বিবিসি বাংলাকে প্রধান উপদেষ্টা
নিখাদ খবর ডেস্ক
‘একটা পলাতক দল (আওয়ামী লীগ) দেশ ছেড়ে চলে গেছে, তাদের নেতৃত্ব চলে গেছে। এখন তারা দেশটাকে আনসেটেল (অস্থিতিশীল) করার সর্বাত্মক চেষ্টা করছে’ বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড.মুহাম্মদ ইউনূস।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রায় সাত মাসে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, সংস্কার ও নির্বাচন, ছাত্র নেতৃত্বের নতুন দল গঠনসহ রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন। সোমবার (৩ মার্চ) সাক্ষাৎকারটি প্রকাশ করেছে লন্ডনভিত্তিক সংবাদমাধ্যমটি।
সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে তাতে কতটা সফল হয়েছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমার প্রথম চেষ্টা ছিল সেই ধ্বংসস্তূপ থেকে আসল চেহারাটা বের করে আনা। মানুষের দৈনন্দিন জীবন সহজ করে আনা। সেই চেষ্টাটার মধ্যে ছিলাম। তারপর আস্তে আস্তে ভবিষ্যৎ কী হবে, সেটার জন্য চিন্তা করা – কোনদিকে আমরা অগ্রসর হবো।
তিনি বলেন, প্রথম চিন্তা আসলো যে একটা সংস্কার দরকার আমাদের। কারণ যে কারণে এসব ঘটনা ঘটেছে, ফ্যাসিবাদী সরকার চলতে পেরেছে। ১৬ বছর ধরে চলতে পেরেছে, আমরা কিছুই করতে পারিনি। তিন তিনটা নির্বাচন হয়ে গেল, ভোটারের কোনো দেখা নেই। এই যে অসংখ্য রকমের দুর্নীতি এবং ব্যর্থতা, মিসরুল ইত্যাদি – সেখান থেকে আমরা কীভাবে টেনে বের করে আনব। টেনে বের করে আনতে গেলে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারগুলো করতে হবে।
ড. ইউনূস বলেন, এটা আমি বলব, যে ধ্বংসাবশেষ থেকে এসেছিলাম, তার নতুন চেহারা আসছে। ভেসে উঠছে যে, আমরা অর্থনীতি সহজ করেছি। দেশ-বিদেশের আস্থা অর্জন করেছি। এটা তো পরিষ্কার- সারা দুনিয়ায় আমরা আস্থা স্থাপন করতে পেরেছি। এটা কেউ প্রশ্ন করতে পারবে না যে আমি অমুক দেশের আস্থা অর্জন করতে পারিনি। যে দেশেই বলুন, তারা আমাদের ওপর আস্থা স্থাপন করেছে। শুধু আস্থা স্থাপন করেছে না, বিপুলভাবে করেছে। তারা বলছে আমরা অতীতে যা করিনি তারচেয়ে বেশি করব এখন, যেহেতু আমরা দেখছি যে সুন্দরভাবে সরকার চলছে এখন। সেইজন্য তারা বলছে। কাজেই এটা একটা তো বড় প্রমাণ। যখনই আপনি দেশের সারিগুলা দেখবেন- প্রত্যেকটা দেশ নিজে এসে বলেছে, আমরা তোমাদের সমর্থন করছি। তোমাদের যা দরকার আমরা দেব। অবিশ্বাস্য রকমের সহায়তা দিয়েছে তারা।
ছয় মাসে ছিনতাই-ডাকাতিসহ অন্যান্য অপরাধের সংখ্যা বেড়েছে। এটা নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে সমস্যাটা কোথায় হচ্ছে? জানতে চাইলে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, চেষ্টা করছি আমরা। প্রথম দিকে সমস্যা ছিল যে পুলিশ বাহিনী, যাকে দিয়ে আমরা কাজ করাচ্ছিলাম, তারা ভয়ে রাস্তায় নামছিল না। দুদিন আগে তারা এদের গুলি করেছে। মানুষ দেখলেই সে ভয় পায়। কাজেই তাকে ঠিক করতে করতেই আমাদের কয়েক মাস চলে গেছে। এখন মোটামুটি ঠিক হয়ে গেছে। এখন আবার নিয়মশৃঙ্খলার দিকে আমরা রওনা হয়েছি। কাজ করতে থাকব।
গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে ভারতের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্কের অবনতি দেখা গেছে। দুই দেশের সম্পর্ক এখন কোন পর্যায়ে আছে? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘খুবই ভালো। আমাদের সম্পর্কের কোনো অবনতি হয় নাই। আমি যেভাবে ব্যাখ্যা করে এসেছি আমাদের সম্পর্ক সবসময় ভালো থাকবে। এখনও ভালো আছে, ভবিষ্যতেও ভালো থাকবে।’
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক ভালো না থেকে উপায় নেই। আমাদের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ, আমাদের পরস্পরের ওপর নির্ভরশীলতা এত বেশি এবং ঐতিহাসিকভাবে, রাজনৈতিকভাবে, অর্থনৈতিকভাবে আমাদের এত ক্লোজ সম্পর্ক, সেটা থেকে আমরা বিচ্যুত হতে পারবো না। তবে মাঝখানে কিছু কিছু দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে, আমি বলেছি মেঘ দেখা দিয়েছে। এই মেঘগুলো মোটামুটি এসেছে অপপ্রচার থেকে। অপপ্রচারের সূত্র কারা সেটা অন্যরা বিচার করবে। কিন্তু এই অপপ্রচারের ফলে আমাদের সঙ্গে একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়ে গেছে। সেই ভুল বোঝাবুঝি থেকে আমরা উত্তরণের চেষ্টা করছি।
‘একটা পলাতক দল (আওয়ামী লীগ) দেশ ছেড়ে চলে গেছে, তাদের নেতৃত্ব চলে গেছে। এখন তারা দেশটাকে আনসেটেল (অস্থিতিশীল) করার সর্বাত্মক চেষ্টা করছে’ বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড.মুহাম্মদ ইউনূস।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রায় সাত মাসে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, সংস্কার ও নির্বাচন, ছাত্র নেতৃত্বের নতুন দল গঠনসহ রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন। সোমবার (৩ মার্চ) সাক্ষাৎকারটি প্রকাশ করেছে লন্ডনভিত্তিক সংবাদমাধ্যমটি।
সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে তাতে কতটা সফল হয়েছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমার প্রথম চেষ্টা ছিল সেই ধ্বংসস্তূপ থেকে আসল চেহারাটা বের করে আনা। মানুষের দৈনন্দিন জীবন সহজ করে আনা। সেই চেষ্টাটার মধ্যে ছিলাম। তারপর আস্তে আস্তে ভবিষ্যৎ কী হবে, সেটার জন্য চিন্তা করা – কোনদিকে আমরা অগ্রসর হবো।
তিনি বলেন, প্রথম চিন্তা আসলো যে একটা সংস্কার দরকার আমাদের। কারণ যে কারণে এসব ঘটনা ঘটেছে, ফ্যাসিবাদী সরকার চলতে পেরেছে। ১৬ বছর ধরে চলতে পেরেছে, আমরা কিছুই করতে পারিনি। তিন তিনটা নির্বাচন হয়ে গেল, ভোটারের কোনো দেখা নেই। এই যে অসংখ্য রকমের দুর্নীতি এবং ব্যর্থতা, মিসরুল ইত্যাদি – সেখান থেকে আমরা কীভাবে টেনে বের করে আনব। টেনে বের করে আনতে গেলে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারগুলো করতে হবে।
ড. ইউনূস বলেন, এটা আমি বলব, যে ধ্বংসাবশেষ থেকে এসেছিলাম, তার নতুন চেহারা আসছে। ভেসে উঠছে যে, আমরা অর্থনীতি সহজ করেছি। দেশ-বিদেশের আস্থা অর্জন করেছি। এটা তো পরিষ্কার- সারা দুনিয়ায় আমরা আস্থা স্থাপন করতে পেরেছি। এটা কেউ প্রশ্ন করতে পারবে না যে আমি অমুক দেশের আস্থা অর্জন করতে পারিনি। যে দেশেই বলুন, তারা আমাদের ওপর আস্থা স্থাপন করেছে। শুধু আস্থা স্থাপন করেছে না, বিপুলভাবে করেছে। তারা বলছে আমরা অতীতে যা করিনি তারচেয়ে বেশি করব এখন, যেহেতু আমরা দেখছি যে সুন্দরভাবে সরকার চলছে এখন। সেইজন্য তারা বলছে। কাজেই এটা একটা তো বড় প্রমাণ। যখনই আপনি দেশের সারিগুলা দেখবেন- প্রত্যেকটা দেশ নিজে এসে বলেছে, আমরা তোমাদের সমর্থন করছি। তোমাদের যা দরকার আমরা দেব। অবিশ্বাস্য রকমের সহায়তা দিয়েছে তারা।
ছয় মাসে ছিনতাই-ডাকাতিসহ অন্যান্য অপরাধের সংখ্যা বেড়েছে। এটা নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে সমস্যাটা কোথায় হচ্ছে? জানতে চাইলে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, চেষ্টা করছি আমরা। প্রথম দিকে সমস্যা ছিল যে পুলিশ বাহিনী, যাকে দিয়ে আমরা কাজ করাচ্ছিলাম, তারা ভয়ে রাস্তায় নামছিল না। দুদিন আগে তারা এদের গুলি করেছে। মানুষ দেখলেই সে ভয় পায়। কাজেই তাকে ঠিক করতে করতেই আমাদের কয়েক মাস চলে গেছে। এখন মোটামুটি ঠিক হয়ে গেছে। এখন আবার নিয়মশৃঙ্খলার দিকে আমরা রওনা হয়েছি। কাজ করতে থাকব।
গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে ভারতের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্কের অবনতি দেখা গেছে। দুই দেশের সম্পর্ক এখন কোন পর্যায়ে আছে? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘খুবই ভালো। আমাদের সম্পর্কের কোনো অবনতি হয় নাই। আমি যেভাবে ব্যাখ্যা করে এসেছি আমাদের সম্পর্ক সবসময় ভালো থাকবে। এখনও ভালো আছে, ভবিষ্যতেও ভালো থাকবে।’
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক ভালো না থেকে উপায় নেই। আমাদের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ, আমাদের পরস্পরের ওপর নির্ভরশীলতা এত বেশি এবং ঐতিহাসিকভাবে, রাজনৈতিকভাবে, অর্থনৈতিকভাবে আমাদের এত ক্লোজ সম্পর্ক, সেটা থেকে আমরা বিচ্যুত হতে পারবো না। তবে মাঝখানে কিছু কিছু দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে, আমি বলেছি মেঘ দেখা দিয়েছে। এই মেঘগুলো মোটামুটি এসেছে অপপ্রচার থেকে। অপপ্রচারের সূত্র কারা সেটা অন্যরা বিচার করবে। কিন্তু এই অপপ্রচারের ফলে আমাদের সঙ্গে একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়ে গেছে। সেই ভুল বোঝাবুঝি থেকে আমরা উত্তরণের চেষ্টা করছি।
দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় পরিবারসহ বিমান বাহিনী সাবেক প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
১২ ঘণ্টা আগেরাতে বাসায় ঢুকে ‘ভাঙচুর–অর্থ আদায়ের অভিযোগে রাজধানীর কলাবাগান থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মোক্তারুজ্জামান এবং উপপরিদর্শক (এসআই) বেলাল উদ্দিন ও মান্নানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
১৩ ঘণ্টা আগেস্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে বিভিন্ন ব্যবস্থাপনা থাকলেও বাস্তবে বহু অনিয়ম বিদ্যমান।
১৩ ঘণ্টা আগেদুর্নীতির অভিযোগ থাকায় পরিবারসহ বিমান বাহিনী সাবেক প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
রাতে বাসায় ঢুকে ‘ভাঙচুর–অর্থ আদায়ের অভিযোগে রাজধানীর কলাবাগান থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মোক্তারুজ্জামান এবং উপপরিদর্শক (এসআই) বেলাল উদ্দিন ও মান্নানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে বিভিন্ন ব্যবস্থাপনা থাকলেও বাস্তবে বহু অনিয়ম বিদ্যমান।