শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত
নিজস্ব প্রতিবেদক

শিক্ষাবর্ষের এক মাস ২১ দিন শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু দেশের শিক্ষার্থীরা সব পাঠ্যবই এখনো হাতে পায়নি। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের তথ্য বলছে, প্রায় ৭ কোটি বই ছাপা হওয়া বাকি, যার অধিকাংশই মাধ্যমিক পর্যায়ের।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) সূত্রমতে, নতুন শিক্ষাবর্ষে ৪ কোটির মতো শিক্ষার্থীর জন্য প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের প্রায় ৪০ কোটি ১৫ লাখ বই ছাপানোর আয়োজন করা হয়েছিল। তবে পরে এসে দেখা যায়, প্রয়োজনের চেয়ে বেশি চাহিদা জানানো হয়েছে। নতুন করে হিসাব করে দেখা যায়, মোট বই ছাপতে হবে আসলে ৩৯ কোটি ৬০ লাখের মতো। এর মধ্যে সাত কোটি ছাপা হওয়া বাকি।
মাধ্যমিকে (মাদ্রাসার ইবতেদায়িসহ) বই লাগবে প্রায় ৩০ কোটি ৫০ লাখ। ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মাধ্যমিকের প্রায় ২৩ কোটি ৬৭ লাখের মতো বই ছাপা হয়েছে। অবশ্য সরবরাহ হয়েছে ১৮ কোটি ৭৪ লাখ ৬০ হাজারের বেশি পাঠ্যবই। এই হিসাবে ১১ কোটি ৭৫ লাখের মতো পাঠ্যবই এখনো সরবরাহ করা হয়নি।
ছাপার পর বই নির্ধারিত মান অনুযায়ী হয়েছে কি না, তা যাচাই করে সরবরাহের আদেশ দেওয়া হয়। ফলে ছাপা হলেও সঙ্গে সঙ্গে তা পাঠানো যায় না, একটু সময় লাগে। আবার ছাপার পর তা বাঁধাইয়ের কাজেও দেরি হয়।
প্রাথমিকের মোট পাঠ্যবই ৯ কোটি ১৯ লাখের বেশি। এর মধ্যে ছাপা হয়েছে ৮ কোটি ৯৬ লাখ ৪৪ হাজারের মতো। অবশ্য এর মধ্যে ৮ কোটি ৬৫ লাখ ৬১ হাজারের বেশি বই সরবরাহের ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। এখনো প্রায় ৫৪ লাখ বই সরবরাহ হয়নি, যা মোট বইয়ের প্রায় ৬ শতাংশ।
এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম রিয়াজুল হাসান বলেছিলেন, তারা চেষ্টা করছেন ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সব বই সরবরাহ করতে। গত বৃহস্পতিবার যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, যেসব পাঠ্যবইয়ের পরীক্ষা হয়, সেগুলো এ মাসেই চলে যাবে বলে তারা আশা করছেন। বাকি থাকবে মূলত সেসব বই, যার পরীক্ষা হয় না এবং সেগুলো অতিরিক্ত চাহিদার।
রাজধানীর মগবাজারের ইস্পাহানী বালিকা বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয়ে গত বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গিয়ে দেখা যায়, শিক্ষকরা শ্রেণিকক্ষে পাঠদান করছেন। বিদ্যালয়টির অফিসকর্মীরা জানান, চাহিদার চেয়ে সামান্য কম হলেও প্রাথমিকের প্রায় বিষয়ের বই পাওয়া গেছে। তবে নবম শ্রেণিতে এখন পর্যন্ত তিনটি বিষয় হাতে এসেছে। সেগুলো হলো বাংলা, ইংরেজি ও গণিত। ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণিতে চারু ও কারুকলা, গার্হস্থ্যবিজ্ঞানের মতো দু-একটি বিষয়ের বই ছাড়া বাকি বিষয়ের বই পাওয়া গেছে। আর দশম শ্রেণির সব বিষয়ের বই এসেছে।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ের তথ্য বলছে, জেলায় সব শ্রেণির বই মোটামুটি পাওয়া গেছে। তবে ঘাটতি রয়েছে নবম শ্রেণির বইয়ের। নবম শ্রেণির বইয়ের চাহিদা ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৩২২। এর মধ্যে পাওয়া গেছে ২ লাখ ৭০ হাজার ৫৫৪টি।
এনসিটিবির একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে তারা প্রথমে সব শ্রেণির তিনটি বিষয়ের (বাংলা, ইংরেজি ও গণিত) বই দেওয়ার ওপর গুরুত্ব দিয়েছিলেন। এরপর এসএসসি পরীক্ষার্থী হিসেবে দশম শ্রেণির বই ছাপার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। প্রাথমিকের পাঠ্যবই ছাপার কাজ প্রায় শেষ। এখন নবম শ্রেণিসহ মাধ্যমিকের অন্যান্য শ্রেণির অবশিষ্ট বই ছাপায় গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
দরপত্র, অনুমোদন, চুক্তির মতো কাজগুলোও যথাসময়ে না করায় এবং কাগজ ও আর্ট কার্ডের সংকটের কারণে আরও বেশি দেরি হচ্ছে। এখন যে পরিস্থিতি চলছে তাতে সব শিক্ষার্থীর হাতে সব বই দিতে মার্চের মাঝামাঝি পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
জানতে চাইলে বই ছাপার কাজ পাওয়া একটি মুদ্রণকারী প্রতিষ্ঠানের মালিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, কাগজের সংকটের কারণে সব বই পেতে মার্চের অনেকটা সময় চলে যাবে বলে তিনি মনে করেন।

শিক্ষাবর্ষের এক মাস ২১ দিন শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু দেশের শিক্ষার্থীরা সব পাঠ্যবই এখনো হাতে পায়নি। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের তথ্য বলছে, প্রায় ৭ কোটি বই ছাপা হওয়া বাকি, যার অধিকাংশই মাধ্যমিক পর্যায়ের।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) সূত্রমতে, নতুন শিক্ষাবর্ষে ৪ কোটির মতো শিক্ষার্থীর জন্য প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের প্রায় ৪০ কোটি ১৫ লাখ বই ছাপানোর আয়োজন করা হয়েছিল। তবে পরে এসে দেখা যায়, প্রয়োজনের চেয়ে বেশি চাহিদা জানানো হয়েছে। নতুন করে হিসাব করে দেখা যায়, মোট বই ছাপতে হবে আসলে ৩৯ কোটি ৬০ লাখের মতো। এর মধ্যে সাত কোটি ছাপা হওয়া বাকি।
মাধ্যমিকে (মাদ্রাসার ইবতেদায়িসহ) বই লাগবে প্রায় ৩০ কোটি ৫০ লাখ। ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মাধ্যমিকের প্রায় ২৩ কোটি ৬৭ লাখের মতো বই ছাপা হয়েছে। অবশ্য সরবরাহ হয়েছে ১৮ কোটি ৭৪ লাখ ৬০ হাজারের বেশি পাঠ্যবই। এই হিসাবে ১১ কোটি ৭৫ লাখের মতো পাঠ্যবই এখনো সরবরাহ করা হয়নি।
ছাপার পর বই নির্ধারিত মান অনুযায়ী হয়েছে কি না, তা যাচাই করে সরবরাহের আদেশ দেওয়া হয়। ফলে ছাপা হলেও সঙ্গে সঙ্গে তা পাঠানো যায় না, একটু সময় লাগে। আবার ছাপার পর তা বাঁধাইয়ের কাজেও দেরি হয়।
প্রাথমিকের মোট পাঠ্যবই ৯ কোটি ১৯ লাখের বেশি। এর মধ্যে ছাপা হয়েছে ৮ কোটি ৯৬ লাখ ৪৪ হাজারের মতো। অবশ্য এর মধ্যে ৮ কোটি ৬৫ লাখ ৬১ হাজারের বেশি বই সরবরাহের ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। এখনো প্রায় ৫৪ লাখ বই সরবরাহ হয়নি, যা মোট বইয়ের প্রায় ৬ শতাংশ।
এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম রিয়াজুল হাসান বলেছিলেন, তারা চেষ্টা করছেন ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সব বই সরবরাহ করতে। গত বৃহস্পতিবার যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, যেসব পাঠ্যবইয়ের পরীক্ষা হয়, সেগুলো এ মাসেই চলে যাবে বলে তারা আশা করছেন। বাকি থাকবে মূলত সেসব বই, যার পরীক্ষা হয় না এবং সেগুলো অতিরিক্ত চাহিদার।
রাজধানীর মগবাজারের ইস্পাহানী বালিকা বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয়ে গত বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গিয়ে দেখা যায়, শিক্ষকরা শ্রেণিকক্ষে পাঠদান করছেন। বিদ্যালয়টির অফিসকর্মীরা জানান, চাহিদার চেয়ে সামান্য কম হলেও প্রাথমিকের প্রায় বিষয়ের বই পাওয়া গেছে। তবে নবম শ্রেণিতে এখন পর্যন্ত তিনটি বিষয় হাতে এসেছে। সেগুলো হলো বাংলা, ইংরেজি ও গণিত। ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণিতে চারু ও কারুকলা, গার্হস্থ্যবিজ্ঞানের মতো দু-একটি বিষয়ের বই ছাড়া বাকি বিষয়ের বই পাওয়া গেছে। আর দশম শ্রেণির সব বিষয়ের বই এসেছে।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ের তথ্য বলছে, জেলায় সব শ্রেণির বই মোটামুটি পাওয়া গেছে। তবে ঘাটতি রয়েছে নবম শ্রেণির বইয়ের। নবম শ্রেণির বইয়ের চাহিদা ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৩২২। এর মধ্যে পাওয়া গেছে ২ লাখ ৭০ হাজার ৫৫৪টি।
