ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে মারধরের শিকার হওয়ার পর ভুক্তভোগীদের বিরুদ্ধেই উল্টো মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে নুরনবী সেন্টু গং এর বিরুদ্ধে।

বুধবার (২১ মে) পৌরসভা ৭নং ওয়ার্ডে নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী আলমগীর ডাক্তারের স্ত্রী নার্গিস বেগম সহ অন্যান্যরা।

স্থানীয় সূত্র ও ভুক্তভোগী পরিবার দাবি করেছে, দীর্ঘদিন ধরে জমির মালিকানা নিয়ে বিরোধ চলছিল। সম্প্রতি সেই বিরোধের জের ধরে মারধরের শিকার হন কয়েকজন, কিন্তু ঘটনার পরপরই উল্টোভাবে ভুক্তভোগীদের বিরুদ্ধেই মামলা দায়ের করা হয়।

ভুক্তভোগীরা জানান, ঘটনাটি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে তদন্ত চলছে বলে জানা গেছে।

চরফ্যাশনে স্থানীয় প্রভাবশালী 'নিষিদ্ধ' আওয়ামী লীগ নেতা ও কাউন্সিলর মিলনের অনুসারীদের বিরুদ্ধে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ এনেছেন নার্গিস বেগম নামের এক ভুক্তভোগী নারী। তিনি জানান, ১৬ মে চরফ্যাশন থানায় তিনি ও তার স্বামী হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের করেন। কিন্তু এর ঠিক পরদিন, ১৭ মে, উল্টো হামলাকারীরা তাদের বিরুদ্ধেই মিথ্যা মামলা দায়ের করে।

নারগিস বেগম বলেন, “বিগত সময়েও তারা ক্ষমতার দাপটে আমাদের নির্যাতন করতো। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরও তাদের প্রভাব কমেনি।” তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “৬-৭ জন মিলে আমাকে ও আমার স্বামীকে বেধড়ক মারধর করলো, অথচ এখন আমরা হয়েছি অভিযুক্ত!”

তিনি প্রশ্ন তোলেন, “নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতা মিলনের এত খুঁটির জোর কোথায়?” একইসঙ্গে তিনি তাদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলাটি দ্রুত প্রত্যাহারের দাবি জানান।

একই মামলার শিকার কাশেম ডাক্তার জানান, “জমি নিয়ে আমার সঙ্গে কারো কোনো বিরোধ নেই, এমনকি ঘটনার সময় আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিতিও ছিলাম না।

পৌর শ্রমিক নেতা নুরু সাজিসহ একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, যে-সব ব্যক্তি হামলার শিকার হয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধেই হামলাকারীরা মামলা করেছে—এটি অত্যন্ত দুঃখজনক।