কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাবে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী
অনলাইন ডেস্ক
গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তির দিনে কক্সবাজার ভ্রমণকে কেন্দ্র করে পাওয়া কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। দলীয় শোকজ নোটিশের জবাবে তিনি বলেছেন, ঘুরতে যাওয়া কোনো অপরাধ নয়। কারণ, ইতিহাস কেবল সভা বা মিটিংয়ে নয়, অনেক সময় সাগরের পাড়েও জন্ম নেয়।
বৃহস্পতিবার শোকজ নোটিশের জবাব তিনি তার ফেসবুকে শেয়ার করেন। এতে তিনি উল্লেখ করেন, শোকজ নোটিশ (উল্লেখিত নম্বর) এর প্রেক্ষিতে আমি এই ব্যাখ্যাটি প্রদান করছি। ৫ আগস্ট ২০২৫ তারিখে আমার কোনো পূর্বনির্ধারিত রাষ্ট্রীয় বা সাংগঠনিক কর্মসূচি ছিল না। দল থেকেও আমাকে এ সংক্রান্ত কোনো দায়িত্ব বা কর্মপরিকল্পনা জানানো হয়নি।
৪ আগস্ট রাতে দলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ তার কোচিং অফিসের সহকর্মীর ফোন ব্যবহার করে আমাকে জানায় যে, সে তার স্কুল বন্ধুদের সঙ্গে দুই দিনের জন্য ঘুরতে যাবে। আমি তাকে আহ্বায়ক মহোদয়কে অবহিত করতে বলি এবং সে জানায় যে বিষয়টি জানাবে, এবং আমাকেও জানাতে বলে যেহেতু তার নিজস্ব ফোন পদযাত্রায় চুরি হয়ে গিয়েছিল।
৪ আগস্ট রাতে পার্টি অফিসে আমি আহ্বায়ক মহোদয়ের সঙ্গে দেখা করে বিষয়টি জানাই। একই রাতে আমি সদস্য সচিব মহোদয়ের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করি এবং জানতে পারি যে, রাষ্ট্রীয় প্রোগ্রামে দল থেকে তিনজন প্রতিনিধি যাচ্ছেন এবং সেখানে আমার কোনো কাজ নাই। আমি কোনো দায়িত্বে না থাকায়, এবং ব্যক্তিগত প্রয়োজন ও মানসিক প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ঘুরতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি। সফরসঙ্গী হিসেবে সস্ত্রীক সারজিস আলম ও তাসনিম জারা-খালেদ সাইফুল্লাহ দম্পতি যুক্ত হন।
আমি ঘুরতে গিয়েছিলাম, তবে এই ঘোরার লক্ষ্য ছিল রাজনীতির ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা নিয়ে একান্তে চিন্তা-ভাবনা করা। সাগরের পাড়ে বসে আমি গভীরভাবে ভাবতে চেয়েছি গণঅভ্যুত্থান, নাগরিক কমিটি, নাগরিক পার্টির কাঠামো, ভবিষ্যৎ গণপরিষদ এবং একটি নতুন গণতান্ত্রিক সংবিধানের রূপরেখা নিয়ে। আমি এটিকে কোনো অপরাধ মনে করি না, বরং একজন রাজনৈতিক কর্মীর জন্য এটি একটি দায়িত্বশীল মানসিক চর্চা।
কক্সবাজার পৌঁছানোর পর হঠাৎ গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে আমরা নাকি সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে দেখা করতে এসেছি। আমি তাৎক্ষণিকভাবে গণমাধ্যমকে জানাই যে, এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার। হোটেল কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করে জানায় সেখানে পিটার হাস নামে কেউ নেই। পরবর্তীতে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, তিনি তখন ওয়াশিংটনে অবস্থান করছিলেন।
এই গুজব একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র এবং আমাদের ভাবমূর্তি নষ্ট করার অপচেষ্টা। অতীতেও আমি এই হোটেলে থেকেছি এবং কখনো কোনো বিতর্ক সৃষ্টি হয় নি। অতীতেও আমি বেশ কয়েকবার ঘুরতে গিয়েছি কিন্তু ঘুরতে আসলে দলের বিধিমালা লঙ্ঘন হয়, এমন কোন বার্তা আমাকে কখনো দল থেকে দেয়া হয়নি।
পরিস্থিতির আলোকে, আমি মনে করি শোকজ নোটিশটি বাস্তবভিত্তিক নয়। আমার সফর ছিল স্বচ্ছ, সাংগঠনিক নীতিমালাবিরোধী নয় এবং একান্ত ব্যক্তিগত চিন্তা-ভাবনার সুযোগ মাত্র।
তবুও দলীয় শৃঙ্খলার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এবং রাজনৈতিক শালীনতা বজায় রেখে আমি এই লিখিত জবাব প্রদান করছি। অসভ্য জগতে সভ্যতার এক নির্দেশনা হিসেবে।
আমার বক্তব্য স্পষ্ট:
জবাবের শেষে তিনি আরও উল্লেখ করেন,
“ঘুরতে যাওয়া অপরাধ নয়।”
কারণ ইতিহাস কেবল মিটিংয়ে নয়, অনেক সময় নির্জন চিন্তার ঘরে বা সাগরের পাড়েও জন্ম নেয়।
গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তির দিনে কক্সবাজার ভ্রমণকে কেন্দ্র করে পাওয়া কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। দলীয় শোকজ নোটিশের জবাবে তিনি বলেছেন, ঘুরতে যাওয়া কোনো অপরাধ নয়। কারণ, ইতিহাস কেবল সভা বা মিটিংয়ে নয়, অনেক সময় সাগরের পাড়েও জন্ম নেয়।
বৃহস্পতিবার শোকজ নোটিশের জবাব তিনি তার ফেসবুকে শেয়ার করেন। এতে তিনি উল্লেখ করেন, শোকজ নোটিশ (উল্লেখিত নম্বর) এর প্রেক্ষিতে আমি এই ব্যাখ্যাটি প্রদান করছি। ৫ আগস্ট ২০২৫ তারিখে আমার কোনো পূর্বনির্ধারিত রাষ্ট্রীয় বা সাংগঠনিক কর্মসূচি ছিল না। দল থেকেও আমাকে এ সংক্রান্ত কোনো দায়িত্ব বা কর্মপরিকল্পনা জানানো হয়নি।
৪ আগস্ট রাতে দলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ তার কোচিং অফিসের সহকর্মীর ফোন ব্যবহার করে আমাকে জানায় যে, সে তার স্কুল বন্ধুদের সঙ্গে দুই দিনের জন্য ঘুরতে যাবে। আমি তাকে আহ্বায়ক মহোদয়কে অবহিত করতে বলি এবং সে জানায় যে বিষয়টি জানাবে, এবং আমাকেও জানাতে বলে যেহেতু তার নিজস্ব ফোন পদযাত্রায় চুরি হয়ে গিয়েছিল।
৪ আগস্ট রাতে পার্টি অফিসে আমি আহ্বায়ক মহোদয়ের সঙ্গে দেখা করে বিষয়টি জানাই। একই রাতে আমি সদস্য সচিব মহোদয়ের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করি এবং জানতে পারি যে, রাষ্ট্রীয় প্রোগ্রামে দল থেকে তিনজন প্রতিনিধি যাচ্ছেন এবং সেখানে আমার কোনো কাজ নাই। আমি কোনো দায়িত্বে না থাকায়, এবং ব্যক্তিগত প্রয়োজন ও মানসিক প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ঘুরতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি। সফরসঙ্গী হিসেবে সস্ত্রীক সারজিস আলম ও তাসনিম জারা-খালেদ সাইফুল্লাহ দম্পতি যুক্ত হন।
আমি ঘুরতে গিয়েছিলাম, তবে এই ঘোরার লক্ষ্য ছিল রাজনীতির ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা নিয়ে একান্তে চিন্তা-ভাবনা করা। সাগরের পাড়ে বসে আমি গভীরভাবে ভাবতে চেয়েছি গণঅভ্যুত্থান, নাগরিক কমিটি, নাগরিক পার্টির কাঠামো, ভবিষ্যৎ গণপরিষদ এবং একটি নতুন গণতান্ত্রিক সংবিধানের রূপরেখা নিয়ে। আমি এটিকে কোনো অপরাধ মনে করি না, বরং একজন রাজনৈতিক কর্মীর জন্য এটি একটি দায়িত্বশীল মানসিক চর্চা।
কক্সবাজার পৌঁছানোর পর হঠাৎ গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে আমরা নাকি সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে দেখা করতে এসেছি। আমি তাৎক্ষণিকভাবে গণমাধ্যমকে জানাই যে, এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার। হোটেল কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করে জানায় সেখানে পিটার হাস নামে কেউ নেই। পরবর্তীতে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, তিনি তখন ওয়াশিংটনে অবস্থান করছিলেন।
এই গুজব একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র এবং আমাদের ভাবমূর্তি নষ্ট করার অপচেষ্টা। অতীতেও আমি এই হোটেলে থেকেছি এবং কখনো কোনো বিতর্ক সৃষ্টি হয় নি। অতীতেও আমি বেশ কয়েকবার ঘুরতে গিয়েছি কিন্তু ঘুরতে আসলে দলের বিধিমালা লঙ্ঘন হয়, এমন কোন বার্তা আমাকে কখনো দল থেকে দেয়া হয়নি।
পরিস্থিতির আলোকে, আমি মনে করি শোকজ নোটিশটি বাস্তবভিত্তিক নয়। আমার সফর ছিল স্বচ্ছ, সাংগঠনিক নীতিমালাবিরোধী নয় এবং একান্ত ব্যক্তিগত চিন্তা-ভাবনার সুযোগ মাত্র।
তবুও দলীয় শৃঙ্খলার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এবং রাজনৈতিক শালীনতা বজায় রেখে আমি এই লিখিত জবাব প্রদান করছি। অসভ্য জগতে সভ্যতার এক নির্দেশনা হিসেবে।
আমার বক্তব্য স্পষ্ট:
জবাবের শেষে তিনি আরও উল্লেখ করেন,
“ঘুরতে যাওয়া অপরাধ নয়।”
কারণ ইতিহাস কেবল মিটিংয়ে নয়, অনেক সময় নির্জন চিন্তার ঘরে বা সাগরের পাড়েও জন্ম নেয়।
আধিপত্য বিস্তার, ফুটপাত থেকে চাঁদাবাজি ও পাঁচদোনা মোড়ের সিএনজি স্টেশন দখল নিয়ে গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে বিরোধ শুরু হয় ইউনিয়ন বিএনপির সহ সভাপতি লালু মিয়া ওরফে লাল মিয়া ও বিএনপির কর্মী মোসাদ্দেক হোসেনের মধ্যে
১ ঘণ্টা আগেসভায় নবনির্বাচিত কমিটির নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে খোলামেলা আলোচনা করেন। তারা সংগঠনের ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা, ইসলামি মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা ও সামাজিক অশান্তি দূরীকরণে করণীয় নিয়ে মতামত তুলে ধরেন এবং সাংবাদিকদের সহযোগিতা চান
১ ঘণ্টা আগেসালাহউদ্দিন আহমদ জানান, বেশ কিছু বিষয়ে অসামঞ্জস্যতা থাকার পাশাপাশি জুলাই সনদে কিছু বিষয় সঠিকভাবে উপস্থাপিত হয়নি। ফলে সনদের চূড়ান্ত খসড়া পর্যালোচনা করে আগামী ২০ আগস্টের মধ্যে বিএনপি মতামত জানাবে
১ দিন আগে৭ আগস্ট (রোববার) বিকেল ৩টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নরসিংদী জেলা, টাঙ্গাইল জেলা, পটুয়াখালী জেলা ও গাজীপুর মহানগর ইউনিটের সুপার ফাইভ এবং এই চার জেলায় দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় টিমের নেতাদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সংসদের জরুরি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে
১ দিন আগেআধিপত্য বিস্তার, ফুটপাত থেকে চাঁদাবাজি ও পাঁচদোনা মোড়ের সিএনজি স্টেশন দখল নিয়ে গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে বিরোধ শুরু হয় ইউনিয়ন বিএনপির সহ সভাপতি লালু মিয়া ওরফে লাল মিয়া ও বিএনপির কর্মী মোসাদ্দেক হোসেনের মধ্যে
সভায় নবনির্বাচিত কমিটির নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে খোলামেলা আলোচনা করেন। তারা সংগঠনের ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা, ইসলামি মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা ও সামাজিক অশান্তি দূরীকরণে করণীয় নিয়ে মতামত তুলে ধরেন এবং সাংবাদিকদের সহযোগিতা চান
সালাহউদ্দিন আহমদ জানান, বেশ কিছু বিষয়ে অসামঞ্জস্যতা থাকার পাশাপাশি জুলাই সনদে কিছু বিষয় সঠিকভাবে উপস্থাপিত হয়নি। ফলে সনদের চূড়ান্ত খসড়া পর্যালোচনা করে আগামী ২০ আগস্টের মধ্যে বিএনপি মতামত জানাবে
৭ আগস্ট (রোববার) বিকেল ৩টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নরসিংদী জেলা, টাঙ্গাইল জেলা, পটুয়াখালী জেলা ও গাজীপুর মহানগর ইউনিটের সুপার ফাইভ এবং এই চার জেলায় দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় টিমের নেতাদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সংসদের জরুরি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে