বিনোদন ডেস্ক
আজ ঢাকায় তো কাল কলকাতায়—এক দশক ধরে এমনই এক নিয়মে চলছে জয়ার দিনকাল। কখন ঢাকায় আবার কখন কলকাতায় জানা খুব মুশকিল। তাই তো যখনই কথা হয়, শুরুতেই জিজ্ঞাসা, আপনি ঢাকায় নাকি কলকাতায়? দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসানের কথা বলছিলাম। সৌন্দর্য ও অসাধারণ অভিনয় শৈলী দিয়ে তিনি দুই বাংলার সিনেমাপ্রেমীদের মন জয় করে নিয়েছেন।মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত ব্যাচেলর চলচ্চিত্রে অতিথি শিল্পী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন তিনি । প্রধান অভিনেত্রী হিসেবে তিনি নাসিরুদ্দিন ইউসুফের গেরিলা চলচ্চিত্রে আত্মপ্রকাশ করেন।
জয়া বলেন,
মানুষের সৌন্দর্য দুই রকম। একটা বাহ্যিক যা অন্যরা দেখতে পায়। আর একটা ভেতরের সৌন্দয্য থাকে যা মন ধারণ করে। সেটা অন্যরা দেখতে পায় না। যার মনের সৌন্দর্য যতো বেশি তার বাহ্যিক সৌন্দর্যটাও ততো ফুটে উঠে। আমি চেষ্টা করি নিজের মনের যত্ন নিতে।
জয়া আহসান রূপচর্চা প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমি নিজের রূপচর্চায় হারবাল প্রোডাক্টস ব্যবহার করি। কারণ আমি হারবাল প্রোডাক্টসে আস্থা রাখি। যতই দিন যাচ্ছে, জয়ার ঔজ্জ্বল্য ততই বেড়ে চলছে। এ অভিনেত্রীর সৌন্দর্য, ফিগার আর অসাধারণ অভিনয় দক্ষতা শুধু ভক্ত-দর্শকদের কাছেই নয়; বিনোদন জগতের অনেকের কাছেও ঈর্ষণীয়। আসলে এই তারকার সৌন্দর্যের রহস্য কী?
জয়া বলেন,
আমার গোপন কোনো রহস্য নেই। আমি খেতে ভালোবাসি। ঢাকায় থাকলে সকালে হালকা নাশতা, দুপুরে তাজা সবজি দিয়ে ভাত খাই। মাঝেমধ্যে পোলাও এবং রেডমিট খেতে ইচ্ছে করলে মাকে বলি। মা রান্না করে খাওয়ান। অত হিসাব করে খাই না। নিয়ম মেনে হিসাব-নিকাশ করে খেতে পারি না; বিশেষ করে যখন শুটিং চলে। তাই আমার সঠিক কোনো ডায়েট প্ল্যান নেই। তবে কারিনা কাপুরের ডায়েটিশিয়ান রুজুতা দিবাকরের বই পড়ি। তিনি খুব সুন্দর করে মন ও শরীরের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে ওজন কমানোর কথা বলেন। কলকাতায় শুটিং থাকলে ডিম সিদ্ধ খেয়ে আবার কচুরি, জিলাপি খাই। শুটিংয়ে গিয়ে বলি, আমি চাইলেও তোমরা আমাকে দুধ চা দেবে না। ওরা কিছু বলে না, মুখ টিপে হাসে। আসলে সকালে দুধ-চিনি দিয়ে এক কাপ চা না খেলে মনে হয়, দিন ঠিকমতো শুরু হলো না। শুটিংয়ের সময় আমার খাওয়ার পরিমাণ বেড়ে যায়।
জয়ার এই সুন্দর শরীরের মূল রহস্য, যোগব্যায়াম বা ইয়োগা। যোগব্যায়াম শরীরচর্চার শক্তিশালী এক মাধ্যম, যা মনকে শান্ত করে এবং স্নায়ুগুলোকে শীতল করে তোলে।
দুই যুগের বেশি সময় কাজ করে অভিনয়ে অনন্য একটি নাম হয়ে উঠেছেন জয়া। এর মধ্যে এক যুগ কাজ করছেন কলকাতায়।
এ কারণে ত্বক উজ্জ্বল হয়, হজমশক্তি বাড়ায়, শরীরের সব সমস্যা কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করে, মুখে ব্রণ হতে দেয় না এবং বিভিন্ন শারীরিক এবং মানসিক সমস্যা দূর করে। তাই তো জয়া নিয়মিত ভাত খেলেও তার ওজন বাড়ে না। এই প্রসঙ্গে জয়া বলেন, 'আমার ওজন না বাড়ার কারণ, নিয়মিত ব্যায়াম। একটা সময়ে এত বেশি ব্যায়াম করেছি, শরীর টোনড হয়েছে। তাই এখন হালকা ব্যায়াম করলেও চলে। সন্ধ্যা ৭টার পর খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দিই। তবে রাতে এক গ্ল্যাস দুধ অবশ্যই পান করি। আমি মনে করি, সৌন্দর্যের মূলমন্ত্র ব্যায়াম করা। ব্যায়াম করলে আমার আত্মবিশ্বাস দৃঢ় হয়, চেহারা ভালো থাকে। ব্যায়াম করার পর আয়নায় নিজেকে দেখলে অন্য রকম সুন্দর লাগে। ঢাকায় থাকলে বাড়িতে ব্যায়াম করি না। জিমে গিয়ে করি। অ্যারোবিকস করতে বেশি পছন্দ করি। এখন ৪৫ মিনিট করে চলে আসি। ব্যায়ামকে সবকিছুর ওপরে রাখি। আমি মনে করি, প্রত্যেকের অল্প সময় হলেও প্রতিদিন ব্যায়াম করা উচিত।'
শরীরকে সুস্থ আর সুন্দর রাখতে চাইলে নিয়মিত ব্যায়াম আর পরিশ্রমের কোনো বিকল্প নেই। প্রতি মাসে একদিন ওজন মাপা উচিত। অতিরিক্ত ওজন কখনও সুস্বাস্থ্যের লক্ষণ নয় বরং নানা অসুখের কারণ হয়ে দেখা দেয়। আমি মনে করি, ওজন কমানোর সময় চিনিযুক্ত খাবার, ভাজা-পোড়া খাবার, মিষ্টি জাতীয় পানীয়, প্রক্রিয়াজাত করা খাবার খাওয়া উচিত নয়। ওজন কমাতে নিয়মিত শাকসবজির পাশাপাশি দৈনিক কমপক্ষে আধাঘণ্টা হাঁটা এবং প্রচুর পানি পান করা। এ ছাড়া প্রতিদিন অনন্ত ৮ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত
আজ ঢাকায় তো কাল কলকাতায়—এক দশক ধরে এমনই এক নিয়মে চলছে জয়ার দিনকাল। কখন ঢাকায় আবার কখন কলকাতায় জানা খুব মুশকিল। তাই তো যখনই কথা হয়, শুরুতেই জিজ্ঞাসা, আপনি ঢাকায় নাকি কলকাতায়? দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসানের কথা বলছিলাম। সৌন্দর্য ও অসাধারণ অভিনয় শৈলী দিয়ে তিনি দুই বাংলার সিনেমাপ্রেমীদের মন জয় করে নিয়েছেন।মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত ব্যাচেলর চলচ্চিত্রে অতিথি শিল্পী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন তিনি । প্রধান অভিনেত্রী হিসেবে তিনি নাসিরুদ্দিন ইউসুফের গেরিলা চলচ্চিত্রে আত্মপ্রকাশ করেন।
জয়া বলেন,
মানুষের সৌন্দর্য দুই রকম। একটা বাহ্যিক যা অন্যরা দেখতে পায়। আর একটা ভেতরের সৌন্দয্য থাকে যা মন ধারণ করে। সেটা অন্যরা দেখতে পায় না। যার মনের সৌন্দর্য যতো বেশি তার বাহ্যিক সৌন্দর্যটাও ততো ফুটে উঠে। আমি চেষ্টা করি নিজের মনের যত্ন নিতে।
জয়া আহসান রূপচর্চা প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমি নিজের রূপচর্চায় হারবাল প্রোডাক্টস ব্যবহার করি। কারণ আমি হারবাল প্রোডাক্টসে আস্থা রাখি। যতই দিন যাচ্ছে, জয়ার ঔজ্জ্বল্য ততই বেড়ে চলছে। এ অভিনেত্রীর সৌন্দর্য, ফিগার আর অসাধারণ অভিনয় দক্ষতা শুধু ভক্ত-দর্শকদের কাছেই নয়; বিনোদন জগতের অনেকের কাছেও ঈর্ষণীয়। আসলে এই তারকার সৌন্দর্যের রহস্য কী?
