জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার প্রতিবেদন
অনলাইন ডেস্ক

জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকার ও আওয়ামী লীগের দমন-নিপীড়নে ও হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে এতে এক হাজার ৪০০ জনের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন বলে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের (ওএইচসিএইচআর) প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
আজ বুধবার ওএইচসিএইচআর এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
প্রতিবেদনে ওএইচসিএইচআর জানায়, আগের সরকার এবং এর নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থা, সহিংস আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠীর সাথে মিলে পরিকল্পিতভাবে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের সাথে জড়িত ছিল। এর মধ্যে শত শত বিচার বহির্ভূত হত্যা, হাজার হাজার বিক্ষোভকারীদের গুরুতরভাবে আহত করার মতো বলপ্রয়োগের ঘটনা, ব্যাপক নির্বিচারে গ্রেপ্তার ও আটক, এবং নির্যাতনসহ অন্যান্য অমানবিক আচরণের ঘটনা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ওএইচসিএইচআর ধারণা করছে, এই সমস্ত লঙ্ঘন রাজনৈতিক নেতৃত্ব এবং ঊর্ধ্বতন নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের নির্দেশনায় পরিচালিত হয়েছিল।
প্রতিবেদনের আরও একটি অংশে বলা হয়: ওএইচসিএইচআর ধারণা করছে, বিক্ষোভ চলাকালীন ১,৪০০ জনের মতো মানুষ মারা যেতে পারে, যার বেশিরভাগই বাংলাদেশ নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যবহৃত সামরিক রাইফেল এবং মারণক্ষম ধাতব গুলি দ্বারা নিহত হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ গুরুতর, প্রায়শই স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। পুলিশ ও র্যাবের মতে, ১১,৭০০ জনেরও বেশি লোককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং আটক করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, নিহতদের মধ্যে ১২-১৩ শতাংশ শিশু ছিল। পুলিশ ও অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীও শিশুদের লক্ষ্য করে হত্যা, ইচ্ছাকৃত অঙ্গহানি, নির্বিচারে আটক, অমানবিক অবস্থায় বন্দিত্ব এবং নির্যাতনের মতো ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিল। বিক্ষোভের প্রথম পর্যায়ে নারী ও কিশোরীরা বিশেষভাবে নিরাপত্তা বাহিনী এবং আওয়ামী লীগ সমর্থকদের দ্বারা আক্রমণের শিকার হয়েছিল। তারা লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা, ধর্ষণের হুমকি, এমনকি কিছু ক্ষেত্রে যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছিল।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ভুক্তভোগী এবং সাক্ষীদের প্রত্যক্ষ সাক্ষ্য এবং চিত্র বিশ্লেষণের মাধ্যমে ওএইচসিএইচআর নিশ্চিত হয়েছে, বিক্ষোভগুলো যখন ব্যাপক আকার ধারণ করে তখন আওয়ামী লীগের সমর্থিত সশস্ত্র দলগুলো পুলিশের সাথে একত্রে বা খুব ঘনিষ্ঠভাবে সমন্বয় করে বিক্ষোভকারীদের ওপর ব্যাপকভাবে অবৈধ সহিংসতা চালিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, অনেক ক্ষেত্রে, সশস্ত্র আওয়ামী লীগ সমর্থকরা পুলিশের সারিতে বা পেছনে দাঁড়িয়ে থাকত এবং পুলিশের সহিংসভাবে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করার প্রচেষ্টাকে সমর্থন করতে তাদের আক্রমণ শুরু করত। আওয়ামী লীগ সমর্থকরা বিক্ষোভকারীদের আটকে পুলিশের হাতে তুলে দিত।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, বাংলাদেশ পুলিশ ওএইচসিএইচআরকে ৯৫ জন পুলিশ, আওয়ামী লীগ বা আওয়ামী লীগ-সংশ্লিষ্ট সংগঠনের সদস্যের নাম ও পদবী প্রদান করেছে, যারা বিক্ষোভের সময় সহিংস হামলায় নাগরিকদের অস্ত্র সরবরাহ করেছে। এর মধ্যে ১০ জন তৎকালীন সংসদ সদস্য, ১৪ জন আওয়ামী লীগ নেতা, ১৬ জন যুবলীগ নেতা, ১৬ জন ছাত্রলীগ নেতা এবং ৭ জন পুলিশ সদস্য ছিলেন।
এতে বলা হয়, ১৮ জুলাই সন্ধ্যায় তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একটি ‘কোর কমিটির’ বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন। সেখানে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি এবং গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে মন্ত্রী বিজিবি কমান্ডারকে আরও সহজে মারণক্ষম শক্তি প্রয়োগের নির্দেশ দেন। পরের দিন অনুষ্ঠিত একটি বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নিজেই নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তাদের বিক্ষোভকারীদের হত্যা করার নির্দেশ দেন এবং বিশেষভাবে বলেন, ‘বিক্ষোভের নেতাদের, দাঙ্গাবাজদের ধরুন, হত্যা করুন এবং তাদের লাশ গুম করুন।

জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকার ও আওয়ামী লীগের দমন-নিপীড়নে ও হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে এতে এক হাজার ৪০০ জনের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন বলে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের (ওএইচসিএইচআর) প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
আজ বুধবার ওএইচসিএইচআর এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
প্রতিবেদনে ওএইচসিএইচআর জানায়, আগের সরকার এবং এর নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থা, সহিংস আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠীর সাথে মিলে পরিকল্পিতভাবে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের সাথে জড়িত ছিল। এর মধ্যে শত শত বিচার বহির্ভূত হত্যা, হাজার হাজার বিক্ষোভকারীদের গুরুতরভাবে আহত করার মতো বলপ্রয়োগের ঘটনা, ব্যাপক নির্বিচারে গ্রেপ্তার ও আটক, এবং নির্যাতনসহ অন্যান্য অমানবিক আচরণের ঘটনা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ওএইচসিএইচআর ধারণা করছে, এই সমস্ত লঙ্ঘন রাজনৈতিক নেতৃত্ব এবং ঊর্ধ্বতন নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের নির্দেশনায় পরিচালিত হয়েছিল।
প্রতিবেদনের আরও একটি অংশে বলা হয়: ওএইচসিএইচআর ধারণা করছে, বিক্ষোভ চলাকালীন ১,৪০০ জনের মতো মানুষ মারা যেতে পারে, যার বেশিরভাগই বাংলাদেশ নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যবহৃত সামরিক রাইফেল এবং মারণক্ষম ধাতব গুলি দ্বারা নিহত হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ গুরুতর, প্রায়শই স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। পুলিশ ও র্যাবের মতে, ১১,৭০০ জনেরও বেশি লোককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং আটক করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, নিহতদের মধ্যে ১২-১৩ শতাংশ শিশু ছিল। পুলিশ ও অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীও শিশুদের লক্ষ্য করে হত্যা, ইচ্ছাকৃত অঙ্গহানি, নির্বিচারে আটক, অমানবিক অবস্থায় বন্দিত্ব এবং নির্যাতনের মতো ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিল। বিক্ষোভের প্রথম পর্যায়ে নারী ও কিশোরীরা বিশেষভাবে নিরাপত্তা বাহিনী এবং আওয়ামী লীগ সমর্থকদের দ্বারা আক্রমণের শিকার হয়েছিল। তারা লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা, ধর্ষণের হুমকি, এমনকি কিছু ক্ষেত্রে যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছিল।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ভুক্তভোগী এবং সাক্ষীদের প্রত্যক্ষ সাক্ষ্য এবং চিত্র বিশ্লেষণের মাধ্যমে ওএইচসিএইচআর নিশ্চিত হয়েছে, বিক্ষোভগুলো যখন ব্যাপক আকার ধারণ করে তখন আওয়ামী লীগের সমর্থিত সশস্ত্র দলগুলো পুলিশের সাথে একত্রে বা খুব ঘনিষ্ঠভাবে সমন্বয় করে বিক্ষোভকারীদের ওপর ব্যাপকভাবে অবৈধ সহিংসতা চালিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, অনেক ক্ষেত্রে, সশস্ত্র আওয়ামী লীগ সমর্থকরা পুলিশের সারিতে বা পেছনে দাঁড়িয়ে থাকত এবং পুলিশের সহিংসভাবে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করার প্রচেষ্টাকে সমর্থন করতে তাদের আক্রমণ শুরু করত। আওয়ামী লীগ সমর্থকরা বিক্ষোভকারীদের আটকে পুলিশের হাতে তুলে দিত।