রাশিদা আক্তার

বাংলা ভাষায় ইলিশ-বন্দনায় ছড়া, কবিতা কিংবা গদ্যের কমতি নেই। রসরাজ অমৃতলাল বসুর এমন একটি ছড়া, ‘পাড়াতে কড়াতে কেহ মাছ ভাজে রাতে, রন্ধনে আনন্দ বাড়ে গন্ধে মন মাতে।...ভাতে মেখে খাও যদি ইলিশের তেল, কাজে দেবে যেন কডলিভার অয়েল।’
ইলিশের শুধু স্বাদ নয়, এর পুষ্টিগুণও এখানে স্পষ্ট। ‘জলের উজ্জ্বল শস্য’ ইলিশের স্বাদ থেকে বাঙালিকে দূরে রাখা দায়। ইলিশকে ‘জলের উজ্জ্বল শস্য’ বলেছিলেন বুদ্ধদেব বসু। কিন্তু সত্যিই যদি এই শস্য তার ঔজ্জ্বল্য হারায় দূষণে, তাহলে?
সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশের নদীমুখে ধরা ইলিশে পাওয়া গেছে মাইক্রোপ্লাস্টিক কণা। শুধু তা-ই নয়, ইলিশের শরীরে বাসা বেঁধেছে ক্যাডমিয়াম, সিসা, পারদ, আর্সেনিকের মতো ভারী ধাতু।
গবেষকরাও ইলিশের পেটে পেয়েছেন মাইক্রোপ্লাস্টিক, যা ইলিশের জীবনচক্রে প্রভাব ফেলতে পারে বলে শঙ্কা তাদের। এতে উদ্বেগ বাড়ছে মানুষের স্বাস্থ্য নিয়েও।
চাঁদপুর জেলা ঘিরে আছে তিন নদী-পদ্মা, মেঘনা আর ডাকাতিয়া। শহরের মাঝে দিয়ে বয়ে গেছে ডাকাতিয়া নদী। ব্যবহৃত প্লাস্টিকসহ রোজকার বর্জ্যের বড় একটি অংশ ফেলা হচ্ছে এ নদীতে, যা গিয়ে পড়ছে মেঘনায়। শহরে প্রতিদিন প্রায় ১৫ থেকে ১৬ টন বর্জ্য তৈরি হয়, যার ২৫ ভাগই প্লাস্টিক ও পলিথিন।
চাঁদপুর পৌরসভার প্রশাসক মো. গোলাম জাকারিয়া বলেন, ‘বাসা-বাড়ি থেকে সংগৃহীত পলিথিন নদীতে যায় না। যেগুলো ট্রেনে বা বিভিন্নভাবে সরাসরি নদীতে ফেলা হয়, সেগুলোই নদীতে যায় বলে আমরা আশঙ্কা করছি।’
মেঘনায় দীর্ঘদিন ধরে ইলিশ মাছ ধরেন মোহম্মদ হাবিব। দুই দশকের অভিজ্ঞতায় নানা পরিবর্তনের সাক্ষী তিনি। বিশেষ করে প্লাস্টিক ও পলিথিন বর্জ্যের কারণে নদী ও মৎস্য সম্পদ বিপন্ন বলে উদ্বিগ্ন এ জেলে।
মো. হাবিব বলেন, ‘আগে মাছ ছিল, এখন নদীতে মাছ নেই। পলিথিনের জন্য এখন জালে মাছ ধরা পড়ে না। খাল-বিল, নদী-নালা থেকে এ পলিথিন আসছে।’
চলতি বছর মেঘনা নদী প্রবাহিত হয়েছে এমন চারটি জেলার ইলিশ নিয়ে গবেষণা করেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগ এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের একদল গবেষক। গবেষকরা ইলিশের পেটে মাইক্রোপ্লাস্টিকের কণা পেয়েছেন। একই ফল পেয়েছেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষকও।
শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ এন্ড মেরিন সায়েন্স অনুষদের সহকারী অধ্যাপক মীর মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘মূলত ইলিশের অন্ত্রে মাইক্রোপ্লাস্টিকটা পেয়েছি। যকৃৎ বা শরীরে আমরা এটি দেখিনি। তবে শরীরে এটা ছড়িয়ে না পড়ারও কোনো নিশ্চয়তা নেই।’
পলিথিন ব্যাগ, মোড়ক, বোতল, টেক্সটাইল ফাইবার, এমনকি গাড়ির টায়ার থেকেও প্লাস্টিক জমে নদীতে। পানি আর সূর্যের তাপে ভেঙে হয় মাইক্রোপ্লাস্টিকের কণা, যা খাবার হিসেবে খেয়ে ফেলে মাছ।
ইলিশ গবেষক ড. মো. আনিছুর রহমান বলেন, ‘প্লাস্টিক দূষণ বা যেকোনো হেভি মেটাল দূষণ যদি ক্রমশ বাড়তে থাকে তাহলে এটা ইলিশের জীবনচক্র, প্রজনন এমনকি সামগ্রিক উৎপাদনের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মাছের অন্ত্র আমরা খাই না সাধারণত। এটা আমাদের জন্য ভালো খবর। কিন্তু এই অন্ত্রের মাধ্যমে শরীরের অন্য স্থানে এসব ক্ষতিকর উপাদান পৌঁছাচ্ছে কি না, তা নিশ্চিত করে বলার অবকাশ নেই।’
২০২২ সালে, নেদারল্যান্ডসের একদল গবেষক প্রথমবার মানুষের রক্তে মাইক্রোপ্লাস্টিকের উপস্থিতি নিয়ে গবেষণা করেন। তাদের মতে, মাইক্রোপ্লাস্টিক কণা মানব শরীরে প্রবেশ করে রক্তপ্রবাহের মাধ্যমে সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে, যা হতে পারে ক্যান্সারের কারণ।
বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল অনকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সৈয়দ আকরাম হোসেন বলেন, ‘প্লাস্টিক কিন্তু মানব শরীরের জন্য ক্ষতিকর। এটি কেবল মানুষের হজমে সমস্যা করবে তা নয়, প্রদাহও করবে। এক পর্যায়ে গিয়ে এটা ক্যান্সারেরও সৃষ্টি করতে পারে।’
দেশে উৎপাদিত ইলিশের একটি বড় অংশ আসে চাঁদপুর থেকে। মৎস্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, গেলো অর্থবছরে এ জেলায় প্রায় ৩৫ হাজার টন ইলিশ মাছ শিকার করা হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক আবদুস সালাম দীর্ঘদিন ধরে মাইক্রোপ্লাস্টিকের পরিবেশগত প্রভাব নিয়ে কাজ করছেন। তিনি বলেন, গবেষণায় যে সামান্য পরিমাণ নমুনায় এত সংখ্যায় মাইক্রোপ্লাস্টিক পাওয়া গেছে, তা সত্যিই ভাবনার বিষয়। প্লাস্টিক একটি যৌগ। এটি তাপ পেলে এর সঙ্গে থাকা নানা উপাদান ক্ষতিকর হয়ে উঠতে পারে। প্লাস্টিকে থাকা ‘বিসফেনল এ’ (বিপিএ), থ্যালেট, পলিস্টাইরিন জাতীয় উপাদানগুলো হরমোন ভারসাম্য নষ্ট করে, ক্যানসার ডেকে আনে, এমনকি শরীরের কোষের জেনেটিক গঠনও বদলে দেয়।
একাধিক গবেষণায় অনুমান করা হয়েছে, গঙ্গা নদী এবং এর উপনদীগুলোর মাধ্যমে প্রতিদিন ১০০ থেকে ৩০০ কোটি মাইক্রোপ্লাস্টিকের কণা বঙ্গোপসাগরে পড়ছে। এর প্রভাব মেঘনার মোহনাতেও দেখা যাচ্ছে। এর আগে ২০২১, ২০২২ ও ২০২৪ সালে মেঘনা ও এর অববাহিকায় এবং বঙ্গোপসাগরে ইলিশে মাইক্রোপ্লাস্টিক ও ভারী ধাতুর উপস্থিতি নিয়ে বেশ কয়েকটি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে, যা সাম্প্রতিক গবেষণার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

