শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫
  • সর্বশেষ
  • বিশ্ব
  • বিশেষ সংবাদ
  • রাজনীতি
  • বিনোদন
  • জীবনযাপন
  • খেলা
  • বাংলাদেশ
  • অর্থনীতি
  • ইপেপার
  • ইপেপার
nikhad logo
অনুসরণ করুন
facebooktwittertiktokpinterestyoutubelinkedininstagramgoogle
  • নিখাদ খবর
  • বিজ্ঞাপন
  • সার্কুলেশন
  • শর্তাবলি ও নীতিমালা
  • গোপনীয়তা নীতি
  • যোগাযোগ
স্বত্ব: ©️ দৈনিক নিখাদ খবর|প্রকাশক ও সম্পাদক: পারভীন আফরোজ খান
অন্যান্য
বিশেষ আয়োজন

গুনে ভরা ‘সিদল’ ভোজনপ্রিয়দের মন কাড়ে

প্রতিনিধি
নীলফামারী
প্রকাশ : ০৮ জুলাই ২০২৫, ১৮: ৩৯
logo

গুনে ভরা ‘সিদল’ ভোজনপ্রিয়দের মন কাড়ে

নীলফামারী

প্রকাশ : ০৮ জুলাই ২০২৫, ১৮: ৩৯
Photo
ফাইল ছবি

নাকে ঘ্রান পেলেই সিদলপ্রিয় মানুষের জিহ্বায় লালা আসে। ‘সিদল’ একবার যারা খেয়েছে, না পেলে অবশ্যই পস্তাবে। শহুরে নিকট আত্মীয়ের মন জোগাতেও অস্ত্র হিসেবে স্বল্প আয়ের মানুষ ব্যবহার করে এই ‘সিদল’। ভোজনপ্রিয়রা ‘সিদলের’ জন্য লালায়িত থাকে। স্বাদে ও গুনে ভরপুর। রংপুর অঞ্চলের জনপ্রিয় ও ঐতিহ্যবাহী খাবার ‘সিদল’ এখনও জনপ্রিয়। এই প্রজন্মের অনেকেই সিদল চোখে না দেখলেও, কেউ হয়ত নাম শুনে থাকতে পারে। গ্রামের শৌখিন বধূরা মাঝে-মধ্যে সিদল তৈরি করে। নিত্যপণ্যের মুল্যবৃদ্ধি ও এর তৈরি প্রক্রিয়া একটু সময় নেয় বলে কম দেখা যায় সিদলের।

নানা জাতের দেশীয় ছোট মাছের শুঁটকি, কচুর কুচি ডাটা, রসুন-আদা, কাচা মরিচ, লবণ, হলুদ, খাঁটি সরিষার তেল সিদল তৈরির মূল উপাদান। দেশী পুঁটি, খৈলশা, চান্দা, দারিকা, মউকা চেলী, শাটি, বাইলা, ছোট ট্যাংরা ও চিংড়ি রোদে শুকিয়ে প্রাকৃতিক উপায়ে শুঁটকি করে সৌখিনপ্রিয় গ্রামের বধূঁরা। কঁচুর ডাটা কুচি করে কেটে রোদে শুকিয়ে শুঁটকি সহ শিলপাটা কিংবা উরুণ-গাউনে পিষে চিতই পিঠে কিংবা বড় আকারের বরইয়ের মত ‘সিদল’ বানাবার দৃশ্য চোখে পরে। সিদলের মানবৃদ্ধি ও ভিন্নতা আনার জন্য মশলা হিসাবে দেয়া হয় রসুন-আদা, কাচা মরিচ, লবণ, হলুদ ও খাঁটি সরিষার তেল। এতে তৈরি হয় অমৃত সুধার মত সুঘ্রাণ ‘সিদল’। কালো ও হালকা সবুজে ছড়ানো রূপহীন ‘সিদল’। কিন্তু স্বাদে ও গুণে ভরা। দিন যত গড়ায় ততো মজাদার হয়ে উঠে। দীর্ঘদিন সংরক্ষণের জন্য ‘সিদল’ হাঁড়ি-পাতিল ভর্তি ছাইয়ের মাঝে রাখার প্রচলন আছে। এ কারণে পোকার আক্রমণ কম হয়। তবে আধুনিক যুগে ডিপ ফ্রিজে এখন অনেকেই ‘সিদল’ রাখেন।

খাবারে অরুচি আসলে ভোজনপ্রিয়রা খোঁজে ফিরেন ‘সিদল’। রুচিতে যেন জুড়ি নেই সিদলের। মাছ কিংবা সবজির সাথে রান্না করলে সুঘ্রাণ চারদিক ছড়িয়ে পরে। এক সময় ঘরে ঘরে সিদল পাওয়া যেত। এখন অনেকটাই দুষ্প্রাপ্য। সংসারের হাল ধরা গৃহবধূরা কাজের চাপে তেমন একটা সময় দিতে পারেন না। এছাড়া রয়েছে, দেশী ছোট মাছের সংকট। আগে ঘর থেকে বের হলেই চারদিক পুকুর, ডোবা, খাল-বিল ও নদীতে মিলত ছোট মাছ। থই থই করত পানি। জাল ফেললেই উঠে আসতো ঝাঁকে ঝাঁকে মাছ। বর্ষার শেষ দিকে প্রায় শুকিয়ে যাওয়া জলাশয়গুলোতে অনেক বেশী মাছ পাওয়া যেতো। এর মধ্যে সব ধরনের ছোট মাছ পাওয়া যেত। এখন জলাশয় কম। যত্রতত্র মাছও মিলে না।

নীলফামারী সদর উপজেলার কচুকাটা গ্রামের রোকেয়া বেগম জানান, ‘কচুবাটার সাথে দেশী মাছের শুকটা, আর তার সথে কাঁচা আকালী, নুন, অসুন ও আদা বাটা একটে করিবার নাগে। এ্যারপর হাতের মুটোত চিপিয়া গোল করা যায়, ফির চিতাউ পিঠার মোতন চ্যাপটাও করা যায় সিদল। মাছ নাহয় সবজিত দিয়া আন্না করলে হাউসে হাউসে খাওয়া যায়।’

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার যদুমনি গ্রামের কৃষক আলম হোসেন বলেন, এক সময় পিছিয়ে পড়া নারীরা ডালিতে করে ‘সিদল’ বিক্রি করত। দেশীয় ছোট মাছের আকাল ও নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণে এসব পিছিয়ে পড়া মানুষ সখের সিদল আর তৈরি করতে পারেন না। এ কারণে আর চোখে পড়ে না ছিড়ে যাওয়া মলিন শাড়ীতে ফেরি করা সেই ‘সিদল’ বিক্রেতার হাক।

Thumbnail image
ফাইল ছবি

নাকে ঘ্রান পেলেই সিদলপ্রিয় মানুষের জিহ্বায় লালা আসে। ‘সিদল’ একবার যারা খেয়েছে, না পেলে অবশ্যই পস্তাবে। শহুরে নিকট আত্মীয়ের মন জোগাতেও অস্ত্র হিসেবে স্বল্প আয়ের মানুষ ব্যবহার করে এই ‘সিদল’। ভোজনপ্রিয়রা ‘সিদলের’ জন্য লালায়িত থাকে। স্বাদে ও গুনে ভরপুর। রংপুর অঞ্চলের জনপ্রিয় ও ঐতিহ্যবাহী খাবার ‘সিদল’ এখনও জনপ্রিয়। এই প্রজন্মের অনেকেই সিদল চোখে না দেখলেও, কেউ হয়ত নাম শুনে থাকতে পারে। গ্রামের শৌখিন বধূরা মাঝে-মধ্যে সিদল তৈরি করে। নিত্যপণ্যের মুল্যবৃদ্ধি ও এর তৈরি প্রক্রিয়া একটু সময় নেয় বলে কম দেখা যায় সিদলের।

