অতিরিক্ত ডিআইজির বাড়িতে ডাকাতি

প্রতিনিধি
গাজীপুর
Thumbnail image
ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার ঠেঙ্গারবান্দ এলাকায় রেলওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি আবিদা সুলতানার পৈতৃক বাসভবনে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ডাকাতরা ডিআইজির মা-বাবাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করেছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে এই ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, তিনতলা বিশিষ্ট ওই বাড়ির প্রতিটি তলায় তল্লাশি চালিয়ে ডাকাতরা ঘরের মালামাল তছনছ করে। তারা ভুক্তভোগীর পিতা মোহাম্মদ নাজমুল আলমকে হাত-পা বেঁধে রেখে নির্বিঘ্নে ডাকাতি চালায়।

অতিরিক্ত ডিআইজি আবিদা সুলতানার বাবা নাজমুল আলম জানান, উপজেলার মধ্যপাড়া ইউনিয়নের ঠেঙ্গারবান্দ এলাকায় তিনি ও তাঁর স্ত্রী বসবাস করেন। তাদের মেয়ে আবিদা সুলতানা রেলওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি হিসেবে কর্মরত আছেন। ভোররাতে ১০-১২ জনের ডাকাতদল জানালার গ্রিল কেটে তাদের বাড়িতে হানা দেয়। একপর্যায়ে তাদের বাড়ির ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে ডাকাত সদস্যরা। পরে দেশীয় অস্ত্রের মুখে তাদের জিম্মি করে ঘরে থাকা প্রায় ১০ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ২ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায় ডাকাতেরা। ডাকাতরা চলে যাওয়ার পর পরিবারের সদস্যদের চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে আসেন।

খবর পেয়ে সকালে কালিয়াকৈর থানা ও মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ির একাধিক সদস্য ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করে।

কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াদ মাহমুদ বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলে রয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।’

এর আগেও ঠেঙ্গারবান্দসহ কালিয়াকৈর থানাধীন বিভিন্ন এলাকায় একাধিক ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। চলতি বছরে ডাকাতির মাত্রা বাড়ায় এলাকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে জনমনে চরম উদ্বেগ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে।

বিষয়:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

অপরাধ নিয়ে আরও পড়ুন

টাঙ্গাইলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মামলায় গ্রেফতারকৃত জেলা মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি আমীর হামজাকে (৭৯) কারাগারে প্রেরণ করেছে আদালত।

৯ ঘণ্টা আগে

পঞ্চগড়ের আটোয়ারী ও সদর উপজেলায় পুকুর ও ডোবার পানিতে ডুবে তিন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (২০ আগস্ট) বিকেলে আটোয়ারী উপজেলার বলরামপুর ইউনিয়নের আরাজী মন্ডলহাট বলরামপুর, চুচুলী পটেশ্বরী ও সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের ফুঁটকিপাড়া এলাকায় এসব ঘটনা ঘটে।

১০ ঘণ্টা আগে

জামালপুর একটি শান্তিপূর্ণ জেলা। তবে মাঝে মধ্যে জেলায় মাজার ভাঙার সুর এসেছে এবং এখনো আসতেছে। আমরা সজাগ আছি এবং পুলিশ প্রশাসনকে বলবো আপনারাও সজাগ থাকবেন। । এখানে কিছু ধর্ম ব্যবসায়ী আছে যারা উসকানি দিয়ে থাকেন ব্যবসা টিকিয়ে রাখার জন্য। তারা সবসময় জামালপুরকে অশান্ত রাখতে চায়

১২ ঘণ্টা আগে

রেমিট্যান্স যোদ্ধা হিসাবে দেশে যেখানে আমার সর্বোচ্চ সম্মান পাওয়ার কথা থাকলেও আইন প্রয়োগকারী সংস্থা পুলিশের একজন দায়িত্বশীল ওসি সাহেবের প্রত্যক্ষ ইন্ধনে সাবেক স্ত্রীর দ্বারা বে-আইনিভাবে নির্যাতনের শিকার হয়ে পথে পথে ঘুরে বেড়াচ্ছি

১৩ ঘণ্টা আগে