জয়া বলেন,
আমার গোপন কোনো রহস্য নেই। আমি খেতে ভালোবাসি। ঢাকায় থাকলে সকালে হালকা নাশতা, দুপুরে তাজা সবজি দিয়ে ভাত খাই। মাঝেমধ্যে পোলাও এবং রেডমিট খেতে ইচ্ছে করলে মাকে বলি। মা রান্না করে খাওয়ান। অত হিসাব করে খাই না। নিয়ম মেনে হিসাব-নিকাশ করে খেতে পারি না; বিশেষ করে যখন শুটিং চলে। তাই আমার সঠিক কোনো ডায়েট প্ল্যান নেই। তবে কারিনা কাপুরের ডায়েটিশিয়ান রুজুতা দিবাকরের বই পড়ি। তিনি খুব সুন্দর করে মন ও শরীরের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে ওজন কমানোর কথা বলেন। কলকাতায় শুটিং থাকলে ডিম সিদ্ধ খেয়ে আবার কচুরি, জিলাপি খাই। শুটিংয়ে গিয়ে বলি, আমি চাইলেও তোমরা আমাকে দুধ চা দেবে না। ওরা কিছু বলে না, মুখ টিপে হাসে। আসলে সকালে দুধ-চিনি দিয়ে এক কাপ চা না খেলে মনে হয়, দিন ঠিকমতো শুরু হলো না। শুটিংয়ের সময় আমার খাওয়ার পরিমাণ বেড়ে যায়।
জয়ার এই সুন্দর শরীরের মূল রহস্য, যোগব্যায়াম বা ইয়োগা। যোগব্যায়াম শরীরচর্চার শক্তিশালী এক মাধ্যম, যা মনকে শান্ত করে এবং স্নায়ুগুলোকে শীতল করে তোলে।
দুই যুগের বেশি সময় কাজ করে অভিনয়ে অনন্য একটি নাম হয়ে উঠেছেন জয়া। এর মধ্যে এক যুগ কাজ করছেন কলকাতায়।
এ কারণে ত্বক উজ্জ্বল হয়, হজমশক্তি বাড়ায়, শরীরের সব সমস্যা কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করে, মুখে ব্রণ হতে দেয় না এবং বিভিন্ন শারীরিক এবং মানসিক সমস্যা দূর করে। তাই তো জয়া নিয়মিত ভাত খেলেও তার ওজন বাড়ে না। এই প্রসঙ্গে জয়া বলেন, 'আমার ওজন না বাড়ার কারণ, নিয়মিত ব্যায়াম। একটা সময়ে এত বেশি ব্যায়াম করেছি, শরীর টোনড হয়েছে। তাই এখন হালকা ব্যায়াম করলেও চলে। সন্ধ্যা ৭টার পর খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দিই। তবে রাতে এক গ্ল্যাস দুধ অবশ্যই পান করি। আমি মনে করি, সৌন্দর্যের মূলমন্ত্র ব্যায়াম করা। ব্যায়াম করলে আমার আত্মবিশ্বাস দৃঢ় হয়, চেহারা ভালো থাকে। ব্যায়াম করার পর আয়নায় নিজেকে দেখলে অন্য রকম সুন্দর লাগে। ঢাকায় থাকলে বাড়িতে ব্যায়াম করি না। জিমে গিয়ে করি। অ্যারোবিকস করতে বেশি পছন্দ করি। এখন ৪৫ মিনিট করে চলে আসি। ব্যায়ামকে সবকিছুর ওপরে রাখি। আমি মনে করি, প্রত্যেকের অল্প সময় হলেও প্রতিদিন ব্যায়াম করা উচিত।'
শরীরকে সুস্থ আর সুন্দর রাখতে চাইলে নিয়মিত ব্যায়াম আর পরিশ্রমের কোনো বিকল্প নেই। প্রতি মাসে একদিন ওজন মাপা উচিত। অতিরিক্ত ওজন কখনও সুস্বাস্থ্যের লক্ষণ নয় বরং নানা অসুখের কারণ হয়ে দেখা দেয়। আমি মনে করি, ওজন কমানোর সময় চিনিযুক্ত খাবার, ভাজা-পোড়া খাবার, মিষ্টি জাতীয় পানীয়, প্রক্রিয়াজাত করা খাবার খাওয়া উচিত নয়। ওজন কমাতে নিয়মিত শাকসবজির পাশাপাশি দৈনিক কমপক্ষে আধাঘণ্টা হাঁটা এবং প্রচুর পানি পান করা। এ ছাড়া প্রতিদিন অনন্ত ৮ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত
মার্কিন সংগীতশিল্পী, গীতিকার ও আন্দোলনকর্মী জিল সোবুল মারা গেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার মিনেসোটার নিজ বাড়িতে আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয় এই গায়িকার। তার বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর। তার মুখপাত্র জন পর্টার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। খবর ভ্যারাইটির
১৮ ঘণ্টা আগেএবারের ঈদে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে চিত্রনায়ক সিয়াম আহমেদের ‘জংলি’ সিনেমা। এম রাহিমের পরিচালনায় এই সিনেমায় উঠে এসেছে বাবা-মেয়ের গল্প, যা প্রেক্ষাগৃহে দর্শকের চোখে কান্না ঝরিয়েছে।
১ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজধানীর গুলশানে ভ্যানচালক জব্বার আলী হাওলাদারকে হত্যাচেষ্টা মামলায় অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমানের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
৩ দিন আগেমার্কিন সংগীতশিল্পী, গীতিকার ও আন্দোলনকর্মী জিল সোবুল মারা গেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার মিনেসোটার নিজ বাড়িতে আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয় এই গায়িকার। তার বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর। তার মুখপাত্র জন পর্টার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। খবর ভ্যারাইটির
এবারের ঈদে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে চিত্রনায়ক সিয়াম আহমেদের ‘জংলি’ সিনেমা। এম রাহিমের পরিচালনায় এই সিনেমায় উঠে এসেছে বাবা-মেয়ের গল্প, যা প্রেক্ষাগৃহে দর্শকের চোখে কান্না ঝরিয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজধানীর গুলশানে ভ্যানচালক জব্বার আলী হাওলাদারকে হত্যাচেষ্টা মামলায় অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমানের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।