নানা জাতের দেশীয় ছোট মাছের শুঁটকি, কচুর কুচি ডাটা, রসুন-আদা, কাচা মরিচ, লবণ, হলুদ, খাঁটি সরিষার তেল সিদল তৈরির মূল উপাদান। দেশী পুঁটি, খৈলশা, চান্দা, দারিকা, মউকা চেলী, শাটি, বাইলা, ছোট ট্যাংরা ও চিংড়ি রোদে শুকিয়ে প্রাকৃতিক উপায়ে শুঁটকি করে সৌখিনপ্রিয় গ্রামের বধূঁরা। কঁচুর ডাটা কুচি করে কেটে রোদে শুকিয়ে শুঁটকি সহ শিলপাটা কিংবা উরুণ-গাউনে পিষে চিতই পিঠে কিংবা বড় আকারের বরইয়ের মত ‘সিদল’ বানাবার দৃশ্য চোখে পরে। সিদলের মানবৃদ্ধি ও ভিন্নতা আনার জন্য মশলা হিসাবে দেয়া হয় রসুন-আদা, কাচা মরিচ, লবণ, হলুদ ও খাঁটি সরিষার তেল। এতে তৈরি হয় অমৃত সুধার মত সুঘ্রাণ ‘সিদল’। কালো ও হালকা সবুজে ছড়ানো রূপহীন ‘সিদল’। কিন্তু স্বাদে ও গুণে ভরা। দিন যত গড়ায় ততো মজাদার হয়ে উঠে। দীর্ঘদিন সংরক্ষণের জন্য ‘সিদল’ হাঁড়ি-পাতিল ভর্তি ছাইয়ের মাঝে রাখার প্রচলন আছে। এ কারণে পোকার আক্রমণ কম হয়। তবে আধুনিক যুগে ডিপ ফ্রিজে এখন অনেকেই ‘সিদল’ রাখেন।

খাবারে অরুচি আসলে ভোজনপ্রিয়রা খোঁজে ফিরেন ‘সিদল’। রুচিতে যেন জুড়ি নেই সিদলের। মাছ কিংবা সবজির সাথে রান্না করলে সুঘ্রাণ চারদিক ছড়িয়ে পরে। এক সময় ঘরে ঘরে সিদল পাওয়া যেত। এখন অনেকটাই দুষ্প্রাপ্য। সংসারের হাল ধরা গৃহবধূরা কাজের চাপে তেমন একটা সময় দিতে পারেন না। এছাড়া রয়েছে, দেশী ছোট মাছের সংকট। আগে ঘর থেকে বের হলেই চারদিক পুকুর, ডোবা, খাল-বিল ও নদীতে মিলত ছোট মাছ। থই থই করত পানি। জাল ফেললেই উঠে আসতো ঝাঁকে ঝাঁকে মাছ। বর্ষার শেষ দিকে প্রায় শুকিয়ে যাওয়া জলাশয়গুলোতে অনেক বেশী মাছ পাওয়া যেতো। এর মধ্যে সব ধরনের ছোট মাছ পাওয়া যেত। এখন জলাশয় কম। যত্রতত্র মাছও মিলে না।

নীলফামারী সদর উপজেলার কচুকাটা গ্রামের রোকেয়া বেগম জানান, ‘কচুবাটার সাথে দেশী মাছের শুকটা, আর তার সথে কাঁচা আকালী, নুন, অসুন ও আদা বাটা একটে করিবার নাগে। এ্যারপর হাতের মুটোত চিপিয়া গোল করা যায়, ফির চিতাউ পিঠার মোতন চ্যাপটাও করা যায় সিদল। মাছ নাহয় সবজিত দিয়া আন্না করলে হাউসে হাউসে খাওয়া যায়।’

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার যদুমনি গ্রামের কৃষক আলম হোসেন বলেন, এক সময় পিছিয়ে পড়া নারীরা ডালিতে করে ‘সিদল’ বিক্রি করত। দেশীয় ছোট মাছের আকাল ও নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণে এসব পিছিয়ে পড়া মানুষ সখের সিদল আর তৈরি করতে পারেন না। এ কারণে আর চোখে পড়ে না ছিড়ে যাওয়া মলিন শাড়ীতে ফেরি করা সেই ‘সিদল’ বিক্রেতার হাক।

