চরম দুঃসময়ে নিজের জীবন বাজী রেখে জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)এবং জিয়া পরিবারের পাশে ছিলাম বীরদর্পে। দলের কঠিন ক্লান্তিলগ্নে সব ঝড়-ঝাপটা উপেক্ষা করে নিজের কথা না ভেবে

দলের পক্ষে ছিলাম এবং ভবিষ্যতেও থাকব ইনশাল্লাহ। যত ষড়যন্ত্রই হোক মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এই বিএনপির সঙ্গে থেকেই চির বিদায় নিতে চাই।

নরসিংদী জেলার বিএনপির সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা তোফাজ্জল হোসেন মাস্টার আক্ষেপ করে বলেন, বিগত ১৭ টি বছর আওয়ামীলীগের অনেক নির্যাতন সহ্য করেছি। তারপরও থেকেছি বিএনপির সাথেই। এই বুকে আগলে রেখেছি হাজার হাজার নির্যাতিত নেতাকর্মীদের।

দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি ২৭ বছর তিনি অত্যন্ত সুনামের সাথে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন।

শিবপুর পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে তিনি শিক্ষা ও মানবিক মূল্যবোধের আলো ছড়িয়েছেন জেলাব্যপী। সারা বিশ্বে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে তার অসংখ্য মেধাবী ছাত্রছাত্রী। আপনগুনে বিশ্ব দরবারে নেতৃত্ব দিচ্ছে তারা।

১৯৬৫ সালে, বিএনপির সাবেক মহাসচিব ও এলজি আরডি মন্ত্রী মরহুম আবদুল মান্নান ভূঁইয়ার হাত ধরে তিনি ছাত্র ইউনিয়নে যোগদান করেন। এরপর তিনি মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর আহ্বানে কৃষক আন্দোলনে অংশ নেন এবং ১৯৬৮ সালে আন্দোলন করতে গিয়ে গ্রেফতার হন। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধসহ দেশের সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তিনি ছিলেন প্রথম সারির সৈনিক। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে তিনি ন্যাপ (ভাসানী) এর নারায়ণগঞ্জ মহকুমা সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। পরে ন্যাপ ভেঙে ইউনাইটেড পিপলস পার্টি (ইউপিপি) গঠিত হলে তিনি ঢাকা জেলার আহ্বায়ক হন।

রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি গঠনের পর তিনি দলে যোগ দেন এবং ১৯৯৩ সালে নরসিংদী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি এবং শিবপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

অল্প বয়সে দুই দুইবার বিপুল ভোটে শিবপুরের চক্রধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। ব্যাপক উন্নয়ন ও জনসেবা করে সেই তখন থেকেই জননেতায় পরিণত হন।

২০০৫ সালে জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য সামসুদ্দিন আহমেদ এসহাকের মৃত্যুর পর এবং ওয়ান-ইলেভেনের রাজনৈতিক অস্থির সময়ে, যখন দলের ভেতরে নেতৃত্বের সংকট দেখা দেয়, তখন তিনি দৃঢ় হাতে সংগঠনের হাল ধরেন। দলের কঠিন সেই সময়ে তার নেতৃত্ব ও স্থিতিশীল ভূমিকা নরসিংদী বিএনপিকে টিকিয়ে রাখে।

২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি নরসিংদী-৩ (শিবপুর) আসনে ধানের শিষ প্রতীকে নির্বাচন করেন।

সৎ, স্পষ্টভাষী, ও ক্লিন ইমেজের কর্মীবান্দব এই রাজনীতিবিদ এবার নরসিংদী-৩ ( শিবপুর) আসনের সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করেছেন। দীর্ঘ দিন ধরে তাদের পাশে থেকে এবার জাতীয় সংসদে গিয়ে তাদের পক্ষে কথা বলতে চান। ফুলটাইম রাজনীতিক হিসেবে খেত এই জননেতাকে দল মনোনয়ন প্রদান করবে এমন প্রত্যাশাই শিবপুরবাসীর।