ক্ষোভে-হতাশায় শহিদ পরিবার
ফেনী
স্বৈরাচারবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় ফেনীর মহিপালে ৭ জন শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে, কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যার ঘটনায় দায়ের হওয়া ২২ মামলার অধিকাংশ আসামিই এখনও অধরা। ফলে ক্ষোভ ও হতাশায় ভুগছেন শহিদদের পরিবার।
২০২৪ সালের ৪ আগস্ট ফেনীর মহিপাল উড়াল সেতুর নিচে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চলাকালে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা চালায় আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। ওই হামলায় প্রাণ হারান ফুলগাজীর ইশতিয়াক আহম্মেদ শ্রাবণ, দাগনভূঞার সারওয়ার জাহান মাসুদ, সোনাগাজীর মাহবুবুল হাসান মাসুম, জাকির হোসেন শাকিব, ফেনী সদরের সাইদুল ইসলাম, ওয়াকিল আহম্মেদ শিহাব এবং পৌর এলাকার মোহাম্মদ সবুজ।
২২টি মামলা, ৬১৯৯ আসামি:
ফেনী জেলা পুলিশ জানায়, ঘটনার পর ৭টি হত্যা ও ১৫টি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের হয়েছে। এতে এজাহারনামীয় আসামি ২১৯৯ জন এবং অজ্ঞাত আসামি ৪ হাজার জন। এসব মামলায় ফেনী-২ আসনের সাবেক এমপি নিজাম উদ্দিন হাজারী, ফেনী-১ আসনের সাবেক এমপি আলাউদ্দিন আহমেদ নাসিম, ফেনী-৩ এর সাবেক এমপি মাসুদ উদ্দিন চৌধুরীসহ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় শীর্ষ নেতাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
তালিকায় আরও রয়েছেন:
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, ফেনী পৌরসভার সাবেক মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী, ছাগলনাইয়ার সাবেক চেয়ারম্যান মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল,যুবলীগ সভাপতি দিদারুল কবির রতন,মেয়র নিজাম উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী সাজেল,সাবেক চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন মাহমুদ লিপটন,যুবলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম পিটু ও জিয়া উদ্দিন বাবলু প্রমুখ। "বিচারই একমাত্র চাওয়া" - শহিদ পরিবারের
শ্রাবণের বাবা নেছার আহম্মদ বলেন,“অনেক আসামি দেশ ছেড়েছে, আর যারা দেশেই আছে, তারা এখনো ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। সন্তানের রক্ত বৃথা যাবে না—এই আশাতেই আছি।”
শ্রাবণের মা ফাতেমা আক্তার শিউলি বলেন,“৪ আগস্টের পর সব আনন্দ হারিয়ে গেছে। এখন শুধু একটা ন্যায্য বিচার চাই।”
"রক্তে ভেসে গিয়েছিল হাসপাতাল"
ঘটনার দিন ফেনী জেনারেল হাসপাতালে দায়িত্বে ছিলেন সিনিয়র স্টাফ নার্স মো. তরিকুজ্জামান। তিনি বলেন,“একটার পর একটা গুলিবিদ্ধ মরদেহ ও আহত আসতে থাকল। ইমার্জেন্সি পুরো রক্তে সয়লাব হয়ে গিয়েছিল।”
মেডিকেল অফিসার ডা. নাজমুল হক সাম্মি বলেন,“প্রতিটি রোগী গুরুতর আহত ছিল। আমরা হিমশিম খাচ্ছিলাম রক্তক্ষরণ ঠেকাতে।”
আইনি অগ্রগতি কতটুকু?
মামলার আইনজীবী মেজবা উদ্দিন ভূঁইয়া জানান,“সিসিটিভি ফুটেজে অস্ত্রধারীদের শনাক্ত করা সম্ভব হলেও বড় মাপের কেউই এখনো ধরা পড়েনি। রাঘববোয়ালরা ধরা না পড়লে বিচার কীভাবে হবে?”
পুলিশ বলছে অভিযান চলমান
ফেনীর পুলিশ সুপার মো. হাবিবুর রহমান জানান,“এখন পর্যন্ত ১ হাজারের বেশি আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ১১ জন আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। একটি মামলায় চার্জশিট দাখিল হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”
সর্বশেষ
বিচার না হলে মহিপালের শহিদদের আত্মত্যাগ প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে থাকবে—এমন আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। শহিদ পরিবার ও আন্দোলনকারীদের একমাত্র দাবি, যেন সকল আসামিকে আইনের আওতায় এনে দ্রুত বিচার নিশ্চিত করা হয়।
স্বৈরাচারবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় ফেনীর মহিপালে ৭ জন শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে, কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যার ঘটনায় দায়ের হওয়া ২২ মামলার অধিকাংশ আসামিই এখনও অধরা। ফলে ক্ষোভ ও হতাশায় ভুগছেন শহিদদের পরিবার।
২০২৪ সালের ৪ আগস্ট ফেনীর মহিপাল উড়াল সেতুর নিচে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চলাকালে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা চালায় আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। ওই হামলায় প্রাণ হারান ফুলগাজীর ইশতিয়াক আহম্মেদ শ্রাবণ, দাগনভূঞার সারওয়ার জাহান মাসুদ, সোনাগাজীর মাহবুবুল হাসান মাসুম, জাকির হোসেন শাকিব, ফেনী সদরের সাইদুল ইসলাম, ওয়াকিল আহম্মেদ শিহাব এবং পৌর এলাকার মোহাম্মদ সবুজ।
২২টি মামলা, ৬১৯৯ আসামি:
ফেনী জেলা পুলিশ জানায়, ঘটনার পর ৭টি হত্যা ও ১৫টি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের হয়েছে। এতে এজাহারনামীয় আসামি ২১৯৯ জন এবং অজ্ঞাত আসামি ৪ হাজার জন। এসব মামলায় ফেনী-২ আসনের সাবেক এমপি নিজাম উদ্দিন হাজারী, ফেনী-১ আসনের সাবেক এমপি আলাউদ্দিন আহমেদ নাসিম, ফেনী-৩ এর সাবেক এমপি মাসুদ উদ্দিন চৌধুরীসহ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় শীর্ষ নেতাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
তালিকায় আরও রয়েছেন:
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, ফেনী পৌরসভার সাবেক মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী, ছাগলনাইয়ার সাবেক চেয়ারম্যান মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল,যুবলীগ সভাপতি দিদারুল কবির রতন,মেয়র নিজাম উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী সাজেল,সাবেক চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন মাহমুদ লিপটন,যুবলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম পিটু ও জিয়া উদ্দিন বাবলু প্রমুখ। "বিচারই একমাত্র চাওয়া" - শহিদ পরিবারের
শ্রাবণের বাবা নেছার আহম্মদ বলেন,“অনেক আসামি দেশ ছেড়েছে, আর যারা দেশেই আছে, তারা এখনো ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। সন্তানের রক্ত বৃথা যাবে না—এই আশাতেই আছি।”
শ্রাবণের মা ফাতেমা আক্তার শিউলি বলেন,“৪ আগস্টের পর সব আনন্দ হারিয়ে গেছে। এখন শুধু একটা ন্যায্য বিচার চাই।”
"রক্তে ভেসে গিয়েছিল হাসপাতাল"
ঘটনার দিন ফেনী জেনারেল হাসপাতালে দায়িত্বে ছিলেন সিনিয়র স্টাফ নার্স মো. তরিকুজ্জামান। তিনি বলেন,“একটার পর একটা গুলিবিদ্ধ মরদেহ ও আহত আসতে থাকল। ইমার্জেন্সি পুরো রক্তে সয়লাব হয়ে গিয়েছিল।”
মেডিকেল অফিসার ডা. নাজমুল হক সাম্মি বলেন,“প্রতিটি রোগী গুরুতর আহত ছিল। আমরা হিমশিম খাচ্ছিলাম রক্তক্ষরণ ঠেকাতে।”
আইনি অগ্রগতি কতটুকু?
মামলার আইনজীবী মেজবা উদ্দিন ভূঁইয়া জানান,“সিসিটিভি ফুটেজে অস্ত্রধারীদের শনাক্ত করা সম্ভব হলেও বড় মাপের কেউই এখনো ধরা পড়েনি। রাঘববোয়ালরা ধরা না পড়লে বিচার কীভাবে হবে?”
পুলিশ বলছে অভিযান চলমান
ফেনীর পুলিশ সুপার মো. হাবিবুর রহমান জানান,“এখন পর্যন্ত ১ হাজারের বেশি আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ১১ জন আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। একটি মামলায় চার্জশিট দাখিল হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”
সর্বশেষ
বিচার না হলে মহিপালের শহিদদের আত্মত্যাগ প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে থাকবে—এমন আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। শহিদ পরিবার ও আন্দোলনকারীদের একমাত্র দাবি, যেন সকল আসামিকে আইনের আওতায় এনে দ্রুত বিচার নিশ্চিত করা হয়।
টাঙ্গাইলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মামলায় গ্রেফতারকৃত জেলা মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি আমীর হামজাকে (৭৯) কারাগারে প্রেরণ করেছে আদালত।
১৩ ঘণ্টা আগেপঞ্চগড়ের আটোয়ারী ও সদর উপজেলায় পুকুর ও ডোবার পানিতে ডুবে তিন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (২০ আগস্ট) বিকেলে আটোয়ারী উপজেলার বলরামপুর ইউনিয়নের আরাজী মন্ডলহাট বলরামপুর, চুচুলী পটেশ্বরী ও সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের ফুঁটকিপাড়া এলাকায় এসব ঘটনা ঘটে।
১৪ ঘণ্টা আগেজামালপুর একটি শান্তিপূর্ণ জেলা। তবে মাঝে মধ্যে জেলায় মাজার ভাঙার সুর এসেছে এবং এখনো আসতেছে। আমরা সজাগ আছি এবং পুলিশ প্রশাসনকে বলবো আপনারাও সজাগ থাকবেন। । এখানে কিছু ধর্ম ব্যবসায়ী আছে যারা উসকানি দিয়ে থাকেন ব্যবসা টিকিয়ে রাখার জন্য। তারা সবসময় জামালপুরকে অশান্ত রাখতে চায়
১৬ ঘণ্টা আগেরেমিট্যান্স যোদ্ধা হিসাবে দেশে যেখানে আমার সর্বোচ্চ সম্মান পাওয়ার কথা থাকলেও আইন প্রয়োগকারী সংস্থা পুলিশের একজন দায়িত্বশীল ওসি সাহেবের প্রত্যক্ষ ইন্ধনে সাবেক স্ত্রীর দ্বারা বে-আইনিভাবে নির্যাতনের শিকার হয়ে পথে পথে ঘুরে বেড়াচ্ছি
১৭ ঘণ্টা আগেটাঙ্গাইলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মামলায় গ্রেফতারকৃত জেলা মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি আমীর হামজাকে (৭৯) কারাগারে প্রেরণ করেছে আদালত।
পঞ্চগড়ের আটোয়ারী ও সদর উপজেলায় পুকুর ও ডোবার পানিতে ডুবে তিন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (২০ আগস্ট) বিকেলে আটোয়ারী উপজেলার বলরামপুর ইউনিয়নের আরাজী মন্ডলহাট বলরামপুর, চুচুলী পটেশ্বরী ও সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের ফুঁটকিপাড়া এলাকায় এসব ঘটনা ঘটে।
জামালপুর একটি শান্তিপূর্ণ জেলা। তবে মাঝে মধ্যে জেলায় মাজার ভাঙার সুর এসেছে এবং এখনো আসতেছে। আমরা সজাগ আছি এবং পুলিশ প্রশাসনকে বলবো আপনারাও সজাগ থাকবেন। । এখানে কিছু ধর্ম ব্যবসায়ী আছে যারা উসকানি দিয়ে থাকেন ব্যবসা টিকিয়ে রাখার জন্য। তারা সবসময় জামালপুরকে অশান্ত রাখতে চায়
রেমিট্যান্স যোদ্ধা হিসাবে দেশে যেখানে আমার সর্বোচ্চ সম্মান পাওয়ার কথা থাকলেও আইন প্রয়োগকারী সংস্থা পুলিশের একজন দায়িত্বশীল ওসি সাহেবের প্রত্যক্ষ ইন্ধনে সাবেক স্ত্রীর দ্বারা বে-আইনিভাবে নির্যাতনের শিকার হয়ে পথে পথে ঘুরে বেড়াচ্ছি