বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে টেস্ট
স্পোর্টস ডেস্ক

সিলেট টেস্টের প্রথম সেশন তুলনামূলক শান্তিপূর্ণ থাকলেও দ্বিতীয় সেশনে ব্যাটিংয়ে চরম বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ দল। ফলে ১২৩ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর মাত্র ২৩ রানের ব্যবধানে আরও ৪ উইকেট হারিয়ে ১৪৬ রানে পড়ে ৭ উইকেট।
এদিকে ৫০ ওভারের খেলা শেষে ৭ উইকেটে ১৫৪ রান নিয়ে চা-বিরতিতে যায় স্বাগতিকরা। দ্বিতীয় সেশনে ৭০ রানের বিপরীতে হারায় ৫ উইকেট। শেষ পর্যন্ত ৬১ ওভারে ১৯১ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। শেষ উইকেট হিসেবে জাকের আলী অনিক করেন ২৮ রান, হাসান মাহমুদ অপরাজিত থাকেন ১৯ রানে।
রবিবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। ভালো সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় ও সাদমান ইসলাম। বল ব্যাটে আসছিল, দু’একটি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে উইকেটেও সেট হতে থাকেন তারা। তবে দুজনেই ফিরে যান ১ রানের ব্যবধানে।
দলীয় ৩১ রানে ভিক্টর নুয়াইসির ডেলিভারিতে ব্যাটের বাইরের কার্ণারে বল লাগিয়ে গালি অঞ্চলে ব্রায়ান বেনেটের হাতে ধরা পড়েন সাদমান। বাঁহাতি এ ব্যাটার করেন ২৩ বলে ১২ রান।
পরের ওভারেই একই বোলারের বলে ফেরেন মাহমুদুল হাসান জয়। সাদমানের মতো তিনিও ব্যাটের বাইরের কার্ণারে বল লাগিয়ে কিপার নিয়াশা মায়াভোর হাতে ক্যাচ দেন। ডানহাতি এই ব্যাটার করেন ৩৫ বলে ১৪ রান। দলীয় স্কোর তখন ৩২।
তৃতীয় উইকেটে মুমিনুল হক ও অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত গড়েন ৬৬ রানের জুটি। ৯৮ রানে শান্ত ৬৯ বলে ৪০ রান করে ব্লেসিং মুজারাবানির বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে মাধেভেরের হাতে ক্যাচ দেন।
পরবর্তী ব্যাটার মুশফিকুর রহিম ছিলেন ব্যর্থ। ওয়েলিংটন মাসাকাদজার বলে ১৮ বলে ৪ রান করে শর্ট মিড উইকেটে বেনেটের হাতে ধরা পড়েন তিনি।
মুশফিক ফেরার পর বেশিক্ষণ টিকেননি মুমিনুলও। আউট হওয়ার আগে ১০৫ বলে ৫৬ রানের মূল্যবান ইনিংসে ৮টি চার ও ১টি ছক্কা হাঁকান বাঁহাতি ব্যাটার। মাসাকাদজার বলে তিনিও ক্যাচ তুলে দেন।
এরপর দ্রুত ফিরে যান মেহেদী হাসান মিরাজ (৪ বলে ১ রান) এবং তাইজুল ইসলাম (১৯ বলে ৩ রান)। দুজনেই মাসাকাদজার শিকার হন।
শেষদিকে লোয়ার অর্ডার থেকে কেউ ভালো রান না করলে, বাংলাদেশের ইনিংস গুটিয়ে যায় ১৯১ রানে।
এর আগে বাংলাদেশি ঢংয়ের ব্যাটিংয়ের ‘নেতৃত্বে’ ছিলেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেনই। ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে ২০২৪ সালে নিজের ব্যাটিংয়ের কিছু ভুল তুলে ধরেছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ৩০-৪০ রানের ইনিংসগুলোকে কীভাবে বড় করা যায়, সেটি নিয়েই কাজ করেছেন বলেই জানান নাজমুল। এত কিছু বলে বছরের প্রথম টেস্টে সেই একই ভুল! ব্লেসিং মুজারাবানির অফ স্টাম্পের বাইরে করা শর্ট বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ দিয়েছেন ব্যক্তিগত ৪০ রানে।
সাদা পোশাকের ক্রিকেটে কেন এমন শট খেলতে গেলেন, এই যুগে সেই প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই। বরং অফ স্টাম্পের বাইরে থাকা বলটি কেন ফিল্ডারের হাতে গেল, সেই প্রশ্ন নিজেকে করতে পারেন নাজমুল। সঙ্গে আর কত দিন ভালো খেলতে খেলতে মনযোগ হারিয়ে এভাবে উইকেট দিয়ে আসবেন, সেটিও!
নাজমুলের বিদায়ে যিনি উইকেটে আসেন, সেই মুশফিকুর রহিম যেভাবে আউট হয়েছেন, তা আরও দৃষ্ট কটু। ওয়েলিংটন মাসাকাদজার যে বলটিতে আউট হয়েছেন, সেটিতে চার মারার চেয়ে আউট হওয়া কঠিন। মুশফিক কঠিন কাজটাই করেছেন। নিরীহ শর্ট বলে মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়েছেন ৪ রান করে।
সিলেটের আবহাওয়ার নিজস্ব যে একটা ঢং রয়েছে সেটির প্রমাণ যেন আজ টাইগাররা পেলো। কখন রোদ উঠবে, কখন বৃষ্টি নামবে বোঝা ছিল কঠিন। সেই সিলেটে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশ দলও দেখিয়েছে ব্যাটিংয়ের নিজস্ব ঢং। কখন যে কী হবে বোঝা কঠিন!
যখনই কেউ উইকেটে থিতু হয়েছেন, বড় ইনিংস খেলার আশা জাগিয়েছেন; তখনই উইকেট উপহার দিয়ে এসেছেন! আর হঠাৎ ব্যাটিং ধস তো সেই কবে থেকেই বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের অবিচ্ছেদ্য অংশ।
বাটিংয়ে চিরাচরিত সবকিছুই যখন এভাবে দাড়ি-কমাসহ মিলে যাবে, সেদিন বাংলাদেশের সংগ্রহ বড় না হওয়াটাই তো স্বাভাবিক। আর আজও হয়েছে এমনটাই।

সিলেট টেস্টের প্রথম সেশন তুলনামূলক শান্তিপূর্ণ থাকলেও দ্বিতীয় সেশনে ব্যাটিংয়ে চরম বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ দল। ফলে ১২৩ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর মাত্র ২৩ রানের ব্যবধানে আরও ৪ উইকেট হারিয়ে ১৪৬ রানে পড়ে ৭ উইকেট।
এদিকে ৫০ ওভারের খেলা শেষে ৭ উইকেটে ১৫৪ রান নিয়ে চা-বিরতিতে যায় স্বাগতিকরা। দ্বিতীয় সেশনে ৭০ রানের বিপরীতে হারায় ৫ উইকেট। শেষ পর্যন্ত ৬১ ওভারে ১৯১ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। শেষ উইকেট হিসেবে জাকের আলী অনিক করেন ২৮ রান, হাসান মাহমুদ অপরাজিত থাকেন ১৯ রানে।
রবিবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। ভালো সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় ও সাদমান ইসলাম। বল ব্যাটে আসছিল, দু’একটি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে উইকেটেও সেট হতে থাকেন তারা। তবে দুজনেই ফিরে যান ১ রানের ব্যবধানে।
দলীয় ৩১ রানে ভিক্টর নুয়াইসির ডেলিভারিতে ব্যাটের বাইরের কার্ণারে বল লাগিয়ে গালি অঞ্চলে ব্রায়ান বেনেটের হাতে ধরা পড়েন সাদমান। বাঁহাতি এ ব্যাটার করেন ২৩ বলে ১২ রান।
পরের ওভারেই একই বোলারের বলে ফেরেন মাহমুদুল হাসান জয়। সাদমানের মতো তিনিও ব্যাটের বাইরের কার্ণারে বল লাগিয়ে কিপার নিয়াশা মায়াভোর হাতে ক্যাচ দেন। ডানহাতি এই ব্যাটার করেন ৩৫ বলে ১৪ রান। দলীয় স্কোর তখন ৩২।
তৃতীয় উইকেটে মুমিনুল হক ও অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত গড়েন ৬৬ রানের জুটি। ৯৮ রানে শান্ত ৬৯ বলে ৪০ রান করে ব্লেসিং মুজারাবানির বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে মাধেভেরের হাতে ক্যাচ দেন।
পরবর্তী ব্যাটার মুশফিকুর রহিম ছিলেন ব্যর্থ। ওয়েলিংটন মাসাকাদজার বলে ১৮ বলে ৪ রান করে শর্ট মিড উইকেটে বেনেটের হাতে ধরা পড়েন তিনি।
মুশফিক ফেরার পর বেশিক্ষণ টিকেননি মুমিনুলও। আউট হওয়ার আগে ১০৫ বলে ৫৬ রানের মূল্যবান ইনিংসে ৮টি চার ও ১টি ছক্কা হাঁকান বাঁহাতি ব্যাটার। মাসাকাদজার বলে তিনিও ক্যাচ তুলে দেন।
এরপর দ্রুত ফিরে যান মেহেদী হাসান মিরাজ (৪ বলে ১ রান) এবং তাইজুল ইসলাম (১৯ বলে ৩ রান)। দুজনেই মাসাকাদজার শিকার হন।
শেষদিকে লোয়ার অর্ডার থেকে কেউ ভালো রান না করলে, বাংলাদেশের ইনিংস গুটিয়ে যায় ১৯১ রানে।
এর আগে বাংলাদেশি ঢংয়ের ব্যাটিংয়ের ‘নেতৃত্বে’ ছিলেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেনই। ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে ২০২৪ সালে নিজের ব্যাটিংয়ের কিছু ভুল তুলে ধরেছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ৩০-৪০ রানের ইনিংসগুলোকে কীভাবে বড় করা যায়, সেটি নিয়েই কাজ করেছেন বলেই জানান নাজমুল। এত কিছু বলে বছরের প্রথম টেস্টে সেই একই ভুল! ব্লেসিং মুজারাবানির অফ স্টাম্পের বাইরে করা শর্ট বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ দিয়েছেন ব্যক্তিগত ৪০ রানে।
সাদা পোশাকের ক্রিকেটে কেন এমন শট খেলতে গেলেন, এই যুগে সেই প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই। বরং অফ স্টাম্পের বাইরে থাকা বলটি কেন ফিল্ডারের হাতে গেল, সেই প্রশ্ন নিজেকে করতে পারেন নাজমুল। সঙ্গে আর কত দিন ভালো খেলতে খেলতে মনযোগ হারিয়ে এভাবে উইকেট দিয়ে আসবেন, সেটিও!
নাজমুলের বিদায়ে যিনি উইকেটে আসেন, সেই মুশফিকুর রহিম যেভাবে আউট হয়েছেন, তা আরও দৃষ্ট কটু। ওয়েলিংটন মাসাকাদজার যে বলটিতে আউট হয়েছেন, সেটিতে চার মারার চেয়ে আউট হওয়া কঠিন। মুশফিক কঠিন কাজটাই করেছেন। নিরীহ শর্ট বলে মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়েছেন ৪ রান করে।
সিলেটের আবহাওয়ার নিজস্ব যে একটা ঢং রয়েছে সেটির প্রমাণ যেন আজ টাইগাররা পেলো। কখন রোদ উঠবে, কখন বৃষ্টি নামবে বোঝা ছিল কঠিন। সেই সিলেটে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশ দলও দেখিয়েছে ব্যাটিংয়ের নিজস্ব ঢং। কখন যে কী হবে বোঝা কঠিন!
যখনই কেউ উইকেটে থিতু হয়েছেন, বড় ইনিংস খেলার আশা জাগিয়েছেন; তখনই উইকেট উপহার দিয়ে এসেছেন! আর হঠাৎ ব্যাটিং ধস তো সেই কবে থেকেই বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের অবিচ্ছেদ্য অংশ।
বাটিংয়ে চিরাচরিত সবকিছুই যখন এভাবে দাড়ি-কমাসহ মিলে যাবে, সেদিন বাংলাদেশের সংগ্রহ বড় না হওয়াটাই তো স্বাভাবিক। আর আজও হয়েছে এমনটাই।

ভূস্বর্গ খ্যাত কাশ্মীরে আয়োজিত এই লিগ ক্রিস গেইল ও থিসারা পেরেরাদের জন্য মহা বিড়ম্বনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। খেলোয়াড়দের হোটেলে রেখে, আয়োজকরা শহর ত্যাগ করেছেন
২ দিন আগে
রুবাবা এর আগে ২০০৯-২০১৫ পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তিনি ১১ বছর গ্রামীণফোনের প্রধান যোগাযোগ কর্মকর্তা ও প্রধান বিপণন কর্মকর্তা ছিলেন। ওই সময়ে গ্রামীণফোন বাংলাদেশ জাতীয় দলের স্পনসর ছিল
২ দিন আগে
বাংলাদেশ জাতীয় ফুটসাল দলের খেলোয়ার নির্বাচিত হয়েছেন নীলফামারীর কৃতি সন্তান সেলিম সাদমান সৃজন
৩ দিন আগে
রিয়ালের দাপুটে ফুটবলের সামনে কোনোরকম সুযোগই পায়নি ভেলেন্সিয়া। প্রায় ৬৫ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে গোলের জন্য ২১টি শট নিয়ে ১১টি লক্ষ্যে রাখতে পারে আলোন্সোর দল। ভালেন্সিয়ার চার শটের একটিই কেবল লক্ষ্যে ছিল। ১১ ম্যাচে ১০ জয়ে ৩০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান আরও মজবুত হলো রেয়ালের
৩ দিন আগেভূস্বর্গ খ্যাত কাশ্মীরে আয়োজিত এই লিগ ক্রিস গেইল ও থিসারা পেরেরাদের জন্য মহা বিড়ম্বনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। খেলোয়াড়দের হোটেলে রেখে, আয়োজকরা শহর ত্যাগ করেছেন
রুবাবা এর আগে ২০০৯-২০১৫ পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তিনি ১১ বছর গ্রামীণফোনের প্রধান যোগাযোগ কর্মকর্তা ও প্রধান বিপণন কর্মকর্তা ছিলেন। ওই সময়ে গ্রামীণফোন বাংলাদেশ জাতীয় দলের স্পনসর ছিল
বাংলাদেশ জাতীয় ফুটসাল দলের খেলোয়ার নির্বাচিত হয়েছেন নীলফামারীর কৃতি সন্তান সেলিম সাদমান সৃজন
রিয়ালের দাপুটে ফুটবলের সামনে কোনোরকম সুযোগই পায়নি ভেলেন্সিয়া। প্রায় ৬৫ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে গোলের জন্য ২১টি শট নিয়ে ১১টি লক্ষ্যে রাখতে পারে আলোন্সোর দল। ভালেন্সিয়ার চার শটের একটিই কেবল লক্ষ্যে ছিল। ১১ ম্যাচে ১০ জয়ে ৩০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান আরও মজবুত হলো রেয়ালের