নিজস্ব প্রতিবেদক
শিক্ষার্থীদের নানা দাবি-দাওয়া, আশা-আকাঙ্ক্ষার মূর্ত প্রতীক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)। ইতোমধ্যে ডাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। তফসিল ঘোষণার পরপরই শিক্ষার্থীদের মধ্যে নির্বাচনি আমেজ দেখা যাচ্ছে। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ১৯ আগস্ট পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে। প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে ২৫ আগস্ট। আর ভোট গ্রহণ হবে ৯ সেপ্টেম্বর। বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা হলে হলে জনমত গড়ার জন্য কাজ করছে। স্বতন্ত্ররাও পিছিয়ে নেই। আগামী ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য এই ছাত্র সংসদ সুষ্ঠুপন্থার রাজনীতি চর্চার জন্য এই ডাকসু দরকার বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ডাকসু হতে হবে নিরপেক্ষ; যেখানে কোনোভাবেই দলীয় রাজনীতির স্থান হবে না। ডাকসু সকল রাজনৈতিক দলের প্রভাব থেকে মুক্ত হয়ে কাজ করবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে গেস্ট রুম ও গণরুম নামের টর্চার সেল যাতে আর কোনদিন না ফিরতে পারে। শিক্ষার্থীদের জন্য, শিক্ষার্থীদের দাবি-দাওয়া এবং তাদের সুবিধা-অসুবিধাগুলো নিয়ে সবসময় কাজ করবে ডাকসুর প্রতিনিধিরা, এটাই যেন হয় ডাকসুর একমাত্র লক্ষ্য হয়।
থাকছে না বয়সের বাধা: আসন্ন ডাকসু নির্বাচনে প্রার্থীর সর্বোচ্চ বয়সসীমা তুলে দেওয়া হয়েছে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ণকালীন শিক্ষার্থী হলেই নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া যাবে।
যে পরিকল্পনায় এগোচ্ছে ছাত্রসংগঠনগুলো:
তফসিল ঘোষণার পর ছাত্রসংগঠনগুলোর নিজেদের মধ্যে প্রার্থী নিয়ে জোর আলোচনা শুরু হয়েছে। কাকে কোন পদে প্রার্থী করলে জয় ছিনিয়ে আনা যাবে, চলছে সেসব বিশ্লেষণ। তবে অধিকাংশ ছাত্রসংগঠনের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবার দলীয় প্যানেলের চেয়ে সম্মিলিত সাধারণ শিক্ষার্থী প্যানেলের কথা ভাবছে সংগঠনগুলো। নিজ সংগঠনের বাইরে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির অনেক প্রার্থীকে তাঁরা নিজেদের প্যানেলে রাখতে চাচ্ছেন।
নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না যারা:
সান্ধ্যকালীন কোর্সের শিক্ষার্থীরা। ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোটার ও প্রার্থী হতে হলে শিক্ষার্থীকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ণকালীন শিক্ষার্থী হতে হবে, যিনি ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়ে স্নাতক, স্নাতকোত্তর বা এমফিলে অধ্যয়নরত এবং কোনো আবাসিক হলে অবস্থানরত বা সংযুক্ত।
নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না যারা: সান্ধ্যকালীন কোর্সের পাশাপাশি পেশাদার বা এক্সিকিউটিভ মাস্টার্স, ডিপ্লোমা, সার্টিফিকেট ও ভাষা কোর্সে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরাও ভোটার বা প্রার্থী হওয়ার যোগ্য হবেন না। একইভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ও সংযুক্ত কলেজ বা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।
তা ছাড়া ছাত্রত্ব না থাকলে ডাকসু নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা। আইনি জটিলতা এড়াতে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডাকসু নির্বাচন আয়োজনে গঠিত নির্বাচন কমিশন।
