ডাক্তারসহ জনবল সংকটে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল, চিকিৎসা সেবা ব্যাহত

প্রতিনিধি
টাঙ্গাইল
Thumbnail image
ছবি: প্রতিনিধি

১৯৭৪ সালে টাঙ্গাইল শহরের কোদালিয়া এলাকায় ৫০ শয্যার সুবিধা নিয়ে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে যার শয্যা সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৫০ ।

এ ছাড়া বৈশ্বিক মহামারি করোনার সময় হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় তড়িঘড়ি করে ১০ শয্যার আইসিইউ বেড চালু করা হয়, যা ২০২৪ সালের জুলাই মাস থেকে দক্ষ জনবলের অভাবে বন্ধ রয়েছে অতি জরুরি এই সেবাটি।

বর্তমানে চিকিৎসকসহ জনবলের অভাবে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম। ফলে প্রতিদিন ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন এখানে সেবা নিতে আসা হাজার হাজার সাধারণ রোগীগণ।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে ৩৫০ থেকে ৪৫০ জন রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করেন। এই হাসপাতালে টাঙ্গাইল জেলার ১২টি উপজেলাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে রোগী আসেন।

এ ছাড়া হাসপাতালের বহির্বিভাগে প্রতিদিন প্রায় গড়ে ১ হাজার রোগী চিকিৎসাসেবা নিতে আসেন। কিন্তু পর্যাপ্ত ডাক্তার না থাকায় আশানুরূপ সেবা পাচ্ছেন না রোগীরা। ৪০ লক্ষ জনসংখ্যা অধ্যুষিত টাঙ্গাইল জেলার বাসিন্দাদের জন্য জেনারেল হাসপাতালে কর্মরত ৪৪জন চিকিৎসক নিতান্তই অপ্রতুল বলে জানান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

হাসপাতালে ১০ বেডের আইসিইউ থাকলেও আধুনিক যন্ত্রপাতি ও প্রয়োজনীয় ডাক্তার এবং দক্ষ জনবল না থাকার কারনে রোগীদের সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। ২০২৪ সালের জুলাই থেকে আইসিইউ সেবা বন্ধ রয়েছে। তারপরও আরও একটি ১০ বেডের আইসিইউ প্রস্তুুত করা হয়েছে। সময় মতো সেটি চালু না করা গেলে মূল্যবান মেশিনগুলো নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, পরিচ্ছন্নতা কর্মী প্রয়োজন ৭৫ জন। হাসপাতালের খাবারের মান ভালো, তবে ২৫০ জন রোগীর বাইরে খাবার পরিবেশন সম্ভব নয়। ঔষধের বরাদ্দ রয়েছে, তবে অনেক রোগী ঔষধ না পাওয়ার অভিযোগও করেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের এক চিকিৎসক জানান, কিছু সিনিয়র চিকিৎসকের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা সিন্ডিকেটের কারণে এখানে অব্যবস্থাপনা বিরাজ করছে। হাসপাতালের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ব্যবহারে জনবল নেই। এ কারনে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরিক্ষাও ঠিকমত হচ্ছেনা। জনবলের অভাব হাসপাতালের গুরুত্বপূর্ণ সচল যন্ত্রপাতি ব্যবহারের অভাবে পড়ে আছে।

টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. খন্দকার সাদিকুর রহমান জানান, প্রয়োজনীয় সংখ্যক ডাক্তার ও সহকারী স্টাফ না থাকায় রোগীরা পুরোপুরি সেবা পাচ্ছে না। তবে যারা আসেন তাদের উপযুক্ত সেবা দেওয়া হয়। ঔষধ ও খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে, তবে রোগীর চাপ বেশি হলে বেগ পোহাতে হয়। আইসিইউ, ডাক্তার, পরিচ্ছন্নতা কর্মী বৃদ্ধি করলে আশানুরূপ সেবা সম্ভব হবে বলেও জানান তিনি।

বিষয়:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

জেলা নিয়ে আরও পড়ুন

এ সময় সচেতন পেশাজীবী গ্রুপ, ইসলামী ব্যাংক সিবিএ ও সচেতন ব্যাংকার সমাজও একই দাবিতে পৃথকভাবে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে

১৫ মিনিট আগে

গুরুতর আহত ৫ জন কিশোরগঞ্জ হাসপাতাল সহ বিভিন্ন চিকিৎসা কেন্দ্রে ভর্তি হয়েছেন। বাকী ২৫ জন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। অনেক গবাদী পশু আহত হয়েছে। পশুগুলোর প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য কিশোরগঞ্জ প্রাণি সম্পদ দপ্তরের একটি টীম কাজ করছে

২ ঘণ্টা আগে

মনিরা তার দুই খালাতো বোন আছিয়া ও মাফিয়াকে নিয়ে ধলেশ্বরী নদীতে গোসল করতে নামে। এক পর্যায়ে তারা স্রোতে তলিয়ে যায়

৩ ঘণ্টা আগে

কর্মশালায় টাইফয়েড প্রতিরোধে টিকাদানের গুরুত্ব ও গণসচেতনতা বৃদ্ধিতে অংশগ্রহণকারীদের করণীয় নিয়ে আলোচনা করা হয়

৩ ঘণ্টা আগে