এইচ এম প্রফুল্ল
খাগড়াছড়ি এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী তৃপ্তি শংকর চাকমার বিরুদ্ধে অভিযোগের যেন অন্ত নেই। সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের জায়গা দখল করে পাঁচতলা ভবন নির্মাণ, সরকারি গাড়িতে ইট, বালুসহ নির্মাণ সামগ্রী পরিবহন,পরিবারের বাজার থেকে শুরু করে সর্বক্ষেত্রে সরকারি গাড়ি ব্যবহার, সরকারি অর্থ খরচ করে রেস্টুরেন্টের ড্রেন নির্মাণ ও তার দায়িত্বে অবহেলার কারণে দুই শ্রমিকের মৃত্যু এবং পাঁচ শ্রমিক আহত হওয়ার ঘটনায় মামলা হলেও প্রভাব খাটিয়ে মামলা প্রত্যাহারে বাধ্য করা এবং সর্বশেষ জন্মনিবন্ধন, নাগরিক সনদসহ অন্য সেবাপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে ঘুষ চাওয়া ও হয়রানির অভিযোগে বিক্ষোভ হয়।
জানা গেছে, খাগড়াছড়ি আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার সুপারিশে ২০২৪ সালের ৭ মার্চ তৃপ্তি শংকর চাকমা খাগড়াছড়ি এলজিইডিতে বদলি হয়ে আসেন। তার আগে তিনি খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের নির্বাহী প্রকৌশলী ছিলেন। খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদে বদলি হয়ে আসার পেছনেও খাগড়াছড়ির সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক পার্বত্য মন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার সুপারিশ ছিল। তৃপ্তি শংকর চাকমা খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদে নির্বাহী প্রকৌশলীর দায়িত্বে থাকাকালে ২০২২ সালের ৮ অক্টোবর বিকেলে জেলা পরিষদের নতুন ভবনের কেন্ডিলিবারের ছাদ ধসে দুই শ্রমিক নিহত ও ৫ শ্রমিক আহত হন। অভিযোগ ছিল, শনিবার বন্ধের দিন হওয়ায় ছাদ ঢালাইয়ে লোহার খুঁটির পরিবর্তে বাঁশ দিয়ে ঠেস দেওয়া হয়েছিল। সেন্টারিং সিস্টেম ছিল ত্রুটিপূর্ণ। ঘটনার পর জেলা পরিষদের নির্বাহী প্রকৌশলী তৃপ্তি শংকর চাকমা পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় ওই বছরের ৬ ডিসেম্বর খাগড়াছড়ি সদরের শালবন এলাকার সুরাজ খানের ছেলে জালাল খান বাদী হয়ে খাগড়াছড়ি চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (আমলি) আদালতে পিটিশন দিলে বিচারক মো. ফরিদুল আলম এজাহার হিসেবে গণ্য করার জন্য সদর থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। মামলায় দায়িত্বে অবহেলার জন্য সে সময়কার নির্বাহী প্রকৌশলী তৃপ্তি শংকর চাকমা ও খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরীসহ ছয়জনকে আসামি করা হয়। পরে সরকারি দলের প্রভাব খাটিয়ে বাদীকে আপসনামা দিয়ে মামলা প্রত্যাহার করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। তৃপ্তি শংকর চাকমা খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের নির্বাহী প্রকৌশলীর দায়িত্বে থাকাকালীন খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম আঞ্চলিক সড়কের হাতির কবরে বিপরীতে সড়কের পাশে পাকা ভবন নির্মাণ করেন। তবে এ ভবনের মালিক দেখানো হয় তার স্ত্রী কেমি চাকমাকে। নির্মাণাধীন পাঁচতলা সেই পাকা ভবনে তিনি বিলাসবহুল ‘বাঁশঝাড়’ নামে রেস্টুরেন্ট চালু করেছেন।
অভিযোগ রয়েছে,২০২২-২৩ অর্থবছরে তৃপ্তি শংকর চাকমা খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের নির্বাহী প্রকৌশলী থাকাকালীন খাগড়াছড়ি সদরে হাতির কবর সংলগ্ন স্থানে নিজের রেস্টুরেন্টে যাওয়ার জন্য ৬ লাখ ৯২ হাজার ২৫ টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়। সরকারি অর্থ ব্যয় করে ড্রেন নির্মাণের কথা তিনি অকপটে স্বীকারও করেছেন। সম্প্রতি সেই রেস্টুরেন্টে আবার মদের বার খোলার জন্য আবেদনও করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। পাঁচতলা ভবনের আন্ডারগ্রাউন্ডে স্টোর রুমে এবং শৌচাগার স্থাপন,ভবনের দ্বিতীয় তলায় লাইভ কিচেন ও রেস্টুরেন্ট, তৃতীয় তলায় তার আড্ডাখানা ও থাকার ব্যবস্থা। এখন চলছে চতুর্থ ও পঞ্চম তলার নির্মাণ কাজ।
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সাবেক সহকারী প্রকৌশলী প্রশান্ত কুমার হালদার বলেন, প্রতিটি প্রকল্প শেষে সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে মন্তব্য লিখতে হয়। কিন্তু এই প্রকল্পটি মন্তব্য ঘরে আমি কিছু লিখিনি। এর বেশি কিছু বলতে পারব না। অভিযোগ রয়েছে, নির্মাণাধীন ভবনের জন্য ইট, বালুসহ নির্মাণ সামগ্রী আনার ক্ষেত্রে তৃপ্তি শংকর চাকমা সরকারি গাড়ি ব্যবহার করছেন। সম্প্রতি সাংবাদিকদের ক্যামেরায় এমন দৃশ্য ধরা পড়ে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তৃপ্তি শংকর চাকমা বলেন, সরকার তাকে গাড়ি দিয়েছে। সে গাড়ি কোন কাজে ব্যবহার করবেন,সেটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার।
সরকারি অর্থে নিজের রেস্টুরেন্ট রক্ষার ড্রেন নির্মাণের কথা স্বীকার করে তৃপ্তি শংকর চাকমা বলেন, দায়িত্বে থাকলে সবাই কিছু না কিছু করে থাকেন। এটা দোষের কিছু না। এদিকে প্রকৌশলী তৃপ্তি শংকর চাকমা বিরুদ্ধে সড়ক ও জনপথ বিভাগের জায়গা দখল করে ভবন নির্মাণের অভিযোগে সড়ক বিভাগ দুই দফা উচ্ছেদ নোটিশ দিলেও প্রভাবশালী এ কর্মকর্তা সরকারের দখলি জায়গায় এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছেন।
খাগড়াছড়ি সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী মাকসুদর রহমান জানান, খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ঘেঁষে সড়ক বিভাগের ১৮০ ফুট জায়গা দখল করে ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছে। ভবনটি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার জন্য দুই দফা চিঠি দেওয়ার হলেও তিনি চিঠির কোনো জবাব দেননি। অবৈধ স্থাপনা তালিকাভুক্ত করে জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। প্রশাসনের সহযোগিতা পেলে উচ্ছেদ করা হবে। তবে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী তৃপ্তি শংকর চাকমা সড়ক বিভাগের দেওয়া চিঠি পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, এটি সড়কের জায়গায় নয়। এটি আমাদের রেকর্ডকৃত জায়গা।
২০২৩ সালের খাগড়াছড়ির সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত তৃপ্তি শংকর চাকমা খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদরে নির্বাহী প্রকৌশলীর দায়িত্বে থাকাকালীন পরিষদে ভুয়া প্রকল্পে কোটি কোটি টাকা লুটপাটের অভিযোগ ওঠে। প্রতিমন্ত্রী শ্বশুর কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা ও জামাই জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী মিলে ক্ষমতার অপব্যবহার করে পুরো জেলা পরিষদকে অনিয়ম আর অর্থ লোপাটের কারখানায় পরিণত করার সংবাদ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
অভিযোগ রয়েছে,নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে খাগড়াছড়ি এলজিইডি-তে যোগদানের পরও কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার সাথে সাথে যোগসাজসে নানা ভুয়া প্রকল্পের নামে ও প্রকল্প বাস্তবায়ন না করে রাষ্ট্রীয় অর্থ আত্মসাত করা হয়েছে। তবে আচার্য্যরে বিষয় হচ্ছে, জুলাই-আগষ্ট বিপ্লবের পর আওয়াম লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে অন্যতম সুবিধাভোগি কর্মকর্তা তৃপিত শংকর চাকমা এখন সাচ্ছা বিএনপি পহ্নী কর্মকর্তা বনে গেছেন। তৃপ্তি শংকর চাকমার শ্বশুর আবার খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রবীন চন্দ্র চাকমা।
অপর দিকে খাগড়াছড়িতে জন্মনিবন্ধন, নাগরিক সনদসহ অন্যান্য সেবা প্রত্যাশিদের কাছ থেকে ঘুষ চাওয়ার অভিযোগে খাগড়াছড়ি এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী তৃপ্তি শংকর চাকমার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছেন সেবাপ্রার্থীরা।
গত ৩০ জানুয়ারী দুপুরে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় ঘেরাও করে ঘন্টাব্যাপী বিক্ষোভ করা হয়। পরে স্থানীয় বিএনপির নেতৃবৃন্দ ও পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত ও প্রকাশিত হয়েছিল।
খাগড়াছড়ি এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী তৃপ্তি শংকর চাকমার বিরুদ্ধে অভিযোগের যেন অন্ত নেই। সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের জায়গা দখল করে পাঁচতলা ভবন নির্মাণ, সরকারি গাড়িতে ইট, বালুসহ নির্মাণ সামগ্রী পরিবহন,পরিবারের বাজার থেকে শুরু করে সর্বক্ষেত্রে সরকারি গাড়ি ব্যবহার, সরকারি অর্থ খরচ করে রেস্টুরেন্টের ড্রেন নির্মাণ ও তার দায়িত্বে অবহেলার কারণে দুই শ্রমিকের মৃত্যু এবং পাঁচ শ্রমিক আহত হওয়ার ঘটনায় মামলা হলেও প্রভাব খাটিয়ে মামলা প্রত্যাহারে বাধ্য করা এবং সর্বশেষ জন্মনিবন্ধন, নাগরিক সনদসহ অন্য সেবাপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে ঘুষ চাওয়া ও হয়রানির অভিযোগে বিক্ষোভ হয়।
জানা গেছে, খাগড়াছড়ি আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার সুপারিশে ২০২৪ সালের ৭ মার্চ তৃপ্তি শংকর চাকমা খাগড়াছড়ি এলজিইডিতে বদলি হয়ে আসেন। তার আগে তিনি খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের নির্বাহী প্রকৌশলী ছিলেন। খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদে বদলি হয়ে আসার পেছনেও খাগড়াছড়ির সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক পার্বত্য মন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার সুপারিশ ছিল। তৃপ্তি শংকর চাকমা খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদে নির্বাহী প্রকৌশলীর দায়িত্বে থাকাকালে ২০২২ সালের ৮ অক্টোবর বিকেলে জেলা পরিষদের নতুন ভবনের কেন্ডিলিবারের ছাদ ধসে দুই শ্রমিক নিহত ও ৫ শ্রমিক আহত হন। অভিযোগ ছিল, শনিবার বন্ধের দিন হওয়ায় ছাদ ঢালাইয়ে লোহার খুঁটির পরিবর্তে বাঁশ দিয়ে ঠেস দেওয়া হয়েছিল। সেন্টারিং সিস্টেম ছিল ত্রুটিপূর্ণ। ঘটনার পর জেলা পরিষদের নির্বাহী প্রকৌশলী তৃপ্তি শংকর চাকমা পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় ওই বছরের ৬ ডিসেম্বর খাগড়াছড়ি সদরের শালবন এলাকার সুরাজ খানের ছেলে জালাল খান বাদী হয়ে খাগড়াছড়ি চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (আমলি) আদালতে পিটিশন দিলে বিচারক মো. ফরিদুল আলম এজাহার হিসেবে গণ্য করার জন্য সদর থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। মামলায় দায়িত্বে অবহেলার জন্য সে সময়কার নির্বাহী প্রকৌশলী তৃপ্তি শংকর চাকমা ও খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরীসহ ছয়জনকে আসামি করা হয়। পরে সরকারি দলের প্রভাব খাটিয়ে বাদীকে আপসনামা দিয়ে মামলা প্রত্যাহার করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। তৃপ্তি শংকর চাকমা খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের নির্বাহী প্রকৌশলীর দায়িত্বে থাকাকালীন খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম আঞ্চলিক সড়কের হাতির কবরে বিপরীতে সড়কের পাশে পাকা ভবন নির্মাণ করেন। তবে এ ভবনের মালিক দেখানো হয় তার স্ত্রী কেমি চাকমাকে। নির্মাণাধীন পাঁচতলা সেই পাকা ভবনে তিনি বিলাসবহুল ‘বাঁশঝাড়’ নামে রেস্টুরেন্ট চালু করেছেন।
অভিযোগ রয়েছে,২০২২-২৩ অর্থবছরে তৃপ্তি শংকর চাকমা খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের নির্বাহী প্রকৌশলী থাকাকালীন খাগড়াছড়ি সদরে হাতির কবর সংলগ্ন স্থানে নিজের রেস্টুরেন্টে যাওয়ার জন্য ৬ লাখ ৯২ হাজার ২৫ টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়। সরকারি অর্থ ব্যয় করে ড্রেন নির্মাণের কথা তিনি অকপটে স্বীকারও করেছেন। সম্প্রতি সেই রেস্টুরেন্টে আবার মদের বার খোলার জন্য আবেদনও করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। পাঁচতলা ভবনের আন্ডারগ্রাউন্ডে স্টোর রুমে এবং শৌচাগার স্থাপন,ভবনের দ্বিতীয় তলায় লাইভ কিচেন ও রেস্টুরেন্ট, তৃতীয় তলায় তার আড্ডাখানা ও থাকার ব্যবস্থা। এখন চলছে চতুর্থ ও পঞ্চম তলার নির্মাণ কাজ।
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সাবেক সহকারী প্রকৌশলী প্রশান্ত কুমার হালদার বলেন, প্রতিটি প্রকল্প শেষে সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে মন্তব্য লিখতে হয়। কিন্তু এই প্রকল্পটি মন্তব্য ঘরে আমি কিছু লিখিনি। এর বেশি কিছু বলতে পারব না। অভিযোগ রয়েছে, নির্মাণাধীন ভবনের জন্য ইট, বালুসহ নির্মাণ সামগ্রী আনার ক্ষেত্রে তৃপ্তি শংকর চাকমা সরকারি গাড়ি ব্যবহার করছেন। সম্প্রতি সাংবাদিকদের ক্যামেরায় এমন দৃশ্য ধরা পড়ে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তৃপ্তি শংকর চাকমা বলেন, সরকার তাকে গাড়ি দিয়েছে। সে গাড়ি কোন কাজে ব্যবহার করবেন,সেটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার।
সরকারি অর্থে নিজের রেস্টুরেন্ট রক্ষার ড্রেন নির্মাণের কথা স্বীকার করে তৃপ্তি শংকর চাকমা বলেন, দায়িত্বে থাকলে সবাই কিছু না কিছু করে থাকেন। এটা দোষের কিছু না। এদিকে প্রকৌশলী তৃপ্তি শংকর চাকমা বিরুদ্ধে সড়ক ও জনপথ বিভাগের জায়গা দখল করে ভবন নির্মাণের অভিযোগে সড়ক বিভাগ দুই দফা উচ্ছেদ নোটিশ দিলেও প্রভাবশালী এ কর্মকর্তা সরকারের দখলি জায়গায় এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছেন।
খাগড়াছড়ি সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী মাকসুদর রহমান জানান, খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ঘেঁষে সড়ক বিভাগের ১৮০ ফুট জায়গা দখল করে ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছে। ভবনটি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার জন্য দুই দফা চিঠি দেওয়ার হলেও তিনি চিঠির কোনো জবাব দেননি। অবৈধ স্থাপনা তালিকাভুক্ত করে জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। প্রশাসনের সহযোগিতা পেলে উচ্ছেদ করা হবে। তবে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী তৃপ্তি শংকর চাকমা সড়ক বিভাগের দেওয়া চিঠি পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, এটি সড়কের জায়গায় নয়। এটি আমাদের রেকর্ডকৃত জায়গা।
২০২৩ সালের খাগড়াছড়ির সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত তৃপ্তি শংকর চাকমা খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদরে নির্বাহী প্রকৌশলীর দায়িত্বে থাকাকালীন পরিষদে ভুয়া প্রকল্পে কোটি কোটি টাকা লুটপাটের অভিযোগ ওঠে। প্রতিমন্ত্রী শ্বশুর কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা ও জামাই জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী মিলে ক্ষমতার অপব্যবহার করে পুরো জেলা পরিষদকে অনিয়ম আর অর্থ লোপাটের কারখানায় পরিণত করার সংবাদ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
