চট্টগ্রামে রেলওয়ের ১,৪৩৩টি মামলা
চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল নানা জটিলতায় জর্জরিত হয়ে এক হাজার ৪৩৩টি মামলার ভারে নুয়ে পড়েছে। ভূমি জটিলতা, ক্যাটারিং সার্ভিস, নিয়োগ সংক্রান্ত সমস্যা- সব মিলিয়ে মামলা যেন রেলওয়ের নিত্যদিনের বাস্তবতা। বছরের পর বছর ধরে চলা এসব মামলার নিষ্পত্তি নেই, বরং দিন দিন মামলা বেড়েই চলেছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, জনবল সংকট ও বাজেটের স্বল্পতার কারণে মামলা পরিচালনায় কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি হচ্ছে না।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের আইন শাখার তথ্যমতে, চলমান ১,৪৩৩টি মামলার মধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশই ভূমি সংক্রান্ত। এর মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে রয়েছে ৬০টি, হাইকোর্টে ৫৩২টি, জজ কোর্টে ৭৬৭টি এবং প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে ৭৪টি মামলা। এসব মামলার মধ্যে আবার কিছু ২০০৯-১০ সাল থেকে ঝুলে আছে। সবচেয়ে বেশি মামলা হয়েছে ২০১৪-১৫ সালের সময়কালে।
২০২৩ সালে রেলওয়ের ট্রেনে খাবার সরবরাহের জন্য ক্যাটারিং সার্ভিস পরিচালনায় নতুন ঠিকাদার নিয়োগের উদ্যোগ নেয় পূর্বাঞ্চল রেলওয়ে। প্রক্রিয়ার শুরুতে ৪৫টি প্রতিষ্ঠান আবেদন ফরম সংগ্রহ করে, যার মধ্যে ৪২টি প্রতিষ্ঠান আবেদন জমা দেয়। প্রত্যেক প্রতিষ্ঠান নিয়ম অনুযায়ী ৫০ হাজার টাকা করে অফেরতযোগ্য অর্থ জমা দেয়। যাচাই-বাছাই শেষে ৩৭টি প্রতিষ্ঠানকে যোগ্য ঘোষণা করা হলেও বাদ পড়ে পাঁচটি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে একটি প্রতিষ্ঠান হাইকোর্টে মামলা করে। মামলাটি এখনও চলমান থাকায় পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থবির হয়ে পড়েছে। ফলে নতুন করে টেন্ডার আহ্বান করাও সম্ভব হচ্ছে না।
চট্টগ্রামের বাইরেও দেশের বিভিন্ন জেলার আদালতে রেলওয়ের বিরুদ্ধে মামলা চলছে। ঢাকার জজ কোর্টে রয়েছে ২৫৪টি মামলা, চট্টগ্রামে ৯২টি, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৫৯টি, নারায়ণগঞ্জে ৫১টি, কুমিল্লায় ৩০টি, চাঁদপুরে ১৮টি, ফেনীতে ৮টি, ময়মনসিংহে ৯টি, সিলেটে ৫৮টি, জামালপুরে ৯টি, নরসিংদীতে ৫টি এবং সরিষাবাড়ীতে ২টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এছাড়া প্রতি মাসে গড়ে ৮ থেকে ১০টি নতুন মামলা দায়ের হলেও নিষ্পত্তি হয় মাত্র এক-দুটি।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের আইন কর্মকর্তা মো. আল মাহমুদ বলেন, “আমাদের আইন শাখায় জনবল সংকট প্রকট। মাত্র দুইজন আইন কর্মকর্তা দিয়ে এত মামলা পরিচালনা করা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়েছে।” তিনি জানান, মামলাগুলোর বেশিরভাগই পুরনো এবং দীর্ঘসূত্রতা, আদালতের সময় পরিবর্তন, বাদী ও বিবাদীপক্ষের সময় চাওয়া, এমনকি আদালতের না বসার কারণেও মামলাগুলো নিষ্পত্তি হচ্ছে না।
তিনি বলেন, “অনেক সময় হাইকোর্টের নোটিশ আমাদের কাছে পৌঁছাতেই ছয় মাস থেকে এক বছর সময় লেগে যায়। তখন গিয়ে আমরা মামলা সম্পর্কে জানতে পারি। আবার জবাব জমা দিতেও সময় লাগে। বাদী সময় নেন, আমরাও নিই। আদালত বসে না- এই রকম নানা কারণে মামলার নিষ্পত্তি দারুণভাবে বিলম্বিত হচ্ছে।”
অর্থ বরাদ্দ কম হওয়ায় অনেক সময় দক্ষ আইনজীবী নিয়োগ করাও সম্ভব হয় না। এ ছাড়া মামলা ব্যবস্থাপনায় ডিজিটালাইজেশনের ঘাটতি, আধুনিক কেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের অনুপস্থিতি এবং আইনি কাঠামোর জটিলতাও দায়ী বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা
চট্টগ্রামে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল নানা জটিলতায় জর্জরিত হয়ে এক হাজার ৪৩৩টি মামলার ভারে নুয়ে পড়েছে। ভূমি জটিলতা, ক্যাটারিং সার্ভিস, নিয়োগ সংক্রান্ত সমস্যা- সব মিলিয়ে মামলা যেন রেলওয়ের নিত্যদিনের বাস্তবতা। বছরের পর বছর ধরে চলা এসব মামলার নিষ্পত্তি নেই, বরং দিন দিন মামলা বেড়েই চলেছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, জনবল সংকট ও বাজেটের স্বল্পতার কারণে মামলা পরিচালনায় কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি হচ্ছে না।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের আইন শাখার তথ্যমতে, চলমান ১,৪৩৩টি মামলার মধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশই ভূমি সংক্রান্ত। এর মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে রয়েছে ৬০টি, হাইকোর্টে ৫৩২টি, জজ কোর্টে ৭৬৭টি এবং প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে ৭৪টি মামলা। এসব মামলার মধ্যে আবার কিছু ২০০৯-১০ সাল থেকে ঝুলে আছে। সবচেয়ে বেশি মামলা হয়েছে ২০১৪-১৫ সালের সময়কালে।
