রাজশাহী
রাজশাহীর চারঘাট পৌরসভায় প্রায় সাড়ে ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি করা হয় একটি ওভারহেড পানির ট্যাংক। ৪৪ হাজার মানুষের বিশুদ্ধ সুপেয় পানি সরবরাহের জন্য পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে চারঘাট মডেল থানার অদূরে চারঘাট এম এ হাদি কলেজ সংলগ্ন জায়গায় এ ট্যাংক তৈরি করা হয়। কিন্তু ৪ বছরেও চালু হয়নি ট্যাংকটি। এতে চরম ক্ষুব্ধ পৌরবাসী। প্রকল্পের নামে পতিত স্বৈরাচার হাসিনার দোসররা রাষ্ট্রের টাকা অপচয় করেছেন বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
চারঘাট পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, তৃতীয় নগর পরিচালক ও অবকাঠামো উন্নতিকরণ (সেক্টর) প্রকল্পের (ইউজিপ-৩) আওতায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের সহযোগিতায় ২০২০ সালের ১৮ জুলাই ওভারহেড পানির ট্যাংকটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। কাজ শেষ হয় ২০২১ সালে। ট্যাংকটির ধারণ ক্ষমতা ৬ লাখ ৮০ হাজার লিটার। আর এটির পাইপলাইনের দৈর্ঘ্য ২৫ কিলোমিটার। সুবিধাভোগী জনগণের সংখ্যা প্রায় ৪৪ হাজার।
চারঘাট পৌরসভা কাজটি করে। পরিকল্পনা মোতাবেক ওভারহেড পানির ট্যাংক ২০২১ সাল থেকে পানি সরবরাহের কথা ছিল। কিন্তু জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর এবং স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের নির্মাণ করা এই ওভারহেড পানির ট্যাংকটি রহস্যজনক কারণে পৌর কর্তৃপক্ষ চালু করেনি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েক বছরে পৌরসভার প্রায় সকল ওয়ার্ডেই পানির স্তর অস্বাভাবিকহারে নেমে গেছে। পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় পৌরবাসী ভূগর্ভস্থ পানি পাইপের মাধ্যমে সরবরাহ করা পানির উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছেন। বিশেষ করে শুষ্ক মৌসুমে তীব্র গরম ও তাপদাহে পৌরবাসীর পানির চাহিদা বেড়ে যায়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ওভারহেড ট্যাংকটির মেইন গেটে তালা ঝুলছে। দূর থেকে ট্যাংকটি চালু রয়েছে বলে মনে হলেও বাস্তবে এটি বন্ধ ছিল। ট্যাংকটিতে এক ফোটাও পানি নেই। প্রকল্পের টাকায় মেইন লাইন সংস্থাপিত হলেও পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডে পানির সংযোগ দিতে ব্যর্থ পৌর কর্তৃপক্ষ। ফলে সরকারি পানির সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন পৌরবাসী।
কথা হয় চারঘাট পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা হাফিজ উদ্দিনের সাথে। তিনি বলেন, ১ম শ্রেণির পৌরসভায় প্রতিটি বাড়িতে সাপ্লাই পানি সরবরাহ নিশ্চিত হওয়া প্রতিটি নাগরিকের মৌলিক অধিকার। কিন্তু আমাদের এলাকায় এখন পর্যন্ত সাপ্লাই পানি সরবরাহ নিশ্চিত করেনি পৌর কর্তৃপক্ষ। এতে আমাদের অনেক অসুবিধা হচ্ছে। যদি পানি দিতেই না পারবে তাহলে এত টাকা খরচ করে ট্যাংক করার কী প্রয়োজন ছিল?
আরেক বাসিন্দা বলেন, এটা অবশ্যই টাকার অপচয়। এখানে আমাদের টাকা, দেশের টাকা নষ্ট করা হয়েছে। প্রকল্পের নামে টাকা লুটপাট করা হয়েছে। হাসিনার লোকজন এগুলা করেছে। তাছাড়া আমরা এখনো সুফল পাচ্ছি না। ট্যাংকটি দ্রুত চালু করে পানির চাহিদা পূরণে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
এ বিষয়ে চারঘাট পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা মোবারক হোসেন বলেন, কিছু কারিগরি সমস্যার কারণে নতুন নির্মিত ওভারহেড ট্যাংকটি এখনও চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে চালু হবে। সংযোগ কম থাকায় আমরা আপাতত পুরাতন ওভারহেড ট্যাংক দিয়ে পানি সরবরাহ করছি।
এ ব্যাপারে চারঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌরসভার প্রশাসক জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ইতোমধ্যে আমি সরেজমিনে ওভারহেড ট্যাংক স্থাপনের জায়গাটি পরিদর্শন করেছি। ত্রুটিবিচ্যুতি খতিয়ে দেখার জন্য কর্তৃপক্ষকে পত্র মারফত অবহিত করা হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব সমস্যার সমাধান করে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য ওভারহেড ট্যাংকটি ব্যবহার করা হবে।
রাজশাহীর চারঘাট পৌরসভায় প্রায় সাড়ে ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি করা হয় একটি ওভারহেড পানির ট্যাংক। ৪৪ হাজার মানুষের বিশুদ্ধ সুপেয় পানি সরবরাহের জন্য পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে চারঘাট মডেল থানার অদূরে চারঘাট এম এ হাদি কলেজ সংলগ্ন জায়গায় এ ট্যাংক তৈরি করা হয়। কিন্তু ৪ বছরেও চালু হয়নি ট্যাংকটি। এতে চরম ক্ষুব্ধ পৌরবাসী। প্রকল্পের নামে পতিত স্বৈরাচার হাসিনার দোসররা রাষ্ট্রের টাকা অপচয় করেছেন বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
চারঘাট পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, তৃতীয় নগর পরিচালক ও অবকাঠামো উন্নতিকরণ (সেক্টর) প্রকল্পের (ইউজিপ-৩) আওতায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের সহযোগিতায় ২০২০ সালের ১৮ জুলাই ওভারহেড পানির ট্যাংকটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। কাজ শেষ হয় ২০২১ সালে। ট্যাংকটির ধারণ ক্ষমতা ৬ লাখ ৮০ হাজার লিটার। আর এটির পাইপলাইনের দৈর্ঘ্য ২৫ কিলোমিটার। সুবিধাভোগী জনগণের সংখ্যা প্রায় ৪৪ হাজার।
চারঘাট পৌরসভা কাজটি করে। পরিকল্পনা মোতাবেক ওভারহেড পানির ট্যাংক ২০২১ সাল থেকে পানি সরবরাহের কথা ছিল। কিন্তু জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর এবং স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের নির্মাণ করা এই ওভারহেড পানির ট্যাংকটি রহস্যজনক কারণে পৌর কর্তৃপক্ষ চালু করেনি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েক বছরে পৌরসভার প্রায় সকল ওয়ার্ডেই পানির স্তর অস্বাভাবিকহারে নেমে গেছে। পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় পৌরবাসী ভূগর্ভস্থ পানি পাইপের মাধ্যমে সরবরাহ করা পানির উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছেন। বিশেষ করে শুষ্ক মৌসুমে তীব্র গরম ও তাপদাহে পৌরবাসীর পানির চাহিদা বেড়ে যায়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ওভারহেড ট্যাংকটির মেইন গেটে তালা ঝুলছে। দূর থেকে ট্যাংকটি চালু রয়েছে বলে মনে হলেও বাস্তবে এটি বন্ধ ছিল। ট্যাংকটিতে এক ফোটাও পানি নেই। প্রকল্পের টাকায় মেইন লাইন সংস্থাপিত হলেও পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডে পানির সংযোগ দিতে ব্যর্থ পৌর কর্তৃপক্ষ। ফলে সরকারি পানির সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন পৌরবাসী।
কথা হয় চারঘাট পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা হাফিজ উদ্দিনের সাথে। তিনি বলেন, ১ম শ্রেণির পৌরসভায় প্রতিটি বাড়িতে সাপ্লাই পানি সরবরাহ নিশ্চিত হওয়া প্রতিটি নাগরিকের মৌলিক অধিকার। কিন্তু আমাদের এলাকায় এখন পর্যন্ত সাপ্লাই পানি সরবরাহ নিশ্চিত করেনি পৌর কর্তৃপক্ষ। এতে আমাদের অনেক অসুবিধা হচ্ছে। যদি পানি দিতেই না পারবে তাহলে এত টাকা খরচ করে ট্যাংক করার কী প্রয়োজন ছিল?
