খাগড়াছড়িতে কথিত ধর্ষনের অভিযোগে সহিংসতায় এত জীবন-সম্পদের ক্ষতি খাগড়াছড়িকে স্কুল ছাত্রীর শরীরে ধর্ষনের কোন আলামত পাওয়া যায়নি।

ঘটনায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডে ডাক্তার জয়া চাকমা,ডাক্তার মোশাররফ হোসেন ও ডাক্তার নাহিদা আক্তার স্বাক্ষরিত মেডিকেল রির্পোট থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

অথচ এ কথিত ধর্ষনের ঘটনার প্রতিবাদে জুম্ম ছাত্র-জনতার ব্যানারে আন্দোলন ও সহিংসতার জেলার গুইমারা তিন পাহাড়ি নিহতসহ জেলায় অন্তত অর্ধশতাধিক পাহাড়ি বাঙালি আহত হয়েছে। এর মধ্যে একজন মেজরসহ সেনাবাহিনীর ১৬ সদস্য ও ওসিসহ ৬ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। খাগড়াছড়ি জেলা সদরে সেনাবাহিনীর গাড়ী ও এম্বুলেন্সে হামলা হয়েছে। জেলা সদরের স্বনির্ভর,মহাজন পাড়ায় ও গুইমারায় প্রায় অর্ধশতাধিক দোকানপাটে হামলা, ভাংচুর ও বাড়ী-ঘরে অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটেছে। মহাজন পাড়ায় প্রকাশে গুলি বর্ষনের ঘটনা ঘটেছে।

এদিকে টানা চারদিন পর মঙ্গলবার রাত থেকে অনিদিষ্টকালের ডাকা সড়ক অবরোধ আগামী ৫ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত করেছে।

প্রসঙ্গত; গত মঙ্গলবার রাতে ৮ম শ্রেণী পড়ুয়া এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া যায়। ভিকটিমের পিতা অজ্ঞাতনামা তিনজনকে আসামি করে খাগড়াছড়ি সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। পরদিন বুধবার সেনাবাহিনীর সহায়তায় পুলিশ শয়ন শীল (১৯) নামে এক তরুণকে গ্রেফতার করেছে। এই ঘটনায় পলাতক রয়েছে আরো দুই আসামী। দুই আসামীকে গ্রেফতারের দাবিতে শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে নিপীড়ন বিরোধী জুম্ম ছাত্র-জনতার সমাবেশ থেকে জেলার বিভিন্ন স্থানে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে।