অনলাইন ডেস্ক
ভারতে মোদি সরকারের মুসলমানবিরোধী নতুন পদক্ষেপের সমালোচনা করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। বলেন, ওয়াকফ বিল মোদি সরকারের আরও একটি মুসলমানবিরোধী পদক্ষেপ। আজ রোববার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে এক পোস্টে তিনি এ বিষয়ে তার প্রতিক্রিয়া জানান।
ফেসবুক পোস্টে আসিফ নজরুল বলেন, ‘‘ভারতে মোদি সরকার মুসলমানবিরোধী আরও একটি পদক্ষেপ নিয়েছে। নতুন আইন পাস করে তারা মুসলমানদের ‘ওয়াক্ফ’ সম্পত্তি পরিচালনা বোর্ডে অমুসলিমদেরও রাখার এবং এসব সম্পত্তিতে সরকারের সরাসরি খবরদারিত্বের বিধান করেছে। এই আইন ব্যবহার করে পুরোনো মসজিদসহ মুসলমানদের বহু ঐতিহাসিক সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।’
আইন উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘ভারতে হিন্দু মন্দির পরিচালনা কমিটিতে অন্য ধর্মাবলম্বীরা স্থান পান না। এই প্রশ্ন সেখানে উঠেছে যে, ওয়াক্ফ বোর্ডে তাহলে অমুসলিমদের রাখা হবে কেন?’
আসিফ নজরুলের মতে, ‘এই আইন ভারতে মুসলমান ও অন্যান্য সংখ্যালঘু ধর্মের মানুষের বিরুদ্ধে ভারতের হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীর ক্রমাগত বৈষম্য ও নিপীড়নের আরেকটি অধ্যায় রচনা করবে।’
অন্তর্বর্তী সরকারের এই উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘পরিতাপের বিষয় হচ্ছে, এরাই আবার বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নিপীড়নের ভুয়া অভিযোগ তুলে যাচ্ছে অব্যাহতভাবে।’
ওয়াক্ফ হলো ইসলামি দানের একটি প্রাচীন ব্যবস্থা। ওয়াক্ফের মাধ্যমে কোনো ব্যক্তি স্থায়ীভাবে সাধারণত জমির মতো কোনো সম্পত্তি ধর্মীয় বা জনহিতকর কাজে ব্যবহারের জন্য দান করেন। এ ধরনের ওয়াক্ফ সম্পত্তি বিক্রি করা বা কারও নামে হস্তান্তর করা যায় না।
ভারতে ওয়াক্ফ বোর্ডগুলোর অধীন প্রায় ৮ লাখ ৭২ হাজারটি সম্পত্তি আছে। এগুলোর মোট আয়তন প্রায় ১০ লাখ একর। এসবের মোট মূল্য প্রায় ১৪ দশমিক ২২ বিলিয়ন ডলার বলে ধারণা করা হয়। এসব সম্পত্তির অনেকগুলোর ইতিহাস শত শত বছর পুরোনো। অধিকাংশই ব্যবহার করা হয় মসজিদ, মাদ্রাসা, কবরস্থান ও এতিমখানার মতো জনকল্যাণমূলক কাজে।
সম্প্রতি ভারতের পার্লামেন্টে মুসলিম সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা আইন সংশোধনের বিতর্কিত বিল পাস হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হিন্দুত্ববাদী সরকারের উত্থাপিত এই বিলের বিরোধিতা করেছে মুসলিম সংগঠন ও বিরোধী দলগুলো।
সমালোচকেরা বলছেন, এই বিল মুসলিম সংখ্যালঘুদের অধিকারে আঘাত হানবে। আর সেই সুযোগে পুরোনো মসজিদসহ বহু ঐতিহাসিক সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হতে পারে।
ভারতে মোদি সরকারের মুসলমানবিরোধী নতুন পদক্ষেপের সমালোচনা করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। বলেন, ওয়াকফ বিল মোদি সরকারের আরও একটি মুসলমানবিরোধী পদক্ষেপ। আজ রোববার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে এক পোস্টে তিনি এ বিষয়ে তার প্রতিক্রিয়া জানান।
ফেসবুক পোস্টে আসিফ নজরুল বলেন, ‘‘ভারতে মোদি সরকার মুসলমানবিরোধী আরও একটি পদক্ষেপ নিয়েছে। নতুন আইন পাস করে তারা মুসলমানদের ‘ওয়াক্ফ’ সম্পত্তি পরিচালনা বোর্ডে অমুসলিমদেরও রাখার এবং এসব সম্পত্তিতে সরকারের সরাসরি খবরদারিত্বের বিধান করেছে। এই আইন ব্যবহার করে পুরোনো মসজিদসহ মুসলমানদের বহু ঐতিহাসিক সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।’
আইন উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘ভারতে হিন্দু মন্দির পরিচালনা কমিটিতে অন্য ধর্মাবলম্বীরা স্থান পান না। এই প্রশ্ন সেখানে উঠেছে যে, ওয়াক্ফ বোর্ডে তাহলে অমুসলিমদের রাখা হবে কেন?’
আসিফ নজরুলের মতে, ‘এই আইন ভারতে মুসলমান ও অন্যান্য সংখ্যালঘু ধর্মের মানুষের বিরুদ্ধে ভারতের হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীর ক্রমাগত বৈষম্য ও নিপীড়নের আরেকটি অধ্যায় রচনা করবে।’
অন্তর্বর্তী সরকারের এই উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘পরিতাপের বিষয় হচ্ছে, এরাই আবার বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নিপীড়নের ভুয়া অভিযোগ তুলে যাচ্ছে অব্যাহতভাবে।’
ওয়াক্ফ হলো ইসলামি দানের একটি প্রাচীন ব্যবস্থা। ওয়াক্ফের মাধ্যমে কোনো ব্যক্তি স্থায়ীভাবে সাধারণত জমির মতো কোনো সম্পত্তি ধর্মীয় বা জনহিতকর কাজে ব্যবহারের জন্য দান করেন। এ ধরনের ওয়াক্ফ সম্পত্তি বিক্রি করা বা কারও নামে হস্তান্তর করা যায় না।
ভারতে ওয়াক্ফ বোর্ডগুলোর অধীন প্রায় ৮ লাখ ৭২ হাজারটি সম্পত্তি আছে। এগুলোর মোট আয়তন প্রায় ১০ লাখ একর। এসবের মোট মূল্য প্রায় ১৪ দশমিক ২২ বিলিয়ন ডলার বলে ধারণা করা হয়। এসব সম্পত্তির অনেকগুলোর ইতিহাস শত শত বছর পুরোনো। অধিকাংশই ব্যবহার করা হয় মসজিদ, মাদ্রাসা, কবরস্থান ও এতিমখানার মতো জনকল্যাণমূলক কাজে।
সম্প্রতি ভারতের পার্লামেন্টে মুসলিম সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা আইন সংশোধনের বিতর্কিত বিল পাস হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হিন্দুত্ববাদী সরকারের উত্থাপিত এই বিলের বিরোধিতা করেছে মুসলিম সংগঠন ও বিরোধী দলগুলো।
সমালোচকেরা বলছেন, এই বিল মুসলিম সংখ্যালঘুদের অধিকারে আঘাত হানবে। আর সেই সুযোগে পুরোনো মসজিদসহ বহু ঐতিহাসিক সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হতে পারে।
গ্রাহক সেবা বাড়ে ও হয়রানি বন্ধ খেয়াল রাখতে হবে
১ মিনিট আগেদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা প্রয়োজনীয় পরিষেবা হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা। বাংলাদেশ দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে ১৩ লক্ষেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে, যারা বিশ্বের বৃহত্তম শরণার্থী।
১৫ ঘণ্টা আগেবন্যাদুর্গত এলাকাবাসী তাদের দুর্দশার কথা সরাসরি তুলে ধরতে না পারায় হতাশা প্রকাশ
২১ ঘণ্টা আগেজুলাই আগস্টের হত্যাযজ্ঞে নিজের এবং প্রধান ও সহযোগী অভিযুক্তদের অপরাধ সম্পর্কিত সম্পূর্ণ সত্য প্রকাশ করার শর্তে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে ক্ষমার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে বলে আদেশে উল্লেখ করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
২১ ঘণ্টা আগেগ্রাহক সেবা বাড়ে ও হয়রানি বন্ধ খেয়াল রাখতে হবে
দেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা প্রয়োজনীয় পরিষেবা হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা। বাংলাদেশ দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে ১৩ লক্ষেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে, যারা বিশ্বের বৃহত্তম শরণার্থী।
বন্যাদুর্গত এলাকাবাসী তাদের দুর্দশার কথা সরাসরি তুলে ধরতে না পারায় হতাশা প্রকাশ
জুলাই আগস্টের হত্যাযজ্ঞে নিজের এবং প্রধান ও সহযোগী অভিযুক্তদের অপরাধ সম্পর্কিত সম্পূর্ণ সত্য প্রকাশ করার শর্তে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে ক্ষমার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে বলে আদেশে উল্লেখ করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।