নীলফামারীতে অ্যানথ্রাক্স প্রতিরোধে তোড়জোড় শুরু করেছে প্রাণিসম্পদ বিভাগ। অ্যানথ্রাক্স শনাক্ত রংপুর জেলার সীমান্ত এলাকাগুলোতে উঠান বৈঠক সহ নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

রংপুর জেলায় অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত হয়ে প্রায় দুই শতাধিক গবাদী পশু ও দুই ব্যক্তির মৃত্যুতে নীলফামারী প্রাণি সম্পদ বিভাগ নড়েচড়ে বসেছে।

রংপুর জেলা সংলগ্ন নীলফামারী সীমান্তবর্তী এলাকা ডিমলা ও কিশোরগঞ্জ উপজেলায় উঠান বৈঠক, ভ্যাকসিনেশন সহ সকল প্রকারের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থ নেওয়া হচ্ছে। ।

‘অসুস্থ পশু পাখী জবাই থেকে বিরত থাকি ,নিজেকে সুস্থ রাখি’ এমন প্রতিপাদ্য নিয়ে নীলফামারী জেলায় অ্যানথ্রাক্স (তরকা রোগ) ছড়িয়ে না পরে এ লক্ষে আগাম উদ্যোগ নিয়েছে প্রাণি সম্পদ বিভাগ। নীলফামারী জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডা. মো. রাশেদুল ইসলাম বলেন, মাংস ব্যবসায়ী, খামারীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে যোগাযোগ করে অ্যানথ্রাক্স প্রতিরোধে উপায়গুলো জানানো হচ্ছে। ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট অংশিজনদের নিয়ে ২১০টি উঠান বৈঠক করেছে।

তথ্য উপাত্ত সমৃদ্ধ ৮ হাজার লিফলেট বিতরণ করেছে প্রাণি সম্পদ দপ্তরের কর্মীরা। এর মধ্যেই ১

হাজার গবাদী পশুকে ১ হাজার ডোজ টীকা দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে রংপুর জেলা সংলগ্ন ডিমলা ও কিশোরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন খামার ও বাড়ীতে থাকা গবাদী পশুকে এই ভ্যাকসিনেশনের আওতায় আনা হয়েছে।

জেলা প্রশাসন, জেলা তথ্য দপ্তর, ইসলামিক ফাউন্ডেশন সহ জেলা প্রাণি সম্পদ দপ্তর ব্যাপক প্রচার ও প্রচারণা চালাচ্ছে। এছাড়া ফিটনেস সার্টিফিকেট বিহীন কোন পশুই জবাই করা হচ্ছে না।

জেলা প্রাণি সম্পদ দপ্তর জানিয়েছেন, অ্যানথ্রাক্স পশু থেকে মানবদেহে ছড়ায়। আক্রান্ত পশুকে নাড়াচাড়া করলে মানুষ আক্রান্ত হতে পারে। এ নিয়ে আতঙ্ক না হয়ে সতর্কমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। দেশে অ্যানথ্রাক্স নতুননয়। এর আগেও বিভিন্ন সময় অ্যানথ্রাক্স ছড়িয়েছে। সবাই সজাগ ও সতর্ক হলে এটি প্রতিরোধ করা সম্ভব।