বিষয়:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

বিশেষ আয়োজন নিয়ে আরও পড়ুন

কালীগঞ্জে মোটরসাইকেল–ট্রাকের সংঘর্ষে সেনা সদস্যসহ দুইজন গুরুতর আহত

কালীগঞ্জে মোটরসাইকেল–ট্রাকের সংঘর্ষে সেনা সদস্যসহ দুইজন গুরুতর আহত

ঝিনাইদহ–কালীগঞ্জ সড়কের ছোট ভাটপাড়া এলাকায় মোটরসাইকেল ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন মোটরসাইকেল আরোহী গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

২ দিন আগে
গভীর রাতে আইনবহির্ভূত বাঁধ কাটতে গিয়ে প্রাণ গেল দিনমজুরের

গভীর রাতে আইনবহির্ভূত বাঁধ কাটতে গিয়ে প্রাণ গেল দিনমজুরের

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় মনু নদের বেড়িবাঁধের মাটি ধসে রণ মালাকার (৪০) নামে এক দিনমজুরের মৃত্যু হয়েছে। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) গভীর রাতে উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের রণচাপ গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

৪ দিন আগে
ঝিনাইদহে সড়ক দূর্ঘটনায় মেডিকেল পরীক্ষার্থী নিহত

ঝিনাইদহে সড়ক দূর্ঘটনায় মেডিকেল পরীক্ষার্থী নিহত

ঝিনাইদহে এক সড়ক দুর্ঘটনায় তামান্না ইয়াসমিন নামে এক মেডিকেল পরীক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল আনুমানিক ১১টার দিকে ঘটনাটি ঘটে।

৫ দিন আগে
পানির পাইপ পিছলে ভ্যান চালেকের মৃত্যু

পানির পাইপ পিছলে ভ্যান চালেকের মৃত্যু

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে আলুক্ষেতে পানি দিতে রাস্তার ওপর বিছানো পাইপ পিছলে ভ্যান ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে ভ্যান চালক ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন।

৫ দিন আগে
কালীগঞ্জে মোটরসাইকেল–ট্রাকের সংঘর্ষে সেনা সদস্যসহ দুইজন গুরুতর আহত

কালীগঞ্জে মোটরসাইকেল–ট্রাকের সংঘর্ষে সেনা সদস্যসহ দুইজন গুরুতর আহত

ঝিনাইদহ–কালীগঞ্জ সড়কের ছোট ভাটপাড়া এলাকায় মোটরসাইকেল ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন মোটরসাইকেল আরোহী গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

২ দিন আগে
গভীর রাতে আইনবহির্ভূত বাঁধ কাটতে গিয়ে প্রাণ গেল দিনমজুরের

গভীর রাতে আইনবহির্ভূত বাঁধ কাটতে গিয়ে প্রাণ গেল দিনমজুরের

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় মনু নদের বেড়িবাঁধের মাটি ধসে রণ মালাকার (৪০) নামে এক দিনমজুরের মৃত্যু হয়েছে। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) গভীর রাতে উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের রণচাপ গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

৪ দিন আগে
ঝিনাইদহে সড়ক দূর্ঘটনায় মেডিকেল পরীক্ষার্থী নিহত

ঝিনাইদহে সড়ক দূর্ঘটনায় মেডিকেল পরীক্ষার্থী নিহত

ঝিনাইদহে এক সড়ক দুর্ঘটনায় তামান্না ইয়াসমিন নামে এক মেডিকেল পরীক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল আনুমানিক ১১টার দিকে ঘটনাটি ঘটে।

৫ দিন আগে
পানির পাইপ পিছলে ভ্যান চালেকের মৃত্যু

পানির পাইপ পিছলে ভ্যান চালেকের মৃত্যু

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে আলুক্ষেতে পানি দিতে রাস্তার ওপর বিছানো পাইপ পিছলে ভ্যান ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে ভ্যান চালক ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন।

৫ দিন আগে