২০২৩ সালে রেলওয়ের ট্রেনে খাবার সরবরাহের জন্য ক্যাটারিং সার্ভিস পরিচালনায় নতুন ঠিকাদার নিয়োগের উদ্যোগ নেয় পূর্বাঞ্চল রেলওয়ে। প্রক্রিয়ার শুরুতে ৪৫টি প্রতিষ্ঠান আবেদন ফরম সংগ্রহ করে, যার মধ্যে ৪২টি প্রতিষ্ঠান আবেদন জমা দেয়। প্রত্যেক প্রতিষ্ঠান নিয়ম অনুযায়ী ৫০ হাজার টাকা করে অফেরতযোগ্য অর্থ জমা দেয়। যাচাই-বাছাই শেষে ৩৭টি প্রতিষ্ঠানকে যোগ্য ঘোষণা করা হলেও বাদ পড়ে পাঁচটি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে একটি প্রতিষ্ঠান হাইকোর্টে মামলা করে। মামলাটি এখনও চলমান থাকায় পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থবির হয়ে পড়েছে। ফলে নতুন করে টেন্ডার আহ্বান করাও সম্ভব হচ্ছে না।
চট্টগ্রামের বাইরেও দেশের বিভিন্ন জেলার আদালতে রেলওয়ের বিরুদ্ধে মামলা চলছে। ঢাকার জজ কোর্টে রয়েছে ২৫৪টি মামলা, চট্টগ্রামে ৯২টি, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৫৯টি, নারায়ণগঞ্জে ৫১টি, কুমিল্লায় ৩০টি, চাঁদপুরে ১৮টি, ফেনীতে ৮টি, ময়মনসিংহে ৯টি, সিলেটে ৫৮টি, জামালপুরে ৯টি, নরসিংদীতে ৫টি এবং সরিষাবাড়ীতে ২টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এছাড়া প্রতি মাসে গড়ে ৮ থেকে ১০টি নতুন মামলা দায়ের হলেও নিষ্পত্তি হয় মাত্র এক-দুটি।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের আইন কর্মকর্তা মো. আল মাহমুদ বলেন, “আমাদের আইন শাখায় জনবল সংকট প্রকট। মাত্র দুইজন আইন কর্মকর্তা দিয়ে এত মামলা পরিচালনা করা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়েছে।” তিনি জানান, মামলাগুলোর বেশিরভাগই পুরনো এবং দীর্ঘসূত্রতা, আদালতের সময় পরিবর্তন, বাদী ও বিবাদীপক্ষের সময় চাওয়া, এমনকি আদালতের না বসার কারণেও মামলাগুলো নিষ্পত্তি হচ্ছে না।
তিনি বলেন, “অনেক সময় হাইকোর্টের নোটিশ আমাদের কাছে পৌঁছাতেই ছয় মাস থেকে এক বছর সময় লেগে যায়। তখন গিয়ে আমরা মামলা সম্পর্কে জানতে পারি। আবার জবাব জমা দিতেও সময় লাগে। বাদী সময় নেন, আমরাও নিই। আদালত বসে না- এই রকম নানা কারণে মামলার নিষ্পত্তি দারুণভাবে বিলম্বিত হচ্ছে।”
অর্থ বরাদ্দ কম হওয়ায় অনেক সময় দক্ষ আইনজীবী নিয়োগ করাও সম্ভব হয় না। এ ছাড়া মামলা ব্যবস্থাপনায় ডিজিটালাইজেশনের ঘাটতি, আধুনিক কেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের অনুপস্থিতি এবং আইনি কাঠামোর জটিলতাও দায়ী বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা
জেলার গৌরনদী উপজেলা পরিষদে ঢুকে তিনজন ইউপি সদস্যকে মারধর ও অফিসের আসবাবপত্র ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনায় ওইদিন সন্ধ্যায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেবিএনপি নেতা আব্দুর রশিদ আরেফিন হত্যার ঘটনায় আদালতে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে পঞ্চগড় সদর থানা পুলিশকে মামলাটি তদন্ত সাপেক্ষে এজাহার হিসেবে গণ্য করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
২ ঘণ্টা আগেকিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া ও মিঠামইনে বজ্রপাতে তিন স্কুলছাত্রীসহ চারজন নিহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার (৬ মে) দুপুরে পাকুন্দিয়া উপজেলার চরটেকী এলাকায় এবং মিঠামইন উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের চমকপুর দক্ষিণ হাটি গ্রামে বজ্রপাতের এসব ঘটনা ঘটে।
৩ ঘণ্টা আগেজেলার গৌরনদী উপজেলা পরিষদে ঢুকে তিনজন ইউপি সদস্যকে মারধর ও অফিসের আসবাবপত্র ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনায় ওইদিন সন্ধ্যায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
বিএনপি নেতা আব্দুর রশিদ আরেফিন হত্যার ঘটনায় আদালতে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে পঞ্চগড় সদর থানা পুলিশকে মামলাটি তদন্ত সাপেক্ষে এজাহার হিসেবে গণ্য করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া ও মিঠামইনে বজ্রপাতে তিন স্কুলছাত্রীসহ চারজন নিহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার (৬ মে) দুপুরে পাকুন্দিয়া উপজেলার চরটেকী এলাকায় এবং মিঠামইন উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের চমকপুর দক্ষিণ হাটি গ্রামে বজ্রপাতের এসব ঘটনা ঘটে।