রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • সর্বশেষ
  • বিশ্ব
  • বিশেষ সংবাদ
  • রাজনীতি
  • বিনোদন
  • জীবনযাপন
  • খেলা
  • বাংলাদেশ
  • অর্থনীতি
  • ইপেপার
  • ইপেপার
nikhad logo
অনুসরণ করুন
facebooktwittertiktokpinterestyoutubelinkedininstagramgoogle
  • নিখাদ খবর
  • বিজ্ঞাপন
  • সার্কুলেশন
  • শর্তাবলি ও নীতিমালা
  • গোপনীয়তা নীতি
  • যোগাযোগ
স্বত্ব: ©️ দৈনিক নিখাদ খবর|ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: পারভীন আফরোজ খান ওপ্রকাশক: আ. হ. ম তারেক উদ্দীন
বাংলাদেশ
জেলা

৪২ বছরে কোন উন্নতি হয়নি জামালপুর আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালে

প্রতিনিধি
তানিয়া আক্তার
প্রকাশ : ২৬ মে ২০২৫, ১১: ৫৬
আপডেট : ২৬ মে ২০২৫, ১২: ৩১
logo

৪২ বছরে কোন উন্নতি হয়নি জামালপুর আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালে

তানিয়া আক্তার

প্রকাশ : ২৬ মে ২০২৫, ১১: ৫৬
Photo

নির্মাণের ৪২ বছর পার হলেও উন্নয়নের কোন ছোঁয়াই লাগেনি জামালপুর আন্ত:জেলা বাস টার্মিনালে। শহরের জামালপুর-টাঙ্গাইল মহাসড়কের দড়িপাড়া এলাকায় প্রতিষ্ঠিত আন্ত: সড়ক যোগাযোগের একমাত্র টার্মিনালটি দেখলে মনে হবে জরারজীর্ণ পরিত্যক্ত কোন স্থান।

টার্মিনাল ভবনের অবস্থাও করুণ। দেয়ালে ফাটল, ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ছে—সব মিলিয়ে যাত্রীদের মধ্যে সব সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা। নেই কোনো যাত্রীছাউনি, বিশ্রামাগার, খাবারের হোটেল কিংবা টয়লেট। টার্মিনাল এলাকাজুড়ে কাদামাটি আর আবর্জনায় ভরা। যদিও জেলা পরিষদ জানিয়েছে, টার্মিনাল উন্নয়নে প্রকল্প পাঠানো হয়েছে।

সড়ক পথে জামালপুর থেকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্নস্থানে যাতায়াতের একমাত্র বাস টার্মিনাল। এখান থেকে প্রতিদিন টাঙ্গাইল-ঢাকা,বগুড়া, পাবনা, বেনাপোলসহ ময়মনসিংহ রোড়ে বাস চলাচল করে। কিন্তু টার্মিনালটি জরার্জীণ এবং নোংরা হওয়ায় চালক শ্রমিক এবং যাত্রীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। থাকা খাওয়া এবং টয়লেট না থাকায় চরম বেকায়দায় পড়তে হচ্ছে তাদের ।

গাড়ির চালক, শ্রমিক এবং বিভিন্নস্থান থেকে আসা যাত্রীরা জানিয়েছেন, এই টার্মিনালের ভেতরে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই। রাস্তায় মেনে পড়তে হয়। ময়লা কাদামাটিতে নোংরা পরিবেশ। নেই কোন টয়লেট, খাবার দোকান। চালক বা শ্রমিকদের থাকা খাওয়ার চরম দূর্ভোগে পড়তে হয়। ঝড় বৃষ্টিতে ভিজে হয় যাত্রীদের।

চালক ফরমান খান বলেন, বাংলাদেশের কোথায় এই রকম বাস টার্মিনাল নেই। এতো নোংরা আবর্জনায় ভরা। গাড়ি থেকে নেমে কোথাও বিশ্রাম নেয়ার তো কোন ব্যবস্থাই নাই। গোসল খাবার এ গুলোর কোন কিছুই নাই। পুরো টার্মিনাল জরার্জীণ কি বলবো। এ কারণে যাত্রী কম আসে এখানে।

শ্রমিক জনি বলেন , দেশের বিভিন্ন জেলায় যাই। সেই সব টার্মিনালে ভাত ঢেলে খাওয়া যায়। যখন জামালপুরে আসি তখন মনে হয় নোংরা আবর্জনার মধ্যে যাচ্ছি। গত সরকার জামালপুরে অনেক উন্নত করেছে। কিন্তু টার্মিনালের কোনো উন্নতি করে নাই। জেলার একমাত্র টার্মিনাল। তার দাবি দ্রুত টার্মিনালটি উন্নত করা দরকার।

