জামালপুর
জামালপুর শহরে দিন দিন বেড়েই চলছে অপরাধ। আর এই অপরাধী শনাক্তে ও এদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করেও ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে সদর থানা পুলিশ।
২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নামে কয়েকটি মামলা হলেও সেই মামলার আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশের নেই তেমন কোনো তৎপরতা। চুনোপুটি কয়েকজন গ্রেফতার হলেও ধরা ছোয়ার বাইরে রয়েছে রাঘব বোয়ালরা।
অন্যদিকে জামালপুরের রাণীগঞ্জ পতিতালয়ে মাদক ক্রয়-বিক্রয় কয়েকদিন যাবত কিছুটা নিয়ন্ত্রনে থাকলেও শহরের বিভিন্ন এলাকায় মাদক বিক্রি ও মাদক সেবনের প্রবনতা বেড়েছ। তবে এদের গ্রেফতারের সংখ্যা তুলানামূলক কম। এছাড়াও জামালপুর সদর থানায় বিভিন্ন চুরির অভিযোগ জমা না নিয়ে সাধারন ডায়েরী করার পরামর্শ দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ জমা দেয়ার পর সেটি এফআইআর করতে দীর্ঘ সময় নেয়া ও ভোগান্তির অভিযোগ করেছেন অনেকে।
চলতি বছরে জামালপুর থানায় চুরির ঘটনায় মামলা হয়েছে ৪০টির বেশি। আর সাধারন ডায়েরী হয়েছে এর তিন থেকে চার গুন বেশি। তবে বাস্তবিক চিত্রে সদর উপজেলাতে এমন অপরাধের সংখ্যা আরো কয়েক গুন বেশি আর এসব সমাধান বা নিষ্পত্তির সংখ্যা খুবই কম বলে দাবি করেছে জেলার সচেতন ব্যক্তিরা।
দিন দিন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় আশঙ্কা, উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠায় দিন পার করছে শহরবাসী। এসব বিষয় নিয়ে জামালপুর বাসীর মাঝে চাপা ক্ষোভ থাকলেও পুলিশের ভয়ে কিছু বলতে সাহস পাননা অনেকে।
বিভিন্ন মামলার ক্ষেত্রেও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে ভুক্তভোগীদের। থানায় মামলা এফআইআর-এর ক্ষেত্রে দীর্ঘ সময় নেয়া, আসামী গ্রেফতারের পুলিশের উদাসীনতার কারনে বিপাকে পড়তে হচ্ছে ভুক্তভোগীদের।
অন্যদিকে জামালপুর শহরে এখন হাত বাড়ালেই পাওয়া যাচ্ছে মাদক। বেড়েই চলেছে মাদক বিক্রি ও সেবনের প্রবনতা। পুরো শহরের বিভিন্ন স্থানে মাদক বিক্রি হলেও সবচেয়ে বেশি মাদক বিক্রি হয় মুসলিমাবাদ, বাগেরহাটা ও গেইটপাড় এলাকায়। মাদক ব্যবসায়ীদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এই অঞ্চলের লোকজন। সবচেয়ে বেশি বেচাকেনা হয় মদ, গাজা, ইয়াবা ও হেরোইন।
জেলার সচেতন ব্যক্তিরা বলছেন- অপরাধ দমনে সদর থানার নিষ্ক্রিয়তা, অযোগ্যতাসহ নানা কারনে বেড়েছে চুরির ঘটনা। এছাড়াও সমাধান না পাওয়ায় অনেকে নিচ্ছেন না আইনী পদক্ষেপ।
জামালপুরের বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী জাহাঙ্গীর সেলিম বলেন -‘২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর কয়েক দিন পুলিশ না থাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যে অবনতি হয়েছিলো। বর্তমানে জামালপুর শহরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক তেমন না হলেও খুব একটি ভালো নয়। এর কারন হিসেবে আমি যেটি মনে করি- জামালপুর সদর পরিচালনার ক্ষেত্রে পুলিশের যে চেয়ারে যেমন দক্ষ ও যোগ্য কর্মকর্তা থাকা প্রয়োজন, সেই চেয়ারে তেমন কর্মকর্তা নেই। তারা চাইলেও অপরাধ দমন করতে পারছেন না। কারন তারা সেভাবে দক্ষ ও যোগ্য নয়।’
জামালপুর জেলা পুলিশের একাধিক কর্মকর্তার সাথে কথা বলে জানা যায়-জামালপুর থানার বর্তমান অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) আবু ফয়সল মোঃ আতিক দীর্ঘদিন ট্যুরিস্ট পুলিশে কর্মরত ছিলেন। ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর তিনি জামালপুর সদর থানায় যোগদান করেন। তাই তার কাজ খুবই ধীরগতির ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে দেখা যায় তার অবহেলা। জামালপুর জেলা পুলিশের কর্মকর্তাদের দাপ্তরিক চাপ তিনি গ্রাহ্য করেন না। তাই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হলেও ওসি আবু ফয়সল মোঃ আতিক নিজ গতিতেই কাজ চালিয়ে যান। এসব কারনে তাকে কয়েক বার বদলির চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় জেলা পুলিশ। তাই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে জামালপুর থানার উপর ভরসা না করে জেলা গোয়েন্দা শাখা(১)-কে কাজে লাগাচ্ছে জেলা পুলিশ।
জামালপুরের পুলিশ সুপার সৈয়দ রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান-এসব অপরাধ দমনে ডিএসবি ও ডিবিকে কার্যকরী ভূমিকা নেয়ার জন্য বলা হয়েছে। যারা এসব চুরির সাথে লিপ্ত, তাদেরকে আমরা আইনের আওতায় আনবো। এছাড়াও আমরা রাতের পাহারাদারদের সাথে যোগাযোগ করেছি।
জামালপুর শহরে দিন দিন বেড়েই চলছে অপরাধ। আর এই অপরাধী শনাক্তে ও এদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করেও ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে সদর থানা পুলিশ।
২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নামে কয়েকটি মামলা হলেও সেই মামলার আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশের নেই তেমন কোনো তৎপরতা। চুনোপুটি কয়েকজন গ্রেফতার হলেও ধরা ছোয়ার বাইরে রয়েছে রাঘব বোয়ালরা।
অন্যদিকে জামালপুরের রাণীগঞ্জ পতিতালয়ে মাদক ক্রয়-বিক্রয় কয়েকদিন যাবত কিছুটা নিয়ন্ত্রনে থাকলেও শহরের বিভিন্ন এলাকায় মাদক বিক্রি ও মাদক সেবনের প্রবনতা বেড়েছ। তবে এদের গ্রেফতারের সংখ্যা তুলানামূলক কম। এছাড়াও জামালপুর সদর থানায় বিভিন্ন চুরির অভিযোগ জমা না নিয়ে সাধারন ডায়েরী করার পরামর্শ দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ জমা দেয়ার পর সেটি এফআইআর করতে দীর্ঘ সময় নেয়া ও ভোগান্তির অভিযোগ করেছেন অনেকে।
চলতি বছরে জামালপুর থানায় চুরির ঘটনায় মামলা হয়েছে ৪০টির বেশি। আর সাধারন ডায়েরী হয়েছে এর তিন থেকে চার গুন বেশি। তবে বাস্তবিক চিত্রে সদর উপজেলাতে এমন অপরাধের সংখ্যা আরো কয়েক গুন বেশি আর এসব সমাধান বা নিষ্পত্তির সংখ্যা খুবই কম বলে দাবি করেছে জেলার সচেতন ব্যক্তিরা।
দিন দিন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় আশঙ্কা, উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠায় দিন পার করছে শহরবাসী। এসব বিষয় নিয়ে জামালপুর বাসীর মাঝে চাপা ক্ষোভ থাকলেও পুলিশের ভয়ে কিছু বলতে সাহস পাননা অনেকে।
বিভিন্ন মামলার ক্ষেত্রেও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে ভুক্তভোগীদের। থানায় মামলা এফআইআর-এর ক্ষেত্রে দীর্ঘ সময় নেয়া, আসামী গ্রেফতারের পুলিশের উদাসীনতার কারনে বিপাকে পড়তে হচ্ছে ভুক্তভোগীদের।
অন্যদিকে জামালপুর শহরে এখন হাত বাড়ালেই পাওয়া যাচ্ছে মাদক। বেড়েই চলেছে মাদক বিক্রি ও সেবনের প্রবনতা। পুরো শহরের বিভিন্ন স্থানে মাদক বিক্রি হলেও সবচেয়ে বেশি মাদক বিক্রি হয় মুসলিমাবাদ, বাগেরহাটা ও গেইটপাড় এলাকায়। মাদক ব্যবসায়ীদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এই অঞ্চলের লোকজন। সবচেয়ে বেশি বেচাকেনা হয় মদ, গাজা, ইয়াবা ও হেরোইন।
জেলার সচেতন ব্যক্তিরা বলছেন- অপরাধ দমনে সদর থানার নিষ্ক্রিয়তা, অযোগ্যতাসহ নানা কারনে বেড়েছে চুরির ঘটনা। এছাড়াও সমাধান না পাওয়ায় অনেকে নিচ্ছেন না আইনী পদক্ষেপ।
জামালপুরের বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী জাহাঙ্গীর সেলিম বলেন -‘২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর কয়েক দিন পুলিশ না থাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যে অবনতি হয়েছিলো। বর্তমানে জামালপুর শহরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক তেমন না হলেও খুব একটি ভালো নয়। এর কারন হিসেবে আমি যেটি মনে করি- জামালপুর সদর পরিচালনার ক্ষেত্রে পুলিশের যে চেয়ারে যেমন দক্ষ ও যোগ্য কর্মকর্তা থাকা প্রয়োজন, সেই চেয়ারে তেমন কর্মকর্তা নেই। তারা চাইলেও অপরাধ দমন করতে পারছেন না। কারন তারা সেভাবে দক্ষ ও যোগ্য নয়।’