আরেক বাসিন্দা বলেন, এটা অবশ্যই টাকার অপচয়। এখানে আমাদের টাকা, দেশের টাকা নষ্ট করা হয়েছে। প্রকল্পের নামে টাকা লুটপাট করা হয়েছে। হাসিনার লোকজন এগুলা করেছে। তাছাড়া আমরা এখনো সুফল পাচ্ছি না। ট্যাংকটি দ্রুত চালু করে পানির চাহিদা পূরণে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
এ বিষয়ে চারঘাট পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা মোবারক হোসেন বলেন, কিছু কারিগরি সমস্যার কারণে নতুন নির্মিত ওভারহেড ট্যাংকটি এখনও চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে চালু হবে। সংযোগ কম থাকায় আমরা আপাতত পুরাতন ওভারহেড ট্যাংক দিয়ে পানি সরবরাহ করছি।
এ ব্যাপারে চারঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌরসভার প্রশাসক জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ইতোমধ্যে আমি সরেজমিনে ওভারহেড ট্যাংক স্থাপনের জায়গাটি পরিদর্শন করেছি। ত্রুটিবিচ্যুতি খতিয়ে দেখার জন্য কর্তৃপক্ষকে পত্র মারফত অবহিত করা হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব সমস্যার সমাধান করে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য ওভারহেড ট্যাংকটি ব্যবহার করা হবে।
খুলনা জেলার বটিয়াঘাটায় জুয়া চক্রের ৯ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে বটিয়াঘাটা থানা পুলিশ। গত ০২ মে দুপুরে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে বটিয়াঘাটা থানাধীন হাটবাটী গ্রামের একটি চায়ের দোকানের সামনে থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
৩ ঘণ্টা আগেখুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) সহকারী ছাত্র বিষয়ক পরিচালক হাসান মাহমুদ সাকিকে মারপিটের ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থী মোবারক হোসেন নোমানের ছাত্রত্ব ও সনদ সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেখুলনা জেলার দাকোপে তরুণীকে ধর্ষনের ঘটনায় ১ জনকে গ্রেফতার করেছে দাকোপ থানা পুলিশ। শনিবার দাকোপ থানাধীন তিলডাঙ্গা এলাকা হতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
৩ ঘণ্টা আগে‘জাপান টোব্যাকো ইন্টারন্যাশনাল- জেটিআই’ বাংলাদেশ লিমিটেডের ওয়্যারহাউজে শ্রমিকদের প্রবেশে বাধা দিয়েছেন বিএনপির নেতা আতাউর রহমান আতার অনুসারীরা। ট্রান্সপোর্ট ব্যবসা এবং আউটসোর্সিং কর্মী নিয়োগের ঠিকাদারির নিয়ন্ত্রণ নিতে শ্রমিকদের প্রতিষ্ঠানে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়।
৩ ঘণ্টা আগেখুলনা জেলার বটিয়াঘাটায় জুয়া চক্রের ৯ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে বটিয়াঘাটা থানা পুলিশ। গত ০২ মে দুপুরে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে বটিয়াঘাটা থানাধীন হাটবাটী গ্রামের একটি চায়ের দোকানের সামনে থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) সহকারী ছাত্র বিষয়ক পরিচালক হাসান মাহমুদ সাকিকে মারপিটের ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থী মোবারক হোসেন নোমানের ছাত্রত্ব ও সনদ সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে।
খুলনা জেলার দাকোপে তরুণীকে ধর্ষনের ঘটনায় ১ জনকে গ্রেফতার করেছে দাকোপ থানা পুলিশ। শনিবার দাকোপ থানাধীন তিলডাঙ্গা এলাকা হতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
‘জাপান টোব্যাকো ইন্টারন্যাশনাল- জেটিআই’ বাংলাদেশ লিমিটেডের ওয়্যারহাউজে শ্রমিকদের প্রবেশে বাধা দিয়েছেন বিএনপির নেতা আতাউর রহমান আতার অনুসারীরা। ট্রান্সপোর্ট ব্যবসা এবং আউটসোর্সিং কর্মী নিয়োগের ঠিকাদারির নিয়ন্ত্রণ নিতে শ্রমিকদের প্রতিষ্ঠানে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়।