থেরাপি সেন্টারে সেবা না দিয়েই মোটা অঙ্কের টাকা আদায়
নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজধানীর মিরপুরে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জন্য পরিচালিত একটি শিক্ষা ও থেরাপি সেন্টারে সেবা না দিয়েই মোটা অঙ্কের টাকা আদায়, অতিরিক্ত দামে বই বিক্রি, ন্যূনতম সুবিধার অভাব এবং অভিযোগ জানালে হুমকি দেওয়ার মতো একের পর এক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
‘স্কুল ফর স্পেশাল কেয়ার (এসএস কেয়ার)’ নামের এই প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে অভিভাবকরা বলছেন, প্রতিষ্ঠানটি একদিকে সেবা না দিয়ে আর্থিকভাবে চাপে ফেলছে, অন্যদিকে অব্যবস্থাপনা ও অসচেতন ব্যবহারে শিশু ও তাদের পরিবারকে দুর্ভোগে ফেলেছে।
প্রতিশ্রুতি ছিল থেরাপির, বাস্তবে কেবল বিল
মিরপুর ৬ নম্বর সেকশনের সি ব্লকে অবস্থিত এসএস কেয়ারে ভর্তি করা শিশুদের মাসিক বেতন ৯ হাজার ৯০০ টাকা। প্রতিষ্ঠানের দাবি, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জন্য নির্ধারিত ৮ ধরনের থেরাপি ও বিভিন্ন সেবা তারা দেবে।
কিন্তু অভিভাবকদের অভিযোগ, ছয় মাস পার হলেও অনেক শিশু একটি থেরাপিও পায়নি। নিয়মিত মাসিক ফি আদায় করা হলেও সেবার বালাই নেই।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক অভিভাবক বলেন, “সমস্যা হচ্ছে, একটা বাচ্চার জন্য মাসে ১০ হাজার টাকা দেই। প্রতিটা বাচ্চার কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা নেয়া হয়, কিন্তু থেরাপি দেয়ার কথা ছিল আটটা—দেয় মাত্র চারটা। থেরাপির কথা বললেই বলে, ‘টিচার দেখতেছি’। সব সময় বলে ‘দিচ্ছি’, কিন্তু দেয় না। আর যাদের এসব ভালো না লাগে, তাদের বলে—‘আপনারা চাইলে চলে যেতে পারেন’। এভাবে প্রত্যেককে হুমকি দেয়।”
বইয়ের দাম চারগুণ, তবু সময়মতো মেলে না
শুধু সেবার অভাব নয়, এসএস কেয়ারের বিরুদ্ধে বাণিজ্যিকভাবে বই বিক্রির অভিযোগও তুলেছেন অভিভাবকরা।
তাদের ভাষ্য, বাইরের দোকানে ১০০ থেকে ১২০ টাকায় যে বই পাওয়া যায়, সেগুলো প্রতিষ্ঠানটি ৪০০ টাকায় বিক্রি করছে। তাও সময়মতো বই দেওয়া হয় না।
এক অভিভাবক বলেন, “তিন-চার মাস আগে টাকা দিয়েও বই পাইনি। বারবার বললে শুধু বলে, ‘দিচ্ছি’, কিন্তু দেয় না।”
পরিবেশের ঘাটতি, ব্যবস্থাপনাও দায়সারা
প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ নিয়েও রয়েছে গুরুতর অভিযোগ। অভিভাবকদের বসার জায়গা নেই, নেই পর্যাপ্ত টয়লেট সুবিধা। টয়লেট ব্যবহারে সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে, যা নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন অনেকে।
একজন অভিভাবক বলেন, “বাচ্চাদের সঙ্গে এসে বসে থাকতে হয়, অথচ আমাদের বসার জায়গা নেই। টয়লেট ব্যবহারের সময়ও নির্ধারিত—সময়ের আগে বা পরে ব্যবহার করা যাবে না।”
কথা বললেই হুমকি নেই কোনো প্যারেন্টস মিটিং:
অভিভাবকরা জানিয়েছেন, স্কুলে কোনো প্যারেন্টস মিটিং হয় না। অভিযোগ জানালে কর্তৃপক্ষ হুমকি দেয়, স্কুল ছেড়ে চলে যেতে হবে।
“সন্তানদের প্রতি আচরণ ঠিক আছে কি না, তাও বুঝতে পারি না,” বলেন এক অভিভাবক। “কিছু বললেই হুমকি দেয়—স্কুল ছেড়ে যান।”
আগেই বেতন বাড়ানোর তাগিদ
অনেকেই অভিযোগ করেছেন, এক বছর শেষ হওয়ার আগেই বেতন বাড়ানোর চাপ দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ। অথচ ভর্তি নেওয়ার সময় এ বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।
অভিভাবকদের দাবি, নিয়মিত আলোচনা সভা ও স্বচ্ছতা থাকলে এসব অনিয়ম ঠেকানো সম্ভব হতো।
তদন্ত ও ব্যবস্থা চায় অভিভাবকরা
এসব অনিয়ম, দুর্নীতি ও হয়রানির ঘটনায় অভিভাবকরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।
তাদের মতে, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জীবন ও শিক্ষার সঙ্গে এমন অবিচার বরদাশতযোগ্য নয়। একজন অভিভাবক বলেন, “এই শিশুদের হয়ে কেউ কথা বলে না। তাই চাই, সরকার যেন নজর দেয়।
রাজধানীর মিরপুরে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জন্য পরিচালিত একটি শিক্ষা ও থেরাপি সেন্টারে সেবা না দিয়েই মোটা অঙ্কের টাকা আদায়, অতিরিক্ত দামে বই বিক্রি, ন্যূনতম সুবিধার অভাব এবং অভিযোগ জানালে হুমকি দেওয়ার মতো একের পর এক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
‘স্কুল ফর স্পেশাল কেয়ার (এসএস কেয়ার)’ নামের এই প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে অভিভাবকরা বলছেন, প্রতিষ্ঠানটি একদিকে সেবা না দিয়ে আর্থিকভাবে চাপে ফেলছে, অন্যদিকে অব্যবস্থাপনা ও অসচেতন ব্যবহারে শিশু ও তাদের পরিবারকে দুর্ভোগে ফেলেছে।
প্রতিশ্রুতি ছিল থেরাপির, বাস্তবে কেবল বিল
মিরপুর ৬ নম্বর সেকশনের সি ব্লকে অবস্থিত এসএস কেয়ারে ভর্তি করা শিশুদের মাসিক বেতন ৯ হাজার ৯০০ টাকা। প্রতিষ্ঠানের দাবি, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জন্য নির্ধারিত ৮ ধরনের থেরাপি ও বিভিন্ন সেবা তারা দেবে।
কিন্তু অভিভাবকদের অভিযোগ, ছয় মাস পার হলেও অনেক শিশু একটি থেরাপিও পায়নি। নিয়মিত মাসিক ফি আদায় করা হলেও সেবার বালাই নেই।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক অভিভাবক বলেন, “সমস্যা হচ্ছে, একটা বাচ্চার জন্য মাসে ১০ হাজার টাকা দেই। প্রতিটা বাচ্চার কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা নেয়া হয়, কিন্তু থেরাপি দেয়ার কথা ছিল আটটা—দেয় মাত্র চারটা। থেরাপির কথা বললেই বলে, ‘টিচার দেখতেছি’। সব সময় বলে ‘দিচ্ছি’, কিন্তু দেয় না। আর যাদের এসব ভালো না লাগে, তাদের বলে—‘আপনারা চাইলে চলে যেতে পারেন’। এভাবে প্রত্যেককে হুমকি দেয়।”
বইয়ের দাম চারগুণ, তবু সময়মতো মেলে না
শুধু সেবার অভাব নয়, এসএস কেয়ারের বিরুদ্ধে বাণিজ্যিকভাবে বই বিক্রির অভিযোগও তুলেছেন অভিভাবকরা।
তাদের ভাষ্য, বাইরের দোকানে ১০০ থেকে ১২০ টাকায় যে বই পাওয়া যায়, সেগুলো প্রতিষ্ঠানটি ৪০০ টাকায় বিক্রি করছে। তাও সময়মতো বই দেওয়া হয় না।
এক অভিভাবক বলেন, “তিন-চার মাস আগে টাকা দিয়েও বই পাইনি। বারবার বললে শুধু বলে, ‘দিচ্ছি’, কিন্তু দেয় না।”
পরিবেশের ঘাটতি, ব্যবস্থাপনাও দায়সারা
প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ নিয়েও রয়েছে গুরুতর অভিযোগ। অভিভাবকদের বসার জায়গা নেই, নেই পর্যাপ্ত টয়লেট সুবিধা। টয়লেট ব্যবহারে সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে, যা নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন অনেকে।
একজন অভিভাবক বলেন, “বাচ্চাদের সঙ্গে এসে বসে থাকতে হয়, অথচ আমাদের বসার জায়গা নেই। টয়লেট ব্যবহারের সময়ও নির্ধারিত—সময়ের আগে বা পরে ব্যবহার করা যাবে না।”
কথা বললেই হুমকি নেই কোনো প্যারেন্টস মিটিং:
অভিভাবকরা জানিয়েছেন, স্কুলে কোনো প্যারেন্টস মিটিং হয় না। অভিযোগ জানালে কর্তৃপক্ষ হুমকি দেয়, স্কুল ছেড়ে চলে যেতে হবে।
“সন্তানদের প্রতি আচরণ ঠিক আছে কি না, তাও বুঝতে পারি না,” বলেন এক অভিভাবক। “কিছু বললেই হুমকি দেয়—স্কুল ছেড়ে যান।”
আগেই বেতন বাড়ানোর তাগিদ
অনেকেই অভিযোগ করেছেন, এক বছর শেষ হওয়ার আগেই বেতন বাড়ানোর চাপ দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ। অথচ ভর্তি নেওয়ার সময় এ বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।
অভিভাবকদের দাবি, নিয়মিত আলোচনা সভা ও স্বচ্ছতা থাকলে এসব অনিয়ম ঠেকানো সম্ভব হতো।
তদন্ত ও ব্যবস্থা চায় অভিভাবকরা
এসব অনিয়ম, দুর্নীতি ও হয়রানির ঘটনায় অভিভাবকরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।
তাদের মতে, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জীবন ও শিক্ষার সঙ্গে এমন অবিচার বরদাশতযোগ্য নয়। একজন অভিভাবক বলেন, “এই শিশুদের হয়ে কেউ কথা বলে না। তাই চাই, সরকার যেন নজর দেয়।
ব্যানারে লেখা হয়েছে আমরণ অনশন। এতে শারীরিক অবস্থা খারাপ থেকে আরো খারাপ হলেও অনশন থেকে সরে যাওয়ার সুযোগ নেই। দাবি আদায় করে তবেই এখান থেকে উঠবো। আমাদের অনশনের ব্যাপারে জরুরি মিটিং করে বা অনলাইনে মিটিং করে পদক্ষেপ নেয়া যেত। এখন পর্যন্ত ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কোনো সদিচ্ছা দেখতে পারছি না
৭ ঘণ্টা আগেসোমবার সকাল ৮টা থেকে আমরা সকল মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থী ক্লাস বর্জন করছি। যতদিন পর্যন্ত মহিউদ্দিন রনি ও কন্টেন্ট ক্রিয়েটর কাফি এবং অন্যান্য উস্কানিদাতাদের গ্রেফতার করা না হবে ততদিন পর্যন্ত আমরা ক্লাস বর্জন করবো
৯ ঘণ্টা আগেবৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সভাকক্ষে এক অনুষ্ঠানে সব দায়িত্ব ও তথ্য প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির অন্তর্বর্ী প্রশাসক অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াসের কাছে হস্তান্তর করেন ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান।
৪ দিন আগে২০১১ সালের ১ জানুয়ারি থেকে বর্তমান পর্যন্ত ডিআইইউতে অধ্যাপকের দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে ২০০৮ থেকে ২০১০ পর্যন্ত সহযোগী অধ্যাপক এবং ১৯৯৯ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত প্রভাষক হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন
৫ দিন আগেব্যানারে লেখা হয়েছে আমরণ অনশন। এতে শারীরিক অবস্থা খারাপ থেকে আরো খারাপ হলেও অনশন থেকে সরে যাওয়ার সুযোগ নেই। দাবি আদায় করে তবেই এখান থেকে উঠবো। আমাদের অনশনের ব্যাপারে জরুরি মিটিং করে বা অনলাইনে মিটিং করে পদক্ষেপ নেয়া যেত। এখন পর্যন্ত ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কোনো সদিচ্ছা দেখতে পারছি না
সোমবার সকাল ৮টা থেকে আমরা সকল মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থী ক্লাস বর্জন করছি। যতদিন পর্যন্ত মহিউদ্দিন রনি ও কন্টেন্ট ক্রিয়েটর কাফি এবং অন্যান্য উস্কানিদাতাদের গ্রেফতার করা না হবে ততদিন পর্যন্ত আমরা ক্লাস বর্জন করবো
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সভাকক্ষে এক অনুষ্ঠানে সব দায়িত্ব ও তথ্য প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির অন্তর্বর্ী প্রশাসক অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াসের কাছে হস্তান্তর করেন ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান।
২০১১ সালের ১ জানুয়ারি থেকে বর্তমান পর্যন্ত ডিআইইউতে অধ্যাপকের দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে ২০০৮ থেকে ২০১০ পর্যন্ত সহযোগী অধ্যাপক এবং ১৯৯৯ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত প্রভাষক হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন