সোমবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৫
  • সর্বশেষ
  • বিশ্ব
  • বিশেষ সংবাদ
  • রাজনীতি
  • বিনোদন
  • জীবনযাপন
  • খেলা
  • বাংলাদেশ
  • অর্থনীতি
  • ইপেপার
  • ইপেপার
nikhad logo
অনুসরণ করুন
facebooktwittertiktokpinterestyoutubelinkedininstagramgoogle
  • নিখাদ খবর
  • বিজ্ঞাপন
  • সার্কুলেশন
  • শর্তাবলি ও নীতিমালা
  • গোপনীয়তা নীতি
  • যোগাযোগ
স্বত্ব: ©️ দৈনিক নিখাদ খবর|ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: পারভীন আফরোজ খান ওপ্রকাশক: আ. হ. ম তারেক উদ্দীন
বাংলাদেশ
পরিবেশ

দখল-দূষণে মৃতপ্রায় বামনডাঙ্গা নদী

প্রতিনিধি
নীলফামারী
প্রকাশ : ১৩ জুলাই ২০২৫, ১৪: ৩২
logo

দখল-দূষণে মৃতপ্রায় বামনডাঙ্গা নদী

নীলফামারী

প্রকাশ : ১৩ জুলাই ২০২৫, ১৪: ৩২
Photo
ছবি: প্রতিনিধি

নীলফামারীর বুক চিরে এক সময়ের স্রোতস্বিনী নদী বামনডাঙ্গা এখন মরা নদীতে পরিণত হয়েছে। প্রায় ২’শ ৫০ জন দখলদারদের কবলে পরে বামনডাঙ্গা তার চিরচেনা রূপ হারিয়েছে। কচুরীপানায় ভরে গেছে। এখন মশা-মাছির ভাগাড়। নদী তীরবর্তী লোকজন দুর্গন্ধে অতিষ্টে দিন কাটাচ্ছে। নদীর দু’পাশ জুড়ে নতুন স্থাপনা গড়ে উঠছে। নীলফামারী কৃষি খামার থেকে সিংদই পর্যন্ত প্রায় সাত কিলোমিটার বিস্তৃত এই বামনডাঙ্গা নদী।

প্রাচীনকাল থেকে বাণিজ্যিক নৌ চলাচলে ব্যস্ত ছিল স্রোতমান বামনডাঙ্গা নদী। এই নদী ঘেঁষে গড়ে উঠেছিল শাঁখামাচা বন্দর। ওই বন্দর এখন নীলফামারী শহর। গত দেড় দশকে নীলফামারী শহরের দালান-কোঠা, রাস্তা-ঘাটের আমূল পরিবর্তন হয়েছে। সাথে দখলদারদের কবলে গেছে এতিহ্যবাহী বামনডাঙ্গা নদী। আর এস, সি এস, ও বিএস খতিয়ানে এর কোন কাগুজে রেকর্ড না থাকায় প্রায় ২’শ ৫০ জন দখলদার তাদের নামে রেকর্ড করে নেয়। নদীর বাকী অংশ ডোবা, নালা, ভিটা হিসাবে খাস খতিয়ানে নথিভুক্ত আছে। ব্যক্তি মালিকানাধীন দখলদারদের পাশাপাশি সরকারি অফিস বিএডিসি, পৌরসভা ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে এই নদীর উপর। দখলদাররা চেপে ধরেছে বামনডাঙ্গা নদীকে। এখন স্রোতহীন একটি মরা নদী। কোথাও ময়লা ও আবর্জনার স্তূপ। কোথাও নদীর মাঝখানে বসত বাড়ির ওয়াল। আবার কোথাও গড়ে উঠেছে বড় বড় স্থাপনা। পানির দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে শহরবাসী। মশা-মাছির ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। শহরের একমাত্র পানি নিষ্কাশনের পথ এই নদীটি হওয়ায় বিভিন্ন ড্রেনের লাইন দেয়া হয়েছে নদীতে।

ঐতিহ্যবাহী এই নদীর বিষয়ে রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও নদী উদ্ধার এবং নদী গবেষণা প্রতিষ্ঠান রিভারাইন পিপলের পরিচালক ড. তুহিন ওয়াদুদ বলেন, বামনডাঙ্গার উৎসমুখে রাস্তা, কিছু স্থাপনা সরিয়ে খনন কাজ করলে এর চিরচেনা রূপ ফিরে আসবে। নদীর মর্যাদা ও প্রাকৃতিক প্রবাহ পুনর্গঠন করতে ‘দিয়ারা জরিপে’র মাধ্যমে নদী উদ্ধার সম্ভব।

নীলফামারী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আতিকুর রহমান বলেন, ২০১৯ সালে বামনডাঙ্গা নদীর সাত কিলোমিটার খনন কাজ শুরু করা হয়েছিল। কিন্তু প্রভাবশালীদের দখল আর সীমানা জটিলতায় নদী খনন কাজ থেমে যায়। এসময় মাত্র শতকরা ৩০ ভাগ খনন কাজ করা সম্ভব হয়েছিল। পরে ২০২০ সালে নীলফামারী জেলা প্রশাসকের তত্বাবধানে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করে প্রায় ২‘শ ৫০ জন অবৈধ দখলদারদের নাম তালিকাভুক্ত করা হয়। ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে কাগুজে-কলমে বামনডাঙ্গা নদীর নামে শ্রেণি পরিবর্তন করার জন্য সিদ্ধান্ত হয় বলে তিনি জানান। খুব শীঘ্রই এই কাজ হাতে নেয়া হবে।

আনন্দবাবুর পুর এলাকার এলাকার ষাটর্ধো সাংবাদিক সুজা মির্ধা বলেন, এই নদীতে দেবী চৌধুরানীর বজরা চলতো। বাণিজ্যিক নৌযানের আনাগোনা ছিল নিয়মিত। কিন্তু দখলবাজরা দখল করে নদীটিকে মৃত নালায় পরিণত করেছে। অনেকে নিজের নামেই রেকর্ড করেছে নদীটিকে। চারদিকে নদীর জায়গা দখল করে স্থাপনা গড়ে তুলেছে। এ সময় আমরা মঙলা হোটেলের মাচাং এর নিচে বড়শি দিয়ে মাছ ধরতাম। শুকনা কালেও নদীতে গোসল করতাম।

মাষ্টারপাড়া এলাকার আরিফ বলেন, শহরের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথ এই নদীটি। কিন্তু দখলবাজদের কারণে পানি বের হতে পারে না। ফলে সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এমনকি পানি জমে চরম দুর্গন্ধের সৃষ্টি হচ্ছে। গন্ধে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে। আমরা চাই নদীর আশেপাশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে পূনঃরায় নদী খোড়ার কাজ হাতে নেয়া হোক।

Thumbnail image
ছবি: প্রতিনিধি

নীলফামারীর বুক চিরে এক সময়ের স্রোতস্বিনী নদী বামনডাঙ্গা এখন মরা নদীতে পরিণত হয়েছে। প্রায় ২’শ ৫০ জন দখলদারদের কবলে পরে বামনডাঙ্গা তার চিরচেনা রূপ হারিয়েছে। কচুরীপানায় ভরে গেছে। এখন মশা-মাছির ভাগাড়। নদী তীরবর্তী লোকজন দুর্গন্ধে অতিষ্টে দিন কাটাচ্ছে। নদীর দু’পাশ জুড়ে নতুন স্থাপনা গড়ে উঠছে। নীলফামারী কৃষি খামার থেকে সিংদই পর্যন্ত প্রায় সাত কিলোমিটার বিস্তৃত এই বামনডাঙ্গা নদী।

প্রাচীনকাল থেকে বাণিজ্যিক নৌ চলাচলে ব্যস্ত ছিল স্রোতমান বামনডাঙ্গা নদী। এই নদী ঘেঁষে গড়ে উঠেছিল শাঁখামাচা বন্দর। ওই বন্দর এখন নীলফামারী শহর। গত দেড় দশকে নীলফামারী শহরের দালান-কোঠা, রাস্তা-ঘাটের আমূল পরিবর্তন হয়েছে। সাথে দখলদারদের কবলে গেছে এতিহ্যবাহী বামনডাঙ্গা নদী। আর এস, সি এস, ও বিএস খতিয়ানে এর কোন কাগুজে রেকর্ড না থাকায় প্রায় ২’শ ৫০ জন দখলদার তাদের নামে রেকর্ড করে নেয়। নদীর বাকী অংশ ডোবা, নালা, ভিটা হিসাবে খাস খতিয়ানে নথিভুক্ত আছে। ব্যক্তি মালিকানাধীন দখলদারদের পাশাপাশি সরকারি অফিস বিএডিসি, পৌরসভা ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে এই নদীর উপর। দখলদাররা চেপে ধরেছে বামনডাঙ্গা নদীকে। এখন স্রোতহীন একটি মরা নদী। কোথাও ময়লা ও আবর্জনার স্তূপ। কোথাও নদীর মাঝখানে বসত বাড়ির ওয়াল। আবার কোথাও গড়ে উঠেছে বড় বড় স্থাপনা। পানির দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে শহরবাসী। মশা-মাছির ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। শহরের একমাত্র পানি নিষ্কাশনের পথ এই নদীটি হওয়ায় বিভিন্ন ড্রেনের লাইন দেয়া হয়েছে নদীতে।

ঐতিহ্যবাহী এই নদীর বিষয়ে রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও নদী উদ্ধার এবং নদী গবেষণা প্রতিষ্ঠান রিভারাইন পিপলের পরিচালক ড. তুহিন ওয়াদুদ বলেন, বামনডাঙ্গার উৎসমুখে রাস্তা, কিছু স্থাপনা সরিয়ে খনন কাজ করলে এর চিরচেনা রূপ ফিরে আসবে। নদীর মর্যাদা ও প্রাকৃতিক প্রবাহ পুনর্গঠন করতে ‘দিয়ারা জরিপে’র মাধ্যমে নদী উদ্ধার সম্ভব।

নীলফামারী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আতিকুর রহমান বলেন, ২০১৯ সালে বামনডাঙ্গা নদীর সাত কিলোমিটার খনন কাজ শুরু করা হয়েছিল। কিন্তু প্রভাবশালীদের দখল আর সীমানা জটিলতায় নদী খনন কাজ থেমে যায়। এসময় মাত্র শতকরা ৩০ ভাগ খনন কাজ করা সম্ভব হয়েছিল। পরে ২০২০ সালে নীলফামারী জেলা প্রশাসকের তত্বাবধানে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করে প্রায় ২‘শ ৫০ জন অবৈধ দখলদারদের নাম তালিকাভুক্ত করা হয়। ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে কাগুজে-কলমে বামনডাঙ্গা নদীর নামে শ্রেণি পরিবর্তন করার জন্য সিদ্ধান্ত হয় বলে তিনি জানান। খুব শীঘ্রই এই কাজ হাতে নেয়া হবে।

আনন্দবাবুর পুর এলাকার এলাকার ষাটর্ধো সাংবাদিক সুজা মির্ধা বলেন, এই নদীতে দেবী চৌধুরানীর বজরা চলতো। বাণিজ্যিক নৌযানের আনাগোনা ছিল নিয়মিত। কিন্তু দখলবাজরা দখল করে নদীটিকে মৃত নালায় পরিণত করেছে। অনেকে নিজের নামেই রেকর্ড করেছে নদীটিকে। চারদিকে নদীর জায়গা দখল করে স্থাপনা গড়ে তুলেছে। এ সময় আমরা মঙলা হোটেলের মাচাং এর নিচে বড়শি দিয়ে মাছ ধরতাম। শুকনা কালেও নদীতে গোসল করতাম।

মাষ্টারপাড়া এলাকার আরিফ বলেন, শহরের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথ এই নদীটি। কিন্তু দখলবাজদের কারণে পানি বের হতে পারে না। ফলে সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এমনকি পানি জমে চরম দুর্গন্ধের সৃষ্টি হচ্ছে। গন্ধে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে। আমরা চাই নদীর আশেপাশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে পূনঃরায় নদী খোড়ার কাজ হাতে নেয়া হোক।

বিষয়:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পরিবেশ নিয়ে আরও পড়ুন

পরিত্যক্ত লোহা থেকে বছরে ৩০০ কোটি টাকার বাণিজ্য

পরিত্যক্ত লোহা থেকে বছরে ৩০০ কোটি টাকার বাণিজ্য

সৈয়দপুরে প্রায় ২০০টি কারখানা গড়ে উঠেছে। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগ্রহ করা পরিত্যক্ত লোহা এসব কারখানায় আনা হয়

৪৩ মিনিট আগে
আরিফুল হকের নেতৃত্বে সিলেটে গণ-অবস্থান

আরিফুল হকের নেতৃত্বে সিলেটে গণ-অবস্থান

সড়ক ও রেল যোগাযোগে বৈষম্য দূর এবং বিমানভাড়া কমানোর দাবিতে সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আরিফুল হক চৌধুরীর নেতৃত্বে নগরে অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হচ্ছে

১৬ ঘণ্টা আগে
দিশাহারা পঞ্চগড়ের আলু চাষিরা

দিশাহারা পঞ্চগড়ের আলু চাষিরা

আলু তোলার মৌসুমে ক্ষেতে তেমন পাইকার আসেনি। যা দু-একজন আলুর বেপারি আসে তারা প্রতি কেজি আলুর দাম হাকায় মাত্র ১২ থেকে ১৪ টাকা। উৎপাদন খরচ না উঠায় সেসময় আলু বিক্রি না করে উৎপাদন খরচ পুশিয়ে নিতে, বেশী দামের আশায়,কেজিতে আরো ৯ টাকা খরচ বাড়িয়ে হিমাগারে আলু সংরক্ষণ করেছি

১৬ ঘণ্টা আগে
নভেম্বরে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা

নভেম্বরে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা

নভেম্বরে সামগ্রিকভাবে দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এ মাসে বঙ্গোপসাগরে দুই থেকে তিনটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যার মধ্যে একটি নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে

১৬ ঘণ্টা আগে
পরিত্যক্ত লোহা থেকে বছরে ৩০০ কোটি টাকার বাণিজ্য

পরিত্যক্ত লোহা থেকে বছরে ৩০০ কোটি টাকার বাণিজ্য

সৈয়দপুরে প্রায় ২০০টি কারখানা গড়ে উঠেছে। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগ্রহ করা পরিত্যক্ত লোহা এসব কারখানায় আনা হয়

৪৩ মিনিট আগে
আরিফুল হকের নেতৃত্বে সিলেটে গণ-অবস্থান

আরিফুল হকের নেতৃত্বে সিলেটে গণ-অবস্থান

সড়ক ও রেল যোগাযোগে বৈষম্য দূর এবং বিমানভাড়া কমানোর দাবিতে সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আরিফুল হক চৌধুরীর নেতৃত্বে নগরে অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হচ্ছে

১৬ ঘণ্টা আগে
দিশাহারা পঞ্চগড়ের আলু চাষিরা

দিশাহারা পঞ্চগড়ের আলু চাষিরা

আলু তোলার মৌসুমে ক্ষেতে তেমন পাইকার আসেনি। যা দু-একজন আলুর বেপারি আসে তারা প্রতি কেজি আলুর দাম হাকায় মাত্র ১২ থেকে ১৪ টাকা। উৎপাদন খরচ না উঠায় সেসময় আলু বিক্রি না করে উৎপাদন খরচ পুশিয়ে নিতে, বেশী দামের আশায়,কেজিতে আরো ৯ টাকা খরচ বাড়িয়ে হিমাগারে আলু সংরক্ষণ করেছি

১৬ ঘণ্টা আগে
নভেম্বরে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা

নভেম্বরে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা

নভেম্বরে সামগ্রিকভাবে দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এ মাসে বঙ্গোপসাগরে দুই থেকে তিনটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যার মধ্যে একটি নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে

১৬ ঘণ্টা আগে