এক নারী যাত্রী বলেন, খুব খারাপ অবস্থা। গাড়ি থেকে নামতে পারি না। কোনো টয়লেট নেই। গাড়ি থেকে নেমে বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে বড় সমস্যা। রাস্তায় নামতে হয়। কাদার জন্য বাস টার্মিনালে ডুকে না। খাবার ব্যবস্থা নাই, বসার ব্যবস্থা নাই।

জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সরকার আব্দুল্লাহ আল মামুন বাবু বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে টার্মিনালের কোনো কাজ হয়নি। তাই অবস্থা খুবই খারাপ। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে আমরা ৮০ লাখ টাকা উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ করেছি। প্রকল্পটি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। তারা বড় প্রকল্প হিসেবে এটিকে প্রধান প্রকৌশলীর দপ্তরে পাঠিয়েছে। অনুমোদন পেলে টেন্ডারের মাধ্যমে কাজ শুরু করব।’

জানা গেছে, জাতীয় পার্টির সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে তৎকালীন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রেজা খান ১৯৮৩ সালে টার্মিনালটি নির্মাণ করেন। ২ একর ৮৮ শতাংশ জমির ওপর একতলা ভবন নির্মাণে ব্যয় হয়েছিল ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

Thumbnail image

নির্মাণের ৪২ বছর পার হলেও উন্নয়নের কোন ছোঁয়াই লাগেনি জামালপুর আন্ত:জেলা বাস টার্মিনালে। শহরের জামালপুর-টাঙ্গাইল মহাসড়কের দড়িপাড়া এলাকায় প্রতিষ্ঠিত আন্ত: সড়ক যোগাযোগের একমাত্র টার্মিনালটি দেখলে মনে হবে জরারজীর্ণ পরিত্যক্ত কোন স্থান।

টার্মিনাল ভবনের অবস্থাও করুণ। দেয়ালে ফাটল, ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ছে—সব মিলিয়ে যাত্রীদের মধ্যে সব সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা। নেই কোনো যাত্রীছাউনি, বিশ্রামাগার, খাবারের হোটেল কিংবা টয়লেট। টার্মিনাল এলাকাজুড়ে কাদামাটি আর আবর্জনায় ভরা। যদিও জেলা পরিষদ জানিয়েছে, টার্মিনাল উন্নয়নে প্রকল্প পাঠানো হয়েছে।

সড়ক পথে জামালপুর থেকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্নস্থানে যাতায়াতের একমাত্র বাস টার্মিনাল। এখান থেকে প্রতিদিন টাঙ্গাইল-ঢাকা,বগুড়া, পাবনা, বেনাপোলসহ ময়মনসিংহ রোড়ে বাস চলাচল করে। কিন্তু টার্মিনালটি জরার্জীণ এবং নোংরা হওয়ায় চালক শ্রমিক এবং যাত্রীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। থাকা খাওয়া এবং টয়লেট না থাকায় চরম বেকায়দায় পড়তে হচ্ছে তাদের ।

গাড়ির চালক, শ্রমিক এবং বিভিন্নস্থান থেকে আসা যাত্রীরা জানিয়েছেন, এই টার্মিনালের ভেতরে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই। রাস্তায় মেনে পড়তে হয়। ময়লা কাদামাটিতে নোংরা পরিবেশ। নেই কোন টয়লেট, খাবার দোকান। চালক বা শ্রমিকদের থাকা খাওয়ার চরম দূর্ভোগে পড়তে হয়। ঝড় বৃষ্টিতে ভিজে হয় যাত্রীদের।

চালক ফরমান খান বলেন, বাংলাদেশের কোথায় এই রকম বাস টার্মিনাল নেই। এতো নোংরা আবর্জনায় ভরা। গাড়ি থেকে নেমে কোথাও বিশ্রাম নেয়ার তো কোন ব্যবস্থাই নাই। গোসল খাবার এ গুলোর কোন কিছুই নাই। পুরো টার্মিনাল জরার্জীণ কি বলবো। এ কারণে যাত্রী কম আসে এখানে।

শ্রমিক জনি বলেন , দেশের বিভিন্ন জেলায় যাই। সেই সব টার্মিনালে ভাত ঢেলে খাওয়া যায়। যখন জামালপুরে আসি তখন মনে হয় নোংরা আবর্জনার মধ্যে যাচ্ছি। গত সরকার জামালপুরে অনেক উন্নত করেছে। কিন্তু টার্মিনালের কোনো উন্নতি করে নাই। জেলার একমাত্র টার্মিনাল। তার দাবি দ্রুত টার্মিনালটি উন্নত করা দরকার।

এক নারী যাত্রী বলেন, খুব খারাপ অবস্থা। গাড়ি থেকে নামতে পারি না। কোনো টয়লেট নেই। গাড়ি থেকে নেমে বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে বড় সমস্যা। রাস্তায় নামতে হয়। কাদার জন্য বাস টার্মিনালে ডুকে না। খাবার ব্যবস্থা নাই, বসার ব্যবস্থা নাই।

জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সরকার আব্দুল্লাহ আল মামুন বাবু বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে টার্মিনালের কোনো কাজ হয়নি। তাই অবস্থা খুবই খারাপ। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে আমরা ৮০ লাখ টাকা উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ করেছি। প্রকল্পটি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। তারা বড় প্রকল্প হিসেবে এটিকে প্রধান প্রকৌশলীর দপ্তরে পাঠিয়েছে। অনুমোদন পেলে টেন্ডারের মাধ্যমে কাজ শুরু করব।’

জানা গেছে, জাতীয় পার্টির সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে তৎকালীন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রেজা খান ১৯৮৩ সালে টার্মিনালটি নির্মাণ করেন। ২ একর ৮৮ শতাংশ জমির ওপর একতলা ভবন নির্মাণে ব্যয় হয়েছিল ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

বিষয়:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

জেলা নিয়ে আরও পড়ুন

পাহাড়ের ঢালে সোনালি রঙে দুলছে ধানের ক্ষেত

পাহাড়ের ঢালে সোনালি রঙে দুলছে ধানের ক্ষেত

চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে ছিল। তাতেই সাঙ্গু নদীর তীরে ধানের রোপনসহ জুমের ফলন ভালো হয়েছে। এবছরে জুমচাষীদের জুমফসল আশানুরূপ হবে বলে জানান তিনি

১ ঘণ্টা আগে
ফেনীতে সাংবাদিক মাহবুবুল হক পেয়ারার স্মরণসভা

ফেনীতে সাংবাদিক মাহবুবুল হক পেয়ারার স্মরণসভা

মাহবুবুল হক পেয়ারা ছিলেন আপাদমস্তক নিবেদিত প্রাণ সাংবাদিক। তাঁর মতো বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী মানুষের আজও প্রয়োজন রয়েছে। তিনি শুধু সাংবাদিকই নন, ছিলেন সংগঠক, জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব এবং সমাজসেবক

১ ঘণ্টা আগে
ফরিদপুরে আবারও  ৩ দিনের অবরোধ কর্মসূচি

ফরিদপুরে আবারও ৩ দিনের অবরোধ কর্মসূচি

গত ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ইং তারিখে নির্বাচন কমিশন সীমানা পুনর্বিন্যাস এর নামে সম্পূর্ন অযৌক্তিক ভাবে আমাদের ভাংগা উপজেলার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়ন কে ফরিদপুর-২ (নগরকান্দা-সালথা) এর সঙ্গে সংযুক্ত করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে

২ ঘণ্টা আগে
দেশের নদীবন্দরসমূহকে ১ নং সতর্কতা সংকেত

দেশের নদীবন্দরসমূহকে ১ নং সতর্কতা সংকেত

রাজধানীসহ দেশের ১৪ জেলার ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অফিস। একইসঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলেও সতর্কবার্তা দিয়েছে সংস্থাটি

৩ ঘণ্টা আগে
পাহাড়ের ঢালে সোনালি রঙে দুলছে ধানের ক্ষেত

পাহাড়ের ঢালে সোনালি রঙে দুলছে ধানের ক্ষেত

চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে ছিল। তাতেই সাঙ্গু নদীর তীরে ধানের রোপনসহ জুমের ফলন ভালো হয়েছে। এবছরে জুমচাষীদের জুমফসল আশানুরূপ হবে বলে জানান তিনি

১ ঘণ্টা আগে
ফেনীতে সাংবাদিক মাহবুবুল হক পেয়ারার স্মরণসভা

ফেনীতে সাংবাদিক মাহবুবুল হক পেয়ারার স্মরণসভা

মাহবুবুল হক পেয়ারা ছিলেন আপাদমস্তক নিবেদিত প্রাণ সাংবাদিক। তাঁর মতো বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী মানুষের আজও প্রয়োজন রয়েছে। তিনি শুধু সাংবাদিকই নন, ছিলেন সংগঠক, জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব এবং সমাজসেবক

১ ঘণ্টা আগে
ফরিদপুরে আবারও  ৩ দিনের অবরোধ কর্মসূচি

ফরিদপুরে আবারও ৩ দিনের অবরোধ কর্মসূচি

গত ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ইং তারিখে নির্বাচন কমিশন সীমানা পুনর্বিন্যাস এর নামে সম্পূর্ন অযৌক্তিক ভাবে আমাদের ভাংগা উপজেলার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়ন কে ফরিদপুর-২ (নগরকান্দা-সালথা) এর সঙ্গে সংযুক্ত করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে

২ ঘণ্টা আগে
দেশের নদীবন্দরসমূহকে ১ নং সতর্কতা সংকেত

দেশের নদীবন্দরসমূহকে ১ নং সতর্কতা সংকেত

রাজধানীসহ দেশের ১৪ জেলার ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অফিস। একইসঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলেও সতর্কবার্তা দিয়েছে সংস্থাটি

৩ ঘণ্টা আগে