মোঃ মাজহারুল পারভেজ

পরে সাভারের গণকবাড়ি এলাকায় ২০১৮ সালের মার্চ মাসে শুরু হয় জাতীয় জীন ব্যাংক স্থাপনের কাজ। ৫০৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ বায়োটেকনোলজিতে (এনআইবি) এবং গণপূর্ত অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে এই প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু হয়ে শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২৫ সালের জুনে। অথচ প্রকল্পটি এখনো পর্যন্ত হস্তান্তর করতে পারেনি এনআইবি। কেন্দ্রীয়ভাবে সম্পদ সংরক্ষণ এবং এদের ডাটাবেজ প্রণয়ন করা ছাড়াও এ প্রকল্পের আওতায় প্রায় জীনের ৪০ লাখ নমুনা ধারণক্ষমতাসম্পন্ন হওয়ার কথা। অথচ এখনো পর্যন্ত একটি নমুনাও সংগ্রহ করা হয়নি। এসব নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে সংরক্ষণ করতে গেলে এখন মোটা অংকের টাকার প্রয়োজন। এসব দেখিয়ে হয়তো আবারও প্রকল্প ব্যয় বাড়ানোর টার্গেট ছিল প্রকল্প পরিচালকের। কিন্তু বর্তমান সরকার আসার পর প্রকল্প পরিচালক ড. জাহাঙ্গীর আলম আর তেমন সুবিধা করতে পারছেন না।
মোট কথা এ প্রকল্প ঘিরে অদ্ভুত এক রহস্য বিরাজ করছে। এনআইবির কোন কর্মকর্তাই এ বিষয়ে মুখ খুলতে চাচ্ছেন না। এনআইবির মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. মো: ছগীর আহমেদের সাথে এ প্রকল্পের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি নিখাদ খবরকে বলেন, শুনেছি ৭ জন উপদেষ্টার সমন্বয়ে একটি উচ্চতর কমিটি গঠন করেছে সরকার। এ প্রকল্প থাকবে কি থাকবেনা বা নিয়মের কোন ব্যত্যয় ঘটেছে কিনা তারা তা পরীক্ষা নীরিক্ষা করে দেখবেন। আমি এ বিষয়ে এর চেয়ে বেশী কিছু বলতে পারবো না।
সাভারের গণকবাড়ি এলাকায় সরেজমিনে পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায় প্রকল্পটির প্রধান ফটকে কয়েকজন সেনা সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। ভিতরে যাওয়ার অনুমতি চাইলে তিনি পিছনের ফটক দিয়ে যেতে বললেন। ভিতরে প্রবেশ করে দেখা যায় সেখানে সেনাবাহিনীর ব্যবহৃত জিপ গাড়ী ও ট্যাংক পার্কিং করা রয়েছে। ভবনের সামনে ময়লা আবর্জনা কাঁচ ভাঙার স্তুপ। দেয়াল ঝলসে যাচ্ছে। ভিতরে কোন লোক আছে বলে মনে হয়নি।
এনআইবির নথি ঘেঁটে দেখা যায়, কোন অভিজ্ঞতা ছাড়াই সরাসরি প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা পদে নিয়োগ পান ড. জাহাঙ্গীর আলম। চাকরিতে যোগদানের পর মাস্টার্স পাস করেছেন। অথচ এনআইবিতে সকল গবেষক পদের জন্য মাস্টার্স ডিগ্রী বাধ্যতামূলক। চাকরির ন্যূনতম শর্ত তিনি পূরণ করেননি।
আওয়ামী ফ্যাসিবাদ সরকারের আমলে উপর মহলের হস্তক্ষেপের মাধ্যমে অবৈধভাবে তিনি নানা সুযোগ সুবিধা ভোগ করেন । যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও সর্বশেষ তিনি ক্ষমতার জোরে এই প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক হয়ে জনগণের শত শত কোটি টাকা লুটপাট করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ২৭ জুন ২০২৪ সালে এনআইবিতে জাতীয় জীন ব্যাংক স্থাপন প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি অবহিতকরণ শীর্ষক দিনব্যাপী সেমিনার হয়। সেমিনারে সেদিন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান, সরকারি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল, বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমী, কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশন, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১০০ জন বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধিসহ এনআইবির বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তাবৃন্দ এ সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন ।
সেমিনার শেষে সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তখন বলেছিলেন, আমার এখানে কেউ চুরিচামারি করতে পারবে না। পশুপাখি থেকে আরম্ভ করে সবকিছুর জিন আমরা এখানে রক্ষা করব, যাতে এটা আবার ভবিষ্যতে আমরা এখান থেকে তৈরি করতে পারি। এটা বঙ্গবন্ধুকন্যার নিজের চিন্তা থেকে নেয়া এবং আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে এটা আমরা করছি।’
মন্ত্রণালয়ের নথি ঘেঁটে জানা যায়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বিগত ২৬ এপ্রিল ২০১২ তারিখে অনুষ্ঠিত ন্যাশনাল টাস্কফোর্স অন বায়োটেকনোলজি অফ বাংলাদেশ এর ২য় সভায় ন্যাশনাল জীন ব্যাংক স্থাপনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সে সিদ্ধান্তের আলোকে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজি “জাতীয় জীন ব্যাংক স্থাপন” শীর্ষক প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। সভায় বলা হয় বিশ্বজুড়ে জীব-বৈচিত্র তথা কৌলিসম্পদ আজ হুমকির সম্মুখীন। পরিবর্তিত বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে খাদ্য ও স্বাস্থ্য নিরাপত্তা অর্জন, পরিবেশ ও প্রতিবেশ সংক্রান্ত ভবিষ্যত চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবেলায় জেনেটিক সম্পদের টেকসই পুন:উৎপাদন ও ব্যবহার, উন্নয়ন ও উদ্ভাবন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিগত কয়েক দশকে আমাদের অনেক কৌলিসম্পদ বিলুপ্ত হয়ে গেছে এবং বর্তমানে অনেক প্রজাতির শস্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ বিলুপ্তির পথে। কৌলিসম্পদসমূহ সংরক্ষণের কথা বলে প্রায় ৪০ লাখ নমুনা ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি বেজমেন্টসহ ১২তলা বিশিষ্ট ল্যাব কাম অফিস নির্মাণ হবে। জীন ব্যাংক ভবন, গবেষণাগারসহ অন্যান্য স্থাপনার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি, এনিম্যাল সেড, ননসীড প্ল্যান্ট সেড ও কোয়ারেন্টাই সামগ্রী দিয়ে কেবল অবকাঠামো নির্মাণ করা হলেও ভিতরে পুরোটাই ফাঁকা।
সাপ্লাই ও সরবরাহের ক্ষেত্রে এই হার ১০% থেকে ৩০% পর্যন্ত কমিশন নিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক। নির্মাণ কাজের ক্ষেত্রে ১০% বলে জানা গেছে। প্রকল্পের আওতায় গবেষণা কাজের জন্য প্রায় তিন কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল। এই অর্থ এনআইবি’র বিভিন্ন বিভাগে তার সমমনা গবেষকদের মধ্যে গবেষণার জন্য বিতরণ করা হয়। এসব অর্থ থেকেও তিনি প্রতিজনের নিকট থেকে কমিশন নিয়েছেন।
কমিশন বাণিজ্য আর আর্থিক দুর্নীতির মাধ্যমে প্রত্যেকটি টেন্ডারের কাজ দিয়েছেন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের সাবেক মন্ত্রী, এমপিদের আত্নীয় স্বজন এবং সাভার স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের। অত্যন্ত নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে নির্মিত প্রত্যেকটি ভবন হস্তান্তরের আগেই নষ্ট হয়ে গেছে।
সম্প্রতি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, জনাব আব্দুর রাজ্জাক প্রকল্প পরিদর্শনের সময় নির্মিত এসব ভবনের অনেক ত্রুটি দেখে তা দ্রুত ঠিক করার নির্দেশ প্রদান করেন বলেও জানা গেছে। নির্দেশ অমান্য করে তা এখনো মেরামত করা হয়নি।
দরপত্রের কারিগরি বিনির্দেশের শর্তাদি পূরণ না করার পরও পণ্য ও সংশ্লিষ্ট সেবা ক্রয়ের ক্ষেত্রে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান অতওত ঞজঅউঊ ্ ঊএওঘঊঊজওঘএ খওগওঞঊউ, ঙাবৎংবধং গধৎশবঃরহম পড়ৎঢ়ড়ৎধঃরড়হ খঞউ এর সাথে বিভিন্ন সময় তিনি ছয় কোটি পঁয়ত্রিশ লাখ এবং আট কোটি পাঁচ লক্ষ পয়তাল্লিশ হাজার সওর টাকা মূল্যের অবৈধ চুক্তি স্বাক্ষর করেন। পরে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগসাজশের মাধ্যমে আর্থিক দুর্নীতি করে এসব টাকা হাতিয়ে নেন।
আত্মসাৎকৃত অর্থ দিয়ে নিজ স্ত্রীর নামে টেক্সটাইল কারখানা গড়ে তুলেন। এছাড়া আত্মসাৎকৃত অর্থ দিয়ে তিনি তার শ্বশুর বাড়িতে পাঁচতলা ভবন নির্মাণ এবং রাজধানী ঢাকায় নিজের ও স্বজনদের নামে একাধিক ফ্যাট ক্রয় করেছেন ।
এনআইবিতে এসব নিয়ে কানাঘুষা শুরু হলে তিনি পরে তার ব্যবসার মালিকানা তার শ্যালকসহ স্বজনদের নামে হস্তান্তর করেছেন বলেও জানা গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনআইবি এক কর্মকর্তা নিখাদ খবরকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এসব অনিয়মের কথা শুনে আসছি। এ বিষয়ে কয়েকজনের নামে অভিযোগও হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করে তদন্তও হয়েছে। অথচ তদন্ত রিপোর্ট পরে আর আলোর মুখ দেখেনি। মনে হচ্ছে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে উঠে পড়ে লেগেছে দুর্নীতি ও অনিয়মের সাথে জড়িত সংশ্লিষ্টরা।

পরে সাভারের গণকবাড়ি এলাকায় ২০১৮ সালের মার্চ মাসে শুরু হয় জাতীয় জীন ব্যাংক স্থাপনের কাজ। ৫০৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ বায়োটেকনোলজিতে (এনআইবি) এবং গণপূর্ত অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে এই প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু হয়ে শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২৫ সালের জুনে। অথচ প্রকল্পটি এখনো পর্যন্ত হস্তান্তর করতে পারেনি এনআইবি। কেন্দ্রীয়ভাবে সম্পদ সংরক্ষণ এবং এদের ডাটাবেজ প্রণয়ন করা ছাড়াও এ প্রকল্পের আওতায় প্রায় জীনের ৪০ লাখ নমুনা ধারণক্ষমতাসম্পন্ন হওয়ার কথা। অথচ এখনো পর্যন্ত একটি নমুনাও সংগ্রহ করা হয়নি। এসব নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে সংরক্ষণ করতে গেলে এখন মোটা অংকের টাকার প্রয়োজন। এসব দেখিয়ে হয়তো আবারও প্রকল্প ব্যয় বাড়ানোর টার্গেট ছিল প্রকল্প পরিচালকের। কিন্তু বর্তমান সরকার আসার পর প্রকল্প পরিচালক ড. জাহাঙ্গীর আলম আর তেমন সুবিধা করতে পারছেন না।
মোট কথা এ প্রকল্প ঘিরে অদ্ভুত এক রহস্য বিরাজ করছে। এনআইবির কোন কর্মকর্তাই এ বিষয়ে মুখ খুলতে চাচ্ছেন না। এনআইবির মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. মো: ছগীর আহমেদের সাথে এ প্রকল্পের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি নিখাদ খবরকে বলেন, শুনেছি ৭ জন উপদেষ্টার সমন্বয়ে একটি উচ্চতর কমিটি গঠন করেছে সরকার। এ প্রকল্প থাকবে কি থাকবেনা বা নিয়মের কোন ব্যত্যয় ঘটেছে কিনা তারা তা পরীক্ষা নীরিক্ষা করে দেখবেন। আমি এ বিষয়ে এর চেয়ে বেশী কিছু বলতে পারবো না।
সাভারের গণকবাড়ি এলাকায় সরেজমিনে পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায় প্রকল্পটির প্রধান ফটকে কয়েকজন সেনা সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। ভিতরে যাওয়ার অনুমতি চাইলে তিনি পিছনের ফটক দিয়ে যেতে বললেন। ভিতরে প্রবেশ করে দেখা যায় সেখানে সেনাবাহিনীর ব্যবহৃত জিপ গাড়ী ও ট্যাংক পার্কিং করা রয়েছে। ভবনের সামনে ময়লা আবর্জনা কাঁচ ভাঙার স্তুপ। দেয়াল ঝলসে যাচ্ছে। ভিতরে কোন লোক আছে বলে মনে হয়নি।
এনআইবির নথি ঘেঁটে দেখা যায়, কোন অভিজ্ঞতা ছাড়াই সরাসরি প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা পদে নিয়োগ পান ড. জাহাঙ্গীর আলম। চাকরিতে যোগদানের পর মাস্টার্স পাস করেছেন। অথচ এনআইবিতে সকল গবেষক পদের জন্য মাস্টার্স ডিগ্রী বাধ্যতামূলক। চাকরির ন্যূনতম শর্ত তিনি পূরণ করেননি।
আওয়ামী ফ্যাসিবাদ সরকারের আমলে উপর মহলের হস্তক্ষেপের মাধ্যমে অবৈধভাবে তিনি নানা সুযোগ সুবিধা ভোগ করেন । যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও সর্বশেষ তিনি ক্ষমতার জোরে এই প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক হয়ে জনগণের শত শত কোটি টাকা লুটপাট করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ২৭ জুন ২০২৪ সালে এনআইবিতে জাতীয় জীন ব্যাংক স্থাপন প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি অবহিতকরণ শীর্ষক দিনব্যাপী সেমিনার হয়। সেমিনারে সেদিন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান, সরকারি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল, বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমী, কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশন, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১০০ জন বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধিসহ এনআইবির বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তাবৃন্দ এ সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন ।
সেমিনার শেষে সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তখন বলেছিলেন, আমার এখানে কেউ চুরিচামারি করতে পারবে না। পশুপাখি থেকে আরম্ভ করে সবকিছুর জিন আমরা এখানে রক্ষা করব, যাতে এটা আবার ভবিষ্যতে আমরা এখান থেকে তৈরি করতে পারি। এটা বঙ্গবন্ধুকন্যার নিজের চিন্তা থেকে নেয়া এবং আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে এটা আমরা করছি।’
মন্ত্রণালয়ের নথি ঘেঁটে জানা যায়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বিগত ২৬ এপ্রিল ২০১২ তারিখে অনুষ্ঠিত ন্যাশনাল টাস্কফোর্স অন বায়োটেকনোলজি অফ বাংলাদেশ এর ২য় সভায় ন্যাশনাল জীন ব্যাংক স্থাপনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সে সিদ্ধান্তের আলোকে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজি “জাতীয় জীন ব্যাংক স্থাপন” শীর্ষক প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। সভায় বলা হয় বিশ্বজুড়ে জীব-বৈচিত্র তথা কৌলিসম্পদ আজ হুমকির সম্মুখীন। পরিবর্তিত বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে খাদ্য ও স্বাস্থ্য নিরাপত্তা অর্জন, পরিবেশ ও প্রতিবেশ সংক্রান্ত ভবিষ্যত চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবেলায় জেনেটিক সম্পদের টেকসই পুন:উৎপাদন ও ব্যবহার, উন্নয়ন ও উদ্ভাবন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিগত কয়েক দশকে আমাদের অনেক কৌলিসম্পদ বিলুপ্ত হয়ে গেছে এবং বর্তমানে অনেক প্রজাতির শস্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ বিলুপ্তির পথে। কৌলিসম্পদসমূহ সংরক্ষণের কথা বলে প্রায় ৪০ লাখ নমুনা ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি বেজমেন্টসহ ১২তলা বিশিষ্ট ল্যাব কাম অফিস নির্মাণ হবে। জীন ব্যাংক ভবন, গবেষণাগারসহ অন্যান্য স্থাপনার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি, এনিম্যাল সেড, ননসীড প্ল্যান্ট সেড ও কোয়ারেন্টাই সামগ্রী দিয়ে কেবল অবকাঠামো নির্মাণ করা হলেও ভিতরে পুরোটাই ফাঁকা।
সাপ্লাই ও সরবরাহের ক্ষেত্রে এই হার ১০% থেকে ৩০% পর্যন্ত কমিশন নিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক। নির্মাণ কাজের ক্ষেত্রে ১০% বলে জানা গেছে। প্রকল্পের আওতায় গবেষণা কাজের জন্য প্রায় তিন কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল। এই অর্থ এনআইবি’র বিভিন্ন বিভাগে তার সমমনা গবেষকদের মধ্যে গবেষণার জন্য বিতরণ করা হয়। এসব অর্থ থেকেও তিনি প্রতিজনের নিকট থেকে কমিশন নিয়েছেন।
কমিশন বাণিজ্য আর আর্থিক দুর্নীতির মাধ্যমে প্রত্যেকটি টেন্ডারের কাজ দিয়েছেন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের সাবেক মন্ত্রী, এমপিদের আত্নীয় স্বজন এবং সাভার স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের। অত্যন্ত নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে নির্মিত প্রত্যেকটি ভবন হস্তান্তরের আগেই নষ্ট হয়ে গেছে।
সম্প্রতি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, জনাব আব্দুর রাজ্জাক প্রকল্প পরিদর্শনের সময় নির্মিত এসব ভবনের অনেক ত্রুটি দেখে তা দ্রুত ঠিক করার নির্দেশ প্রদান করেন বলেও জানা গেছে। নির্দেশ অমান্য করে তা এখনো মেরামত করা হয়নি।
দরপত্রের কারিগরি বিনির্দেশের শর্তাদি পূরণ না করার পরও পণ্য ও সংশ্লিষ্ট সেবা ক্রয়ের ক্ষেত্রে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান অতওত ঞজঅউঊ ্ ঊএওঘঊঊজওঘএ খওগওঞঊউ, ঙাবৎংবধং গধৎশবঃরহম পড়ৎঢ়ড়ৎধঃরড়হ খঞউ এর সাথে বিভিন্ন সময় তিনি ছয় কোটি পঁয়ত্রিশ লাখ এবং আট কোটি পাঁচ লক্ষ পয়তাল্লিশ হাজার সওর টাকা মূল্যের অবৈধ চুক্তি স্বাক্ষর করেন। পরে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগসাজশের মাধ্যমে আর্থিক দুর্নীতি করে এসব টাকা হাতিয়ে নেন।
আত্মসাৎকৃত অর্থ দিয়ে নিজ স্ত্রীর নামে টেক্সটাইল কারখানা গড়ে তুলেন। এছাড়া আত্মসাৎকৃত অর্থ দিয়ে তিনি তার শ্বশুর বাড়িতে পাঁচতলা ভবন নির্মাণ এবং রাজধানী ঢাকায় নিজের ও স্বজনদের নামে একাধিক ফ্যাট ক্রয় করেছেন ।
এনআইবিতে এসব নিয়ে কানাঘুষা শুরু হলে তিনি পরে তার ব্যবসার মালিকানা তার শ্যালকসহ স্বজনদের নামে হস্তান্তর করেছেন বলেও জানা গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনআইবি এক কর্মকর্তা নিখাদ খবরকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এসব অনিয়মের কথা শুনে আসছি। এ বিষয়ে কয়েকজনের নামে অভিযোগও হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করে তদন্তও হয়েছে। অথচ তদন্ত রিপোর্ট পরে আর আলোর মুখ দেখেনি। মনে হচ্ছে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে উঠে পড়ে লেগেছে দুর্নীতি ও অনিয়মের সাথে জড়িত সংশ্লিষ্টরা।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর আইন ও প্রয়োগ বিভাগে সদস্য পদে থাকা এ কে এম বদিউল আলমকে দেশের বাইরে যাত্রা থেকে বিরত রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ মো. সাব্বির ফয়েজ এই আদেশ দেন।
১ দিন আগে
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে মাঠপর্যায়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা শক্ত করার উদ্দেশ্যে বডি ক্যামেরা ব্যবহার নিয়ে ব্যাপক পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। তবে ৪০ হাজার বডি ক্যামেরা কেনার সিদ্ধান্ত হলেও, সাম্প্রতিক পুনর্বিবেচনার পর সংখ্যা কমানোর পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে
১ দিন আগে
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ সোমবার (১৭ নভেম্বর) দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের নামে থাকা সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে রাষ্ট্রীয় মালিকানায় নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে
২ দিন আগে
জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে রাজসাক্ষী হিসেবে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের পক্ষ থেকে
২ দিন আগেজাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর আইন ও প্রয়োগ বিভাগে সদস্য পদে থাকা এ কে এম বদিউল আলমকে দেশের বাইরে যাত্রা থেকে বিরত রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ মো. সাব্বির ফয়েজ এই আদেশ দেন।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে মাঠপর্যায়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা শক্ত করার উদ্দেশ্যে বডি ক্যামেরা ব্যবহার নিয়ে ব্যাপক পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। তবে ৪০ হাজার বডি ক্যামেরা কেনার সিদ্ধান্ত হলেও, সাম্প্রতিক পুনর্বিবেচনার পর সংখ্যা কমানোর পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ সোমবার (১৭ নভেম্বর) দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের নামে থাকা সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে রাষ্ট্রীয় মালিকানায় নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে
জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে রাজসাক্ষী হিসেবে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের পক্ষ থেকে