মো: সাকিবুল ইসলাম স্বাধীন

দেশে একের পর এক গণপিটুনি ও মব সহিংসতার ঘটনা এখন নতুন আতঙ্কের নাম। অপরাধী সন্দেহে কিংবা ছোটখাটো বিরোধে সাধারণ মানুষ আইনকে উপেক্ষা করে নিজেরাই বিচারক ও শাস্তিদাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হচ্ছে। এতে শুধু সন্দেহভাজন ব্যক্তিই নয়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও আক্রান্ত হচ্ছে। পুলিশকেও ছাড় দিচ্ছে না উচ্ছৃঙ্খল জনতা।
পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত গত ছয় মাসে দায়িত্ব পালনকালে পুলিশের ওপর ২২৫টি মব হামলার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে অন্তত ৭০টি ঘটনা দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। কোথাও উত্তেজিত জনতা পুলিশের হাত থেকে আসামি ছিনিয়ে নিয়েছে, কোথাও বা পুলিশের উপস্থিতিতেই আটক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)-এর তথ্য বলছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ১০ আগস্ট পর্যন্ত মব সহিংসতায় অন্তত ১১১ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এর মধ্যে আগস্টের প্রথম ১০ দিনেই ১৩টি ঘটনায় ৯ জন নিহত ও ১৩ জন আহত হন। এসব ঘটনার আটটিতে ‘চোর সন্দেহে’ মানুষকে মারা হয়েছে, বাকি ঘটনাগুলো ঘটেছে চাঁদাবাজি, পূর্বশত্রুতা বা বিরোধের জেরে।
রাজশাহীতে একের পর এক মব সহিংসতার ঘটনা ঘটছে। মহানগরের বোয়ালিয়া এলাকায় ভ্যানচোর সন্দেহে রূপলাল দাস ও তাঁর জামাই প্রদীপ দাসকে পিটিয়ে হত্যা করে জনতা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও উত্তেজিত জনতার বাধায় কিছুই করতে পারেনি। সাধারণ মানুষের প্রশ্ন—‘যদি পুলিশের সামনেই মানুষকে পিটিয়ে মারা যায়, তবে আমরা আর কতটা নিরাপদ?’
এছাড়া নগরীর দাসমারি এলাকায় ডিবি পুলিশের অভিযানে এক মাদক কারবারিকে আটক করার পর জনতা পুলিশকে ঘেরাও করে হ্যান্ডকাপসহ আসামি ছিনিয়ে নেয়। পরে পুলিশের মাধ্যমেই সেই হ্যান্ডকাপ ফেরত আসে। এক ছাত্রলীগ নেতা, যিনি প্রতিবন্ধী ছিলেন, তাকেও গণপিটুনিতে মৃত্যু বরণ করতে হয়েছে। আবার রাজনৈতিক নেতাদের স্বার্থে থানা ঘেরাও এবং সরকারি দফতর অবরোধের ঘটনাও ঘটেছে। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় মাদক কারবারি, চাঁদাবাজ বা দখলবাজদের বিরুদ্ধে জনতার এমন কোনো ঘেরাও দেখা যায়নি। বরং তাদের সঙ্গে অনেক রাজনৈতিক নেতার গোপন যোগাযোগ রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
গণপিটুনিতে অভিযুক্ত ব্যক্তি নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের কোনো সুযোগ পান না। যেমন পাননি রূপলাল ও প্রদীপ দাস। আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, যখন জনতা বিচারক, সাক্ষী ও শাস্তিদাতা হয়ে ওঠে, তখন সেখানে ন্যায়বিচার থাকে না। এটাই হচ্ছে মবোক্রেসি—অর্থাৎ উচ্ছৃঙ্খল জনতার শাসন।
রাজধানীর লালবাগে মাত্র দুই দিন আগে মাতলামির অভিযোগে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। চলতি মাসেই চাঁদাবাজি ও পূর্বশত্রুতার অভিযোগে একাধিক এলাকায় মানুষকে গাছের সঙ্গে বেঁধে বা রাস্তায় ফেলে প্রহার করার ঘটনা ঘটেছে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব বলেন, ‘আইনের প্রতি অনাস্থা, বিচারহীনতার সংস্কৃতি এবং দুর্বল আইন প্রয়োগের কারণেই এই প্রবণতা ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। যখন মানুষ আইনকে ভয় পায় না, তখন পুলিশকেও ভয় করে না। অপরাধ নিয়ন্ত্রণ তখন অসম্ভব হয়ে পড়ে। রাজনৈতিক কর্মী, পেশাদার অপরাধী ও মাদক কারবারিরা এখন সংঘবদ্ধ হয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালাচ্ছে।’
ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি)-এর জরিপ অনুযায়ী, মব সহিংসতা নিয়ে উদ্বিগ্ন মানুষের হার ৮০ শতাংশ। তাদের বেশির ভাগই মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত শ্রেণির। বিশ্লেষকদের মতে, গুজব, বিদ্বেষমূলক প্রচারণা, অশিক্ষা ও সাম্প্রদায়িক বিভাজন এই সহিংসতাকে উসকে দিচ্ছে। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার আগেই মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে। এতে আইনের শাসন ভেঙে পড়ছে, সমাজ অরাজকতার দিকে ধাবিত হচ্ছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের মতে, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে পুলিশকে গুরুত্ব দিতে হবে এবং আইনের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠায় কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। অন্যথায় সমাজ আরও গভীর অরাজকতায় ডুবে যাবে।

দেশে একের পর এক গণপিটুনি ও মব সহিংসতার ঘটনা এখন নতুন আতঙ্কের নাম। অপরাধী সন্দেহে কিংবা ছোটখাটো বিরোধে সাধারণ মানুষ আইনকে উপেক্ষা করে নিজেরাই বিচারক ও শাস্তিদাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হচ্ছে। এতে শুধু সন্দেহভাজন ব্যক্তিই নয়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও আক্রান্ত হচ্ছে। পুলিশকেও ছাড় দিচ্ছে না উচ্ছৃঙ্খল জনতা।
পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত গত ছয় মাসে দায়িত্ব পালনকালে পুলিশের ওপর ২২৫টি মব হামলার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে অন্তত ৭০টি ঘটনা দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। কোথাও উত্তেজিত জনতা পুলিশের হাত থেকে আসামি ছিনিয়ে নিয়েছে, কোথাও বা পুলিশের উপস্থিতিতেই আটক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)-এর তথ্য বলছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ১০ আগস্ট পর্যন্ত মব সহিংসতায় অন্তত ১১১ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এর মধ্যে আগস্টের প্রথম ১০ দিনেই ১৩টি ঘটনায় ৯ জন নিহত ও ১৩ জন আহত হন। এসব ঘটনার আটটিতে ‘চোর সন্দেহে’ মানুষকে মারা হয়েছে, বাকি ঘটনাগুলো ঘটেছে চাঁদাবাজি, পূর্বশত্রুতা বা বিরোধের জেরে।
রাজশাহীতে একের পর এক মব সহিংসতার ঘটনা ঘটছে। মহানগরের বোয়ালিয়া এলাকায় ভ্যানচোর সন্দেহে রূপলাল দাস ও তাঁর জামাই প্রদীপ দাসকে পিটিয়ে হত্যা করে জনতা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও উত্তেজিত জনতার বাধায় কিছুই করতে পারেনি। সাধারণ মানুষের প্রশ্ন—‘যদি পুলিশের সামনেই মানুষকে পিটিয়ে মারা যায়, তবে আমরা আর কতটা নিরাপদ?’
এছাড়া নগরীর দাসমারি এলাকায় ডিবি পুলিশের অভিযানে এক মাদক কারবারিকে আটক করার পর জনতা পুলিশকে ঘেরাও করে হ্যান্ডকাপসহ আসামি ছিনিয়ে নেয়। পরে পুলিশের মাধ্যমেই সেই হ্যান্ডকাপ ফেরত আসে। এক ছাত্রলীগ নেতা, যিনি প্রতিবন্ধী ছিলেন, তাকেও গণপিটুনিতে মৃত্যু বরণ করতে হয়েছে। আবার রাজনৈতিক নেতাদের স্বার্থে থানা ঘেরাও এবং সরকারি দফতর অবরোধের ঘটনাও ঘটেছে। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় মাদক কারবারি, চাঁদাবাজ বা দখলবাজদের বিরুদ্ধে জনতার এমন কোনো ঘেরাও দেখা যায়নি। বরং তাদের সঙ্গে অনেক রাজনৈতিক নেতার গোপন যোগাযোগ রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
গণপিটুনিতে অভিযুক্ত ব্যক্তি নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের কোনো সুযোগ পান না। যেমন পাননি রূপলাল ও প্রদীপ দাস। আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, যখন জনতা বিচারক, সাক্ষী ও শাস্তিদাতা হয়ে ওঠে, তখন সেখানে ন্যায়বিচার থাকে না। এটাই হচ্ছে মবোক্রেসি—অর্থাৎ উচ্ছৃঙ্খল জনতার শাসন।
রাজধানীর লালবাগে মাত্র দুই দিন আগে মাতলামির অভিযোগে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। চলতি মাসেই চাঁদাবাজি ও পূর্বশত্রুতার অভিযোগে একাধিক এলাকায় মানুষকে গাছের সঙ্গে বেঁধে বা রাস্তায় ফেলে প্রহার করার ঘটনা ঘটেছে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব বলেন, ‘আইনের প্রতি অনাস্থা, বিচারহীনতার সংস্কৃতি এবং দুর্বল আইন প্রয়োগের কারণেই এই প্রবণতা ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। যখন মানুষ আইনকে ভয় পায় না, তখন পুলিশকেও ভয় করে না। অপরাধ নিয়ন্ত্রণ তখন অসম্ভব হয়ে পড়ে। রাজনৈতিক কর্মী, পেশাদার অপরাধী ও মাদক কারবারিরা এখন সংঘবদ্ধ হয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালাচ্ছে।’
ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি)-এর জরিপ অনুযায়ী, মব সহিংসতা নিয়ে উদ্বিগ্ন মানুষের হার ৮০ শতাংশ। তাদের বেশির ভাগই মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত শ্রেণির। বিশ্লেষকদের মতে, গুজব, বিদ্বেষমূলক প্রচারণা, অশিক্ষা ও সাম্প্রদায়িক বিভাজন এই সহিংসতাকে উসকে দিচ্ছে। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার আগেই মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে। এতে আইনের শাসন ভেঙে পড়ছে, সমাজ অরাজকতার দিকে ধাবিত হচ্ছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের মতে, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে পুলিশকে গুরুত্ব দিতে হবে এবং আইনের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠায় কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। অন্যথায় সমাজ আরও গভীর অরাজকতায় ডুবে যাবে।

রোভার স্কাউটের সর্বোচ্চ পদক প্রেসিডেন্টস রোভার স্কাউট অ্যাওয়ার্ড অর্জনের লক্ষ্যে গাজীপুরের অবলোকন মুক্ত স্কাউট গ্রুপের ৬ জন রোভার স্কাউট পায়ে হেঁটে ১৫০ কিমি পথ পরিভ্রমনে যাত্রা শুরু করেছে
২ ঘণ্টা আগে
দুপুর ২টা পর্যন্ত এই ধর্মঘট অব্যাহত ছিলো। এতে করে শহরে বন্ধ ছিলো সকল প্রকার ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সা চলাচল। অটোরিক্সা চলাচল বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়তে হয়েছে স্কুলগামী শিক্ষার্থী ও অফিসগামী যাত্রীদের
৩ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর হাজারীবাগ থানার ঝাউচরে স্বামীর সঙ্গে বিবাদের জেরে রুমেছা আক্তার (২০) নামের এক গৃহবধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে
৩ ঘণ্টা আগে
দাবি আদায়ের লক্ষ্যে রাজধানীতে একাধিক সংগঠন একযোগে কর্মসূচি চালায়, ফলে গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে যান চলাচল বিঘ্নিত হয়ে ঢাকায় তীব্র যানজট ও জনভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে—বলেন ডিএমপি উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান
৪ ঘণ্টা আগেরোভার স্কাউটের সর্বোচ্চ পদক প্রেসিডেন্টস রোভার স্কাউট অ্যাওয়ার্ড অর্জনের লক্ষ্যে গাজীপুরের অবলোকন মুক্ত স্কাউট গ্রুপের ৬ জন রোভার স্কাউট পায়ে হেঁটে ১৫০ কিমি পথ পরিভ্রমনে যাত্রা শুরু করেছে
দুপুর ২টা পর্যন্ত এই ধর্মঘট অব্যাহত ছিলো। এতে করে শহরে বন্ধ ছিলো সকল প্রকার ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সা চলাচল। অটোরিক্সা চলাচল বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়তে হয়েছে স্কুলগামী শিক্ষার্থী ও অফিসগামী যাত্রীদের
রাজধানীর হাজারীবাগ থানার ঝাউচরে স্বামীর সঙ্গে বিবাদের জেরে রুমেছা আক্তার (২০) নামের এক গৃহবধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে
দাবি আদায়ের লক্ষ্যে রাজধানীতে একাধিক সংগঠন একযোগে কর্মসূচি চালায়, ফলে গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে যান চলাচল বিঘ্নিত হয়ে ঢাকায় তীব্র যানজট ও জনভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে—বলেন ডিএমপি উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান