অনলাইন ডেস্ক
নির্বাচনের জন্য সরকারকে বাধ্য করতে চায় না জামায়াত। চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুন মাসের মধ্যে নির্বাচনের প্রতি জামায়াতের আস্থা রয়েছে। এমনটাই বললেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান।
তিনি আরও বলেন, আমরা চাই, দেশের স্বার্থে, জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সুষ্ঠু একটি নির্বাচনী পরিবেশ তৈরি হোক, যেখানে সব দল অংশ নিতে পারে।
শনিবার (২৪ মে) সকালে রাজধানীতে জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার অধিবেশনে যোগ দিয়ে তিনি এ আহ্বান জানান।
জামায়াত আমির বলেন, ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচনের প্রতি আমাদের আস্থা রয়েছে। নির্বাচনের জন্য আমরা বাধ্য করতে নয়, সহযোগিতা করতে চাই। সরকারকে সহযোগিতা করতে সব সংগঠনের প্রতি আহ্বান জানাই। জাতি সংকটে পড়লে আমরা কেউ দায় এড়াতে পারবো না।
দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকার সর্বদলীয় বৈঠক ডেকে জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিলে ভালো কিছু বের হয়ে আসবে উল্লেখ করে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘জাতির মধ্যে যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে তা সব পক্ষের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে সমাধান সম্ভব। সব দলের সঙ্গে আলোচনার উদ্যোগ নিয়েছে জামায়াত।’
নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিগত সরকারের কর্মকাণ্ডে নির্বাচন সম্পর্কে মানুষের একটা অনীহা সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনকে অর্থবহ করতে হলে গ্রহণযোগ্য সংস্কার প্রয়োজন, যদিও এখন পর্যন্ত এর কোনো রোডম্যাপ জনগণের সামনে আসেনি। গ্রহণযোগ্য নির্বাচন না হলে জনগণ তা প্রত্যাখ্যান করবে।
জুলাই আন্দোলনে হত্যা ও গুমের অপরাধীদের বিচার না হলে বাংলাদেশ গভীর অন্ধকারে হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় ফেয়ারভাবে একটা বিচার চান জামায়াতের আমির।
মানবিক করিডর নিয়ে তিনি বলেন, মানবিক করিডরের বিষয়ে জাতীয় নিরাপত্তা জড়িত। তাই জামায়াত চেয়েছে এটা নিয়ে যেন সরকার ভেবেচিন্তে অগ্রসর হয়। সরকারের উচিত সব পক্ষের সঙ্গে বসে যেন এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়।
চট্টগ্রাম বন্দরের ওপর দেশের বাণিজ্যের ৭০ শতাংশ নির্ভর করে। এ ধরনের বিষয়ে সরকারের হুট করে সিদ্ধান্ত নেয়া ঠিক হবে না বলেও মন্তব্য করে ডা. শফিকুর রহমান।
সেনাবাহিনী বিতর্কিত হলে দেশের জন্য ক্ষতি হবে উল্লেখ করে জামায়াত আমির বলেন, কারো কোনো পদক্ষেপের মাধ্যমে আমাদের গর্বের প্রতিষ্ঠান সেনাবাহিনী ক্ষতিগ্রস্ত হোক সেটা চাই না। সেনাবাহিনীকে নিয়ে যেকোনো মন্তব্য করা ঠিক হবে না।
সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, গত কয়েক দিনের ঘটনায় আমরা বিচলিত না হলেও সতর্ক দৃষ্টি রাখছি। এমন পরিস্থিতিতে জামায়াতে ইসলামী চুপ করে বসে থাকতে পারে না। জাতিকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দেওয়া কোনো অবস্থাতেই সমীচীন হবে না।
এমন পরিস্থিতিতে সর্বদলীয় বৈঠক আয়োজন করতে হবে। আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে এ আহ্বান জানিয়েছি।আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সকল সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।
নির্বাচন নিয়ে জামায়াত আমির বলেন, পূর্বে নির্বাচনের নামে তামাশা করা হয়েছে। মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। মানুষকে ভোটবিমুখ করা হয়েছে। তাই এমন একটি নির্বাচন করতে হবে, যেখানে জনমতের প্রতিফলন ঘটবে। নির্বাচন হতে হবে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য।
এখনও পর্যন্ত সংস্কার ও নির্বাচনের রোডম্যাপ আসেনি। আমরা দ্রুত এই রোডম্যাপ প্রকাশ করতে সরকারকে আহ্বান জানাবো।
মানবিক করিডোর ও চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে তিনি আরও বলেন, এর সঙ্গে জাতীয় নিরাপত্তা জড়িত। হুট করেই কিছু করা যাবে না। এই বিষয়ে রাজনৈতিক দল ও নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নিতে হবে অথবা নির্বাচিত সরকারের ওপর ছেড়ে দিতে হবে। চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের ওপর দেশের বাণিজ্য নির্ভরশীল। এসব বিষয়ে ভেবে-চিন্তে অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।
এছাড়াও, কারও কোনো বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে সেনাবাহিনী যেন বিতর্কিত না হয়। সেনাবাহিনীকে বিতর্ক থেকে দূরে রাখা উচিত বলেও জানান জামায়াত আমির।
নির্বাচনের জন্য সরকারকে বাধ্য করতে চায় না জামায়াত। চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুন মাসের মধ্যে নির্বাচনের প্রতি জামায়াতের আস্থা রয়েছে। এমনটাই বললেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান।
তিনি আরও বলেন, আমরা চাই, দেশের স্বার্থে, জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সুষ্ঠু একটি নির্বাচনী পরিবেশ তৈরি হোক, যেখানে সব দল অংশ নিতে পারে।
শনিবার (২৪ মে) সকালে রাজধানীতে জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার অধিবেশনে যোগ দিয়ে তিনি এ আহ্বান জানান।
জামায়াত আমির বলেন, ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচনের প্রতি আমাদের আস্থা রয়েছে। নির্বাচনের জন্য আমরা বাধ্য করতে নয়, সহযোগিতা করতে চাই। সরকারকে সহযোগিতা করতে সব সংগঠনের প্রতি আহ্বান জানাই। জাতি সংকটে পড়লে আমরা কেউ দায় এড়াতে পারবো না।
দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকার সর্বদলীয় বৈঠক ডেকে জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিলে ভালো কিছু বের হয়ে আসবে উল্লেখ করে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘জাতির মধ্যে যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে তা সব পক্ষের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে সমাধান সম্ভব। সব দলের সঙ্গে আলোচনার উদ্যোগ নিয়েছে জামায়াত।’
নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিগত সরকারের কর্মকাণ্ডে নির্বাচন সম্পর্কে মানুষের একটা অনীহা সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনকে অর্থবহ করতে হলে গ্রহণযোগ্য সংস্কার প্রয়োজন, যদিও এখন পর্যন্ত এর কোনো রোডম্যাপ জনগণের সামনে আসেনি। গ্রহণযোগ্য নির্বাচন না হলে জনগণ তা প্রত্যাখ্যান করবে।
জুলাই আন্দোলনে হত্যা ও গুমের অপরাধীদের বিচার না হলে বাংলাদেশ গভীর অন্ধকারে হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় ফেয়ারভাবে একটা বিচার চান জামায়াতের আমির।
মানবিক করিডর নিয়ে তিনি বলেন, মানবিক করিডরের বিষয়ে জাতীয় নিরাপত্তা জড়িত। তাই জামায়াত চেয়েছে এটা নিয়ে যেন সরকার ভেবেচিন্তে অগ্রসর হয়। সরকারের উচিত সব পক্ষের সঙ্গে বসে যেন এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়।
চট্টগ্রাম বন্দরের ওপর দেশের বাণিজ্যের ৭০ শতাংশ নির্ভর করে। এ ধরনের বিষয়ে সরকারের হুট করে সিদ্ধান্ত নেয়া ঠিক হবে না বলেও মন্তব্য করে ডা. শফিকুর রহমান।
সেনাবাহিনী বিতর্কিত হলে দেশের জন্য ক্ষতি হবে উল্লেখ করে জামায়াত আমির বলেন, কারো কোনো পদক্ষেপের মাধ্যমে আমাদের গর্বের প্রতিষ্ঠান সেনাবাহিনী ক্ষতিগ্রস্ত হোক সেটা চাই না। সেনাবাহিনীকে নিয়ে যেকোনো মন্তব্য করা ঠিক হবে না।
সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, গত কয়েক দিনের ঘটনায় আমরা বিচলিত না হলেও সতর্ক দৃষ্টি রাখছি। এমন পরিস্থিতিতে জামায়াতে ইসলামী চুপ করে বসে থাকতে পারে না। জাতিকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দেওয়া কোনো অবস্থাতেই সমীচীন হবে না।
এমন পরিস্থিতিতে সর্বদলীয় বৈঠক আয়োজন করতে হবে। আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে এ আহ্বান জানিয়েছি।আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সকল সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।
নির্বাচন নিয়ে জামায়াত আমির বলেন, পূর্বে নির্বাচনের নামে তামাশা করা হয়েছে। মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। মানুষকে ভোটবিমুখ করা হয়েছে। তাই এমন একটি নির্বাচন করতে হবে, যেখানে জনমতের প্রতিফলন ঘটবে। নির্বাচন হতে হবে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য।
এখনও পর্যন্ত সংস্কার ও নির্বাচনের রোডম্যাপ আসেনি। আমরা দ্রুত এই রোডম্যাপ প্রকাশ করতে সরকারকে আহ্বান জানাবো।
মানবিক করিডোর ও চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে তিনি আরও বলেন, এর সঙ্গে জাতীয় নিরাপত্তা জড়িত। হুট করেই কিছু করা যাবে না। এই বিষয়ে রাজনৈতিক দল ও নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নিতে হবে অথবা নির্বাচিত সরকারের ওপর ছেড়ে দিতে হবে। চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের ওপর দেশের বাণিজ্য নির্ভরশীল। এসব বিষয়ে ভেবে-চিন্তে অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।
এছাড়াও, কারও কোনো বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে সেনাবাহিনী যেন বিতর্কিত না হয়। সেনাবাহিনীকে বিতর্ক থেকে দূরে রাখা উচিত বলেও জানান জামায়াত আমির।
কিছু উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে বিতর্কিত করার উদ্দেশ্যে কাজ করছে। এ ধরনের কর্মকাণ্ড রাজনৈতিক বা সামাজিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হতে পারে। সরকারকে সেসব উপদেষ্টাদের লাগাম টেনে ধরতে হবে। এমনটাই বললেন,বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন।
৩১ মিনিট আগেউপদেষ্টা আসিফ ও মাহফুজের সঙ্গে এনসিপির কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
৩ ঘণ্টা আগেনারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের কুরআন বিরোধী প্রতিবেদন ও কমিশন বাতিল, সংবিধানে বহুত্ববাদের পরিবর্তে আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস পুনর্বহালসহ ১২ দফা দাবিতে জামালপুরে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৮ ঘণ্টা আগেফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্যে ফাটল ধরতে শুরু করেছে উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, আগামীর বাংলাদেশের মূল চালিকাশক্তি এই ঐক্যকে বজায় রেখে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের কোনো বিকল্প নেই।’
২ দিন আগেকিছু উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে বিতর্কিত করার উদ্দেশ্যে কাজ করছে। এ ধরনের কর্মকাণ্ড রাজনৈতিক বা সামাজিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হতে পারে। সরকারকে সেসব উপদেষ্টাদের লাগাম টেনে ধরতে হবে। এমনটাই বললেন,বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন।
উপদেষ্টা আসিফ ও মাহফুজের সঙ্গে এনসিপির কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
নির্বাচনের জন্য সরকারকে বাধ্য করতে চায় না জামায়াত। চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুন মাসের মধ্যে নির্বাচনের প্রতি জামায়াতের আস্থা রয়েছে। এমনটাই বললেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান
নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের কুরআন বিরোধী প্রতিবেদন ও কমিশন বাতিল, সংবিধানে বহুত্ববাদের পরিবর্তে আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস পুনর্বহালসহ ১২ দফা দাবিতে জামালপুরে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।