শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫
  • সর্বশেষ
  • বিশ্ব
  • বিশেষ সংবাদ
  • রাজনীতি
  • বিনোদন
  • জীবনযাপন
  • খেলা
  • বাংলাদেশ
  • অর্থনীতি
  • ইপেপার
  • ইপেপার
nikhad logo
অনুসরণ করুন
facebooktwittertiktokpinterestyoutubelinkedininstagramgoogle
  • নিখাদ খবর
  • বিজ্ঞাপন
  • সার্কুলেশন
  • শর্তাবলি ও নীতিমালা
  • গোপনীয়তা নীতি
  • যোগাযোগ
স্বত্ব: ©️ দৈনিক নিখাদ খবর|প্রকাশক ও সম্পাদক: পারভীন আফরোজ খান
বাংলাদেশ
জেলা

প্রচন্ড গরমে চাহিদা বেড়েছে তালপাখার

প্রতিনিধি
মোঃ ফারুকুজ্জামান
প্রকাশ : ০৫ মে ২০২৫, ১৭: ৩৩
logo

প্রচন্ড গরমে চাহিদা বেড়েছে তালপাখার

মোঃ ফারুকুজ্জামান

প্রকাশ : ০৫ মে ২০২৫, ১৭: ৩৩
Photo
ছবি: সংগৃহীত

বিদ্যুতের আলো পৌঁছায়নি এমন দুর্গম গ্রামে কিংবা লোডশেডিংমাখা শহরে জীবনে শীতল পরশ বুলিয়ে দেয় হাতপাখা। তালপাতার তৈরি এই হাতপাখার সঙ্গে জড়িয়ে আছে কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার দামপাড়া গ্রামের প্রায় দুইশো পরিবারের জীবন-জীবিকা। এখানকার হাতপাখা যাচ্ছে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায়।

প্রতিবছরের চৈত্র, বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ মাসে তালপাখার চাহিদা বেড়ে যায়। তখন নিকলীর দামপাড়া গ্রামের নোয়ারহাটি, টেকপাড়া ও বর্মনপাড়ায় ঘরে ঘরে পাখা তৈরির ধুম পড়ে যায়।

সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কারিগররা বাড়ির উঠানজুড়ে দল বেঁধে হাতপাখা তৈরির কাজ করেন। তবে এই তিন মাসের তালপাখার বাজারকে কেন্দ্র করে কারিগররা ব্যস্ত থাকেন বছরের অন্য সময়ও।

এবার লোডশেডিং বেশি থাকায় এবং প্রচন্ড গরমের কারণে তালপাখার চাহিদাও বেড়েছে। সারাদেশে যাচ্ছে দামপাড়া গ্রামের প্রাণ জুড়ানো দেহশীতল করার এই হাতপাখা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দামপাড়া গ্রামে এখন তালপাখা বানানোর ধুম লেগেছে। ছেলে, বুড়ো, কিশোর, কিশোরী, বসে নেই কেউ। ঘরের বউ-ঝিয়েরা তালের পাতাগুলো দা দিয়ে ফালি করে বেতি করছেন। এগুলো বুনন করে কেউ ছাঁটাই আকৃতি করে নিচ্ছেন। কেউ মোড়ল বাঁশ কেটে, ছেঁটে হাতল তৈরি করে দিচ্ছেন। কেউ প্লাস্টিকের বেত ও সুতা দিয়ে জালি বেতের সাথে ছাঁটাই বা ছাঁচ সেলাই করে হাতপাখার আকৃতি দিচ্ছেন। কেউ বসেছেন রংয়ের তুলি নিয়ে। আর এই কাজগুলো করা হচ্ছে দল বেঁধে। ঘরের বারান্দায় কিংবা বাড়ির উঠোনে গাছের ছায়ায় বসে।

গ্রামের সবচেয়ে বয়স্ক নারী আশুলতা রায় (৮০) জানান, ৬০ থেকে ৭০ বছর ধরে এ গ্রামে তালপাখা তৈরি হচ্ছে। ১২ বছর বয়সে তার বিয়ে হয়। শাশুড়ির হাত ধরে তিনি তালপাখা তৈরির কাজ শিখেন।

আশুলতা বলছিলেন, ‘গ্রামে পর্থম আমার শাশুড়ি তালপাখা বানাইত। শাশুড়ির কাছ থেকে আমি শিখছি। আমার কাছ থেকে পরে গ্রামের এ, হে, সবাই শিখছে। এহন আমার বয়স অইছে, পারি না। আমার বউয়াইনে এবং নাতি-নাতকররা এহন তালপাখা বানায়।

গ্রামের ভানুমতি সূত্রধর (৭৮) বলেন, ‘৫০-৬০ বছর ধইরা অইবো আমরা হাতপাখা তৈরির কাজ করতাছি। ৭১ সালে এই গ্রামে পাকবাহিনী আক্রমণ করে। তহন আমাদের অনেকের স্বামীরে মাইরা ফালায়। আমরা বিপদে পইরা যাই। তহন কি কইরা চলবাম। এই কাজ কইরাই আমরা সংসার চালায়া আইতাছি। এহন আমার পুতের বউ, নাতিরাও এই কাজ করে।’

গ্রামে তালপাখা তৈরির কাজটা করেন মূলত নারীরাই। পুরুষেরা শুধু সরঞ্জাম এনে দেন।

বাড়ির শিশু সন্তানেরা উঠানে বসে নারীদের হাতপাখা তৈরির কাজে সহযোগিতা করেন।

পাকিস্তান আমল থেকে এখানকার কারিগরেরা হাতপাখা তৈরি করে জীবিকা চালাচ্ছেন। তিন পুরুষ ধরে এ পেশায় সংসার চালাচ্ছেন গ্রামবাসী। বংশপরম্পরায় এ গ্রামে এখনো কিশোর তরুণ বয়সীরা পাখা তৈরির পেশা বেছে নিচ্ছে।

গ্রামের প্রবীণ কারিগরেরা জানান, স্বাধীনতার আগে একটি পাখা তৈরিতে খরচ পড়ত আট আনা। বিক্রি হতো এক থেকে দেড় টাকায়। এখন একটি পাখা তৈরিতে গড়ে খরচ পড়ে প্রায়৫০ থেকে ৬০ টাকা। বিক্রি হয় ৮০ থেকে ৯০ টাকা টাকায়।

Thumbnail image
ছবি: সংগৃহীত

বিদ্যুতের আলো পৌঁছায়নি এমন দুর্গম গ্রামে কিংবা লোডশেডিংমাখা শহরে জীবনে শীতল পরশ বুলিয়ে দেয় হাতপাখা। তালপাতার তৈরি এই হাতপাখার সঙ্গে জড়িয়ে আছে কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার দামপাড়া গ্রামের প্রায় দুইশো পরিবারের জীবন-জীবিকা। এখানকার হাতপাখা যাচ্ছে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায়।

প্রতিবছরের চৈত্র, বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ মাসে তালপাখার চাহিদা বেড়ে যায়। তখন নিকলীর দামপাড়া গ্রামের নোয়ারহাটি, টেকপাড়া ও বর্মনপাড়ায় ঘরে ঘরে পাখা তৈরির ধুম পড়ে যায়।

সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কারিগররা বাড়ির উঠানজুড়ে দল বেঁধে হাতপাখা তৈরির কাজ করেন। তবে এই তিন মাসের তালপাখার বাজারকে কেন্দ্র করে কারিগররা ব্যস্ত থাকেন বছরের অন্য সময়ও।

এবার লোডশেডিং বেশি থাকায় এবং প্রচন্ড গরমের কারণে তালপাখার চাহিদাও বেড়েছে। সারাদেশে যাচ্ছে দামপাড়া গ্রামের প্রাণ জুড়ানো দেহশীতল করার এই হাতপাখা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দামপাড়া গ্রামে এখন তালপাখা বানানোর ধুম লেগেছে। ছেলে, বুড়ো, কিশোর, কিশোরী, বসে নেই কেউ। ঘরের বউ-ঝিয়েরা তালের পাতাগুলো দা দিয়ে ফালি করে বেতি করছেন। এগুলো বুনন করে কেউ ছাঁটাই আকৃতি করে নিচ্ছেন। কেউ মোড়ল বাঁশ কেটে, ছেঁটে হাতল তৈরি করে দিচ্ছেন। কেউ প্লাস্টিকের বেত ও সুতা দিয়ে জালি বেতের সাথে ছাঁটাই বা ছাঁচ সেলাই করে হাতপাখার আকৃতি দিচ্ছেন। কেউ বসেছেন রংয়ের তুলি নিয়ে। আর এই কাজগুলো করা হচ্ছে দল বেঁধে। ঘরের বারান্দায় কিংবা বাড়ির উঠোনে গাছের ছায়ায় বসে।

গ্রামের সবচেয়ে বয়স্ক নারী আশুলতা রায় (৮০) জানান, ৬০ থেকে ৭০ বছর ধরে এ গ্রামে তালপাখা তৈরি হচ্ছে। ১২ বছর বয়সে তার বিয়ে হয়। শাশুড়ির হাত ধরে তিনি তালপাখা তৈরির কাজ শিখেন।

আশুলতা বলছিলেন, ‘গ্রামে পর্থম আমার শাশুড়ি তালপাখা বানাইত। শাশুড়ির কাছ থেকে আমি শিখছি। আমার কাছ থেকে পরে গ্রামের এ, হে, সবাই শিখছে। এহন আমার বয়স অইছে, পারি না। আমার বউয়াইনে এবং নাতি-নাতকররা এহন তালপাখা বানায়।

গ্রামের ভানুমতি সূত্রধর (৭৮) বলেন, ‘৫০-৬০ বছর ধইরা অইবো আমরা হাতপাখা তৈরির কাজ করতাছি। ৭১ সালে এই গ্রামে পাকবাহিনী আক্রমণ করে। তহন আমাদের অনেকের স্বামীরে মাইরা ফালায়। আমরা বিপদে পইরা যাই। তহন কি কইরা চলবাম। এই কাজ কইরাই আমরা সংসার চালায়া আইতাছি। এহন আমার পুতের বউ, নাতিরাও এই কাজ করে।’

গ্রামে তালপাখা তৈরির কাজটা করেন মূলত নারীরাই। পুরুষেরা শুধু সরঞ্জাম এনে দেন।

বাড়ির শিশু সন্তানেরা উঠানে বসে নারীদের হাতপাখা তৈরির কাজে সহযোগিতা করেন।

পাকিস্তান আমল থেকে এখানকার কারিগরেরা হাতপাখা তৈরি করে জীবিকা চালাচ্ছেন। তিন পুরুষ ধরে এ পেশায় সংসার চালাচ্ছেন গ্রামবাসী। বংশপরম্পরায় এ গ্রামে এখনো কিশোর তরুণ বয়সীরা পাখা তৈরির পেশা বেছে নিচ্ছে।

গ্রামের প্রবীণ কারিগরেরা জানান, স্বাধীনতার আগে একটি পাখা তৈরিতে খরচ পড়ত আট আনা। বিক্রি হতো এক থেকে দেড় টাকায়। এখন একটি পাখা তৈরিতে গড়ে খরচ পড়ে প্রায়৫০ থেকে ৬০ টাকা। বিক্রি হয় ৮০ থেকে ৯০ টাকা টাকায়।

বিষয়:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

জেলা নিয়ে আরও পড়ুন

রাজশাহীতে গভীর গর্তে শিশুর জীবিত উদ্ধারের আশা ক্ষীণ

রাজশাহীতে গভীর গর্তে শিশুর জীবিত উদ্ধারের আশা ক্ষীণ

রাজশাহীর তানোরে গভীর গর্তে পড়ে নিখোঁজ দুই বছরের শিশু সাজিদকে উদ্ধারে উদ্ধার অভিযান দীর্ঘায়িত হলেও এখনও সফলতা মিলছে না। ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, গর্তটির ব্যাসার্ধ মাত্র ৬–৮ ইঞ্চি হলেও গভীরতা প্রায় ২০০ ফুট, যা অভিযানের জটিলতা বাড়াচ্ছে। অক্সিজেন সরবরাহের চেষ্টা চলছে, তবে শিশুটিকে জীবিত উদ্ধার করার সম্ভ

২ দিন আগে
মাদ্রাসায় এক রাতের মিললো কোটি টাকা

মাদ্রাসায় এক রাতের মিললো কোটি টাকা

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে গাফুরিয়া মাদ্রাসার বার্ষিক ইসলামী মহা সম্মেলনে মুসল্লিদের দান-মানতের পরিমাণ কোটি টাকার বেশি।

২ দিন আগে
নিজ ঘরে প্রবাসীর রহস্যজনক মৃত্যু, স্ত্রী আটক

নিজ ঘরে প্রবাসীর রহস্যজনক মৃত্যু, স্ত্রী আটক

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় নিজ বাসা থেকে নিজাম উদ্দিন (২৫) নামে এক প্রবাস ফেরত যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) ভোরে ফতুল্লার হাজীগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা সড়কের তজুমুদ্দিনের ভাড়া বাড়ির পঞ্চম তলার ফ্ল্যাট থেকে নিজাম উদ্দিনের মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

২ দিন আগে
রংপুর বিভাগীয় ইজতেমায় ২ মুসল্লির মৃত্যু

রংপুর বিভাগীয় ইজতেমায় ২ মুসল্লির মৃত্যু

রংপুর বিভাগীয় ইজতেমার প্রথম দিনে বার্ধক্য ও ঠান্ডাজনিত কারণে দুই মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আরও অন্তত ৯ জন অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

২ দিন আগে
রাজশাহীতে গভীর গর্তে শিশুর জীবিত উদ্ধারের আশা ক্ষীণ

রাজশাহীতে গভীর গর্তে শিশুর জীবিত উদ্ধারের আশা ক্ষীণ

রাজশাহীর তানোরে গভীর গর্তে পড়ে নিখোঁজ দুই বছরের শিশু সাজিদকে উদ্ধারে উদ্ধার অভিযান দীর্ঘায়িত হলেও এখনও সফলতা মিলছে না। ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, গর্তটির ব্যাসার্ধ মাত্র ৬–৮ ইঞ্চি হলেও গভীরতা প্রায় ২০০ ফুট, যা অভিযানের জটিলতা বাড়াচ্ছে। অক্সিজেন সরবরাহের চেষ্টা চলছে, তবে শিশুটিকে জীবিত উদ্ধার করার সম্ভ

২ দিন আগে
মাদ্রাসায় এক রাতের মিললো কোটি টাকা

মাদ্রাসায় এক রাতের মিললো কোটি টাকা

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে গাফুরিয়া মাদ্রাসার বার্ষিক ইসলামী মহা সম্মেলনে মুসল্লিদের দান-মানতের পরিমাণ কোটি টাকার বেশি।

২ দিন আগে
নিজ ঘরে প্রবাসীর রহস্যজনক মৃত্যু, স্ত্রী আটক

নিজ ঘরে প্রবাসীর রহস্যজনক মৃত্যু, স্ত্রী আটক

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় নিজ বাসা থেকে নিজাম উদ্দিন (২৫) নামে এক প্রবাস ফেরত যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) ভোরে ফতুল্লার হাজীগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা সড়কের তজুমুদ্দিনের ভাড়া বাড়ির পঞ্চম তলার ফ্ল্যাট থেকে নিজাম উদ্দিনের মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

২ দিন আগে
রংপুর বিভাগীয় ইজতেমায় ২ মুসল্লির মৃত্যু

রংপুর বিভাগীয় ইজতেমায় ২ মুসল্লির মৃত্যু

রংপুর বিভাগীয় ইজতেমার প্রথম দিনে বার্ধক্য ও ঠান্ডাজনিত কারণে দুই মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আরও অন্তত ৯ জন অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

২ দিন আগে