অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, ‘নিউইয়র্ক টাইমস প্রতিবেদনে বলতে চাচ্ছে, শেখ হাসিনা চলে যাওয়ার কারণে দেশে চরমপন্থা-উগ্রপন্থার সুযোগ তৈরি হয়েছে। আমরা মনে করি, এ সুযোগ কাউকে নিতে দেওয়া হবে না। বরং আমরা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পরিচালনা ও প্রতিষ্ঠার জন্য বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখব। দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করলে সরকার হার্ড লাইনে যাবে।

নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে চরমপন্থার সুযোগ তৈরি হয়েছে। এ সুযোগ কাউকে নিতে দেওয়া হবে না। আমরা চেষ্টা করব, বাংলাদেশের কোনো রাজনৈতিক ও ধর্মীয় উগ্রপন্থা যেন মাথাচারা দিতে না পারে। নির্বাচনের মাধ্যমে যেন গণতান্ত্রিক রূপান্তরের ভূমিকা রাখতে পারি। যদি আলোচনা এবং সতর্কতায় কাজ না হয়।তাহলে কঠোর হস্তে দমন করা হবে। কোনোভাবেই চরমপন্থাকে দেশে সুযোগ দেওয়া হবে না।

আজ বুধবার কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার উত্তর রামপুর গ্রামে শহীদ মাসুম মিয়ার কবর জিয়ারত ও পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করব, বাংলাদেশে কোনো রাজনৈতিক ও ধর্মীয় উগ্রপন্থা যেন মাথাচারা দিতে না পারে। নির্বাচনের মাধ্যমে যেন গণতান্ত্রিক রূপান্তরের ভূমিকা রাখতে পারি। যদি আলোচনা সতর্কতায় কাজ না হয়, যদি দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা হয়, সরকার অবশ্যই হার্ডলাইনে যাবে।’

তিনি বলেন, শহীদদের চেতনা যেন বাংলাদেশের জনগণ ধারণ করে। আমরা চেষ্টা করবো, গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের বিচার কাজ শেষ করে যেতে। শহীদদের আকাঙ্খার বাংলাদেশ বিনির্মাণে এ সরকারের চেষ্টা আছে। জনগণ এটার সাথে আছে। আমরা বিশ্বাস করি, এ চেতনার সাথে রাজনৈতিক দলের সদিচ্ছা প্রকাশ করলে আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ গঠন করবো।

গণমাধ্যমের সংস্কার প্রসঙ্গে মাহফুজ আলম বলেন, যতদিন আছি আমরা চাইবো গণমাধ্যমের একটি গুণগত সংস্কারের জন্য। গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের পর্যালোচনা ও প্রস্তাবনায় মফস্বল ও কেন্দ্র নিয়ে বিস্তারিত বর্ণনা আছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাজির আহমেদ খান, বাংলাদেশ নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব জয়নাল আবেদীন শিশির, সদর দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবাইয়া খানম, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন কুমিল্লা মহানগরের আহবাযক আবু রায়হান ও সদস্য সচিব রাশেদুল হাসানসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।