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, বাংলাদেশ পুলিশ ওএইচসিএইচআরকে ৯৫ জন পুলিশ, আওয়ামী লীগ বা আওয়ামী লীগ-সংশ্লিষ্ট সংগঠনের সদস্যের নাম ও পদবী প্রদান করেছে, যারা বিক্ষোভের সময় সহিংস হামলায় নাগরিকদের অস্ত্র সরবরাহ করেছে। এর মধ্যে ১০ জন তৎকালীন সংসদ সদস্য, ১৪ জন আওয়ামী লীগ নেতা, ১৬ জন যুবলীগ নেতা, ১৬ জন ছাত্রলীগ নেতা এবং ৭ জন পুলিশ সদস্য ছিলেন।
এতে বলা হয়, ১৮ জুলাই সন্ধ্যায় তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একটি ‘কোর কমিটির’ বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন। সেখানে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি এবং গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে মন্ত্রী বিজিবি কমান্ডারকে আরও সহজে মারণক্ষম শক্তি প্রয়োগের নির্দেশ দেন। পরের দিন অনুষ্ঠিত একটি বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নিজেই নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তাদের বিক্ষোভকারীদের হত্যা করার নির্দেশ দেন এবং বিশেষভাবে বলেন, ‘বিক্ষোভের নেতাদের, দাঙ্গাবাজদের ধরুন, হত্যা করুন এবং তাদের লাশ গুম করুন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছেন, কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ১৩ নভেম্বরের ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচি মোকাবিলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বদা সতর্ক ও শক্ত অবস্থানে থাকবে। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, ওই দিন রাজধানীতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকবে
৬ মিনিট আগে
আদানির কাছের বকেয়া বিল পরিশোধের জন্য দেওয়া আল্টিমেটামের শেষ দিন ছিল সোমবার (১০ নভেম্বর)
১৫ মিনিট আগে
সংবিধান সংস্কার ও জুলাই সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলোর অভিন্ন অবস্থান না থাকায় সরকার বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) নিজ উদ্যোগে সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে
৫ ঘণ্টা আগে
চেক প্রদান করে প্রতারণা বা অনিচ্ছাকৃতভাবে ‘চেক ডিজঅনার’ মামলায় জড়ানো বর্তমানে অনেকের জন্যই বাস্তব সমস্যা। তবে মামলার আসামি হওয়া মানেই অপরাধী হওয়া নয়—সঠিক আইনি পদক্ষেপ ও সতর্কতা অবলম্বন করলে আপনি নিজেকে রক্ষা করতে পারেন
৫ ঘণ্টা আগেস্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছেন, কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ১৩ নভেম্বরের ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচি মোকাবিলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বদা সতর্ক ও শক্ত অবস্থানে থাকবে। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, ওই দিন রাজধানীতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকবে
আদানির কাছের বকেয়া বিল পরিশোধের জন্য দেওয়া আল্টিমেটামের শেষ দিন ছিল সোমবার (১০ নভেম্বর)
সংবিধান সংস্কার ও জুলাই সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলোর অভিন্ন অবস্থান না থাকায় সরকার বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) নিজ উদ্যোগে সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে
চেক প্রদান করে প্রতারণা বা অনিচ্ছাকৃতভাবে ‘চেক ডিজঅনার’ মামলায় জড়ানো বর্তমানে অনেকের জন্যই বাস্তব সমস্যা। তবে মামলার আসামি হওয়া মানেই অপরাধী হওয়া নয়—সঠিক আইনি পদক্ষেপ ও সতর্কতা অবলম্বন করলে আপনি নিজেকে রক্ষা করতে পারেন