এনসিটিবির একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে তারা প্রথমে সব শ্রেণির তিনটি বিষয়ের (বাংলা, ইংরেজি ও গণিত) বই দেওয়ার ওপর গুরুত্ব দিয়েছিলেন। এরপর এসএসসি পরীক্ষার্থী হিসেবে দশম শ্রেণির বই ছাপার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। প্রাথমিকের পাঠ্যবই ছাপার কাজ প্রায় শেষ। এখন নবম শ্রেণিসহ মাধ্যমিকের অন্যান্য শ্রেণির অবশিষ্ট বই ছাপায় গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
দরপত্র, অনুমোদন, চুক্তির মতো কাজগুলোও যথাসময়ে না করায় এবং কাগজ ও আর্ট কার্ডের সংকটের কারণে আরও বেশি দেরি হচ্ছে। এখন যে পরিস্থিতি চলছে তাতে সব শিক্ষার্থীর হাতে সব বই দিতে মার্চের মাঝামাঝি পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
জানতে চাইলে বই ছাপার কাজ পাওয়া একটি মুদ্রণকারী প্রতিষ্ঠানের মালিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, কাগজের সংকটের কারণে সব বই পেতে মার্চের অনেকটা সময় চলে যাবে বলে তিনি মনে করেন।

সোমবার সকাল থেকে ব্রহ্মপুত্র ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বিআরআইইউ কম্পিউটার ক্লাবের আয়োজনে প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষা, সৃজনশীলতা ও প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বিকাশের জন্য তিন দিনব্যাপী “CS Feast 2.0” বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়।
১০ দিন আগে
পরীক্ষায় কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলের অর্জনের স্বীকৃতিস্বরূপ, খুলনা খান বাহাদুর আহ্ছানউল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ জন মেধাবী শিক্ষার্থীর মাঝে ফুল ফ্রি টিউশন অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়েছে।
১৩ দিন আগে
চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ ০৩ ডিসেম্বর। মনোনয়পত্র প্রত্যাহার ০৪, ০৭ ও ০৮ ডিসেম্বর। প্রত্যাহারকৃত প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ ০৯ ডিসেম্বর
১৫ দিন আগে
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে অনলাইনের মাধ্যমে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের নিবন্ধন কার্যক্রম ২ নভেম্বর থেকে ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে
১৭ দিন আগেসোমবার সকাল থেকে ব্রহ্মপুত্র ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বিআরআইইউ কম্পিউটার ক্লাবের আয়োজনে প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষা, সৃজনশীলতা ও প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বিকাশের জন্য তিন দিনব্যাপী “CS Feast 2.0” বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়।
পরীক্ষায় কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলের অর্জনের স্বীকৃতিস্বরূপ, খুলনা খান বাহাদুর আহ্ছানউল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ জন মেধাবী শিক্ষার্থীর মাঝে ফুল ফ্রি টিউশন অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়েছে।
চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ ০৩ ডিসেম্বর। মনোনয়পত্র প্রত্যাহার ০৪, ০৭ ও ০৮ ডিসেম্বর। প্রত্যাহারকৃত প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ ০৯ ডিসেম্বর
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে অনলাইনের মাধ্যমে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের নিবন্ধন কার্যক্রম ২ নভেম্বর থেকে ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে