কিশোরগঞ্জ
কিশোরগঞ্জ শহরসহ জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে বয়ে যাওয়া নরসুন্দা নদীটি বর্তমানে নাব্যতা হারিয়ে মৃতপ্রায় এবং আবর্জনার কারণে খালে পরিণত হয়েছে। এদিকে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এ নদীতে সেতুর নামে পাকা বাঁধ নির্মাণ করছে বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী।
সদর উপজেলার রঘুখালী এলাকায় ৪০ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটি এখন এলাকাবাসীর মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে উঠেছে।
তারা বলছেন, এই সেতুর কারণে পরিপূর্ণভাবে বাধাগ্রস্ত হবে ৫৭ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই নদীর পানি প্রবাহ। পরিকল্পনাবিহীন এমন সেতু নির্মাণে হতবাক স্থানীয়রা। নদীকে হত্যা করে এমন সেতু নির্মাণ বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন পরিবেশবাদীরাও।
কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের পূর্বাঞ্চলের কয়েকটি উপজেলার মানুষ যাতায়াতের সুবিধার্থে শহর আসা বাইপাস সড়কে নরসুন্দা নদীর উপর ২০২৪ সালের ৭ অক্টোবর সেতু নির্মাণ শুরু করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর। সেতু নির্মাণ সম্পন্ন হওয়ার মেয়াদ ধরা হয় চলতি বছরের ৭ অক্টোবর।
৪০ মিটার দৈর্ঘ্যের এ সেতুটির কাজ ৪০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। সেতুটি দেখে প্রথমেই মনে হবে এটি যেন সেতু নয়, বরং নদীর গতিরোধ স্থায়ীভাবে বন্ধ করে তৈরি হচ্ছে পাকা বাঁধ। তাছাড়া যেখানে ১১ মাসে মাত্র ৪০ শতাংশ কাজ হয়েছে, আর এক মাসে কীভাবে বাকি ৬০% কাজ সম্পন্ন করবে? এটা নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা জাহাঙ্গীর কিরণ বলেন, এটা তো ব্রিজ হচ্ছে না, এটা হচ্ছে বাঁধ। এতে আমাদের ক্ষতি হবে, নদীর ক্ষতি হবে। ব্রিজের মধ্যে পিলার হয়, সেটি অনেক উঁচু হয়। এটাতে কোনো পিলার নেই। এটা এত নীচু যে নৌকা চলাচল তো দূরের কথা, পানিও ঠিক মতো চলাচল করতে পারবে না। ব্রিজটি উঁচু করার দরকার। ইঞ্জিনিয়ার যে কীভাবে এত নীচু করে প্লানটি পাশ করলো, সেটাই এক বিস্ময়!
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক সাইফুল ইসলাম জুয়েল বলেন, নরসুন্দা নদী খনন করাসহ এর সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য ১৩০০ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিতে যাচ্ছে সরকার। এর আগেই এলজিইডি নদীটিকে সেতুর নামে বাঁধ দিয়ে নদীকে হত্যা করছে। যদি ওই প্রকল্পের কাজ শুরু হয় তাহলে এ ধরনের সেতুগুলো কোন কাজেই আসবে না। বরং অযথা সরকারি কোষাগারের টাকা নষ্ট ছাড়া আর কিছুই নয়। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তর যদি যথাযথ ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে নদী বাঁচাতে কঠোর আন্দোলনে যাব আমরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিকল্পনা বিহীন-এ সেতু নির্মাণের সকল দায় এড়িয়ে যান জেলা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ এনায়েত কবীর।
সেতুটি দুই কোটি চৌত্রিশ লক্ষ টাকা নির্মাণ ব্যয় ধরে এ সেতুটির কাজ ১১ মাসে শেষ হয়েছে মাত্র ৪০ শতাংশ। আগামী এক মাসে শেষ করতে হবে বাকি ৬০ শতাংশ কাজ। কিন্তু এমন ভুল ডিজাইনের সেতু চান না এলাকাবাসী। সেতুর নীচ দিয়ে অবাধে পানি প্রবাহ নিশ্চিতসহ নৌযান চলাচলের সুবিধা চান এলাকাবাসী।
কিশোরগঞ্জ শহরসহ জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে বয়ে যাওয়া নরসুন্দা নদীটি বর্তমানে নাব্যতা হারিয়ে মৃতপ্রায় এবং আবর্জনার কারণে খালে পরিণত হয়েছে। এদিকে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এ নদীতে সেতুর নামে পাকা বাঁধ নির্মাণ করছে বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী।
সদর উপজেলার রঘুখালী এলাকায় ৪০ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটি এখন এলাকাবাসীর মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে উঠেছে।
তারা বলছেন, এই সেতুর কারণে পরিপূর্ণভাবে বাধাগ্রস্ত হবে ৫৭ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই নদীর পানি প্রবাহ। পরিকল্পনাবিহীন এমন সেতু নির্মাণে হতবাক স্থানীয়রা। নদীকে হত্যা করে এমন সেতু নির্মাণ বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন পরিবেশবাদীরাও।
কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের পূর্বাঞ্চলের কয়েকটি উপজেলার মানুষ যাতায়াতের সুবিধার্থে শহর আসা বাইপাস সড়কে নরসুন্দা নদীর উপর ২০২৪ সালের ৭ অক্টোবর সেতু নির্মাণ শুরু করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর। সেতু নির্মাণ সম্পন্ন হওয়ার মেয়াদ ধরা হয় চলতি বছরের ৭ অক্টোবর।
৪০ মিটার দৈর্ঘ্যের এ সেতুটির কাজ ৪০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। সেতুটি দেখে প্রথমেই মনে হবে এটি যেন সেতু নয়, বরং নদীর গতিরোধ স্থায়ীভাবে বন্ধ করে তৈরি হচ্ছে পাকা বাঁধ। তাছাড়া যেখানে ১১ মাসে মাত্র ৪০ শতাংশ কাজ হয়েছে, আর এক মাসে কীভাবে বাকি ৬০% কাজ সম্পন্ন করবে? এটা নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা জাহাঙ্গীর কিরণ বলেন, এটা তো ব্রিজ হচ্ছে না, এটা হচ্ছে বাঁধ। এতে আমাদের ক্ষতি হবে, নদীর ক্ষতি হবে। ব্রিজের মধ্যে পিলার হয়, সেটি অনেক উঁচু হয়। এটাতে কোনো পিলার নেই। এটা এত নীচু যে নৌকা চলাচল তো দূরের কথা, পানিও ঠিক মতো চলাচল করতে পারবে না। ব্রিজটি উঁচু করার দরকার। ইঞ্জিনিয়ার যে কীভাবে এত নীচু করে প্লানটি পাশ করলো, সেটাই এক বিস্ময়!
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক সাইফুল ইসলাম জুয়েল বলেন, নরসুন্দা নদী খনন করাসহ এর সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য ১৩০০ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিতে যাচ্ছে সরকার। এর আগেই এলজিইডি নদীটিকে সেতুর নামে বাঁধ দিয়ে নদীকে হত্যা করছে। যদি ওই প্রকল্পের কাজ শুরু হয় তাহলে এ ধরনের সেতুগুলো কোন কাজেই আসবে না। বরং অযথা সরকারি কোষাগারের টাকা নষ্ট ছাড়া আর কিছুই নয়। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তর যদি যথাযথ ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে নদী বাঁচাতে কঠোর আন্দোলনে যাব আমরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিকল্পনা বিহীন-এ সেতু নির্মাণের সকল দায় এড়িয়ে যান জেলা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ এনায়েত কবীর।
সেতুটি দুই কোটি চৌত্রিশ লক্ষ টাকা নির্মাণ ব্যয় ধরে এ সেতুটির কাজ ১১ মাসে শেষ হয়েছে মাত্র ৪০ শতাংশ। আগামী এক মাসে শেষ করতে হবে বাকি ৬০ শতাংশ কাজ। কিন্তু এমন ভুল ডিজাইনের সেতু চান না এলাকাবাসী। সেতুর নীচ দিয়ে অবাধে পানি প্রবাহ নিশ্চিতসহ নৌযান চলাচলের সুবিধা চান এলাকাবাসী।
পর্যটকদের সুন্দরবনে ভ্রমণের জন্য ভাড়া করা হয় নৌকা, ট্রলার। এসব নৌযানে কর্মরত শত শত শ্রমিকের আয় নির্ভর করে সুন্দরবন ভ্রমণ করতে আসা পর্যটকদের ওপর। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে সুন্দরবনে পর্যটক না আসায় ট্রলারগুলো অলস পড়ে আছে। আয় না থাকায় শ্রমিকরা পড়েছেন হতাশায়
১ ঘণ্টা আগেসাউথইস্ট ব্যাংকের চেয়ারম্যান এম এ কাসেম ক্যাম্পাসের উন্নয়নের নামে ৯০৯৬ দশমিক ৮৮ ডেসিমাল জমির ক্রয়মূল্য বাবদ ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ ১৩ হাজার ৪৯৭ টাকা অতিরিক্ত অর্থ হস্তান্তর, রূপান্তর, স্থানান্তর ও গোপন করার মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছেন। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে
১ ঘণ্টা আগেট্রেনটি যখন সিগনালের কাছাকাছি পৌঁছে, তখন বিকট শব্দে একে একে ছয়টি বগি রেললাইন থেকে ছিটকে যায়। তবে এতে বড় ধরনের কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি
১ ঘণ্টা আগেকনফারেন্সে এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় ২৪০ জন চিকিৎসক অংশগ্রহণ করবেন। চিকিৎসা বিজ্ঞানে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে এ সম্মেলন চিকিৎসকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি
১ ঘণ্টা আগেপর্যটকদের সুন্দরবনে ভ্রমণের জন্য ভাড়া করা হয় নৌকা, ট্রলার। এসব নৌযানে কর্মরত শত শত শ্রমিকের আয় নির্ভর করে সুন্দরবন ভ্রমণ করতে আসা পর্যটকদের ওপর। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে সুন্দরবনে পর্যটক না আসায় ট্রলারগুলো অলস পড়ে আছে। আয় না থাকায় শ্রমিকরা পড়েছেন হতাশায়
সাউথইস্ট ব্যাংকের চেয়ারম্যান এম এ কাসেম ক্যাম্পাসের উন্নয়নের নামে ৯০৯৬ দশমিক ৮৮ ডেসিমাল জমির ক্রয়মূল্য বাবদ ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ ১৩ হাজার ৪৯৭ টাকা অতিরিক্ত অর্থ হস্তান্তর, রূপান্তর, স্থানান্তর ও গোপন করার মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছেন। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে
ট্রেনটি যখন সিগনালের কাছাকাছি পৌঁছে, তখন বিকট শব্দে একে একে ছয়টি বগি রেললাইন থেকে ছিটকে যায়। তবে এতে বড় ধরনের কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি
কনফারেন্সে এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় ২৪০ জন চিকিৎসক অংশগ্রহণ করবেন। চিকিৎসা বিজ্ঞানে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে এ সম্মেলন চিকিৎসকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি