টঙ্গীতে দুই শিশু হত্যায় গ্রেপ্তার মা

প্রতিনিধি
নিজস্ব প্রতিবেদক
Thumbnail image
হত্যার শিকার দুই শিশু। ছবি: সংগৃহীত

শুক্রবার বিকেলে গাজীপুরের টঙ্গীতে দুই শিশুকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় তাদের মা আলেয়া বেগম (৩০) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ পাশবিক ও মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের পর শনিবার (১৯ এপ্রিল) টঙ্গী পূর্ব থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হলে অভিযুক্ত আসামীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মামলার নম্বর–৩৪।

গ্রেপ্তার আলেয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর থানার জয়কালীপুর গ্রামের বাসিন্দা।

পুলিশ জানায়, শিশু আব্দুল্লাহ (৪) ও মালিহা (৬)কে হত্যার ঘটনায় আলেয়া বেগমের কথাবার্তা ছিল অসংলগ্ন এবং তার হাতে ছিল তাজা কাটা দাগ। এতে সন্দেহ আরও ঘনীভূত হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্বীকার করেন যে, ঘরে থাকা বটি দিয়ে তিনি তার দুই সন্তানকে হত্যা করেছেন।

নিহতদের স্বজনরা জানায়, আলেয়া বেগম দীর্ঘদিন ধরে মাইগ্রেন সমস্যায় ভুগছিলেন। তবে তার মানসিক সমস্যা ছিল কি না, তা নিশ্চিত করে বলা যায়নি। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অপরাধ দক্ষিণ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার এনএম নাসির উদ্দিন বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত মর্মান্তিক। কেন বা কী কারণে মা নিজ সন্তানদের হত্যা করলেন, তা জানার চেষ্টা চলছে। এঘটনায় নিহতের মাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে রোববার আদালতে পাঠানো হবে।

উল্লেখ্য, শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে গাজীপুরের টঙ্গীতে একটি ফ্ল্যাট বাসায় দুই শিশুকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা এমন খবর প্রকাশিত হয়। নিহতরা হলো টঙ্গী পূর্ব থানার পূর্ব আরিচপুরের রূপবানের টেক এলাকার ভাড়াটিয়া মালয়েশিয়া প্রবাসী আব্দুল বাতেন ও আলেয়া বেগম দম্পতির দুই শিশু সন্তান আব্দুল্লাহ (৪) ও মালিহা (৬)।

বিষয়:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

অপরাধ নিয়ে আরও পড়ুন

ফরিদপুরে গাঁজাসহ এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০ ।

১০ ঘণ্টা আগে

সাম্প্রতিক বক্তব্যের প্রতিবাদে নিজ জেলা কিশোরগঞ্জে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমানের ছবিতে গণ জুতা নিক্ষেপ কর্মসূচি পালন করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

১০ ঘণ্টা আগে

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে পুলিশ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত ও গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে।

১০ ঘণ্টা আগে

নিহত শিশুর বাবা মো. হাসান ও মা মোসা. সালমা বেগমসহ একই পরিবারের আরও সাতজন বর্তমানে বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের মধ্যে ২-৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা

১৩ ঘণ্টা আগে