অভিযোগ রয়েছে,নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে খাগড়াছড়ি এলজিইডি-তে যোগদানের পরও কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার সাথে সাথে যোগসাজসে নানা ভুয়া প্রকল্পের নামে ও প্রকল্প বাস্তবায়ন না করে রাষ্ট্রীয় অর্থ আত্মসাত করা হয়েছে। তবে আচার্য্যরে বিষয় হচ্ছে, জুলাই-আগষ্ট বিপ্লবের পর আওয়াম লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে অন্যতম সুবিধাভোগি কর্মকর্তা তৃপিত শংকর চাকমা এখন সাচ্ছা বিএনপি পহ্নী কর্মকর্তা বনে গেছেন। তৃপ্তি শংকর চাকমার শ্বশুর আবার খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রবীন চন্দ্র চাকমা।
অপর দিকে খাগড়াছড়িতে জন্মনিবন্ধন, নাগরিক সনদসহ অন্যান্য সেবা প্রত্যাশিদের কাছ থেকে ঘুষ চাওয়ার অভিযোগে খাগড়াছড়ি এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী তৃপ্তি শংকর চাকমার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছেন সেবাপ্রার্থীরা।
গত ৩০ জানুয়ারী দুপুরে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় ঘেরাও করে ঘন্টাব্যাপী বিক্ষোভ করা হয়। পরে স্থানীয় বিএনপির নেতৃবৃন্দ ও পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত ও প্রকাশিত হয়েছিল।
ভোরে সড়কের পাশে তাঁদের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। এদের একজনের মাথা থেতলে গেছে। পরে থানায় খবর দেন স্থানীয়রা। ধারণা করা হচ্ছে, রাতে দ্রুতগামী কোনো গাড়ি ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই তারা মারা যান
৬ মিনিট আগেবাংলাদেশে মাছ উৎপাদনে বিপ্লব ঘটেছে। স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে মৎস্য খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। দেশের পুষ্টি চাহিদা পূরণসহ অর্থনৈতিক উন্নয়নে মাছ চাষ ও উৎপাদন বড় অবদান রাখছে
২৭ মিনিট আগেআয়োজকরা অভিযোগ করেন, বহির্বিশ্বের চাপিয়ে দেওয়া নানা সিদ্ধান্তে দেশের অর্থনীতি ও শিল্পকারখানা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। একই সঙ্গে দেশের অভ্যন্তরে বিভাজন সৃষ্টির ষড়যন্ত্রও চলছে। বক্তারা বলেন, জনগণকে সংগঠিত করে এসব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করা হবে
২ ঘণ্টা আগেমোবাইল আসক্তি থেকে দূরে রাখতে বই পড়ার মাধ্যমে জ্ঞান অর্জন ও মনোরম পরিবেশে বই পড়ার ব্যবস্থার জন্য লাইব্রেরির নতুন ভবন উদ্বোধন করা হয়েছে। এছাড়াও বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বর্জ্য রিসাইক্লিন ব্যবস্থা কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়
২ ঘণ্টা আগেভোরে সড়কের পাশে তাঁদের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। এদের একজনের মাথা থেতলে গেছে। পরে থানায় খবর দেন স্থানীয়রা। ধারণা করা হচ্ছে, রাতে দ্রুতগামী কোনো গাড়ি ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই তারা মারা যান
বাংলাদেশে মাছ উৎপাদনে বিপ্লব ঘটেছে। স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে মৎস্য খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। দেশের পুষ্টি চাহিদা পূরণসহ অর্থনৈতিক উন্নয়নে মাছ চাষ ও উৎপাদন বড় অবদান রাখছে
আয়োজকরা অভিযোগ করেন, বহির্বিশ্বের চাপিয়ে দেওয়া নানা সিদ্ধান্তে দেশের অর্থনীতি ও শিল্পকারখানা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। একই সঙ্গে দেশের অভ্যন্তরে বিভাজন সৃষ্টির ষড়যন্ত্রও চলছে। বক্তারা বলেন, জনগণকে সংগঠিত করে এসব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করা হবে
মোবাইল আসক্তি থেকে দূরে রাখতে বই পড়ার মাধ্যমে জ্ঞান অর্জন ও মনোরম পরিবেশে বই পড়ার ব্যবস্থার জন্য লাইব্রেরির নতুন ভবন উদ্বোধন করা হয়েছে। এছাড়াও বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বর্জ্য রিসাইক্লিন ব্যবস্থা কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়