পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধন
নিজস্ব প্রতিবেদক
‘’সর্বস্তরের মানুষের অধিকার মর্যাদা ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে, কোনো বৈষম্য থাকবে না- যুগ যুগ ধরে এটাই ছিল মানুষের মহান আকাঙ্ক্ষা। এই আকাঙ্ক্ষা পূরণে জোর ভূমিকা রাখতে হবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে”-বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
তিন দিনব্যাপী পুলিশ সপ্তাহ-২০২৫ এর উদ্বোধনের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সকালে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেওয়ার মাধ্যমে পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধনকালে একথা বলেন তিনি।
এসময় বক্তব্যের শুরুতেই মহান মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের অবদান উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “পুলিশের গৌরবময় ইতিহাসে পুলিশের এই অবদান মহাগৌরবের অধ্যায়।”
এসময় মুক্তিযুদ্ধে শহীদ পুলিশ সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান তিনি।
তিনি বলেন, “স্বৈরাচার শাসনামলের ১৫ বছরে পুলিশ বাহিনীকে দলীয় বাহিনী করায় সমস্ত ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। স্বৈরাচারের অবৈধ অন্যায় আদেশ পালন করতে গিয়ে পুলিশ বাহিনী ব্যাপকভাবে জানরোষের মুখে পড়ে। অনেক সৎ পুলিশ সদস্যকেও এজন্য মাসুল দিয়ে দিতে হয়েছে। গত বছরের আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার যখন দায়িত্ব গ্রহণ করে তখন এ দেশের আইনশৃঙ্খলার অবস্থা ভঙ্গুর অবস্থায় ছিল। পুলিশের সঙ্গে জনগণের দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছিল। সরকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নের জন্য যত রকম ব্যবস্থা নেওয়া দরকার সব রকমের ব্যবস্থা নেয়। সড়ক-মহাসড়কে দুর্ভোগ নিরসন, বিশেষ অভিযান জোরদার, পুলিশ সদস্যদের মনোবল ফেরাতে প্রয়োজনীয় প্রণোদনামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, পুলিশের অক্লান্ত পরিশ্রমে বিশ্ব ইজতেমা, দুর্গাপূজা ঈদুল ফিতর, বাংলা নববর্ষসহ বিভিন্ন উৎসব শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে সরকার প্রধান বলেন, “দেশে যতগুলো ঘটনা ঘটছে সবগুলো ঘটনায় তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে আপনারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। পুলিশ ও অন্যান্য বাহিনীর সমন্বয়ে বর্তমানে দেশের আইনশৃঙ্খলা অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। এজন্য আমি পুলিশসহ সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।”
প্আরধান উপদেষ্টা আরও লেন, “আমরা জানি পুলিশ বাহিনীর সামনে অনেক সীমাবদ্ধতা ও চ্যালেঞ্জ রয়েছে। অপ্রতুল জনবল, লজিস্টিকস, পর্যাপ্ত বাজেট ইত্যাদি। কিন্তু আমাদের সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ হলো বিগত ১৬ বছরের পুলিশ ও জনগণের মধ্যে যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে সে দূরত্ব কমিয়ে আনা, পুলিশ বাহিনীর প্রতি মানুষের আস্তা ফিরিয়ে আনা। আমি বলব এটি কঠিন না। একবার সে আন্তরিক পরিবেশ সৃষ্টি হলে এ বন্ধন অটুট থাকবে। আমাদের সমাজ একটি সুশৃংখল সমাজ সেটি প্রমাণিত হবে।”
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম।
তিন দিনব্যাপী এই আয়োজনে উদ্বোধনী দিনেই এবার পদকের জন্য ঘোষিত ৬২ জন কৃতী পুলিশ সদস্যকে পদক পরিয়ে দেন প্রধান উপদেষ্টা।
এবারের পুলিশ সপ্তাহের প্রতিপাদ্য ‘আমার পুলিশ, আমার দেশ, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ’। অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত আইজি, সকল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি, জেলার পুলিশ সুপারসহ সব পদবীর পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
‘’সর্বস্তরের মানুষের অধিকার মর্যাদা ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে, কোনো বৈষম্য থাকবে না- যুগ যুগ ধরে এটাই ছিল মানুষের মহান আকাঙ্ক্ষা। এই আকাঙ্ক্ষা পূরণে জোর ভূমিকা রাখতে হবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে”-বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
তিন দিনব্যাপী পুলিশ সপ্তাহ-২০২৫ এর উদ্বোধনের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সকালে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেওয়ার মাধ্যমে পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধনকালে একথা বলেন তিনি।
এসময় বক্তব্যের শুরুতেই মহান মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের অবদান উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “পুলিশের গৌরবময় ইতিহাসে পুলিশের এই অবদান মহাগৌরবের অধ্যায়।”
এসময় মুক্তিযুদ্ধে শহীদ পুলিশ সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান তিনি।
তিনি বলেন, “স্বৈরাচার শাসনামলের ১৫ বছরে পুলিশ বাহিনীকে দলীয় বাহিনী করায় সমস্ত ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। স্বৈরাচারের অবৈধ অন্যায় আদেশ পালন করতে গিয়ে পুলিশ বাহিনী ব্যাপকভাবে জানরোষের মুখে পড়ে। অনেক সৎ পুলিশ সদস্যকেও এজন্য মাসুল দিয়ে দিতে হয়েছে। গত বছরের আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার যখন দায়িত্ব গ্রহণ করে তখন এ দেশের আইনশৃঙ্খলার অবস্থা ভঙ্গুর অবস্থায় ছিল। পুলিশের সঙ্গে জনগণের দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছিল। সরকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নের জন্য যত রকম ব্যবস্থা নেওয়া দরকার সব রকমের ব্যবস্থা নেয়। সড়ক-মহাসড়কে দুর্ভোগ নিরসন, বিশেষ অভিযান জোরদার, পুলিশ সদস্যদের মনোবল ফেরাতে প্রয়োজনীয় প্রণোদনামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, পুলিশের অক্লান্ত পরিশ্রমে বিশ্ব ইজতেমা, দুর্গাপূজা ঈদুল ফিতর, বাংলা নববর্ষসহ বিভিন্ন উৎসব শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে সরকার প্রধান বলেন, “দেশে যতগুলো ঘটনা ঘটছে সবগুলো ঘটনায় তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে আপনারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। পুলিশ ও অন্যান্য বাহিনীর সমন্বয়ে বর্তমানে দেশের আইনশৃঙ্খলা অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। এজন্য আমি পুলিশসহ সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।”
প্আরধান উপদেষ্টা আরও লেন, “আমরা জানি পুলিশ বাহিনীর সামনে অনেক সীমাবদ্ধতা ও চ্যালেঞ্জ রয়েছে। অপ্রতুল জনবল, লজিস্টিকস, পর্যাপ্ত বাজেট ইত্যাদি। কিন্তু আমাদের সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ হলো বিগত ১৬ বছরের পুলিশ ও জনগণের মধ্যে যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে সে দূরত্ব কমিয়ে আনা, পুলিশ বাহিনীর প্রতি মানুষের আস্তা ফিরিয়ে আনা। আমি বলব এটি কঠিন না। একবার সে আন্তরিক পরিবেশ সৃষ্টি হলে এ বন্ধন অটুট থাকবে। আমাদের সমাজ একটি সুশৃংখল সমাজ সেটি প্রমাণিত হবে।”
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম।
তিন দিনব্যাপী এই আয়োজনে উদ্বোধনী দিনেই এবার পদকের জন্য ঘোষিত ৬২ জন কৃতী পুলিশ সদস্যকে পদক পরিয়ে দেন প্রধান উপদেষ্টা।
এবারের পুলিশ সপ্তাহের প্রতিপাদ্য ‘আমার পুলিশ, আমার দেশ, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ’। অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত আইজি, সকল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি, জেলার পুলিশ সুপারসহ সব পদবীর পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
গত বছর ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার ১৯৭৩ সালের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে কয়েক দফা সংশোধন আনে। চলতি বছর ১১ মে 'অধিকতর সংশোধন' এনে দ্বিতীয়বার যে অধ্যাদেশ জারি করা হয়, তাতে রাজনৈতিক দল-সংগঠনের বিচারের বিধান যুক্ত করা হয়
২৬ মিনিট আগেযে ধর্ষণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে পার্বত্য এলাকায় তুলকালাম হয়েছে, মেডিক্যাল টেস্টে তার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি
১ ঘণ্টা আগেঐকমত্য কমিশন সব রাজনৈতিক দল থেকে ব্যাপকভাবে সহযোগিতা পেয়েছে। এছাড়া গণমাধ্যমগুলো ঐকমত্য কমিশনকে অকল্পনীয় সমর্থন দিয়েছে
২ ঘণ্টা আগেদেশে অবশ্যই বিদ্যুৎ প্রয়োজন, কিন্তু কখনোই পরিবেশকে ধ্বংস করে নয়। বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও জনগণের চাওয়া এবং চাহিদার মূল্য দেওয়া উচিত
৩ ঘণ্টা আগেগত বছর ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার ১৯৭৩ সালের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে কয়েক দফা সংশোধন আনে। চলতি বছর ১১ মে 'অধিকতর সংশোধন' এনে দ্বিতীয়বার যে অধ্যাদেশ জারি করা হয়, তাতে রাজনৈতিক দল-সংগঠনের বিচারের বিধান যুক্ত করা হয়
যে ধর্ষণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে পার্বত্য এলাকায় তুলকালাম হয়েছে, মেডিক্যাল টেস্টে তার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি
ঐকমত্য কমিশন সব রাজনৈতিক দল থেকে ব্যাপকভাবে সহযোগিতা পেয়েছে। এছাড়া গণমাধ্যমগুলো ঐকমত্য কমিশনকে অকল্পনীয় সমর্থন দিয়েছে
দেশে অবশ্যই বিদ্যুৎ প্রয়োজন, কিন্তু কখনোই পরিবেশকে ধ্বংস করে নয়। বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও জনগণের চাওয়া এবং চাহিদার মূল্য দেওয়া উচিত