ভিপি পদে প্রার্থী হবেন যাঁরা: ডাকসু নির্বাচনে এবার মোট ২৮টি পদের বিপরীতে লড়বেন প্রার্থীরা। ছাত্রসংগঠনগুলোর দাবির মুখে এবার গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক; ক্যারিয়ার উন্নয়ন সম্পাদক; স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক এবং মানবাধিকার ও আইনবিষয়ক সম্পাদক নামে চারটি নতুন পদ তৈরি করা হয়েছে। সহ- সভাপতি পদে ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বি এম কাওসার, আবিদুল ইসলাম খান ও কবি জসীমউদ্দীন হল শাখা ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক তানভীর বারী হামিম প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পরিচিত কিছু মুখ সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন। জুলাই অভ্যুত্থানের পর গঠিত হওয়া সংগঠন গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার, সদস্যসচিব জাহিদ আহসান ও মুখ্য সংগঠক তাহমিদ আল মুদ্দাসির চৌধুরী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আবদুল কাদের প্রার্থী হতে পারেন। আলোচনায় রয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক মুখপাত্র উমামা ফাতেমা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মহিউদ্দিন মুজাহিদও। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের উমামা ফাতেমা আসন্ন ডাকসু নির্বাচনে নিজেকে স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছেন। জুলাই অভ্যুত্থানের পর ক্যাম্পাসে প্রকাশ্য রাজনীতিতে আসা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি আবু সাদিক কায়েম ও বর্তমান সভাপতি এস এম ফরহাদ প্রার্থী হতে পারেন। এ ছাড়া ছাত্র অধিকার পরিষদের বিন ইয়ামিন মোল্লার নামও আলোচনায় রয়েছে। বাম ছাত্রসংগঠনগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মেঘমল্লার বসু ও বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর জাবির আহমেদের নাম আলোচনায় রয়েছে।
সাধারণ শিক্ষার্থীরা বলছেন নির্বাচনে ভোটার তালিকা থেকে শুরু করে ভোট গ্রহণ ও ভোটের ফলাফল প্রকাশ পুরো বিষয়টি যেন কোনো ধরনের কারচুপি ছাড়া হয়। ডাকসু কাজ করবে শিক্ষার্থীদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য। সুতরাং ডাকসু হতে হবে শিক্ষার্থীবান্ধব, যেখানে শিক্ষার্থীরা নির্দ্বিধায় তাদের কথা তুলে ধরবে। তাদের ধারণা ২০১৯ সালের বিতর্কিত ডাকসু নির্বাচনের পর শিক্ষার্থীরা এবার সুন্দর একটি নির্বাচনি পরিবেশ পাবে। শিক্ষার্থীরা তাদের বহুদিনের জমানো কথা তুলে ধরতে পারবে এই নির্বাচনের মাধ্যমে। গণতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা শিক্ষার্থীদের মানোন্নয়ন এর জন্য কাজ করবে।
এবারের ডাকসু নির্বাচন সামনে রেখে ছাত্রসংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি দাবি ছিল হলের বাইরে ভোটকেন্দ্র করা। সেই দাবি মেনে ডাকসু নির্বাচনে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোর বাইরে ভোটকেন্দ্র স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
কেন্দ্রগুলো হলো: এক. কার্জন হল কেন্দ্র (পরীক্ষার হল); ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ হল, অমর একুশে হল ও ফজলুল হক হলের শিক্ষার্থীরা এখানে ভোট দেবেন। দুই. শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্র; জগন্নাথ হল, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ও সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের শিক্ষার্থীরা এখানে ভোট দেবেন। তিন. ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি); রোকেয়া হল, শামসুন নাহার হল ও কবি সুফিয়া কামাল হলের শিক্ষার্থীরা এখানে ভোট দেবেন। চার. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব কেন্দ্র; বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হল ও শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের শিক্ষার্থীরা এখানে ভোট দেবেন। পাঁচ. সিনেট ভবন কেন্দ্র (অ্যালামনাই ফ্লোর, সেমিনার কক্ষ, ডাইনিংরুম); স্যার এ এফ রহমান হল, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল ও বিজয় একাত্তর হলের শিক্ষার্থীরা এখানে ভোট দেবেন। ছয়. উদয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্র; সূর্যসেন হল, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল, শেখ মুজিবুর রহমান হল ও কবি জসীমউদ্দীন হলের শিক্ষার্থীরা এখানে ভোট দেবেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের শিক্ষা, সংস্কৃতি, রাজনীতি ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রেখেছে। এটি কেবল একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয়, বরং বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও স্বাধিকার আন্দোলনের অন্যতম প্রধান কেন্দ্র ছিল। এখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা, ভাষা আন্দোলন, স্বাধিকার ও স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং পরবর্তীতে বাংলাদেশ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঐতিহাসিক ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু নির্বাচন সুষ্ঠু হবে এমন প্রত্যাশাই সকলের।
শিক্ষার্থীদের নানা দাবি-দাওয়া, আশা-আকাঙ্ক্ষার মূর্ত প্রতীক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)। ইতোমধ্যে ডাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। তফসিল ঘোষণার পরপরই শিক্ষার্থীদের মধ্যে নির্বাচনি আমেজ দেখা যাচ্ছে। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ১৯ আগস্ট পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে। প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে ২৫ আগস্ট। আর ভোট গ্রহণ হবে ৯ সেপ্টেম্বর। বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা হলে হলে জনমত গড়ার জন্য কাজ করছে। স্বতন্ত্ররাও পিছিয়ে নেই। আগামী ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য এই ছাত্র সংসদ সুষ্ঠুপন্থার রাজনীতি চর্চার জন্য এই ডাকসু দরকার বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ডাকসু হতে হবে নিরপেক্ষ; যেখানে কোনোভাবেই দলীয় রাজনীতির স্থান হবে না। ডাকসু সকল রাজনৈতিক দলের প্রভাব থেকে মুক্ত হয়ে কাজ করবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে গেস্ট রুম ও গণরুম নামের টর্চার সেল যাতে আর কোনদিন না ফিরতে পারে। শিক্ষার্থীদের জন্য, শিক্ষার্থীদের দাবি-দাওয়া এবং তাদের সুবিধা-অসুবিধাগুলো নিয়ে সবসময় কাজ করবে ডাকসুর প্রতিনিধিরা, এটাই যেন হয় ডাকসুর একমাত্র লক্ষ্য হয়।
থাকছে না বয়সের বাধা: আসন্ন ডাকসু নির্বাচনে প্রার্থীর সর্বোচ্চ বয়সসীমা তুলে দেওয়া হয়েছে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ণকালীন শিক্ষার্থী হলেই নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া যাবে।
যে পরিকল্পনায় এগোচ্ছে ছাত্রসংগঠনগুলো:
তফসিল ঘোষণার পর ছাত্রসংগঠনগুলোর নিজেদের মধ্যে প্রার্থী নিয়ে জোর আলোচনা শুরু হয়েছে। কাকে কোন পদে প্রার্থী করলে জয় ছিনিয়ে আনা যাবে, চলছে সেসব বিশ্লেষণ। তবে অধিকাংশ ছাত্রসংগঠনের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবার দলীয় প্যানেলের চেয়ে সম্মিলিত সাধারণ শিক্ষার্থী প্যানেলের কথা ভাবছে সংগঠনগুলো। নিজ সংগঠনের বাইরে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির অনেক প্রার্থীকে তাঁরা নিজেদের প্যানেলে রাখতে চাচ্ছেন।
নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না যারা:
সান্ধ্যকালীন কোর্সের শিক্ষার্থীরা। ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোটার ও প্রার্থী হতে হলে শিক্ষার্থীকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ণকালীন শিক্ষার্থী হতে হবে, যিনি ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়ে স্নাতক, স্নাতকোত্তর বা এমফিলে অধ্যয়নরত এবং কোনো আবাসিক হলে অবস্থানরত বা সংযুক্ত।
নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না যারা: সান্ধ্যকালীন কোর্সের পাশাপাশি পেশাদার বা এক্সিকিউটিভ মাস্টার্স, ডিপ্লোমা, সার্টিফিকেট ও ভাষা কোর্সে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরাও ভোটার বা প্রার্থী হওয়ার যোগ্য হবেন না। একইভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ও সংযুক্ত কলেজ বা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।
তা ছাড়া ছাত্রত্ব না থাকলে ডাকসু নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা। আইনি জটিলতা এড়াতে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডাকসু নির্বাচন আয়োজনে গঠিত নির্বাচন কমিশন।
ভিপি পদে প্রার্থী হবেন যাঁরা: ডাকসু নির্বাচনে এবার মোট ২৮টি পদের বিপরীতে লড়বেন প্রার্থীরা। ছাত্রসংগঠনগুলোর দাবির মুখে এবার গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক; ক্যারিয়ার উন্নয়ন সম্পাদক; স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক এবং মানবাধিকার ও আইনবিষয়ক সম্পাদক নামে চারটি নতুন পদ তৈরি করা হয়েছে। সহ- সভাপতি পদে ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বি এম কাওসার, আবিদুল ইসলাম খান ও কবি জসীমউদ্দীন হল শাখা ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক তানভীর বারী হামিম প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পরিচিত কিছু মুখ সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন। জুলাই অভ্যুত্থানের পর গঠিত হওয়া সংগঠন গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার, সদস্যসচিব জাহিদ আহসান ও মুখ্য সংগঠক তাহমিদ আল মুদ্দাসির চৌধুরী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আবদুল কাদের প্রার্থী হতে পারেন। আলোচনায় রয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক মুখপাত্র উমামা ফাতেমা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মহিউদ্দিন মুজাহিদও। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের উমামা ফাতেমা আসন্ন ডাকসু নির্বাচনে নিজেকে স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছেন। জুলাই অভ্যুত্থানের পর ক্যাম্পাসে প্রকাশ্য রাজনীতিতে আসা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি আবু সাদিক কায়েম ও বর্তমান সভাপতি এস এম ফরহাদ প্রার্থী হতে পারেন। এ ছাড়া ছাত্র অধিকার পরিষদের বিন ইয়ামিন মোল্লার নামও আলোচনায় রয়েছে। বাম ছাত্রসংগঠনগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মেঘমল্লার বসু ও বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর জাবির আহমেদের নাম আলোচনায় রয়েছে।
সাধারণ শিক্ষার্থীরা বলছেন নির্বাচনে ভোটার তালিকা থেকে শুরু করে ভোট গ্রহণ ও ভোটের ফলাফল প্রকাশ পুরো বিষয়টি যেন কোনো ধরনের কারচুপি ছাড়া হয়। ডাকসু কাজ করবে শিক্ষার্থীদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য। সুতরাং ডাকসু হতে হবে শিক্ষার্থীবান্ধব, যেখানে শিক্ষার্থীরা নির্দ্বিধায় তাদের কথা তুলে ধরবে। তাদের ধারণা ২০১৯ সালের বিতর্কিত ডাকসু নির্বাচনের পর শিক্ষার্থীরা এবার সুন্দর একটি নির্বাচনি পরিবেশ পাবে। শিক্ষার্থীরা তাদের বহুদিনের জমানো কথা তুলে ধরতে পারবে এই নির্বাচনের মাধ্যমে। গণতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা শিক্ষার্থীদের মানোন্নয়ন এর জন্য কাজ করবে।
এবারের ডাকসু নির্বাচন সামনে রেখে ছাত্রসংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি দাবি ছিল হলের বাইরে ভোটকেন্দ্র করা। সেই দাবি মেনে ডাকসু নির্বাচনে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোর বাইরে ভোটকেন্দ্র স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
কেন্দ্রগুলো হলো: এক. কার্জন হল কেন্দ্র (পরীক্ষার হল); ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ হল, অমর একুশে হল ও ফজলুল হক হলের শিক্ষার্থীরা এখানে ভোট দেবেন। দুই. শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্র; জগন্নাথ হল, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ও সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের শিক্ষার্থীরা এখানে ভোট দেবেন। তিন. ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি); রোকেয়া হল, শামসুন নাহার হল ও কবি সুফিয়া কামাল হলের শিক্ষার্থীরা এখানে ভোট দেবেন। চার. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব কেন্দ্র; বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হল ও শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের শিক্ষার্থীরা এখানে ভোট দেবেন। পাঁচ. সিনেট ভবন কেন্দ্র (অ্যালামনাই ফ্লোর, সেমিনার কক্ষ, ডাইনিংরুম); স্যার এ এফ রহমান হল, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল ও বিজয় একাত্তর হলের শিক্ষার্থীরা এখানে ভোট দেবেন। ছয়. উদয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্র; সূর্যসেন হল, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল, শেখ মুজিবুর রহমান হল ও কবি জসীমউদ্দীন হলের শিক্ষার্থীরা এখানে ভোট দেবেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের শিক্ষা, সংস্কৃতি, রাজনীতি ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রেখেছে। এটি কেবল একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয়, বরং বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও স্বাধিকার আন্দোলনের অন্যতম প্রধান কেন্দ্র ছিল। এখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা, ভাষা আন্দোলন, স্বাধিকার ও স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং পরবর্তীতে বাংলাদেশ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঐতিহাসিক ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু নির্বাচন সুষ্ঠু হবে এমন প্রত্যাশাই সকলের।
সোমবার সকাল ৮টা থেকে আমরা সকল মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থী ক্লাস বর্জন করছি। যতদিন পর্যন্ত মহিউদ্দিন রনি ও কন্টেন্ট ক্রিয়েটর কাফি এবং অন্যান্য উস্কানিদাতাদের গ্রেফতার করা না হবে ততদিন পর্যন্ত আমরা ক্লাস বর্জন করবো
১ ঘণ্টা আগেবৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সভাকক্ষে এক অনুষ্ঠানে সব দায়িত্ব ও তথ্য প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির অন্তর্বর্ী প্রশাসক অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াসের কাছে হস্তান্তর করেন ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান।
৪ দিন আগে২০১১ সালের ১ জানুয়ারি থেকে বর্তমান পর্যন্ত ডিআইইউতে অধ্যাপকের দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে ২০০৮ থেকে ২০১০ পর্যন্ত সহযোগী অধ্যাপক এবং ১৯৯৯ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত প্রভাষক হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন
৫ দিন আগেরংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন ক্লাস অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৮ দিন আগেসোমবার সকাল ৮টা থেকে আমরা সকল মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থী ক্লাস বর্জন করছি। যতদিন পর্যন্ত মহিউদ্দিন রনি ও কন্টেন্ট ক্রিয়েটর কাফি এবং অন্যান্য উস্কানিদাতাদের গ্রেফতার করা না হবে ততদিন পর্যন্ত আমরা ক্লাস বর্জন করবো
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সভাকক্ষে এক অনুষ্ঠানে সব দায়িত্ব ও তথ্য প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির অন্তর্বর্ী প্রশাসক অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াসের কাছে হস্তান্তর করেন ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান।
২০১১ সালের ১ জানুয়ারি থেকে বর্তমান পর্যন্ত ডিআইইউতে অধ্যাপকের দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে ২০০৮ থেকে ২০১০ পর্যন্ত সহযোগী অধ্যাপক এবং ১৯৯৯ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত প্রভাষক হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন ক্লাস অনুষ্ঠিত হয়েছে।