নজরুল ইসলাম
অভাব অনটনের সংসারে নানা বাড়িতে বড় হয়েছেন বিন্দাবন। এক বেলা খেতে পারলে আরেক বেলা খেতে পারতেন না। অথচ নকশাকারক পদে চাকুরি পাওয়ার পর রাতারাতি তাঁর ভাগ্যের চাকা ঘুরে যায়। এটা চাকুরি নয়, যেন আলাদীনের চেরাগ। এই চাকুরি পেয়েছিলেন নরসিংদী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে। চাকুরি জীবনে অধিকাংশ সময় কাটিয়েছেন জেলা প্রশাসকের জমি অধিগ্রহণ শাখায়। তবে অল্প কয়েক দিনের জন্য বেলাব ও শিবপুরে চাকুরি করেছেন তিনি।
চাকুরির পাশাপাশি করেছেন অবৈধ ব্যবসা। জেলার যেখানেই জমি অধিগ্রহণ করা হয় অধিগ্রহণের আগেই তিনি সেখানে নামে বেনামে জমি ক্রয় করেন। কম দামী সরঞ্জামাদী ব্যবহার করে পরে সেখানে বহুতল ভবন নির্মাণ করেন। সরকারে কাছ থেকে হাতিয়ে নেন তিন গুন টাকা। বিন্দাবনের সাথে আছে তারই এক সহকর্মী ও সরোজ সাহা নামে আরো একজন ইনভেস্টর। শুধু পাঁচদোনা ডাংঙ্গা সড়ক থেকে এ চক্র হাতিয়ে নিয়েছে প্রায় ৫০ কোটি টাকা। জমি অধিগ্রহণের খবর পাওয়ার সাথে সাথে নাহার টেক্সটাইল নামে কারখানার এক ভবন তৈরি করে ফেলে।
এই এক ভবন থেকে ১৭ কোটি টাকা বিল উত্তোলন করে চক্রটি। নম্বর বিহীন ইট, ১০টা বালুর ১টা ভাগে সিমেন্ট ও বাশের সাথে অল্পস্বল্প রড দিয়ে এসব ভবন তৈরী করে তারা। এ ভবনের কিছু অংশ এখনো অপকর্মের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। এই পরিত্যক্ত ভবনে এখন মাদ্রাসা শিক্ষা কার্যক্রম চলমান বলে জানা গেছে। সড়কে এমন আরো একাধিক ভবন তৈরি করেছেন তারা। সরকারের কাছ থেকে বিল নিয়েছে প্রায় আরো ৩০ কোটি টাকা। এছাড়া ঢাকা সিলেট মহাসড়কে বারৈচা জয়নাল মেম্বারের জমিতে স্থাপনা তৈরি করো ৯ কোটি ও বণিক সমিতির মার্কেটে থেকে আরো ৫ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বিন্দাবন।
শুধু এই ব্যবসা নয় বিন্দাবন মিথ্যা অভিযোগ তৈরি করার জন্য এক্সপার্ট। যারা একেবারেই এসব বুঝেনা। প্রথমবার জমি অধিগ্রহণ হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে এডিসি রেভিনিউয়ের কার্যালয়ে মিথ্যা অভিযোগ দাখিল করা হলো তার মূল পেশা। অভিযোগ হলেই নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পরে আর জমির মালিক আর টাকা উঠাতে পারে না। অবশেষে ভুক্তভোগীরা তাকে ১৫ থেকে ২০ পার্সেন্ট দিয়ে অভিযোগ প্রত্যাহার করায়। এমন অভিযোগের অন্ত নেই। তবে সে থাকে একেবারে ধরাছোঁয়ার বাইরে।
বিন্দাবন চাকুরিতে যোগদানের পর নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার বাড়ৈআলগীতে করেছেন তিনটি বাড়ি। ৮ শতাংশ জমিতে ডুপ্লেক্স বাড়িসহ তিন বাড়ির আনুমানিক মূল্য ৫ কোটি টাকা। নিকটতম প্রতিবেশী উত্তমকে অত্যাচার করে তাড়িয়ে দিয়ে সাড়ে ৪ শতাংশ বাড়ি ক্রয় করেছেন মাত্র ১৪ লাখ টাকায়। বাড়ৈআলগী এলাকার হারিস খলিফার কাছ থেকে ক্রয় করেছেন ৩৪ শতাংশ জমি ও মান্নান মেম্বারের নিকট থেকে ক্রয় করেছেন আরো ৪২শতাংশ জমি। যার আনুমানিক মূল্য দেড় কোটি টাকা। ঢাকা মনোহরদী সড়কের পাশে উপজেলার কুমরাদিতে আছে ৬ শতাংশ টিনশেড। এখানে ডিপো করে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। এই জমির আনুমানিক মূল্য দেড় কোটি টাকা।
