নীলফামারী
নীলফামারীতে রোববার সকালে টর্ণেডোর আঘাতে ক্ষতিগ্রস্থ’ পক্ষাঘাতে আক্রান্ত ৬৫ বছরের বৃদ্ধ নাজিম উদ্দিন আহাজারি করে বলছিলেন, একনা ঘর আছিলো সেটাও আওদি উড়ি নিয়া গেইছে, এখন হামরা কোনটে থাকি। সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দুর্গত এলাকার বাসিন্দা নাজিমউদ্দিনকে ঝড়ে তছনছ হওয়া ফাঁকা ঘড়ের মেঝেতে বিষন্ন মুখে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। লাঠিতে ভর করে জীবনের বহু ঝড় সামলানো মানুষটি প্রাকৃতিক ঝড়ের কাছে হার মেনে বির বির করে ওই কথাগুলো বলছিলেন।
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের ৩টি গ্রামে রোববার সকালে আচমকা টর্নেডো হানা দেয়। এতে ৫ শত ৫১ টি পরিবারের অসংখ্য ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়। এসব ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে অভাগা নাজিম উদ্দিনও একজন। তিনি ওই ইউনিয়নের বানিয়াপাড়ার বাসিন্দা। ৬ শতক জমির উপর তার পুরোনো টিনের জীর্ণঘর। মাত্র ১৫ হাত বিশিষ্ট ওই ঘরটিতে বাস করত স্ত্রী সাফিয়া বেগম ও ৩ সন্তান। সেখানেই ঠাসাঠাসি করে থাকতেন সবাই। বসতভিটাটি একমাত্র সম্বল। নাজিম উদ্দিন ২ বছর আগে পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হয়েছেন। বড় ছেলে সফিকুল ইসলাম (৪৫) পরিবারের একমাত্র কর্মক্ষম ব্যক্তি। তিনি কৃষিজীবী শ্রমিক। নিজের চাষাবাদ নেই। তার দুই ছোট ভাই মেধাবী। তাই ক্লান্তিহীন শ্রম দিয়ে তাদের পড়াশোনার খরচ জুগিয়ে যাচ্ছে সফিকুল। মেজ ভাই মোঃ সুজন মিয়া হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এ্যকাউন্টিং বিভাগে পড়ছেন। ছোট ভাই রণচন্ডি স্কুল এন্ড কলেজ থেকে এবার এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। ভাল ফলাফলের জন্য দিন গুনছেন।
প্রতিকুল অবস্থা সত্বেও পরিবারের বিশাল দায় নিয়ে বড়ছেলে সফিকুলের দুর্নিবার স্বপ্ন দেখার মনোবল দেখে বাবা নাজিম উদ্দিনের বুক ভরে উঠত। জীবনে অনেক ঝড়ঝান্ডা পুরুনো পক্ষাঘাত মানুষটি ভবিষ্যতে বিজয় নিশান উড়াতে চেয়েছিল। কিন্তু‘ প্রকৃতির নির্মম ঝড়ে সব তছনছ হয়ে গেল। আর হয়ত বিজয় নিশান উড়বে না তার পরিবারে এমনই হতাশা নেমে এসেছে।
পক্ষাঘাতের কারণে ডান হাত ও ডান পা অবশ, নিশ্চল নাজিম উদ্দিনের। চেয়ারে বসেই প্রাকৃতিক কাজ সারেন। অন্যের সাহায্য ছাড়া এক কদমও চলতে পারেন না। এই অসস্থায় মানুষটির পক্ষে খোলা আকাশের নীচে থাকা আর এক কষ্টের। তাই এলাকার মানবিক লোকজন ও ছোটোভাইয়ের জামাতা শাহজাহান মিয়া (৪০) ৪টি পুরোনো টিন দিয়ে একটি চালা করে দিয়েছে মাথা গোঁজার ঠাঁইয়ের জন্য। নাজিম উদ্দিন জানিয়েছেন, সরকার থেকে একটি কম্বল ও কিছু খাদ্য সামগ্রী এবং বিএনপি ও জামায়াতের কর্মী কিছু খাদ্য সামগ্রী দিয়েছেন। যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।
নীলফামারীতে রোববার সকালে টর্ণেডোর আঘাতে ক্ষতিগ্রস্থ’ পক্ষাঘাতে আক্রান্ত ৬৫ বছরের বৃদ্ধ নাজিম উদ্দিন আহাজারি করে বলছিলেন, একনা ঘর আছিলো সেটাও আওদি উড়ি নিয়া গেইছে, এখন হামরা কোনটে থাকি। সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দুর্গত এলাকার বাসিন্দা নাজিমউদ্দিনকে ঝড়ে তছনছ হওয়া ফাঁকা ঘড়ের মেঝেতে বিষন্ন মুখে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। লাঠিতে ভর করে জীবনের বহু ঝড় সামলানো মানুষটি প্রাকৃতিক ঝড়ের কাছে হার মেনে বির বির করে ওই কথাগুলো বলছিলেন।
