নিজস্ব প্রতিবেদক
বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বিভীষিকাময় স্মৃতি এখনো জাতিকে নাড়া দেয়। ২০০৯ সালের সেই রক্তাক্ত ঘটনায় প্রাণ হারান ৭৪ জন, যাদের অধিকাংশই সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। এ ঘটনার সঠিক তদন্ত ও দায়ীদের শনাক্ত করতে গঠিত কমিশনের অগ্রগতির খোঁজ নিতে বুধবার বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বৈঠকে বসেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তদন্ত কমিশনের সদস্যরা।
বৈঠকে ড. ইউনূস বলেন, “এটি এমন এক নৃশংস হত্যাকাণ্ড, যেখানে বাহিনীরই নিজস্ব অফিসারদের অত্যন্ত ঠাণ্ডা মাথায় হত্যা করা হয়েছিল। পুরো জাতি এই ঘটনার রহস্যভেদ দেখতে চায়। কমিশনের প্রতি জাতির প্রত্যাশা অত্যন্ত উচ্চ। কমিশনকে সফল হতেই হবে।”
প্রধান উপদেষ্টা আশ্বাস দিয়ে বলেন, “সরকার কমিশনের পাশে রয়েছে এবং তদন্ত কার্যক্রমে সর্বোচ্চ সহযোগিতা দেওয়া হবে।”
কমিশনের প্রধান মেজর জেনারেল (অব.) আলম ফজলুর রহমান জানান, তদন্ত এখন পুরোদমে চলছে এবং কমিশন আশাবাদী যে আগামী জুনের মধ্যেই চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, “আমরা এখন পর্যন্ত কারাগারে থাকা কয়েকজনের সাক্ষাৎকার নিয়েছি। বিদেশে অবস্থানরত ২৩ জনের মধ্যে ৮ জন সাক্ষাৎকার দিতে সম্মত হয়েছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় বাকি ব্যক্তিদের সঙ্গেও যোগাযোগের চেষ্টা চলছে।”
ঘটনাটির প্যাটার্ন পর্যালোচনা করে কমিশন প্রধান বলেন, “ডিজিকে হত্যার পর একে একে অন্য অফিসারদের হত্যা করা হয়। এটি নিছক বিদ্রোহ নয়, বরং পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। এর পেছনে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “এটা যেন পলাশীর ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি। ষড়যন্ত্রের মূল শিকড় খুঁজে বের করাই আমাদের মূল লক্ষ্য।”
কমিশনের আরেক সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর কবির তালুকদার বলেন, “এমন ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডের পরও রাষ্ট্রীয় কোনো সংস্থায় বড় ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। কেউ বরখাস্ত হননি, দায় স্বীকার করেননি। এটা গোয়েন্দা সংস্থা, সামরিক বাহিনী ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের ব্যর্থতা।”
প্রধান উপদেষ্টা বৈঠকে বলেন, “এ ঘটনা শুধু একটি বাহিনীর ক্ষয়ক্ষতি নয়, এটি গোটা জাতির বিশ্বাস ও নিরাপত্তা কাঠামোকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছিল। তাই কমিশনের সাফল্য শুধু তদন্তের সফলতা নয়, এটি জাতির আস্থা পুনরুদ্ধারের প্রশ্ন।”
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কমিশনের অন্যান্য সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাইদুর রহমান, মুন্সী আলাউদ্দিন আল আজাদ, ড. এম আকবর আলী, মো. শরীফুল ইসলাম, শাহনেওয়াজ খান চন্দন ও এ টি কে এম ইকবাল।
কমিশনের সদস্যরা জানিয়েছেন, সময় যতই লাগুক, তারা সত্য উদঘাটনে আপসহীন থাকবেন
বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বিভীষিকাময় স্মৃতি এখনো জাতিকে নাড়া দেয়। ২০০৯ সালের সেই রক্তাক্ত ঘটনায় প্রাণ হারান ৭৪ জন, যাদের অধিকাংশই সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। এ ঘটনার সঠিক তদন্ত ও দায়ীদের শনাক্ত করতে গঠিত কমিশনের অগ্রগতির খোঁজ নিতে বুধবার বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বৈঠকে বসেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তদন্ত কমিশনের সদস্যরা।
বৈঠকে ড. ইউনূস বলেন, “এটি এমন এক নৃশংস হত্যাকাণ্ড, যেখানে বাহিনীরই নিজস্ব অফিসারদের অত্যন্ত ঠাণ্ডা মাথায় হত্যা করা হয়েছিল। পুরো জাতি এই ঘটনার রহস্যভেদ দেখতে চায়। কমিশনের প্রতি জাতির প্রত্যাশা অত্যন্ত উচ্চ। কমিশনকে সফল হতেই হবে।”
প্রধান উপদেষ্টা আশ্বাস দিয়ে বলেন, “সরকার কমিশনের পাশে রয়েছে এবং তদন্ত কার্যক্রমে সর্বোচ্চ সহযোগিতা দেওয়া হবে।”
