তদন্ত প্রতিবেদনে ১০ সুপারিশ
সিলেট
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্রে পাথর লুটের ঘটনায় জেলা প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। এতে মোট ১৩৭ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। প্রতিবেদনে কিছু পর্যবেক্ষণ এবং ১০টি সুপারিশও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
বুধবার (২০ আগস্ট) বিকেলে বিদায়ী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদের কাছে প্রতিবেদন জমা দেন তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পদ্মাসন সিংহ। জেলা প্রশাসক জানান, প্রতিবেদনটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হবে।
প্রতিবেদনে কী আছে, তা জানতে পদ্মাসন সিংহের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
পদ্মাসন সিংহ বলেন, ‘ডিসি স্যারের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছি।’ পরে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘প্রতিবেদন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হবে। এ বিষয়ে আর কিছুই বলা যাবে না।’
সারা দেশে ৫১টি কোয়ারি (পাথর ও বালু উত্তোলনের নির্দিষ্ট স্থান) আছে। এর মধ্যে সিলেটের কানাইঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট ও জৈন্তাপুরে আছে ৮টি পাথর কোয়ারি। এর বাইরে সিলেটে সাদাপাথর, জাফলং, বিছনাকান্দি, উৎমাছড়াসহ আরও ১০টি জায়গায় পাথর আছে। সীমান্তের ওপারে ভারতের পাহাড়ি নদী থেকে এসব পাথর আসে। ২০২০ সালের আগে সংরক্ষিত এলাকা বাদে সিলেটের ৮টি কোয়ারি ইজারা দিয়ে পাথর উত্তোলনের সুযোগ দেওয়া হতো। তবে পরিবেশ ও প্রতিবেশের ক্ষতির কারণে ২০২০ সালের পর আর পাথর কোয়ারি ইজারা দেওয়া হয়নি।
সিলেটের ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক দলের নেতারা সব সময় পাথর উত্তোলনের পক্ষে জোরালো অবস্থান নেন। বিগত পাঁচ বছরে তাঁরা নানাভাবে কোয়ারি ইজারা আবার চালুর চেষ্টা করেছেন, কিন্তু সরকার অনুমতি দেয়নি। এ অবস্থায় রাতের বেলা আড়ালে মানুষ অবৈধভাবে পাথর তুলতেন। গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর টানা এক বছর দেদার পাথর লুটপাট চলে।
সর্বশেষ পর্যটনকেন্দ্র সাদাপাথর থেকে ৮০ শতাংশ পাথর লুট করে নেওয়া হয়। বিষয়টি প্রচার হলে দেশ-বিদেশে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এ ঘটনায় ১২ আগস্ট জেলা প্রশাসন ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেন। কমিটির আহ্বায়ক হন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পদ্মাসন সিংহ। এতে সদস্য হিসেবে রাখা হয় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (গত সোমবার তাঁকে বদলি করা হয়েছে) আজিজুন্নাহার ও পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেটের সহকারী পরিচালক মো. আফজারুল ইসলামকে।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, সাদাপাথর লুটের কারণ, কারা কারা সম্পৃক্ত, সুপারিশ ও পর্যবেক্ষণ তদন্ত কমিটি তাঁদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন, বিভিন্নজনের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি একাধিক সূত্রে পাওয়া তথ্য ঘেঁটে তাঁরা প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন।
এদিকে আজ দুপুরে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এক মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবী। এ সময় তিনি বলেন, সাদাপাথরে পাথর লুটকারীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি হচ্ছে। কাজ চলছে সতর্কতার সঙ্গে, যাতে প্রকৃত দোষীদের নাম তালিকায় আসে এবং নির্দোষ মানুষ হয়রানির শিকার না হন। তালিকা তৈরির পর তা প্রকাশ করা হবে। এ ব্যাপারে গোয়েন্দা বাহিনীসহ বিভিন্ন সংস্থার সমন্বয়ে কাজ চলছে।
গত ৯ জুলাই বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সভায় তাঁর বক্তব্যে পাথর লুটপাটকারীরা উৎসাহিত হয়েছে কি না, প্রশ্নের জবাবে খান মো. রেজা-উন-নবী বলেন, ‘সেদিন আমরা ইজারা নিয়ে কথা বলেছি। পাথর চুরি নিয়ে কিছু বলা হয়নি। পাথরচোরদের উৎসাহিত করার মতো কিছু আমি বলিনি। তেমন কিছু কেউ বললে বা ছড়ালে সেটা ভুল মেসেজ।’
এদিকে লুটের পাথর উদ্ধারে বুধবারও অভিযান চালিয়েছে যৌথ বাহিনী ও টাস্কফোর্স। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত সদর উপজেলায় ৯৫ হাজার ঘনফুট ও গোয়াইনঘাট উপজেলায় দুই হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার হয়েছে। তবে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় অভিযান পরিচালিত হলেও কী পরিমাণ পাথর উদ্ধার হয়েছে, তা সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত উপজেলা প্রশাসন জানাতে পারেনি।
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্রে পাথর লুটের ঘটনায় জেলা প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। এতে মোট ১৩৭ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। প্রতিবেদনে কিছু পর্যবেক্ষণ এবং ১০টি সুপারিশও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
বুধবার (২০ আগস্ট) বিকেলে বিদায়ী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদের কাছে প্রতিবেদন জমা দেন তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পদ্মাসন সিংহ। জেলা প্রশাসক জানান, প্রতিবেদনটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হবে।
প্রতিবেদনে কী আছে, তা জানতে পদ্মাসন সিংহের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
পদ্মাসন সিংহ বলেন, ‘ডিসি স্যারের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছি।’ পরে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘প্রতিবেদন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হবে। এ বিষয়ে আর কিছুই বলা যাবে না।’
সারা দেশে ৫১টি কোয়ারি (পাথর ও বালু উত্তোলনের নির্দিষ্ট স্থান) আছে। এর মধ্যে সিলেটের কানাইঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট ও জৈন্তাপুরে আছে ৮টি পাথর কোয়ারি। এর বাইরে সিলেটে সাদাপাথর, জাফলং, বিছনাকান্দি, উৎমাছড়াসহ আরও ১০টি জায়গায় পাথর আছে। সীমান্তের ওপারে ভারতের পাহাড়ি নদী থেকে এসব পাথর আসে। ২০২০ সালের আগে সংরক্ষিত এলাকা বাদে সিলেটের ৮টি কোয়ারি ইজারা দিয়ে পাথর উত্তোলনের সুযোগ দেওয়া হতো। তবে পরিবেশ ও প্রতিবেশের ক্ষতির কারণে ২০২০ সালের পর আর পাথর কোয়ারি ইজারা দেওয়া হয়নি।
সিলেটের ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক দলের নেতারা সব সময় পাথর উত্তোলনের পক্ষে জোরালো অবস্থান নেন। বিগত পাঁচ বছরে তাঁরা নানাভাবে কোয়ারি ইজারা আবার চালুর চেষ্টা করেছেন, কিন্তু সরকার অনুমতি দেয়নি। এ অবস্থায় রাতের বেলা আড়ালে মানুষ অবৈধভাবে পাথর তুলতেন। গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর টানা এক বছর দেদার পাথর লুটপাট চলে।
সর্বশেষ পর্যটনকেন্দ্র সাদাপাথর থেকে ৮০ শতাংশ পাথর লুট করে নেওয়া হয়। বিষয়টি প্রচার হলে দেশ-বিদেশে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এ ঘটনায় ১২ আগস্ট জেলা প্রশাসন ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেন। কমিটির আহ্বায়ক হন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পদ্মাসন সিংহ। এতে সদস্য হিসেবে রাখা হয় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (গত সোমবার তাঁকে বদলি করা হয়েছে) আজিজুন্নাহার ও পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেটের সহকারী পরিচালক মো. আফজারুল ইসলামকে।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, সাদাপাথর লুটের কারণ, কারা কারা সম্পৃক্ত, সুপারিশ ও পর্যবেক্ষণ তদন্ত কমিটি তাঁদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন, বিভিন্নজনের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি একাধিক সূত্রে পাওয়া তথ্য ঘেঁটে তাঁরা প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন।
এদিকে আজ দুপুরে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এক মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবী। এ সময় তিনি বলেন, সাদাপাথরে পাথর লুটকারীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি হচ্ছে। কাজ চলছে সতর্কতার সঙ্গে, যাতে প্রকৃত দোষীদের নাম তালিকায় আসে এবং নির্দোষ মানুষ হয়রানির শিকার না হন। তালিকা তৈরির পর তা প্রকাশ করা হবে। এ ব্যাপারে গোয়েন্দা বাহিনীসহ বিভিন্ন সংস্থার সমন্বয়ে কাজ চলছে।
গত ৯ জুলাই বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সভায় তাঁর বক্তব্যে পাথর লুটপাটকারীরা উৎসাহিত হয়েছে কি না, প্রশ্নের জবাবে খান মো. রেজা-উন-নবী বলেন, ‘সেদিন আমরা ইজারা নিয়ে কথা বলেছি। পাথর চুরি নিয়ে কিছু বলা হয়নি। পাথরচোরদের উৎসাহিত করার মতো কিছু আমি বলিনি। তেমন কিছু কেউ বললে বা ছড়ালে সেটা ভুল মেসেজ।’
এদিকে লুটের পাথর উদ্ধারে বুধবারও অভিযান চালিয়েছে যৌথ বাহিনী ও টাস্কফোর্স। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত সদর উপজেলায় ৯৫ হাজার ঘনফুট ও গোয়াইনঘাট উপজেলায় দুই হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার হয়েছে। তবে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় অভিযান পরিচালিত হলেও কী পরিমাণ পাথর উদ্ধার হয়েছে, তা সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত উপজেলা প্রশাসন জানাতে পারেনি।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন পেছানোর কোনো সুযোগ নেই। ইতিমধ্যে নির্বাচনের জন্য সকল ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করছে সরকার।
৭ ঘণ্টা আগেখাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় আগামী ১৭ আগস্ট থেকে দেশের ৫৫ লাখ পরিবারকে মাসে ৩০ কেজি চাল ১৫ টাকা কেজি দরে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার।
৭ ঘণ্টা আগেপ্রতিষ্ঠানটির জায়গা দখল করে অবৈধভাবে বাংলোবাড়িটি নির্মাণ করা হয়েছিল। দীর্ঘদিন ধরে এটি নদীর স্বাভাবিক প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করছিল
৮ ঘণ্টা আগেআসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাচন কমিশনের গৃহীত নীতিমালার আলোকে প্রতিটি এলাকার জন্য নির্ধারিত ভোটকেন্দ্র ও ভোটকক্ষ নির্ধারণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী খসড়া তালিকা প্রকাশের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে
৯ ঘণ্টা আগেসিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্রে পাথর লুটের ঘটনায় জেলা প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। এতে মোট ১৩৭ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। প্রতিবেদনে কিছু পর্যবেক্ষণ এবং ১০টি সুপারিশও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন পেছানোর কোনো সুযোগ নেই। ইতিমধ্যে নির্বাচনের জন্য সকল ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করছে সরকার।
খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় আগামী ১৭ আগস্ট থেকে দেশের ৫৫ লাখ পরিবারকে মাসে ৩০ কেজি চাল ১৫ টাকা কেজি দরে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার।
প্রতিষ্ঠানটির জায়গা দখল করে অবৈধভাবে বাংলোবাড়িটি নির্মাণ করা হয়েছিল। দীর্ঘদিন ধরে এটি নদীর স্বাভাবিক প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করছিল