ণভাবে প্রেসক্লাবে একটি সভা করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। ঠিক সেই মুহূর্তে আবু সাঈদ ও আব্দুল বারীর নেতৃত্বে আলিপুর থেকে আনা ভাড়াটে সন্ত্রাসী ও মাদকাসক্তরা আমাদের উপর পরিকল্পিতভাবে হামলা করে। তাদের হামলায় আমাদের অন্তত ৩০ জন সাংবাদিক ও সদস্য আহত
তিনি আরও অভিযোগ করেন, আবু সাঈদ ও আব্দুল বারী দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে প্রেসক্লাব দখল করে রেখেছেন এবং তাদের মতের বিরুদ্ধে গেলেই এভাবে হামলা ও নির্যাতন চালানো হয়। এরপর ও পুলিশ হামলাকারীদের পক্ষ নিয়ে আহত সাংবাদিকদের নামে একটি কল্পিত মিথ্যা মামলা রেকর্ড করে নিরপেক্ষতা হারিয়েছেন।

সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিরোধের জের ধরে পাল্টা পাল্টি মামলায় ৫৫ সাংবাদিককে আসামি করা হয়েছে।
পুলিশের উপস্থিতিতে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের হামলার ১০ সাংবাদিক আহতদের ঘটনায় ১৮ হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের একদিন পর বুধবার ভোরে আহত তিন সাংবাদিকসহ ৩৭ জন সাংবাদিকদের নামে সদর থানায় পালটা আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সদর থানার ওসি শামিনুল ইসলাম বলেছেন উপরের চাপেই পরবর্তী মামলা নিতে হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বিএনপি জামায়াত সমর্থিত বেশকিছু সাংবাদিক প্রেসক্লাবের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। এসময় ক্লাবের পদ পদবি নিয়ে বিএনপি ও জামায়াত পন্থী সাংবাদিকদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। যুগের বার্তা পত্রিকার সম্পাদক আ ন ম আবু সাঈদ সভাপতি ও দৈনিক দিনকাল পত্রিকার আব্দুল বারী সাধারণ সম্পাদক হয়ে প্রেসক্লাবের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে গত আট মাসেরও অধিক সময় তারা দায়িত্ব পালন করছেন। এই গ্রুপের সাথে বিএনপি জামায়াত ও আওয়ামী লীগ সমর্থিত কয়েকজন সাংবাদিকও রয়েছেন।
অন্যদিকে বিএনপিপন্থি সাংবাদিকদের অপর গ্রুপের নেতা ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের সাংবাদিক আবুল কাশেম ও বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) সাংবাদিক আসাদুজ্জামান আসাদ বিএনপি ও জামায়াত সমর্থিত সাংবাদিকদের নিয়ে প্রেসক্লাবের পৃথকভাবে আরেক কমিটি পরিচালনা করে আসছেন। তাদের নেতৃত্বে জেলার মূলধারার অনেক সাংবাদিকও রয়েছেন বলে দাবি তাদের।
গত ৩০ জূন বেলা ১১ টায় প্রেসক্লাবের সাধারণ সভা আহ্বান জানান আবুল কাশেম ও আসাদুজ্জামান গ্রুপের সাংবাদিকরা।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী প্রেসক্লাবের সাধারণ সভায় যাওয়ার সময় ক্লাবের মূল ফটকেই বহিরাগত সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হন আবুল কাশেম ও আসাদুজ্জামান গ্রুপের সাংবাদিকরা। আগে থেকেই ক্লাব চত্বরে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন ছিল। পুলিশের উপস্থিতিতে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের হামলায় জামায়াত নেতা ও দৈনিক ভোরের আকাশের সাংবাদিক আমিনুর রহমান, ডিবিসি নিউজের সাংবাদিক বেলাল হোসেন, অনির্বানের সোহরাব হোসেন , আবুল কাশেম সহ অন্তত ১০ সাংবাদিক গুরুতর আহত হন।
এঘটনায় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাদী হয়ে ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করে। মামলায় বহিরাগত সন্ত্রাসী ছাড়াও আ ন ম আবু সাঈদ, আব্দুল বারী সহ বেশ কয়েকজন সাংবাদিকও আসামি হয়।
এর একদিন পর বুধবার ভোররাতে আ ন ম আবু সাঈদ বাদী হয়ে সাংবাদিক কল্যাণ ব্যানার্জি, আবুল কালাম, আবুল কাশেম, আসাদুজ্জামান সহ ৩৭ সাংবাদিকদের নামে পালটা একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে তাদের মধ্যে দুই জন এখনো হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন এবং বেশিরভাগ সাংবাদিক বাদী আবু সাঈদ গ্রুপের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হন।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শামিনুল ইসলাম জানান, পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের হয়েছে স্বীকার করে বলেন, সাংবাদিকদের মামলা নিয়ে ঝামেলায় আছি।
এদিকে হামলার শিকার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল কাশেম বলেন, গত ৩০ জুন আমরা শান্তিপূর্ণভাবে প্রেসক্লাবে একটি সভা করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। ঠিক সেই মুহূর্তে আবু সাঈদ ও আব্দুল বারীর নেতৃত্বে আলিপুর থেকে আনা ভাড়াটে সন্ত্রাসী ও মাদকাসক্তরা আমাদের উপর পরিকল্পিতভাবে হামলা করে। তাদের হামলায় আমাদের অন্তত ৩০ জন সাংবাদিক ও সদস্য আহত
তিনি আরও অভিযোগ করেন, আবু সাঈদ ও আব্দুল বারী দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে প্রেসক্লাব দখল করে রেখেছেন এবং তাদের মতের বিরুদ্ধে গেলেই এভাবে হামলা ও নির্যাতন চালানো হয়। এরপর ও পুলিশ হামলাকারীদের পক্ষ নিয়ে আহত সাংবাদিকদের নামে একটি কল্পিত মিথ্যা মামলা রেকর্ড করে নিরপেক্ষতা হারিয়েছেন।

খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রথম স্মারকগ্রন্থ ‘উজ্জীবন’ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেলে খাগড়াছড়ি অফিসার্স ক্লাবে প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনীর খাগড়াছড়ি রিজিয়নের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাসান মাহমুদ। তিনি প্রকাশনাটি প্
২ দিন আগে
মিয়ানমারের সশস্ত্র গ্রুপ আরাকান আর্মি কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে ৯ বাংলাদেশি জেলে অপহরণ করেছে। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) শাহপরীর দ্বীপের নিকটস্থ নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকা থেকে নাফ নদী ও বঙ্গোপসাগরের মোহনায় মাছ শিকারের পর ফেরার পথে এই ঘটনা ঘটে।
২ দিন আগে
রাজশাহীতে ভারতীয় আধিপত্যবিরোধী বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠিত লং মার্চ ও ঘেরাও কর্মসূচি পুলিশের কঠোর ব্যারিকেডের কারণে সফল হয়নি। ‘জুলাই ৩৬ মঞ্চ’ আহ্বানিত এই কর্মসূচি ভদ্রা মোড় থেকে শুরু হলেও হাই কমিশন কার্যালয়ের প্রায় ১০০ মিটার আগে পুলিশ বাধা দিয়ে মিছিল আটকে দেয়।
২ দিন আগে
নীলফামারীতে অনুমতি ছাড়া মাটি ব্যবহার ও পরিবেশ লঙ্ঘনের অভিযোগে তিনটি ইটভাটায় ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
২ দিন আগেখাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রথম স্মারকগ্রন্থ ‘উজ্জীবন’ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেলে খাগড়াছড়ি অফিসার্স ক্লাবে প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনীর খাগড়াছড়ি রিজিয়নের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাসান মাহমুদ। তিনি প্রকাশনাটি প্
মিয়ানমারের সশস্ত্র গ্রুপ আরাকান আর্মি কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে ৯ বাংলাদেশি জেলে অপহরণ করেছে। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) শাহপরীর দ্বীপের নিকটস্থ নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকা থেকে নাফ নদী ও বঙ্গোপসাগরের মোহনায় মাছ শিকারের পর ফেরার পথে এই ঘটনা ঘটে।
রাজশাহীতে ভারতীয় আধিপত্যবিরোধী বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠিত লং মার্চ ও ঘেরাও কর্মসূচি পুলিশের কঠোর ব্যারিকেডের কারণে সফল হয়নি। ‘জুলাই ৩৬ মঞ্চ’ আহ্বানিত এই কর্মসূচি ভদ্রা মোড় থেকে শুরু হলেও হাই কমিশন কার্যালয়ের প্রায় ১০০ মিটার আগে পুলিশ বাধা দিয়ে মিছিল আটকে দেয়।
নীলফামারীতে অনুমতি ছাড়া মাটি ব্যবহার ও পরিবেশ লঙ্ঘনের অভিযোগে তিনটি ইটভাটায় ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।