কমিশনের প্রধান মেজর জেনারেল (অব.) আলম ফজলুর রহমান জানান, তদন্ত এখন পুরোদমে চলছে এবং কমিশন আশাবাদী যে আগামী জুনের মধ্যেই চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, “আমরা এখন পর্যন্ত কারাগারে থাকা কয়েকজনের সাক্ষাৎকার নিয়েছি। বিদেশে অবস্থানরত ২৩ জনের মধ্যে ৮ জন সাক্ষাৎকার দিতে সম্মত হয়েছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় বাকি ব্যক্তিদের সঙ্গেও যোগাযোগের চেষ্টা চলছে।”
ঘটনাটির প্যাটার্ন পর্যালোচনা করে কমিশন প্রধান বলেন, “ডিজিকে হত্যার পর একে একে অন্য অফিসারদের হত্যা করা হয়। এটি নিছক বিদ্রোহ নয়, বরং পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। এর পেছনে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “এটা যেন পলাশীর ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি। ষড়যন্ত্রের মূল শিকড় খুঁজে বের করাই আমাদের মূল লক্ষ্য।”
কমিশনের আরেক সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর কবির তালুকদার বলেন, “এমন ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডের পরও রাষ্ট্রীয় কোনো সংস্থায় বড় ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। কেউ বরখাস্ত হননি, দায় স্বীকার করেননি। এটা গোয়েন্দা সংস্থা, সামরিক বাহিনী ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের ব্যর্থতা।”
প্রধান উপদেষ্টা বৈঠকে বলেন, “এ ঘটনা শুধু একটি বাহিনীর ক্ষয়ক্ষতি নয়, এটি গোটা জাতির বিশ্বাস ও নিরাপত্তা কাঠামোকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছিল। তাই কমিশনের সাফল্য শুধু তদন্তের সফলতা নয়, এটি জাতির আস্থা পুনরুদ্ধারের প্রশ্ন।”
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কমিশনের অন্যান্য সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাইদুর রহমান, মুন্সী আলাউদ্দিন আল আজাদ, ড. এম আকবর আলী, মো. শরীফুল ইসলাম, শাহনেওয়াজ খান চন্দন ও এ টি কে এম ইকবাল।
কমিশনের সদস্যরা জানিয়েছেন, সময় যতই লাগুক, তারা সত্য উদঘাটনে আপসহীন থাকবেন
দেশে পুনরায় স্বৈরশাসনের শেকড় যেন বিস্তার লাভ না করতে পারে, সে লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোকে রাষ্ট্র গঠনের মৌলিক বিষয়গুলোর প্রতি অবিলম্বে অভিন্ন অবস্থানে আসার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
৫ ঘণ্টা আগেএ বছর কোরবানির জন্য পশু আমদানি করা হবে না বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেন, অবৈধ পথে কোনওভাবেই গবাদি পশু প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। রোববার থেকেই গবাদি পশুর সকল রকমের অবৈধ অনুপ্রবেশ নিষিদ্ধ থাকবে।
৭ ঘণ্টা আগেপররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ হ্যাকড হয়েছে। পেজটি পুরোপুরি উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত এই পেজ থেকে পোস্ট বা শেয়ার করা কোনো বার্তা বিশ্বাস না করার জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
৮ ঘণ্টা আগেরাজধানীর আফতাবনগর আবাসিক এলাকায় কোরবানির পশুর হাট বসানোর ইজারা বিজ্ঞপ্তির কার্যক্রম স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। এর ফলে চলতি বছরও আফতাবনগরে গরুর হাট বসানো যাবে না বলে জানিয়েছেন আইনজীবী।
৯ ঘণ্টা আগেদেশে পুনরায় স্বৈরশাসনের শেকড় যেন বিস্তার লাভ না করতে পারে, সে লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোকে রাষ্ট্র গঠনের মৌলিক বিষয়গুলোর প্রতি অবিলম্বে অভিন্ন অবস্থানে আসার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
এ বছর কোরবানির জন্য পশু আমদানি করা হবে না বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেন, অবৈধ পথে কোনওভাবেই গবাদি পশু প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। রোববার থেকেই গবাদি পশুর সকল রকমের অবৈধ অনুপ্রবেশ নিষিদ্ধ থাকবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ হ্যাকড হয়েছে। পেজটি পুরোপুরি উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত এই পেজ থেকে পোস্ট বা শেয়ার করা কোনো বার্তা বিশ্বাস না করার জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
রাজধানীর আফতাবনগর আবাসিক এলাকায় কোরবানির পশুর হাট বসানোর ইজারা বিজ্ঞপ্তির কার্যক্রম স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। এর ফলে চলতি বছরও আফতাবনগরে গরুর হাট বসানো যাবে না বলে জানিয়েছেন আইনজীবী।