খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি ও এআইজি (ক্রাইম) বরাবর ১৮ মে ভুক্তভোগী আলামিন গাজী পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে।

অভিযোগে জানা যায়, খুলনার রুপসায় ফ্যাসিস্ট সরকারের এক ইউপি সদস্য, নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেত্রী রাবেয়া সুলতানার বিরুদ্ধে বসতবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সেই সাথে ফ্যাসিস্টকে পুলিশের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা করারও অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিএনপি নামধারী কিছু স্থানীয় কর্মী প্রত্যক্ষভাবে তাকে সহযোগিতা করছে।

রুপসা উপজেলার হোসেনপুর গ্রামের আনোয়ার গাজীর ছেলে মোঃ আল-আমিন গাজী অভিযোগ করেন, গত ১৩ মে সকালে ২নং শ্রীফলতলা ইউনিয়নের সংরক্ষিত ইউপি সদস্য রাবেয়া সুলতানা ১৫/২০ জন সন্ত্রাসী নিয়ে আমার বসতবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। এঘটনায় থানায় অভিযোগ করলে ওসি ৯৯৯ এ ফোন দিতে বলেন, এরপর পুলিশ এসে ভাংচুরকারীদের বাধা দিলে তারা সরে যায়, পুলিশ কাউকে গ্রেফতার না করে চলে যায়। ওসি মো: মাহফুজুর রহমান কে জানালে তিনি আবারও ৯৯৯ এ ফোন দিতে বলেন, এবার পুলিশ এসে লুটপাট ভাঙচুর কারীদের একজন বাবুল সেখকে গ্রেফতার করে।

সেই সাথে ৯৯৯ এ অভিযোগকারী আলামিন গাজীকে মামলার এজাহারে স্বাক্ষর করার কথা বলে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। সকাল এগারোটা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত বাদি আলামিন গাজীকে থানায় আটকে রাখে পুলিশ। এর আগেও মেম্বার কয়েক দফায় আলামিনের বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুর চালায়, থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ মামলা না নেওয়ায় জেলা পুলিশ সুপারের নিকট ওসির বিরুদ্ধে অভিযোগ করে আলামিন। এসব কারণে ওসি আলামিনের ওপর ক্ষীপ্ত হয়ে আলামিনের বিবাদীকে দিয়ে আলামিনের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক মামলা দিয়ে আলামিনকে থানায় আটকে রাখে। এরপর রাত ১টায় আসামি পক্ষের বিএনপি নেতাদের সুপারিশে আসামি বাবুলকে মুচলেকায় সই নিয়ে ছেড়ে দেয়। একইসাথে আলামিনকেও সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে ছেড়ে দেয়।

এ বিষয়ে ওসি মাহফুজুর রহমান বলেন, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ আমি নাকি মামলা নেই না। এই জন্য এখন থেকে যেই মামলা দিতে আসবে তারই মামলা নেওয়া হবে।

শুধু পুলিশই নয়, ইউএনও কেও গত ২২ এপ্রিল অভিযোগ করা হয় রাবেয়া মেম্বারের বিরুদ্ধে, দেওয়ানী মামলা চলাকালীন বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুর করার বিষয়ে। ইউএনও এসিল্যান্ডকে তদন্তের নির্দেশ দিলে এসিল্যান্ড গত ১৪ মে উভয়পক্ষকে শুনানীর জন্য তার দপ্তরে ডাকেন। সেখানে দেখা যায় রাবেয়া মেম্বারের কাগজপত্রে অসংলগ্নতা থাকলেও সেই ব্যাপারে এসিল্যান্ড কালক্ষেপণ করার জন্য আগামী ২০ মে শুনানির পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেন।

এর আগে গত ২৭ এপ্রিল পুলিশ সুপারের কাছে এবং ০৮ মে জেলা প্রশাসকের নিকট অভিযোগ দায়ের করে আলামিন গাজী। কিন্তু সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে কালক্ষেপণ করার কারণে ডিআইজি‘ ও এআইজি (ক্রাইম) এর নিকট অভিযোগ করে আলামিন।

এবিষয়ে রাবেয়া মেম্বারের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছে আলামিন।