বাংলা ভাষায় ইলিশ-বন্দনায় ছড়া, কবিতা কিংবা গদ্যের কমতি নেই। রসরাজ অমৃতলাল বসুর এমন একটি ছড়া, ‘পাড়াতে কড়াতে কেহ মাছ ভাজে রাতে, রন্ধনে আনন্দ বাড়ে গন্ধে মন মাতে।...ভাতে মেখে খাও যদি ইলিশের তেল, কাজে দেবে যেন কডলিভার অয়েল।’
ইলিশের শুধু স্বাদ নয়, এর পুষ্টিগুণও এখানে স্পষ্ট। ‘জলের উজ্জ্বল শস্য’ ইলিশের স্বাদ থেকে বাঙালিকে দূরে রাখা দায়। ইলিশকে ‘জলের উজ্জ্বল শস্য’ বলেছিলেন বুদ্ধদেব বসু। কিন্তু সত্যিই যদি এই শস্য তার ঔজ্জ্বল্য হারায় দূষণে, তাহলে?
সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশের নদীমুখে ধরা ইলিশে পাওয়া গেছে মাইক্রোপ্লাস্টিক কণা। শুধু তা-ই নয়, ইলিশের শরীরে বাসা বেঁধেছে ক্যাডমিয়াম, সিসা, পারদ, আর্সেনিকের মতো ভারী ধাতু।
গবেষকরাও ইলিশের পেটে পেয়েছেন মাইক্রোপ্লাস্টিক, যা ইলিশের জীবনচক্রে প্রভাব ফেলতে পারে বলে শঙ্কা তাদের। এতে উদ্বেগ বাড়ছে মানুষের স্বাস্থ্য নিয়েও।
চাঁদপুর জেলা ঘিরে আছে তিন নদী-পদ্মা, মেঘনা আর ডাকাতিয়া। শহরের মাঝে দিয়ে বয়ে গেছে ডাকাতিয়া নদী। ব্যবহৃত প্লাস্টিকসহ রোজকার বর্জ্যের বড় একটি অংশ ফেলা হচ্ছে এ নদীতে, যা গিয়ে পড়ছে মেঘনায়। শহরে প্রতিদিন প্রায় ১৫ থেকে ১৬ টন বর্জ্য তৈরি হয়, যার ২৫ ভাগই প্লাস্টিক ও পলিথিন।
চাঁদপুর পৌরসভার প্রশাসক মো. গোলাম জাকারিয়া বলেন, ‘বাসা-বাড়ি থেকে সংগৃহীত পলিথিন নদীতে যায় না। যেগুলো ট্রেনে বা বিভিন্নভাবে সরাসরি নদীতে ফেলা হয়, সেগুলোই নদীতে যায় বলে আমরা আশঙ্কা করছি।’
মেঘনায় দীর্ঘদিন ধরে ইলিশ মাছ ধরেন মোহম্মদ হাবিব। দুই দশকের অভিজ্ঞতায় নানা পরিবর্তনের সাক্ষী তিনি। বিশেষ করে প্লাস্টিক ও পলিথিন বর্জ্যের কারণে নদী ও মৎস্য সম্পদ বিপন্ন বলে উদ্বিগ্ন এ জেলে।
মো. হাবিব বলেন, ‘আগে মাছ ছিল, এখন নদীতে মাছ নেই। পলিথিনের জন্য এখন জালে মাছ ধরা পড়ে না। খাল-বিল, নদী-নালা থেকে এ পলিথিন আসছে।’
চলতি বছর মেঘনা নদী প্রবাহিত হয়েছে এমন চারটি জেলার ইলিশ নিয়ে গবেষণা করেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগ এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের একদল গবেষক। গবেষকরা ইলিশের পেটে মাইক্রোপ্লাস্টিকের কণা পেয়েছেন। একই ফল পেয়েছেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষকও।
শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ এন্ড মেরিন সায়েন্স অনুষদের সহকারী অধ্যাপক মীর মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘মূলত ইলিশের অন্ত্রে মাইক্রোপ্লাস্টিকটা পেয়েছি। যকৃৎ বা শরীরে আমরা এটি দেখিনি। তবে শরীরে এটা ছড়িয়ে না পড়ারও কোনো নিশ্চয়তা নেই।’
পলিথিন ব্যাগ, মোড়ক, বোতল, টেক্সটাইল ফাইবার, এমনকি গাড়ির টায়ার থেকেও প্লাস্টিক জমে নদীতে। পানি আর সূর্যের তাপে ভেঙে হয় মাইক্রোপ্লাস্টিকের কণা, যা খাবার হিসেবে খেয়ে ফেলে মাছ।
ইলিশ গবেষক ড. মো. আনিছুর রহমান বলেন, ‘প্লাস্টিক দূষণ বা যেকোনো হেভি মেটাল দূষণ যদি ক্রমশ বাড়তে থাকে তাহলে এটা ইলিশের জীবনচক্র, প্রজনন এমনকি সামগ্রিক উৎপাদনের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মাছের অন্ত্র আমরা খাই না সাধারণত। এটা আমাদের জন্য ভালো খবর। কিন্তু এই অন্ত্রের মাধ্যমে শরীরের অন্য স্থানে এসব ক্ষতিকর উপাদান পৌঁছাচ্ছে কি না, তা নিশ্চিত করে বলার অবকাশ নেই।’
২০২২ সালে, নেদারল্যান্ডসের একদল গবেষক প্রথমবার মানুষের রক্তে মাইক্রোপ্লাস্টিকের উপস্থিতি নিয়ে গবেষণা করেন। তাদের মতে, মাইক্রোপ্লাস্টিক কণা মানব শরীরে প্রবেশ করে রক্তপ্রবাহের মাধ্যমে সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে, যা হতে পারে ক্যান্সারের কারণ।
বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল অনকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সৈয়দ আকরাম হোসেন বলেন, ‘প্লাস্টিক কিন্তু মানব শরীরের জন্য ক্ষতিকর। এটি কেবল মানুষের হজমে সমস্যা করবে তা নয়, প্রদাহও করবে। এক পর্যায়ে গিয়ে এটা ক্যান্সারেরও সৃষ্টি করতে পারে।’
দেশে উৎপাদিত ইলিশের একটি বড় অংশ আসে চাঁদপুর থেকে। মৎস্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, গেলো অর্থবছরে এ জেলায় প্রায় ৩৫ হাজার টন ইলিশ মাছ শিকার করা হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক আবদুস সালাম দীর্ঘদিন ধরে মাইক্রোপ্লাস্টিকের পরিবেশগত প্রভাব নিয়ে কাজ করছেন। তিনি বলেন, গবেষণায় যে সামান্য পরিমাণ নমুনায় এত সংখ্যায় মাইক্রোপ্লাস্টিক পাওয়া গেছে, তা সত্যিই ভাবনার বিষয়। প্লাস্টিক একটি যৌগ। এটি তাপ পেলে এর সঙ্গে থাকা নানা উপাদান ক্ষতিকর হয়ে উঠতে পারে। প্লাস্টিকে থাকা ‘বিসফেনল এ’ (বিপিএ), থ্যালেট, পলিস্টাইরিন জাতীয় উপাদানগুলো হরমোন ভারসাম্য নষ্ট করে, ক্যানসার ডেকে আনে, এমনকি শরীরের কোষের জেনেটিক গঠনও বদলে দেয়।
একাধিক গবেষণায় অনুমান করা হয়েছে, গঙ্গা নদী এবং এর উপনদীগুলোর মাধ্যমে প্রতিদিন ১০০ থেকে ৩০০ কোটি মাইক্রোপ্লাস্টিকের কণা বঙ্গোপসাগরে পড়ছে। এর প্রভাব মেঘনার মোহনাতেও দেখা যাচ্ছে। এর আগে ২০২১, ২০২২ ও ২০২৪ সালে মেঘনা ও এর অববাহিকায় এবং বঙ্গোপসাগরে ইলিশে মাইক্রোপ্লাস্টিক ও ভারী ধাতুর উপস্থিতি নিয়ে বেশ কয়েকটি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে, যা সাম্প্রতিক গবেষণার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

দেশের পাঁচ সমস্যাগ্রস্ত ইসলামি ব্যাংককে একীভূত করার প্রক্রিয়ায় আমানতকারীদের উদ্বেগ কমাতে বাংলাদেশ ব্যাংক বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। নতুন গঠিত ‘সম্মিলিত ইসলামি ব্যাংক পিএলসি’ অধিগ্রহণের কাজ এগোনোর সঙ্গে সঙ্গে জানানো হয়েছে—যেসব গ্রাহকের হিসাব এই পাঁচ ব্যাংকে রয়েছে, তাঁদের নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা দ্রুত ফেরত দে
২ ঘণ্টা আগে
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, যারা ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করেন না এবং গ্যাস–বিদ্যুৎ বিল দিতে অনীহা দেখান, তারাই দেশের বড়লোক। তবে তার এই মন্তব্যে ব্যবসায়ীরা প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছেন, সম্পদ সঞ্চয় ও টাকা পাচারের ক্ষেত্রে কেবল ব্যবসায়ীরা নয়, সরকারি কর্মকর্তারাও জড়িত
৩ দিন আগে
দেশের বিভিন্ন ব্লকে ১০০টি নতুন কূপ খনন পরিকল্পনার ধারাবাহিকতায় এবার আরও তিনটি কূপ খননের অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)
৫ দিন আগে
দেশের ব্যাংকিং খাতে দীর্ঘদিন জমে থাকা উদ্বেগটির বাস্তব রূপ আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ব্যাংকগুলোর বিতরণ করা মোট ঋণের এক-তৃতীয়াংশের বেশি এখন অচল বা খেলাপি
১০ দিন আগেদেশের পাঁচ সমস্যাগ্রস্ত ইসলামি ব্যাংককে একীভূত করার প্রক্রিয়ায় আমানতকারীদের উদ্বেগ কমাতে বাংলাদেশ ব্যাংক বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। নতুন গঠিত ‘সম্মিলিত ইসলামি ব্যাংক পিএলসি’ অধিগ্রহণের কাজ এগোনোর সঙ্গে সঙ্গে জানানো হয়েছে—যেসব গ্রাহকের হিসাব এই পাঁচ ব্যাংকে রয়েছে, তাঁদের নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা দ্রুত ফেরত দে
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, যারা ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করেন না এবং গ্যাস–বিদ্যুৎ বিল দিতে অনীহা দেখান, তারাই দেশের বড়লোক। তবে তার এই মন্তব্যে ব্যবসায়ীরা প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছেন, সম্পদ সঞ্চয় ও টাকা পাচারের ক্ষেত্রে কেবল ব্যবসায়ীরা নয়, সরকারি কর্মকর্তারাও জড়িত
দেশের বিভিন্ন ব্লকে ১০০টি নতুন কূপ খনন পরিকল্পনার ধারাবাহিকতায় এবার আরও তিনটি কূপ খননের অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)
দেশের ব্যাংকিং খাতে দীর্ঘদিন জমে থাকা উদ্বেগটির বাস্তব রূপ আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ব্যাংকগুলোর বিতরণ করা মোট ঋণের এক-তৃতীয়াংশের বেশি এখন অচল বা খেলাপি