গণহত্যা ও গুম-খুনের অভিযোগে
নিখাদ খবর ডেস্ক
অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (এএনইউ) সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেওয়া সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি বাতিলের চিন্তাভাবনা করছে। ১৯৯৯ সালে ‘আইন’ বিষয়ে দেওয়া ওই ডিগ্রি বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মাননা প্রদান কমিটির পর্যালোচনার তালিকায় রয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ক্যানবেরা টাইমস সোমবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যা ও গুম-খুনের গুরুতর অভিযোগ ওঠার পরই এএনইউ এই উদ্যোগ নেয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলেছে, এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি, তবে প্রক্রিয়াগতভাবে ডিগ্রি বাতিলের নিয়মাবলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
উল্লেখযোগ্য হলো, এমন নজিরবিহীন সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে এএনইউ-এর পূর্বতন কোনো উদাহরণ নেই বলেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। তাই তারা বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে।
ডিগ্রি বাতিল সংক্রান্ত এই খবর এমন এক সময়ে প্রকাশ্যে এলো, যখন বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। তার আগেই ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি আদেশ দেয়।
ছাত্র ও জনগণের মিলিত আন্দোলনে ক্ষমতা হারানোর পর শেখ হাসিনা প্রতিবেশী ভারতে পালিয়ে যান বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। বর্তমানে তিনি সেখানেই আত্মগোপনে রয়েছেন।
হাসিনার বিরুদ্ধে রয়েছে হত্যাকাণ্ড, জোরপূর্বক গুম, এবং সেনা ও পুলিশের মাধ্যমে দমন-পীড়নের একাধিক অভিযোগ। যদিও তিনি সব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বরাত দিয়ে জানা গেছে, চলমান ছাত্র-জনতার আন্দোলনে দমন অভিযান চালাতে গিয়ে নিহত হয়েছে এক হাজারেরও বেশি মানুষ। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানিয়েছে, সেনাবাহিনীকে “দেখামাত্র গুলি” চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। মূলত কারফিউ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবেই এই নির্দেশ কার্যকর হয়।
সংস্থাটির এশিয়া অঞ্চলের উপ-পরিচালক মীনাক্ষী গাঙ্গুলি বলেন, “শেখ হাসিনাকে চাপ দিতে হবে যেন তিনি ছাত্র ও বিক্ষোভকারীদের ওপর নির্মম দমন বন্ধ করেন।” তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এ বিষয়ে মুখ খুলতে হবে এবং জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে।
বাংলাদেশ পুলিশ ইতোমধ্যেই শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারির আবেদন করেছে। এই রেড নোটিশের মাধ্যমে আন্তর্জাতিকভাবে তাকে খুঁজে বের করে গ্রেপ্তারের জন্য সদস্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো হয়, যাতে তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করা যায়।
এদিকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ, স্বৈরশাসন এবং সেনা-পুলিশ দিয়ে নির্বিচারে দমন অভিযানের কারণে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ক্রমেই সমালোচনা তীব্র হচ্ছে। এমন প্রেক্ষাপটে তার প্রাপ্ত আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিগুলো নিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো এখন নতুন করে ভাবতে শুরু করেছে।
অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (এএনইউ) সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেওয়া সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি বাতিলের চিন্তাভাবনা করছে। ১৯৯৯ সালে ‘আইন’ বিষয়ে দেওয়া ওই ডিগ্রি বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মাননা প্রদান কমিটির পর্যালোচনার তালিকায় রয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ক্যানবেরা টাইমস সোমবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যা ও গুম-খুনের গুরুতর অভিযোগ ওঠার পরই এএনইউ এই উদ্যোগ নেয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলেছে, এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি, তবে প্রক্রিয়াগতভাবে ডিগ্রি বাতিলের নিয়মাবলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
উল্লেখযোগ্য হলো, এমন নজিরবিহীন সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে এএনইউ-এর পূর্বতন কোনো উদাহরণ নেই বলেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। তাই তারা বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে।
ডিগ্রি বাতিল সংক্রান্ত এই খবর এমন এক সময়ে প্রকাশ্যে এলো, যখন বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। তার আগেই ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি আদেশ দেয়।
ছাত্র ও জনগণের মিলিত আন্দোলনে ক্ষমতা হারানোর পর শেখ হাসিনা প্রতিবেশী ভারতে পালিয়ে যান বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। বর্তমানে তিনি সেখানেই আত্মগোপনে রয়েছেন।
হাসিনার বিরুদ্ধে রয়েছে হত্যাকাণ্ড, জোরপূর্বক গুম, এবং সেনা ও পুলিশের মাধ্যমে দমন-পীড়নের একাধিক অভিযোগ। যদিও তিনি সব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বরাত দিয়ে জানা গেছে, চলমান ছাত্র-জনতার আন্দোলনে দমন অভিযান চালাতে গিয়ে নিহত হয়েছে এক হাজারেরও বেশি মানুষ। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানিয়েছে, সেনাবাহিনীকে “দেখামাত্র গুলি” চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। মূলত কারফিউ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবেই এই নির্দেশ কার্যকর হয়।
সংস্থাটির এশিয়া অঞ্চলের উপ-পরিচালক মীনাক্ষী গাঙ্গুলি বলেন, “শেখ হাসিনাকে চাপ দিতে হবে যেন তিনি ছাত্র ও বিক্ষোভকারীদের ওপর নির্মম দমন বন্ধ করেন।” তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এ বিষয়ে মুখ খুলতে হবে এবং জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে।
বাংলাদেশ পুলিশ ইতোমধ্যেই শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারির আবেদন করেছে। এই রেড নোটিশের মাধ্যমে আন্তর্জাতিকভাবে তাকে খুঁজে বের করে গ্রেপ্তারের জন্য সদস্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো হয়, যাতে তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করা যায়।
এদিকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ, স্বৈরশাসন এবং সেনা-পুলিশ দিয়ে নির্বিচারে দমন অভিযানের কারণে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ক্রমেই সমালোচনা তীব্র হচ্ছে। এমন প্রেক্ষাপটে তার প্রাপ্ত আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিগুলো নিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো এখন নতুন করে ভাবতে শুরু করেছে।
দপ্তর। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এসব শিক্ষার্থী আইন লঙ্ঘন করেছেন বা ভিসার মেয়াদ অতিরিক্ত সময় অবস্থান করেছেন।
৩ ঘণ্টা আগেইউক্রেনের নিরাপত্তায় বড় পরিসরে সহায়তা করবে যুক্তরাষ্ট্র। প্রতিবেশী দেশ হিসেবে প্রথমে ইউরোপকে নিরাপত্তার জন্য এগিয়ে আসতে হবে। এতে যুক্তরাষ্ট্রও যুক্ত হবে
৭ ঘণ্টা আগেরাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে পৌঁছেছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। তিন বছরের বেশি সময়ের মধ্যে প্রথম সফরে সোমবার (১৮ আগস্ট) ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে পৌঁছান তিনি।
২১ ঘণ্টা আগেওয়াশিংটনে এ বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথা জার্মানি, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশের নেতাদের। বৈঠকে ইউক্রেনের অবস্থানকে শক্তিশালী করতেই উপস্থিত থাকবেন তারা।
১ দিন আগেদপ্তর। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এসব শিক্ষার্থী আইন লঙ্ঘন করেছেন বা ভিসার মেয়াদ অতিরিক্ত সময় অবস্থান করেছেন।
ইউক্রেনের নিরাপত্তায় বড় পরিসরে সহায়তা করবে যুক্তরাষ্ট্র। প্রতিবেশী দেশ হিসেবে প্রথমে ইউরোপকে নিরাপত্তার জন্য এগিয়ে আসতে হবে। এতে যুক্তরাষ্ট্রও যুক্ত হবে
রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে পৌঁছেছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। তিন বছরের বেশি সময়ের মধ্যে প্রথম সফরে সোমবার (১৮ আগস্ট) ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে পৌঁছান তিনি।
ওয়াশিংটনে এ বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথা জার্মানি, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশের নেতাদের। বৈঠকে ইউক্রেনের অবস্থানকে শক্তিশালী করতেই উপস্থিত থাকবেন তারা।