একই উপজেলার মুনসেফেরচর ইটাখোলায় সন্ধানী মেডিক্যালের পাশে ঢাকা সিলেট মহাসড়কের পাশে ৪ কোটি টাকা মূল্যের ৮ শতাংশ জমি রয়েছে। একই এলাকায় ইটাখোলা গাজীপুর রোডে কিবরিয়ার গরুর ফার্মের সাথে রয়েছে ৬০ লাখ টাকা মুল্যের ৬ শতাংশ জমি। শুধু শিবপুর নয় নরসিংদী সদরের সাহেপ্রতাবে পুলিশ লাইনস এর পাশে আছে কোটি টাকার ৮ শতাংশ সম্পত্তি। বেলাব উপজেলার নারায়নপুরে ক্রয় করেছেন ৬০ শতাংশ জমি। ঢাকা সিলেট হাইওয়ের পাশে এই জমিতে তিনি সিএনজি পাম্প করবেন বলে জানা গেছে। এই জমির বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ২ কোটি টাকা বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
এসব বিষয়ে জানার জন্য তাকে বার বার ফোন করলেও সে ফোন ধরেনি। হোয়াটসঅ্যাপে ম্যাসেজ দিলেও সে কোনো উত্তর দেয়নি। তবে তার একাধিক সহকর্মী এ প্রতিবেদককে জানান, চিকুরি হওয়ার পর সে পুরোটা সময় ধরেই জমি অধিগ্রহণ শাখায় ছিল। এখানের সব কলা কৌশল তার নখ দর্পনে। অনিয়ম করে তাই রাতারাতি কোটিকোটি টাকার মালিক বনে গেছেন।
বিন্দাবনের একাধিক প্রতিবেশী জানান, নানা বাড়িতে অনেক কষ্ট করেছে সে। চাকরি পাওয়ার পর রাতারাতি তার দিনকাল বদলে যায়। এখন সম্পদের তার অভাব নাই। প্রচুর সহায়তা করেন। তার কাছে গেলে কেউ খালি হাতে ফিরে না। বছরে দুই তিন বার বিন্দাবন কলকাতায়ও যায়। তাদের ধারণা সেখানে তার সম্পদ বাড়িঘর রয়েছে।
অভাব অনটনের সংসারে নানা বাড়িতে বড় হয়েছেন বিন্দাবন। এক বেলা খেতে পারলে আরেক বেলা খেতে পারতেন না। অথচ নকশাকারক পদে চাকুরি পাওয়ার পর রাতারাতি তাঁর ভাগ্যের চাকা ঘুরে যায়। এটা চাকুরি নয়, যেন আলাদীনের চেরাগ। এই চাকুরি পেয়েছিলেন নরসিংদী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে। চাকুরি জীবনে অধিকাংশ সময় কাটিয়েছেন জেলা প্রশাসকের জমি অধিগ্রহণ শাখায়। তবে অল্প কয়েক দিনের জন্য বেলাব ও শিবপুরে চাকুরি করেছেন তিনি।
চাকুরির পাশাপাশি করেছেন অবৈধ ব্যবসা। জেলার যেখানেই জমি অধিগ্রহণ করা হয় অধিগ্রহণের আগেই তিনি সেখানে নামে বেনামে জমি ক্রয় করেন। কম দামী সরঞ্জামাদী ব্যবহার করে পরে সেখানে বহুতল ভবন নির্মাণ করেন। সরকারে কাছ থেকে হাতিয়ে নেন তিন গুন টাকা। বিন্দাবনের সাথে আছে তারই এক সহকর্মী ও সরোজ সাহা নামে আরো একজন ইনভেস্টর। শুধু পাঁচদোনা ডাংঙ্গা সড়ক থেকে এ চক্র হাতিয়ে নিয়েছে প্রায় ৫০ কোটি টাকা। জমি অধিগ্রহণের খবর পাওয়ার সাথে সাথে নাহার টেক্সটাইল নামে কারখানার এক ভবন তৈরি করে ফেলে।
এই এক ভবন থেকে ১৭ কোটি টাকা বিল উত্তোলন করে চক্রটি। নম্বর বিহীন ইট, ১০টা বালুর ১টা ভাগে সিমেন্ট ও বাশের সাথে অল্পস্বল্প রড দিয়ে এসব ভবন তৈরী করে তারা। এ ভবনের কিছু অংশ এখনো অপকর্মের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। এই পরিত্যক্ত ভবনে এখন মাদ্রাসা শিক্ষা কার্যক্রম চলমান বলে জানা গেছে। সড়কে এমন আরো একাধিক ভবন তৈরি করেছেন তারা। সরকারের কাছ থেকে বিল নিয়েছে প্রায় আরো ৩০ কোটি টাকা। এছাড়া ঢাকা সিলেট মহাসড়কে বারৈচা জয়নাল মেম্বারের জমিতে স্থাপনা তৈরি করো ৯ কোটি ও বণিক সমিতির মার্কেটে থেকে আরো ৫ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বিন্দাবন।
শুধু এই ব্যবসা নয় বিন্দাবন মিথ্যা অভিযোগ তৈরি করার জন্য এক্সপার্ট। যারা একেবারেই এসব বুঝেনা। প্রথমবার জমি অধিগ্রহণ হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে এডিসি রেভিনিউয়ের কার্যালয়ে মিথ্যা অভিযোগ দাখিল করা হলো তার মূল পেশা। অভিযোগ হলেই নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পরে আর জমির মালিক আর টাকা উঠাতে পারে না। অবশেষে ভুক্তভোগীরা তাকে ১৫ থেকে ২০ পার্সেন্ট দিয়ে অভিযোগ প্রত্যাহার করায়। এমন অভিযোগের অন্ত নেই। তবে সে থাকে একেবারে ধরাছোঁয়ার বাইরে।
বিন্দাবন চাকুরিতে যোগদানের পর নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার বাড়ৈআলগীতে করেছেন তিনটি বাড়ি। ৮ শতাংশ জমিতে ডুপ্লেক্স বাড়িসহ তিন বাড়ির আনুমানিক মূল্য ৫ কোটি টাকা। নিকটতম প্রতিবেশী উত্তমকে অত্যাচার করে তাড়িয়ে দিয়ে সাড়ে ৪ শতাংশ বাড়ি ক্রয় করেছেন মাত্র ১৪ লাখ টাকায়। বাড়ৈআলগী এলাকার হারিস খলিফার কাছ থেকে ক্রয় করেছেন ৩৪ শতাংশ জমি ও মান্নান মেম্বারের নিকট থেকে ক্রয় করেছেন আরো ৪২শতাংশ জমি। যার আনুমানিক মূল্য দেড় কোটি টাকা। ঢাকা মনোহরদী সড়কের পাশে উপজেলার কুমরাদিতে আছে ৬ শতাংশ টিনশেড। এখানে ডিপো করে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। এই জমির আনুমানিক মূল্য দেড় কোটি টাকা।
একই উপজেলার মুনসেফেরচর ইটাখোলায় সন্ধানী মেডিক্যালের পাশে ঢাকা সিলেট মহাসড়কের পাশে ৪ কোটি টাকা মূল্যের ৮ শতাংশ জমি রয়েছে। একই এলাকায় ইটাখোলা গাজীপুর রোডে কিবরিয়ার গরুর ফার্মের সাথে রয়েছে ৬০ লাখ টাকা মুল্যের ৬ শতাংশ জমি। শুধু শিবপুর নয় নরসিংদী সদরের সাহেপ্রতাবে পুলিশ লাইনস এর পাশে আছে কোটি টাকার ৮ শতাংশ সম্পত্তি। বেলাব উপজেলার নারায়নপুরে ক্রয় করেছেন ৬০ শতাংশ জমি। ঢাকা সিলেট হাইওয়ের পাশে এই জমিতে তিনি সিএনজি পাম্প করবেন বলে জানা গেছে। এই জমির বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ২ কোটি টাকা বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
এসব বিষয়ে জানার জন্য তাকে বার বার ফোন করলেও সে ফোন ধরেনি। হোয়াটসঅ্যাপে ম্যাসেজ দিলেও সে কোনো উত্তর দেয়নি। তবে তার একাধিক সহকর্মী এ প্রতিবেদককে জানান, চিকুরি হওয়ার পর সে পুরোটা সময় ধরেই জমি অধিগ্রহণ শাখায় ছিল। এখানের সব কলা কৌশল তার নখ দর্পনে। অনিয়ম করে তাই রাতারাতি কোটিকোটি টাকার মালিক বনে গেছেন।
বিন্দাবনের একাধিক প্রতিবেশী জানান, নানা বাড়িতে অনেক কষ্ট করেছে সে। চাকরি পাওয়ার পর রাতারাতি তার দিনকাল বদলে যায়। এখন সম্পদের তার অভাব নাই। প্রচুর সহায়তা করেন। তার কাছে গেলে কেউ খালি হাতে ফিরে না। বছরে দুই তিন বার বিন্দাবন কলকাতায়ও যায়। তাদের ধারণা সেখানে তার সম্পদ বাড়িঘর রয়েছে।
পঞ্চগড় পৌরসভার ডোকরো পাড়া এলাকায় বাস, মিনি বাস, কোচ, মাইক্রোবাস পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শামীম আল মামুনের বাসায় জুয়ার ব্যবসা চলছিল। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান পরিচালনা করে সেনাবাহিনী। এসময় দুই লক্ষ ১৩ হাজার ৭৯০ টাকা, নয়টি বাটন ফোন ও চারটি স্মার্ট ফোন জব্দ করা হয়
৩৮ মিনিট আগেরোববার (১৭ আগস্ট ) রাত আনুমানিক ৯ টায় নরসিংদী জেলা ডিবি পুলিশ রায়পুরা থানার শীর্ষ সন্ত্রাসী তৈয়বকে গ্রেফতার করে
২ ঘণ্টা আগেতারা বিভিন্ন দেশ থেকে অজ্ঞাতনামা যাত্রীর মাধ্যমে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে বাংলাদেশে স্বর্ণ নিয়ে আসে। এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে তারা বিমানবন্দরে স্বর্ণ চোরাচালান সিন্ডিকেটের রিসিভার হিসেবে কাজ করে আসছে
৩ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার হাসিব আজিজের ওয়াকিটকিতে দেওয়া বক্তব্য ফাঁস করার অভিযোগে অমি দাশ নামে এক পুলিশ কনস্টেবলকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেপঞ্চগড় পৌরসভার ডোকরো পাড়া এলাকায় বাস, মিনি বাস, কোচ, মাইক্রোবাস পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শামীম আল মামুনের বাসায় জুয়ার ব্যবসা চলছিল। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান পরিচালনা করে সেনাবাহিনী। এসময় দুই লক্ষ ১৩ হাজার ৭৯০ টাকা, নয়টি বাটন ফোন ও চারটি স্মার্ট ফোন জব্দ করা হয়
রোববার (১৭ আগস্ট ) রাত আনুমানিক ৯ টায় নরসিংদী জেলা ডিবি পুলিশ রায়পুরা থানার শীর্ষ সন্ত্রাসী তৈয়বকে গ্রেফতার করে
তারা বিভিন্ন দেশ থেকে অজ্ঞাতনামা যাত্রীর মাধ্যমে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে বাংলাদেশে স্বর্ণ নিয়ে আসে। এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে তারা বিমানবন্দরে স্বর্ণ চোরাচালান সিন্ডিকেটের রিসিভার হিসেবে কাজ করে আসছে
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার হাসিব আজিজের ওয়াকিটকিতে দেওয়া বক্তব্য ফাঁস করার অভিযোগে অমি দাশ নামে এক পুলিশ কনস্টেবলকে গ্রেফতার করা হয়েছে।