জামালপুর জেলা পুলিশের একাধিক কর্মকর্তার সাথে কথা বলে জানা যায়-জামালপুর থানার বর্তমান অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) আবু ফয়সল মোঃ আতিক দীর্ঘদিন ট্যুরিস্ট পুলিশে কর্মরত ছিলেন। ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর তিনি জামালপুর সদর থানায় যোগদান করেন। তাই তার কাজ খুবই ধীরগতির ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে দেখা যায় তার অবহেলা। জামালপুর জেলা পুলিশের কর্মকর্তাদের দাপ্তরিক চাপ তিনি গ্রাহ্য করেন না। তাই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হলেও ওসি আবু ফয়সল মোঃ আতিক নিজ গতিতেই কাজ চালিয়ে যান। এসব কারনে তাকে কয়েক বার বদলির চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় জেলা পুলিশ। তাই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে জামালপুর থানার উপর ভরসা না করে জেলা গোয়েন্দা শাখা(১)-কে কাজে লাগাচ্ছে জেলা পুলিশ।
জামালপুরের পুলিশ সুপার সৈয়দ রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান-এসব অপরাধ দমনে ডিএসবি ও ডিবিকে কার্যকরী ভূমিকা নেয়ার জন্য বলা হয়েছে। যারা এসব চুরির সাথে লিপ্ত, তাদেরকে আমরা আইনের আওতায় আনবো। এছাড়াও আমরা রাতের পাহারাদারদের সাথে যোগাযোগ করেছি।
পর্যটকদের সুন্দরবনে ভ্রমণের জন্য ভাড়া করা হয় নৌকা, ট্রলার। এসব নৌযানে কর্মরত শত শত শ্রমিকের আয় নির্ভর করে সুন্দরবন ভ্রমণ করতে আসা পর্যটকদের ওপর। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে সুন্দরবনে পর্যটক না আসায় ট্রলারগুলো অলস পড়ে আছে। আয় না থাকায় শ্রমিকরা পড়েছেন হতাশায়
১ ঘণ্টা আগেসাউথইস্ট ব্যাংকের চেয়ারম্যান এম এ কাসেম ক্যাম্পাসের উন্নয়নের নামে ৯০৯৬ দশমিক ৮৮ ডেসিমাল জমির ক্রয়মূল্য বাবদ ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ ১৩ হাজার ৪৯৭ টাকা অতিরিক্ত অর্থ হস্তান্তর, রূপান্তর, স্থানান্তর ও গোপন করার মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছেন। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে
১ ঘণ্টা আগেট্রেনটি যখন সিগনালের কাছাকাছি পৌঁছে, তখন বিকট শব্দে একে একে ছয়টি বগি রেললাইন থেকে ছিটকে যায়। তবে এতে বড় ধরনের কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি
১ ঘণ্টা আগেকনফারেন্সে এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় ২৪০ জন চিকিৎসক অংশগ্রহণ করবেন। চিকিৎসা বিজ্ঞানে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে এ সম্মেলন চিকিৎসকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি
১ ঘণ্টা আগেপর্যটকদের সুন্দরবনে ভ্রমণের জন্য ভাড়া করা হয় নৌকা, ট্রলার। এসব নৌযানে কর্মরত শত শত শ্রমিকের আয় নির্ভর করে সুন্দরবন ভ্রমণ করতে আসা পর্যটকদের ওপর। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে সুন্দরবনে পর্যটক না আসায় ট্রলারগুলো অলস পড়ে আছে। আয় না থাকায় শ্রমিকরা পড়েছেন হতাশায়
সাউথইস্ট ব্যাংকের চেয়ারম্যান এম এ কাসেম ক্যাম্পাসের উন্নয়নের নামে ৯০৯৬ দশমিক ৮৮ ডেসিমাল জমির ক্রয়মূল্য বাবদ ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ ১৩ হাজার ৪৯৭ টাকা অতিরিক্ত অর্থ হস্তান্তর, রূপান্তর, স্থানান্তর ও গোপন করার মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছেন। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে
ট্রেনটি যখন সিগনালের কাছাকাছি পৌঁছে, তখন বিকট শব্দে একে একে ছয়টি বগি রেললাইন থেকে ছিটকে যায়। তবে এতে বড় ধরনের কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি
কনফারেন্সে এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় ২৪০ জন চিকিৎসক অংশগ্রহণ করবেন। চিকিৎসা বিজ্ঞানে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে এ সম্মেলন চিকিৎসকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি