নিজস্ব প্রতিবেদক
সালটা ২০২১, তখন এখানে দোকান ছিল মাত্র ৬০টি। আর এখন দ্বিগুণের বেশি। মানুষ ভরসা করছে আমাদের প্রতি। শত শত মানুষ অনলাইনে এ পণ্য বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন', বলেন রেজা খালিদ।
তবে একদিনে এই ভরসা তৈরি হয়নি। এই ভরসা তৈরি হওয়ার পেছনে রয়েছে কয়েক বছরের গল্প। বুড়িগঙ্গার পানি দূষণের পেছনে হাজারীবাগের ৭০ বছরের পুরোনো ট্যানারি শিল্পের একটা যোগসাজশ ছিল। তবে ২০১৮ সালে এ ট্যানারি স্থানান্তর করা হয় সাভারের হেমায়েতপুরে। এতে বুড়িগঙ্গার যেন কিছুটা স্বস্তি মেলে। সেইসঙ্গে বদলাতে শুরু করে হাজারীবাগের চেহারাও।
তবে ট্যানারি স্থানান্তরের সাত বছরের মধ্যে হাজারীবাগ নামটি যে আবারও অনেকের মুখে মুখে শোনা যাবে, সেটা কেউ হয়ত ভাবেনি।
এক সময় যে এলাকা ছিল দুর্গন্ধময় ও কারখানার বর্জ্যে ভরা, আজ সেই এলাকা দেশের চামড়াজাত পণ্যের জন্য অন্যতম নির্ভরযোগ্য গন্তব্য। এখানকার পণ্য ইতোমধ্যে সবার নজর কেড়েছে। ফলে অনেকের কাছে কম দামে চামড়াজাত পণ্য কেনার গন্তব্য এই হাজারীবাগ।
ট্যানারি থেকে চামড়ার পণ্য
কাঁচা চামড়া ব্যবহার উপযোগী করতে পোহাতে হয় অনেক ঝক্কি-ঝামেলা । সেই সাথে পরিবেশ দূষণের শঙ্কা তো থেকেই যায়। ঢাকার শহরের মতো জনবহুল স্থানে বহু মানুষের অসুবিধার কারণ ছিল এ ট্যানারি। তাই এটা স্থানান্তরের পর হাজারীবাগ যেন হাপ ছেড়ে বেঁচেছে, এমনটাই মনে করেন ট্যানারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক।
কিন্তু জায়গাটা তো আর খালি পড়ে থাকবে না। ট্যানারি স্থানান্তরের পরপরই এই এলাকায় চামড়াজাত পণ্য তৈরির বিভিন্ন কারখানা চালু হয়।
ঢাকা ও ঢাকায় বাইরে থেকে আগত অসংখ্য বেকার যুবক জীবিকার উদ্যোগে ক্ষুদ্র ব্যবসা শুরু করে আজ তারা অনেকে সফল ব্যবসায়ী। চামড়াজাত পণ্যের শ্রমিক হিসেবে কাজ করার সুবিধার্থে এই ব্যবসা পরিচালনা করতে সুবিধাই পায়। এক সময় যারা ছিলেন শ্রমিক, এখন তারা অনেকেই জুতা তৈরির কারখানার মালিক। আর তাদের কারণেই চামড়ার পণ্যের নির্ভরযোগ্য একটি নাম হয়ে উঠেছে হাজারীবাগ। দেশের মধ্যে তো বটেই, দেশের বাইরেও এখানকার নাম ছড়িয়ে পড়ছে দ্রুতই।
মেড ইন হাজারীবাগ
শের-ই-বাংলা রোডের দুপাশ ধরে সারি সারি দোকান। প্রতিটি দোকানই প্রায় চামড়াজাত পণ্যের। দোকানগুলোর বাইরে থেকে দেখা সারি সারি জুতা। রাস্তা দিয়ে হাঁটলে চামড়ার গন্ধও নাকে আসে মাঝেমধ্যে। সমিতির অধীনে এখানে দোকান রয়েছে ১৬০টি। নতুন নতুন দোকান হচ্ছে। মার্কেটও হচ্ছে একাধিক। এখানকার জুতার সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয় 'মেড ইন হাজারীবাগ' কথাটি! এখানকার দোকানগুলোর জুতা সারাদেশে হাজারীবাগের জুতা নামে পরিচিত।
আসল চামড়ার তৈরি পণ্য বিক্রি করতে হবে- সমিতির পক্ষ এ নির্দেশনাও দেওয়া আছে৷ তবে যদি শিশু বা নারীদের কোনো পণ্যে কৃত্রিম চামড়া অথবা রেক্সিন ব্যবহার করা হয়, সেটাও দোকানে উল্লেখ থাকতে হবে। এ সততাই হাজারীবাগের জুতাকে সুনাম এনে দিয়েছে ।
সাভারের হেমায়েতপুর থেকে আসে প্রক্রিয়াজাত চামড়া নিয়ে এসে আরও কিছু প্রক্রিয়াকরণ করা হয়। তারপর যায় বিভিন্ন কারখানায়। এখানকার বেশিরভাগ দোকানেরই নিজস্ব কারখানা রয়েছে। যেগুলোর নেই, সেগুলো এখানকার কারখানা থেকে পণ্য সংগ্রহ করে। তারপর তৈরি হয়ে নানা পণ্য।
আছে চামড়ার বেল্ট, ব্যাগ, মানিব্যাগ, চাবির রিং
এখানকার মূল ক্রেতা চাকরিজীবীরা। তবে শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীদের বড় অংশও দেখা যায়। আপনি চাইলে ব্যবহারের জন্য পণ্য নিতে পারেন আবার ব্যবসার জন্যও নিতে পারেন। সবার চাহিদার কথা মাথায় রেখেই পণ্য তৈরি করা হয়। পুরো মার্কেট ঘুরে সব দোকানেই প্রায় একই ধরনের পণ্যের দেখা পাওয়া গেল। যদিও চামড়ার জুতা ও স্যান্ডেলই এখানকার প্রধান আইটেম, তবে কোনো কোনো দোকানে অন্যান্য পণ্যের প্রাধান্য রয়েছে।
জুতার মধ্যেও অনেক ধরন রয়েছে। রয়েছে দামেও ভিন্নতা। টার্সেল ও নাগরা জুতার দাম শুরু হয় ৮০০ টাকা থেকে। মানভেদে এক হাজার ২০০ থেকে এক হাজার ৮০০ টাকা পর্যন্তও বিক্রি হয় এসব জুতা।
স্যান্ডেলেরও রয়েছে বড় কালেকশন। ৮০০ টাকা থেকে এক হাজার ২০০ টাকায় মধ্যে বিক্রি হয় হাওয়াই স্যান্ডেল। আর ভালোমানের বুট জুতা বিক্রি হয় দুই হাজার টাকায়।
যাদের লোফার পছন্দ, তারাও এক হাজার থেকে এক হাজার ৮০০ টাকার মধ্যে পছন্দের লোফার কিনতে পারবেন। আর ফরমাল ও স্টাইলিশ জুতা বিক্রি হয় দেড় হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকায়। সাড়ে ৩০০ টাকা থেকে এক হাজার টাকার মধ্যে মিলবে ভালো চামড়ার বেল্ট।
এসব ছাড়াও চামড়ার বিভিন্ন ধরনের ব্যাগ এখানে পাওয়া যায়, দাম দেড় হাজার থেকে ৩ হাজার টাকার মধ্যে। ৫০০ টাকায় পাওয়া যাবে মানিব্যাগ। চাবির রিং এর দাম শুরু ১০০ টাকা থেকে।
তবে ক্রেতারা দামাদামি করে পণ্য ক্রয় করতে পারেন। সেই সাথে মেলে পণ্যের ওয়ারেন্টি।
হাজারীবাগ থেকে বিশ্ববাজারে
হাজারীবাগের প্রায় প্রতিটি দোকান অনলাইনে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে। আর এসব দোকানের মূল ব্যবসাই হয় অনলাইন আর পাইকারি পণ্য বিক্রির মাধ্যমে। প্রায় ডজনখানেক দোকানে কথা বলে জানা গেল, অনেক বড় বড় ব্র্যান্ডের জুতাও তাদের এখানকার কেউ কেউ বানিয়ে থাকেন।
শত শত অনলাইন পেইজ হাজারীবাগের পণ্য দিয়ে চলে। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও রপ্তানি হয় এখানকার পণ্য। অনেক বাংলাদেশি নিজের উদ্যোগে চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি করে থাকেন।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর হিসাবে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ আয় করেছে ১০৩৯.১৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর শুধু চামড়ার জুতা থেকেই এসেছেন ৫৪৪.০২ মিলিয়ন ডলার। এই আয়ের পেছনে হাজারীবাগের যে একটি বড় ভূমিকা, তা বলাই বাহুল্য!
যে কেউ চাইলে করতে পারেন ব্যবসা
যে কেউ চাইলেই হাজারীবাগের পণ্য নিয়ে অনলাইনে ব্যবসা করতে পারবে। এখানে থেকে পাইকারি কিনে, কিছুটা বেশি দামি অনলাইনে বিক্রি করেন অনেকে। ব্যবসায়ীরা জানান, হাজারীবাগের চামড়াজাত পণ্যের সুনাম ছড়িয়ে পড়ার পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের। প্রতিটি দোকানের নিজস্ব ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলে নিজেদের পণ্য উপস্থাপন করে থাকে। এতে সাড়াও মেলে বেশ। নিজেদের পাশাপাশি অন্যান্য অনলাইন ব্যবসায়ীদেরও উৎসাহিত করে থাকেন তারা। তাই যে কেউ চাইলেই হাজারীবাগের এসব চামড়াজাত পণ্য নিয়ে ব্যবসা করতে পারেন।
তবে শীতকাল আর ঈদুল ফিতর ছাড়া সারা বছরই খুচরা বাজার খানিকটা মন্দাই যায় হাজারীবাগের জন্য।
বিক্রেতাদের প্রত্যাশা, বছরের বাকি সময়টাতেও তাদের ব্যবসা জমজমাট হয়ে উঠবে। আর সেটা সম্ভব বিদেশে রপ্তানির পরিমাণ বাড়ানোর মাধ্যমে।
সালটা ২০২১, তখন এখানে দোকান ছিল মাত্র ৬০টি। আর এখন দ্বিগুণের বেশি। মানুষ ভরসা করছে আমাদের প্রতি। শত শত মানুষ অনলাইনে এ পণ্য বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন', বলেন রেজা খালিদ।
তবে একদিনে এই ভরসা তৈরি হয়নি। এই ভরসা তৈরি হওয়ার পেছনে রয়েছে কয়েক বছরের গল্প। বুড়িগঙ্গার পানি দূষণের পেছনে হাজারীবাগের ৭০ বছরের পুরোনো ট্যানারি শিল্পের একটা যোগসাজশ ছিল। তবে ২০১৮ সালে এ ট্যানারি স্থানান্তর করা হয় সাভারের হেমায়েতপুরে। এতে বুড়িগঙ্গার যেন কিছুটা স্বস্তি মেলে। সেইসঙ্গে বদলাতে শুরু করে হাজারীবাগের চেহারাও।
তবে ট্যানারি স্থানান্তরের সাত বছরের মধ্যে হাজারীবাগ নামটি যে আবারও অনেকের মুখে মুখে শোনা যাবে, সেটা কেউ হয়ত ভাবেনি।
এক সময় যে এলাকা ছিল দুর্গন্ধময় ও কারখানার বর্জ্যে ভরা, আজ সেই এলাকা দেশের চামড়াজাত পণ্যের জন্য অন্যতম নির্ভরযোগ্য গন্তব্য। এখানকার পণ্য ইতোমধ্যে সবার নজর কেড়েছে। ফলে অনেকের কাছে কম দামে চামড়াজাত পণ্য কেনার গন্তব্য এই হাজারীবাগ।
ট্যানারি থেকে চামড়ার পণ্য
কাঁচা চামড়া ব্যবহার উপযোগী করতে পোহাতে হয় অনেক ঝক্কি-ঝামেলা । সেই সাথে পরিবেশ দূষণের শঙ্কা তো থেকেই যায়। ঢাকার শহরের মতো জনবহুল স্থানে বহু মানুষের অসুবিধার কারণ ছিল এ ট্যানারি। তাই এটা স্থানান্তরের পর হাজারীবাগ যেন হাপ ছেড়ে বেঁচেছে, এমনটাই মনে করেন ট্যানারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক।
কিন্তু জায়গাটা তো আর খালি পড়ে থাকবে না। ট্যানারি স্থানান্তরের পরপরই এই এলাকায় চামড়াজাত পণ্য তৈরির বিভিন্ন কারখানা চালু হয়।
ঢাকা ও ঢাকায় বাইরে থেকে আগত অসংখ্য বেকার যুবক জীবিকার উদ্যোগে ক্ষুদ্র ব্যবসা শুরু করে আজ তারা অনেকে সফল ব্যবসায়ী। চামড়াজাত পণ্যের শ্রমিক হিসেবে কাজ করার সুবিধার্থে এই ব্যবসা পরিচালনা করতে সুবিধাই পায়। এক সময় যারা ছিলেন শ্রমিক, এখন তারা অনেকেই জুতা তৈরির কারখানার মালিক। আর তাদের কারণেই চামড়ার পণ্যের নির্ভরযোগ্য একটি নাম হয়ে উঠেছে হাজারীবাগ। দেশের মধ্যে তো বটেই, দেশের বাইরেও এখানকার নাম ছড়িয়ে পড়ছে দ্রুতই।
মেড ইন হাজারীবাগ
শের-ই-বাংলা রোডের দুপাশ ধরে সারি সারি দোকান। প্রতিটি দোকানই প্রায় চামড়াজাত পণ্যের। দোকানগুলোর বাইরে থেকে দেখা সারি সারি জুতা। রাস্তা দিয়ে হাঁটলে চামড়ার গন্ধও নাকে আসে মাঝেমধ্যে। সমিতির অধীনে এখানে দোকান রয়েছে ১৬০টি। নতুন নতুন দোকান হচ্ছে। মার্কেটও হচ্ছে একাধিক। এখানকার জুতার সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয় 'মেড ইন হাজারীবাগ' কথাটি! এখানকার দোকানগুলোর জুতা সারাদেশে হাজারীবাগের জুতা নামে পরিচিত।
আসল চামড়ার তৈরি পণ্য বিক্রি করতে হবে- সমিতির পক্ষ এ নির্দেশনাও দেওয়া আছে৷ তবে যদি শিশু বা নারীদের কোনো পণ্যে কৃত্রিম চামড়া অথবা রেক্সিন ব্যবহার করা হয়, সেটাও দোকানে উল্লেখ থাকতে হবে। এ সততাই হাজারীবাগের জুতাকে সুনাম এনে দিয়েছে ।
সাভারের হেমায়েতপুর থেকে আসে প্রক্রিয়াজাত চামড়া নিয়ে এসে আরও কিছু প্রক্রিয়াকরণ করা হয়। তারপর যায় বিভিন্ন কারখানায়। এখানকার বেশিরভাগ দোকানেরই নিজস্ব কারখানা রয়েছে। যেগুলোর নেই, সেগুলো এখানকার কারখানা থেকে পণ্য সংগ্রহ করে। তারপর তৈরি হয়ে নানা পণ্য।
আছে চামড়ার বেল্ট, ব্যাগ, মানিব্যাগ, চাবির রিং
এখানকার মূল ক্রেতা চাকরিজীবীরা। তবে শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীদের বড় অংশও দেখা যায়। আপনি চাইলে ব্যবহারের জন্য পণ্য নিতে পারেন আবার ব্যবসার জন্যও নিতে পারেন। সবার চাহিদার কথা মাথায় রেখেই পণ্য তৈরি করা হয়। পুরো মার্কেট ঘুরে সব দোকানেই প্রায় একই ধরনের পণ্যের দেখা পাওয়া গেল। যদিও চামড়ার জুতা ও স্যান্ডেলই এখানকার প্রধান আইটেম, তবে কোনো কোনো দোকানে অন্যান্য পণ্যের প্রাধান্য রয়েছে।
জুতার মধ্যেও অনেক ধরন রয়েছে। রয়েছে দামেও ভিন্নতা। টার্সেল ও নাগরা জুতার দাম শুরু হয় ৮০০ টাকা থেকে। মানভেদে এক হাজার ২০০ থেকে এক হাজার ৮০০ টাকা পর্যন্তও বিক্রি হয় এসব জুতা।
স্যান্ডেলেরও রয়েছে বড় কালেকশন। ৮০০ টাকা থেকে এক হাজার ২০০ টাকায় মধ্যে বিক্রি হয় হাওয়াই স্যান্ডেল। আর ভালোমানের বুট জুতা বিক্রি হয় দুই হাজার টাকায়।
যাদের লোফার পছন্দ, তারাও এক হাজার থেকে এক হাজার ৮০০ টাকার মধ্যে পছন্দের লোফার কিনতে পারবেন। আর ফরমাল ও স্টাইলিশ জুতা বিক্রি হয় দেড় হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকায়। সাড়ে ৩০০ টাকা থেকে এক হাজার টাকার মধ্যে মিলবে ভালো চামড়ার বেল্ট।
এসব ছাড়াও চামড়ার বিভিন্ন ধরনের ব্যাগ এখানে পাওয়া যায়, দাম দেড় হাজার থেকে ৩ হাজার টাকার মধ্যে। ৫০০ টাকায় পাওয়া যাবে মানিব্যাগ। চাবির রিং এর দাম শুরু ১০০ টাকা থেকে।
তবে ক্রেতারা দামাদামি করে পণ্য ক্রয় করতে পারেন। সেই সাথে মেলে পণ্যের ওয়ারেন্টি।
হাজারীবাগ থেকে বিশ্ববাজারে
হাজারীবাগের প্রায় প্রতিটি দোকান অনলাইনে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে। আর এসব দোকানের মূল ব্যবসাই হয় অনলাইন আর পাইকারি পণ্য বিক্রির মাধ্যমে। প্রায় ডজনখানেক দোকানে কথা বলে জানা গেল, অনেক বড় বড় ব্র্যান্ডের জুতাও তাদের এখানকার কেউ কেউ বানিয়ে থাকেন।
শত শত অনলাইন পেইজ হাজারীবাগের পণ্য দিয়ে চলে। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও রপ্তানি হয় এখানকার পণ্য। অনেক বাংলাদেশি নিজের উদ্যোগে চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি করে থাকেন।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর হিসাবে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ আয় করেছে ১০৩৯.১৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর শুধু চামড়ার জুতা থেকেই এসেছেন ৫৪৪.০২ মিলিয়ন ডলার। এই আয়ের পেছনে হাজারীবাগের যে একটি বড় ভূমিকা, তা বলাই বাহুল্য!
যে কেউ চাইলে করতে পারেন ব্যবসা
যে কেউ চাইলেই হাজারীবাগের পণ্য নিয়ে অনলাইনে ব্যবসা করতে পারবে। এখানে থেকে পাইকারি কিনে, কিছুটা বেশি দামি অনলাইনে বিক্রি করেন অনেকে। ব্যবসায়ীরা জানান, হাজারীবাগের চামড়াজাত পণ্যের সুনাম ছড়িয়ে পড়ার পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের। প্রতিটি দোকানের নিজস্ব ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলে নিজেদের পণ্য উপস্থাপন করে থাকে। এতে সাড়াও মেলে বেশ। নিজেদের পাশাপাশি অন্যান্য অনলাইন ব্যবসায়ীদেরও উৎসাহিত করে থাকেন তারা। তাই যে কেউ চাইলেই হাজারীবাগের এসব চামড়াজাত পণ্য নিয়ে ব্যবসা করতে পারেন।
তবে শীতকাল আর ঈদুল ফিতর ছাড়া সারা বছরই খুচরা বাজার খানিকটা মন্দাই যায় হাজারীবাগের জন্য।
বিক্রেতাদের প্রত্যাশা, বছরের বাকি সময়টাতেও তাদের ব্যবসা জমজমাট হয়ে উঠবে। আর সেটা সম্ভব বিদেশে রপ্তানির পরিমাণ বাড়ানোর মাধ্যমে।
দেশের শীর্ষস্থানীয় টেবিলওয়্যার প্রস্তুতকারক মুন্নো সিরামিক গ্যাস সরবরাহের অসঙ্গতির কারণে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে উৎপাদন চ্যালেঞ্জ সহ্য করার পর পূর্ণ-স্কেল কার্যক্রমে ফিরে এসেছে। নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস প্রবাহ পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে, কোম্পানিটি কেবল গতি ফিরে পায়নি বরং এগিয়েও গেছে, অভিজাত গ্রাহকদের বিস্তৃত
৩ দিন আগেমেলায় ৫টি স্টল স্থান পেয়েছে। স্টলগুলো হলো বিভিন্ন ধরনের চারা-কলব, জৈব কৃষি, নার্সারি ব্যবস্থাপনা, কৃষি তথ্য ও পরামর্শ এবং বিভিন্ন ধরনের ফল প্রদর্শনী।
৬ দিন আগেঝিনাইদহে ছায়াযুক্ত স্থানে বস্তায় আদা চাষ বিষয়ক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকালে সদর উপজেলার গোপীনাথপুর গ্রামের কৃষানি দিপা বেগমের জমিতে এ মাঠ দিবসের আয়োজন করে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
৮ দিন আগেপ্রকল্পটি বাস্তবায়নের ফলে খাদ্যশস্যের গুণগতমান বজায় রেখে তিন বছর পর্যন্ত গম সংরক্ষণ করা যাবে এবং খাদ্যশস্য নষ্ট হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই।
৯ দিন আগেদেশের শীর্ষস্থানীয় টেবিলওয়্যার প্রস্তুতকারক মুন্নো সিরামিক গ্যাস সরবরাহের অসঙ্গতির কারণে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে উৎপাদন চ্যালেঞ্জ সহ্য করার পর পূর্ণ-স্কেল কার্যক্রমে ফিরে এসেছে। নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস প্রবাহ পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে, কোম্পানিটি কেবল গতি ফিরে পায়নি বরং এগিয়েও গেছে, অভিজাত গ্রাহকদের বিস্তৃত
সালটা ২০২১, তখন এখানে দোকান ছিল মাত্র ৬০টি। আর এখন দ্বিগুণের বেশি। মানুষ ভরসা করছে আমাদের প্রতি। শত শত মানুষ অনলাইনে এ পণ্য বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন', বলেন রেজা খালিদ।
মেলায় ৫টি স্টল স্থান পেয়েছে। স্টলগুলো হলো বিভিন্ন ধরনের চারা-কলব, জৈব কৃষি, নার্সারি ব্যবস্থাপনা, কৃষি তথ্য ও পরামর্শ এবং বিভিন্ন ধরনের ফল প্রদর্শনী।
ঝিনাইদহে ছায়াযুক্ত স্থানে বস্তায় আদা চাষ বিষয়ক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকালে সদর উপজেলার গোপীনাথপুর গ্রামের কৃষানি দিপা বেগমের জমিতে এ মাঠ দিবসের আয়োজন করে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।