পঞ্চগড়
পঞ্চগড়ের সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের বড়বাড়ি সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে আসা ২১ জনকে আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের সদস্যদের হাতে হস্তান্তর করেছে সদর উপজেলা প্রশাসন। শনিবার দুপুরে উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া এলাকার ডোলো পুকুর আশ্রয়ণ প্রকল্প কমিউনিটি সেন্টার থেকে তাদের হস্তান্তর করা হয়। পরে পরিবারের সদস্যরা তাদের নিয়ে বাড়ির উদ্দেশে চলে যান।
এসময় সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ হিল জামান, হাড়িভাসা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইয়েদ নুর ই আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, পরিবারের মাঝে ফিরতে পেরে খুশি ভারত থেকে আসা লোকজন।
ভারত থেকে আসা আলেয়া বেগম বলেন, আমরা ভারতে বসবাস করে বিভিন্ন কাজের সাথে যুক্ত ছিলাম। এর মাঝে গত ২১ মে ভারতীয় পুলিশ আমাদের গুজরাট এলাকা থেকে আটক করে উড়োজাহাজে কলকাতা নিয়ে আসে। পরে কলকাতা থেকে বাসে করে এনে বিএসএফ সীমান্ত থেকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়। এর পর বিজিবি আটক করে আমাদের। গত তিনদিন ধরে এই আশ্রয়ণ প্রকল্পে ছিলাম সবাই। এর মাঝে আজ আমাদের পরিবারের সদস্যরা এসে আমাদের খুলনায় নিজ বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছে। খুব ভালো লাগছে, আজ নিজ বাড়িতে ফিরে যাচ্ছি।
ভারত থেকে আসা ফরহাদ হোসেন বলেন, আমি পরিবার নিয়ে ভারতে থেকে কীটনাশক কোম্পানিতে কাজ করতাম। এর মাঝে আমাদের সবাইকে বাড়ি থেকে তুলে নেয় ভারতীয় পুলিশ। পরে আমাকে আলাদা স্থানে ছেড়ে দেয়। এদিকে স্ত্রী সন্তানের কোন খবর না পেলেও হঠাৎ বাংলাদেশের গণমাধ্যমে তাদের ছবি দেখি। এদিকে পঞ্চগড়ে পুলিশ প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করে আজ পরিবারকে নিতে এসেছি।
হাড়িভাসা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইয়েদ নূর-ই আলম বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে ২১ জন আটক হওয়ার পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমাকে ফোন করে তাদের আশ্রয়ণ প্রকল্পে রাখার বিষয়ে বলে। আমি তাদের থাকার ও খাবার ব্যবস্থা করি। আজকে তিনদিনের মাথায় তাদের অভিভাবক আসায় প্রশাসনের মাধ্যমে সবাইকে পরিবারের কাছে তুলে দেয়া হয়েছে। শিশু সহ সবাই তাদের নিজ পরিবারের কাছে ফিরে যাচ্ছে।
পঞ্চগড় সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহিল জামান বলেন, আইনি ভাবে আমরা তাদের পরিচয় নিশ্চিত করেছি, তারা বাংলাদেশে। এ বিষয়ে ঘটনার দিন থানায় জিডি করা আছে। আজকে তাদের পরিবারের সদস্যরা আসলে সকল আইনি প্রক্রিয়া শেষে তুলে দেয়া হয়েছে। যে সকল কার্যক্রম রয়েছে সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে।
পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাকির হোসেন বলেন, জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশে আটক ২১ জনকে নিরাপদ আশ্রয়ে রাখা হয়। এর মাঝে তাদের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করা হয়। তারা আসলে আজ তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (২১ মে) ভোরে পঞ্চগড়ের সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের বড়বাড়ি সীমান্ত দিয়ে মেইন পিলার ৭৫৭ এর ১০ নম্বর সাব পিলার এলাকা দিয়ে ভারত থেকে দুই পুরুষ, ছয় নারী ও ১৩ শিশু সহ ২১ জনকে বাংলাদেশে পুশইন করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। পরে নীলফামারী ৫৬ বিজিবির জয়ধরভাঙ্গা ক্যাম্পের সদস্যরা স্থানীয়দের মাধ্যমে তাদের আটকের পর থানা দুপুরে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। পরে রাতে ২১ জনকেই ডোলোপুকুর আশ্রয়ণ প্রকল্পের কমিউনিটি সেন্টারে প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে রাখা হয়।
ফেরত আসা লোকজনের বাড়ি খুলনা জেলার দিঘলিয়া ও নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়। তারা দীর্ঘদিন ধরে ভারতের গুজরাটে বাসা বাড়িতে ও ওয়ার্কসপে শ্রমিকের কাজ করতেন।
পঞ্চগড়ের সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের বড়বাড়ি সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে আসা ২১ জনকে আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের সদস্যদের হাতে হস্তান্তর করেছে সদর উপজেলা প্রশাসন। শনিবার দুপুরে উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া এলাকার ডোলো পুকুর আশ্রয়ণ প্রকল্প কমিউনিটি সেন্টার থেকে তাদের হস্তান্তর করা হয়। পরে পরিবারের সদস্যরা তাদের নিয়ে বাড়ির উদ্দেশে চলে যান।
এসময় সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ হিল জামান, হাড়িভাসা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইয়েদ নুর ই আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, পরিবারের মাঝে ফিরতে পেরে খুশি ভারত থেকে আসা লোকজন।
ভারত থেকে আসা আলেয়া বেগম বলেন, আমরা ভারতে বসবাস করে বিভিন্ন কাজের সাথে যুক্ত ছিলাম। এর মাঝে গত ২১ মে ভারতীয় পুলিশ আমাদের গুজরাট এলাকা থেকে আটক করে উড়োজাহাজে কলকাতা নিয়ে আসে। পরে কলকাতা থেকে বাসে করে এনে বিএসএফ সীমান্ত থেকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়। এর পর বিজিবি আটক করে আমাদের। গত তিনদিন ধরে এই আশ্রয়ণ প্রকল্পে ছিলাম সবাই। এর মাঝে আজ আমাদের পরিবারের সদস্যরা এসে আমাদের খুলনায় নিজ বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছে। খুব ভালো লাগছে, আজ নিজ বাড়িতে ফিরে যাচ্ছি।
ভারত থেকে আসা ফরহাদ হোসেন বলেন, আমি পরিবার নিয়ে ভারতে থেকে কীটনাশক কোম্পানিতে কাজ করতাম। এর মাঝে আমাদের সবাইকে বাড়ি থেকে তুলে নেয় ভারতীয় পুলিশ। পরে আমাকে আলাদা স্থানে ছেড়ে দেয়। এদিকে স্ত্রী সন্তানের কোন খবর না পেলেও হঠাৎ বাংলাদেশের গণমাধ্যমে তাদের ছবি দেখি। এদিকে পঞ্চগড়ে পুলিশ প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করে আজ পরিবারকে নিতে এসেছি।
হাড়িভাসা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইয়েদ নূর-ই আলম বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে ২১ জন আটক হওয়ার পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমাকে ফোন করে তাদের আশ্রয়ণ প্রকল্পে রাখার বিষয়ে বলে। আমি তাদের থাকার ও খাবার ব্যবস্থা করি। আজকে তিনদিনের মাথায় তাদের অভিভাবক আসায় প্রশাসনের মাধ্যমে সবাইকে পরিবারের কাছে তুলে দেয়া হয়েছে। শিশু সহ সবাই তাদের নিজ পরিবারের কাছে ফিরে যাচ্ছে।
পঞ্চগড় সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহিল জামান বলেন, আইনি ভাবে আমরা তাদের পরিচয় নিশ্চিত করেছি, তারা বাংলাদেশে। এ বিষয়ে ঘটনার দিন থানায় জিডি করা আছে। আজকে তাদের পরিবারের সদস্যরা আসলে সকল আইনি প্রক্রিয়া শেষে তুলে দেয়া হয়েছে। যে সকল কার্যক্রম রয়েছে সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে।
পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাকির হোসেন বলেন, জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশে আটক ২১ জনকে নিরাপদ আশ্রয়ে রাখা হয়। এর মাঝে তাদের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করা হয়। তারা আসলে আজ তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (২১ মে) ভোরে পঞ্চগড়ের সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের বড়বাড়ি সীমান্ত দিয়ে মেইন পিলার ৭৫৭ এর ১০ নম্বর সাব পিলার এলাকা দিয়ে ভারত থেকে দুই পুরুষ, ছয় নারী ও ১৩ শিশু সহ ২১ জনকে বাংলাদেশে পুশইন করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। পরে নীলফামারী ৫৬ বিজিবির জয়ধরভাঙ্গা ক্যাম্পের সদস্যরা স্থানীয়দের মাধ্যমে তাদের আটকের পর থানা দুপুরে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। পরে রাতে ২১ জনকেই ডোলোপুকুর আশ্রয়ণ প্রকল্পের কমিউনিটি সেন্টারে প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে রাখা হয়।
ফেরত আসা লোকজনের বাড়ি খুলনা জেলার দিঘলিয়া ও নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়। তারা দীর্ঘদিন ধরে ভারতের গুজরাটে বাসা বাড়িতে ও ওয়ার্কসপে শ্রমিকের কাজ করতেন।
নকল ওষুধে সয়লাব কিশোরগঞ্জ জেলা শহর, সাথে জড়িত চিকিৎসক, কোম্পানির প্রতিনিধি, ব্যবসায়িসহ অনেকেই। নকল ওষুধসহ প্রতারক চক্রের এক সদস্য আটকের পর কারাগারে পাঠনো হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেসাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানকে আদালতে হাজিরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ১৯ জুন তাকে ও উপস্থাপক নাহিদ হেলালকে আদালতে হাজিরের নির্দেশ দেওয়া হয়।
৩ ঘণ্টা আগেগ্রাহকদের পরিমাণে জ্বালানি তেল (পেট্রোল, অকটেন) কম দেওয়ার অপরাধে টাঙ্গাইল ফিলিং স্টেশনে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর।
৩ ঘণ্টা আগেনকল ওষুধে সয়লাব কিশোরগঞ্জ জেলা শহর, সাথে জড়িত চিকিৎসক, কোম্পানির প্রতিনিধি, ব্যবসায়িসহ অনেকেই। নকল ওষুধসহ প্রতারক চক্রের এক সদস্য আটকের পর কারাগারে পাঠনো হয়েছে।
সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানকে আদালতে হাজিরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ১৯ জুন তাকে ও উপস্থাপক নাহিদ হেলালকে আদালতে হাজিরের নির্দেশ দেওয়া হয়।
গ্রাহকদের পরিমাণে জ্বালানি তেল (পেট্রোল, অকটেন) কম দেওয়ার অপরাধে টাঙ্গাইল ফিলিং স্টেশনে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর।