ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে এক ইউপি সদস্যকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে দু’দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে ইউএনও, ওসিসহ অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। সংঘর্ষ চলাকালে বসতবাড়ি ও দোকানপাটে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের ভুঁইশ্বর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে সরাইল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হয়। পরে জেলাশহর থেকে এক প্লাটুন রিজার্ভ পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ব্যাপক লাঠিপেটা, ২৬ রাউন্ড রাবার বুলেট এবং ১০ রাউন্ড টিয়ারশেল ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে ইউএনও, ওসিসহ অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। সংঘর্ষ চলাকালে বসতবাড়ি ও দোকানপাটে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। সহকারী পুলিশ সুপার (সরাইল সার্কেল) মো. মাসুদ রানা এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তেরকান্দা গ্রামের আমীর আলীর বংশ এবং চান্দের বংশের লোকজনের মধ্যে কয়েক মাস ধরে বিরোধ চলে আসছে। এর মধ্যে এক সপ্তাহ আগে চান্দের বংশের শাহনেওয়াজ নামের এক তরুণের সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশা চুরি হয়। এ জন্য চান্দের বংশের লোকজন আমীর আলীকে দায়ী করেন। এর জের ধরে গতকাল সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে উভয় পক্ষের লোকজন দা, বল্লম, লাঠিসোঁটা ও ইটপাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
খবর পেয়ে গতকাল রাতে ঘটনাস্থলে যান ইউএনও মোশাররফ হোসাইন, থানার ওসি রফিকুল হাসানসহ পুলিশের একটি দল। রাত সাড়ে আটটার দিকে ইউএনও, ওসি এবং সরাইল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কবীর হোসেন, সহকারী উপরিদর্শক (এএসআই) কামরুজ্জামান চৌধুরী, এএসআই আলা উদ্দীন, পুলিশ সদস্য আবদুল কুদ্দুস ও মশিউর রহমান ইটের আঘাতে আহত হন। তাঁরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। পুলিশ রাতে চারজনকে আটক করে।
ওই ঘটনার জের ধরে আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে উভয় পক্ষের লোকজন ফের সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় আমীর আলীর পক্ষের লোকজন চান্দের বংশের অন্তত ১০টি বতসবাড়ি ও একটি দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট করেন। এ ছাড়া শাহজাহান মিয়ার বসতবাড়িতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয় একটি ঘর।
সরাইল থানার পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হয়। পরে জেলা সদর থেকে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।
সংঘর্ষে গুরুতর আহত আলী মিয়া (৪০) ও কানু মিয়াকে (৫৫) ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তিনি চান্দের বংশের পক্ষের। আহত অন্যরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন।
সরাইল থানার ওসি রফিকুল হাসান বলেন, ‘গতকাল রাতের ঘটনায় আমরা ইটের আঘাতে ব্যথা পেয়েছি। ঘটনার সঙ্গে জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। গ্রামের অবস্থা শান্ত রয়েছে। গ্রামে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’
ইউএনও মোশাররফ হোসাইন বলেন, ‘সংঘর্ষের ঘটনা শুনে না গিয়ে পারলাম না। রাতের অন্ধকারে ইটের আঘাত পেয়েছি। দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে এমনটি হতেই পারে। তবে সবাইকে ধৈর্য ধরতে হবে। কথায় কথায় সংঘর্ষে জড়ানো যাবে না। আমি চাই এখানে শান্ত পরিবেশ বিরাজ করুক।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে এক ইউপি সদস্যকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে দু’দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে ইউএনও, ওসিসহ অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। সংঘর্ষ চলাকালে বসতবাড়ি ও দোকানপাটে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের ভুঁইশ্বর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে সরাইল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হয়। পরে জেলাশহর থেকে এক প্লাটুন রিজার্ভ পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ব্যাপক লাঠিপেটা, ২৬ রাউন্ড রাবার বুলেট এবং ১০ রাউন্ড টিয়ারশেল ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে ইউএনও, ওসিসহ অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। সংঘর্ষ চলাকালে বসতবাড়ি ও দোকানপাটে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। সহকারী পুলিশ সুপার (সরাইল সার্কেল) মো. মাসুদ রানা এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তেরকান্দা গ্রামের আমীর আলীর বংশ এবং চান্দের বংশের লোকজনের মধ্যে কয়েক মাস ধরে বিরোধ চলে আসছে। এর মধ্যে এক সপ্তাহ আগে চান্দের বংশের শাহনেওয়াজ নামের এক তরুণের সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশা চুরি হয়। এ জন্য চান্দের বংশের লোকজন আমীর আলীকে দায়ী করেন। এর জের ধরে গতকাল সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে উভয় পক্ষের লোকজন দা, বল্লম, লাঠিসোঁটা ও ইটপাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
খবর পেয়ে গতকাল রাতে ঘটনাস্থলে যান ইউএনও মোশাররফ হোসাইন, থানার ওসি রফিকুল হাসানসহ পুলিশের একটি দল। রাত সাড়ে আটটার দিকে ইউএনও, ওসি এবং সরাইল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কবীর হোসেন, সহকারী উপরিদর্শক (এএসআই) কামরুজ্জামান চৌধুরী, এএসআই আলা উদ্দীন, পুলিশ সদস্য আবদুল কুদ্দুস ও মশিউর রহমান ইটের আঘাতে আহত হন। তাঁরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। পুলিশ রাতে চারজনকে আটক করে।
ওই ঘটনার জের ধরে আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে উভয় পক্ষের লোকজন ফের সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় আমীর আলীর পক্ষের লোকজন চান্দের বংশের অন্তত ১০টি বতসবাড়ি ও একটি দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট করেন। এ ছাড়া শাহজাহান মিয়ার বসতবাড়িতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয় একটি ঘর।
সরাইল থানার পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হয়। পরে জেলা সদর থেকে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।
সংঘর্ষে গুরুতর আহত আলী মিয়া (৪০) ও কানু মিয়াকে (৫৫) ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তিনি চান্দের বংশের পক্ষের। আহত অন্যরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন।
সরাইল থানার ওসি রফিকুল হাসান বলেন, ‘গতকাল রাতের ঘটনায় আমরা ইটের আঘাতে ব্যথা পেয়েছি। ঘটনার সঙ্গে জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। গ্রামের অবস্থা শান্ত রয়েছে। গ্রামে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’
ইউএনও মোশাররফ হোসাইন বলেন, ‘সংঘর্ষের ঘটনা শুনে না গিয়ে পারলাম না। রাতের অন্ধকারে ইটের আঘাত পেয়েছি। দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে এমনটি হতেই পারে। তবে সবাইকে ধৈর্য ধরতে হবে। কথায় কথায় সংঘর্ষে জড়ানো যাবে না। আমি চাই এখানে শান্ত পরিবেশ বিরাজ করুক।’
খুলনা মোংলা মহাসড়ক এখন মৃত্যুফাঁদের অপর নাম। প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা, ঝরছে নিরীহ মানুষের প্রাণ। খানাখন্দ, ভাঙাচোরা সড়ক, অপ্রশস্ত দুই লেন, আর নিয়ন্ত্রণহীন যানবাহন সব মিলিয়ে এ সড়কে সাধারণ মানুষের জীবন যেন হয়ে উঠেছে অনিশ্চিত।
১ ঘণ্টা আগেপঞ্চগড় সদর উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসে দালালদের দৌরাত্ম্য এবং সেবাগ্রহীতাদের হয়রানির অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ঠাকুরগাঁও সমন্বিত জেলা কার্যালয়।
২ ঘণ্টা আগেখাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার প্রশাসক এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার মহালছড়ি উপজেলা সফর করেছেন।
২ ঘণ্টা আগেরংপুরে বাল্যবিয়ে নিরসনে প্রান্তিক জনগোষ্ঠিসহ অংশীজনদের মতামত নিয়ে তৈরি নির্দেশিকা ‘অ্যাডভোকেসি টুলকিট’ এর মোড়ক উন্মোচন হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেখুলনা মোংলা মহাসড়ক এখন মৃত্যুফাঁদের অপর নাম। প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা, ঝরছে নিরীহ মানুষের প্রাণ। খানাখন্দ, ভাঙাচোরা সড়ক, অপ্রশস্ত দুই লেন, আর নিয়ন্ত্রণহীন যানবাহন সব মিলিয়ে এ সড়কে সাধারণ মানুষের জীবন যেন হয়ে উঠেছে অনিশ্চিত।
পঞ্চগড় সদর উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসে দালালদের দৌরাত্ম্য এবং সেবাগ্রহীতাদের হয়রানির অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ঠাকুরগাঁও সমন্বিত জেলা কার্যালয়।
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার প্রশাসক এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার মহালছড়ি উপজেলা সফর করেছেন।
রংপুরে বাল্যবিয়ে নিরসনে প্রান্তিক জনগোষ্ঠিসহ অংশীজনদের মতামত নিয়ে তৈরি নির্দেশিকা ‘অ্যাডভোকেসি টুলকিট’ এর মোড়ক উন্মোচন হয়েছে।