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের ৩টি গ্রামে রোববার সকালে আচমকা টর্নেডো হানা দেয়। এতে ৫ শত ৫১ টি পরিবারের অসংখ্য ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়। এসব ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে অভাগা নাজিম উদ্দিনও একজন। তিনি ওই ইউনিয়নের বানিয়াপাড়ার বাসিন্দা। ৬ শতক জমির উপর তার পুরোনো টিনের জীর্ণঘর। মাত্র ১৫ হাত বিশিষ্ট ওই ঘরটিতে বাস করত স্ত্রী সাফিয়া বেগম ও ৩ সন্তান। সেখানেই ঠাসাঠাসি করে থাকতেন সবাই। বসতভিটাটি একমাত্র সম্বল। নাজিম উদ্দিন ২ বছর আগে পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হয়েছেন। বড় ছেলে সফিকুল ইসলাম (৪৫) পরিবারের একমাত্র কর্মক্ষম ব্যক্তি। তিনি কৃষিজীবী শ্রমিক। নিজের চাষাবাদ নেই। তার দুই ছোট ভাই মেধাবী। তাই ক্লান্তিহীন শ্রম দিয়ে তাদের পড়াশোনার খরচ জুগিয়ে যাচ্ছে সফিকুল। মেজ ভাই মোঃ সুজন মিয়া হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এ্যকাউন্টিং বিভাগে পড়ছেন। ছোট ভাই রণচন্ডি স্কুল এন্ড কলেজ থেকে এবার এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। ভাল ফলাফলের জন্য দিন গুনছেন।
প্রতিকুল অবস্থা সত্বেও পরিবারের বিশাল দায় নিয়ে বড়ছেলে সফিকুলের দুর্নিবার স্বপ্ন দেখার মনোবল দেখে বাবা নাজিম উদ্দিনের বুক ভরে উঠত। জীবনে অনেক ঝড়ঝান্ডা পুরুনো পক্ষাঘাত মানুষটি ভবিষ্যতে বিজয় নিশান উড়াতে চেয়েছিল। কিন্তু‘ প্রকৃতির নির্মম ঝড়ে সব তছনছ হয়ে গেল। আর হয়ত বিজয় নিশান উড়বে না তার পরিবারে এমনই হতাশা নেমে এসেছে।
পক্ষাঘাতের কারণে ডান হাত ও ডান পা অবশ, নিশ্চল নাজিম উদ্দিনের। চেয়ারে বসেই প্রাকৃতিক কাজ সারেন। অন্যের সাহায্য ছাড়া এক কদমও চলতে পারেন না। এই অসস্থায় মানুষটির পক্ষে খোলা আকাশের নীচে থাকা আর এক কষ্টের। তাই এলাকার মানবিক লোকজন ও ছোটোভাইয়ের জামাতা শাহজাহান মিয়া (৪০) ৪টি পুরোনো টিন দিয়ে একটি চালা করে দিয়েছে মাথা গোঁজার ঠাঁইয়ের জন্য। নাজিম উদ্দিন জানিয়েছেন, সরকার থেকে একটি কম্বল ও কিছু খাদ্য সামগ্রী এবং বিএনপি ও জামায়াতের কর্মী কিছু খাদ্য সামগ্রী দিয়েছেন। যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।
কোনো কারণ ছাড়াই সদর হাসপাতালের স্বেচ্ছাসেবকদের অপসারণ করেছেন এই দুর্নীতিবাজ সিভিল সার্জেন যা জেলা স্বাস্থ্যসেবার পরিবেশকে আরও অস্থির করে তুলেছে
৪ মিনিট আগেযেকারণে জনগুরুত্বপূর্ণ এ খালটি সবার কাছে টরকী-বাশাইল খাল নামে পরিচিত। এ খালের ওপর নির্ভরশীল ওইসব এলাকার হাজার-হাজার কৃষক
৭ মিনিট আগেসাধারণ মানুষের নির্বিঘ্ন চলাচল নিশ্চিত করা এবং যানজট নিরসনের উদ্দেশ্যে এই ধরনের অভিযান নিয়মিতভাবে চলবে। পাশাপাশি, নিয়ম ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও সতর্ক করেছেন তারা
১ ঘণ্টা আগেপ্রকল্পের আওতায় নির্মিত ফুটওভারব্রিজগুলো এখনো ব্যবহার উপযোগী করা হয়নি। সড়কের পাশে খোলা ও অরক্ষিত ম্যানহোল পথচারীদের জন্য তৈরি করেছে নতুন ঝুঁকি। তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে বিআরটি প্রকল্পের কাজ শেষ করে জনদুর্ভোগ লাঘবের দাবি জানান
১ ঘণ্টা আগেকোনো কারণ ছাড়াই সদর হাসপাতালের স্বেচ্ছাসেবকদের অপসারণ করেছেন এই দুর্নীতিবাজ সিভিল সার্জেন যা জেলা স্বাস্থ্যসেবার পরিবেশকে আরও অস্থির করে তুলেছে
যেকারণে জনগুরুত্বপূর্ণ এ খালটি সবার কাছে টরকী-বাশাইল খাল নামে পরিচিত। এ খালের ওপর নির্ভরশীল ওইসব এলাকার হাজার-হাজার কৃষক
সাধারণ মানুষের নির্বিঘ্ন চলাচল নিশ্চিত করা এবং যানজট নিরসনের উদ্দেশ্যে এই ধরনের অভিযান নিয়মিতভাবে চলবে। পাশাপাশি, নিয়ম ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও সতর্ক করেছেন তারা
প্রকল্পের আওতায় নির্মিত ফুটওভারব্রিজগুলো এখনো ব্যবহার উপযোগী করা হয়নি। সড়কের পাশে খোলা ও অরক্ষিত ম্যানহোল পথচারীদের জন্য তৈরি করেছে নতুন ঝুঁকি। তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে বিআরটি প্রকল্পের কাজ শেষ করে জনদুর্ভোগ লাঘবের দাবি জানান