নিখাদ খবর ডেস্ক

কথা ছিল ওয়েল্ডিংয়ে কাজ শিখে সংসারের সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনবেন। আর এই আশায় রাশিয়ায় পাড়ি জমিয়েছিলেন উপজেলার লালপুর হোসেনপুর গ্রামের মোরশেদ মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ আকরাম। অথচ দালালের খপ্পরে পড়ে রুশ বাহিনীর হয়ে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশ নিয়ে আকরাম মৃত্যুর স্বাদ বরণ করে নিলেন।
জানা যায়, তার বাড়ি উপজেলার লালপুর ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামে। তার এক সহযোদ্ধা মোবাইল ফোনে পরিবারকে এ তথ্য জানিয়েছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
তিন ভাই ও দুই বোনের মধ্যে আকরাম ছিল সবার বড়। সংসারের একমাত্র উপার্জনকারী দিনমজুর পিতা মোরশেদ মিয়া। স্ত্রী ও ছেলে-মেয়ে নিয়ে কোনোরকমে দিনাতিপাত করছিলেন তিনি। এরই মধ্যে মেয়ের বিয়ে দিতে গিয়ে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েন বাবা মোরশেদ। এ অবস্থায় ওয়েল্ডারের কাজ শিখিয়ে আত্মীয়স্বজনের সহযোগিতায় সাড়ে ৯ লাখ টাকা খরচ করে এগারো মাস আগে আকরামকে রাশিয়া পাঠানো হয়।
রুশ বাহিনীর হয়ে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশ নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার মো. আকরাম হোসেন নামে এক তরুণের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তার বাড়ি উপজেলার লালপুর ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামে। তার এক সহযোদ্ধা মোবাইল ফোনে পরিবারকে এ তথ্য জানিয়েছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
নিহত আকরামের বাবা মোরশেদ মিয়া ছেলের বরাত দিয়ে জানান, রাশিয়ার সেনাবাহিনীর সদস্যরা কথা না শুনলে মারধর করতেন।
গত কয়েক দিন আগে ছেলে জানিয়েছিলেন, রাশিয়ায় তার ব্যাংক হিসাবে চার লাখ টাকা জমা হয়েছে।
তিনি জানান, কম্পানিতে ভালো বেতন না পাওয়ায় দালালদের প্রলোভনে পড়ে গত আড়াই মাস আগে চুক্তিভিত্তিক যোদ্ধা হিসেবে আকরাম যোগ দেন রুশ সেনাবাহিনীতে। শর্ত ছিল, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে সম্মুখসারিতে থাকার। এতে পরিবারের পক্ষ থেকে নিষেধ করা হলে আকরাম জানিয়েছেন, তার আর ফিরে আসার উপায় নেই।
তিনি আরো বলেন, ‘গত রবিবার বেলা ১১টার দিকে ছেলের সঙ্গে সর্বশেষ কথা হয়। পরিস্থিতি ভালো না বলে জানিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার মাগরিবের নামাজের পর রাশিয়া থেকে ফোন করে একজন জানান ইউক্রেনের হামলায় আকরাম নিহত হয়েছেন।’
স্থানীয় লোকজন ও নিহত তরুণের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, আকরামের এক বোনের বিয়ে দিতে গিয়ে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েন তার বাবা মোরশেদ মিয়া।
পরে ছেলে আকরাম নরসিংদীর পলাশ উপজেলার আমতলীর একটি ট্রেনিং সেন্টারে ওয়েল্ডারের কাজ শেখেন। ঋণ করে প্রায় আট মাস আগে তাকে রাশিয়ায় পাঠানো হয়।
আকরামের মা মোবিনা বেগম বলেন, ‘ছেলের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ হতো। ১৩ এপ্রিল থেকে পরিবারের সঙ্গে আকরামের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। রাশিয়ায় পরিচিতজনেরাও তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না।
’ তিনি দ্রুত লাশ দেশে আনার দাবি জানান।
এ বিষয়ে আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাফে মোহাম্মদ ছড়া বলেন, ‘স্থানীয়দের মাধ্যমে বিষয়টি জেনে মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করেছি। সেখান থেকে পরামর্শ দেয়া হয়েছে, মরদেহটি কোথায় আছে পরিবারের মাধ্যমে প্রথমে সেটি শনাক্ত করতে হয়। সেই অনুযায়ী কাগজপত্র সংগ্রহ করে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে আবেদনের পর উনারা ব্যবস্থা নেবেন।’

কথা ছিল ওয়েল্ডিংয়ে কাজ শিখে সংসারের সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনবেন। আর এই আশায় রাশিয়ায় পাড়ি জমিয়েছিলেন উপজেলার লালপুর হোসেনপুর গ্রামের মোরশেদ মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ আকরাম। অথচ দালালের খপ্পরে পড়ে রুশ বাহিনীর হয়ে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশ নিয়ে আকরাম মৃত্যুর স্বাদ বরণ করে নিলেন।
জানা যায়, তার বাড়ি উপজেলার লালপুর ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামে। তার এক সহযোদ্ধা মোবাইল ফোনে পরিবারকে এ তথ্য জানিয়েছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
তিন ভাই ও দুই বোনের মধ্যে আকরাম ছিল সবার বড়। সংসারের একমাত্র উপার্জনকারী দিনমজুর পিতা মোরশেদ মিয়া। স্ত্রী ও ছেলে-মেয়ে নিয়ে কোনোরকমে দিনাতিপাত করছিলেন তিনি। এরই মধ্যে মেয়ের বিয়ে দিতে গিয়ে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েন বাবা মোরশেদ। এ অবস্থায় ওয়েল্ডারের কাজ শিখিয়ে আত্মীয়স্বজনের সহযোগিতায় সাড়ে ৯ লাখ টাকা খরচ করে এগারো মাস আগে আকরামকে রাশিয়া পাঠানো হয়।
রুশ বাহিনীর হয়ে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশ নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার মো. আকরাম হোসেন নামে এক তরুণের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তার বাড়ি উপজেলার লালপুর ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামে। তার এক সহযোদ্ধা মোবাইল ফোনে পরিবারকে এ তথ্য জানিয়েছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
নিহত আকরামের বাবা মোরশেদ মিয়া ছেলের বরাত দিয়ে জানান, রাশিয়ার সেনাবাহিনীর সদস্যরা কথা না শুনলে মারধর করতেন।
গত কয়েক দিন আগে ছেলে জানিয়েছিলেন, রাশিয়ায় তার ব্যাংক হিসাবে চার লাখ টাকা জমা হয়েছে।
তিনি জানান, কম্পানিতে ভালো বেতন না পাওয়ায় দালালদের প্রলোভনে পড়ে গত আড়াই মাস আগে চুক্তিভিত্তিক যোদ্ধা হিসেবে আকরাম যোগ দেন রুশ সেনাবাহিনীতে। শর্ত ছিল, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে সম্মুখসারিতে থাকার। এতে পরিবারের পক্ষ থেকে নিষেধ করা হলে আকরাম জানিয়েছেন, তার আর ফিরে আসার উপায় নেই।
তিনি আরো বলেন, ‘গত রবিবার বেলা ১১টার দিকে ছেলের সঙ্গে সর্বশেষ কথা হয়। পরিস্থিতি ভালো না বলে জানিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার মাগরিবের নামাজের পর রাশিয়া থেকে ফোন করে একজন জানান ইউক্রেনের হামলায় আকরাম নিহত হয়েছেন।’
স্থানীয় লোকজন ও নিহত তরুণের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, আকরামের এক বোনের বিয়ে দিতে গিয়ে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েন তার বাবা মোরশেদ মিয়া।
পরে ছেলে আকরাম নরসিংদীর পলাশ উপজেলার আমতলীর একটি ট্রেনিং সেন্টারে ওয়েল্ডারের কাজ শেখেন। ঋণ করে প্রায় আট মাস আগে তাকে রাশিয়ায় পাঠানো হয়।
আকরামের মা মোবিনা বেগম বলেন, ‘ছেলের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ হতো। ১৩ এপ্রিল থেকে পরিবারের সঙ্গে আকরামের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। রাশিয়ায় পরিচিতজনেরাও তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না।
’ তিনি দ্রুত লাশ দেশে আনার দাবি জানান।
এ বিষয়ে আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাফে মোহাম্মদ ছড়া বলেন, ‘স্থানীয়দের মাধ্যমে বিষয়টি জেনে মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করেছি। সেখান থেকে পরামর্শ দেয়া হয়েছে, মরদেহটি কোথায় আছে পরিবারের মাধ্যমে প্রথমে সেটি শনাক্ত করতে হয়। সেই অনুযায়ী কাগজপত্র সংগ্রহ করে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে আবেদনের পর উনারা ব্যবস্থা নেবেন।’

যদি যুক্তরাষ্ট্র পারস্পরিক স্বার্থ ও সমতার ভিত্তিতে কথা বলতে চায়, তবে ইরান পরোক্ষ আলোচনায় অংশ নিতে প্রস্তুত। তবে তিনি জানান, ওয়াশিংটনের দেওয়া শর্তগুলো—সরাসরি আলোচনা, ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বন্ধ, ক্ষেপণাস্ত্র মজুতে সীমা আরোপ এবং আঞ্চলিক মিত্রদের প্রতি ইরানের সমর্থন বন্ধ করা—অযৌক্তিক ও অন্যায্য
১০ ঘণ্টা আগে
ভারতের মুম্বাইয়ের পালি হিল থেকে দিল্লির রিলায়েন্স সেন্টার পর্যন্ত অন্তত আটটি শহরে অনিল আম্বানির রিলায়েন্স গ্রুপের প্রায় ৩ হাজার ৮৪ কোটি রুপির সম্পত্তি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) বাজেয়াপ্ত করেছে
১ দিন আগে
এই সহযোগিতার আওতায় চারটি কেন্দ্র বুশেহর অঞ্চলে এবং বাকি চারটি দেশের বিভিন্ন স্থানে নির্মিত হবে, যার সুনির্দিষ্ট অবস্থান পরবর্তীতে সরকার ঘোষণা করবে
১ দিন আগে
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সাংবাদিকদের স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ নিশ্চিত করতে সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন
১ দিন আগেযদি যুক্তরাষ্ট্র পারস্পরিক স্বার্থ ও সমতার ভিত্তিতে কথা বলতে চায়, তবে ইরান পরোক্ষ আলোচনায় অংশ নিতে প্রস্তুত। তবে তিনি জানান, ওয়াশিংটনের দেওয়া শর্তগুলো—সরাসরি আলোচনা, ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বন্ধ, ক্ষেপণাস্ত্র মজুতে সীমা আরোপ এবং আঞ্চলিক মিত্রদের প্রতি ইরানের সমর্থন বন্ধ করা—অযৌক্তিক ও অন্যায্য
ভারতের মুম্বাইয়ের পালি হিল থেকে দিল্লির রিলায়েন্স সেন্টার পর্যন্ত অন্তত আটটি শহরে অনিল আম্বানির রিলায়েন্স গ্রুপের প্রায় ৩ হাজার ৮৪ কোটি রুপির সম্পত্তি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) বাজেয়াপ্ত করেছে
এই সহযোগিতার আওতায় চারটি কেন্দ্র বুশেহর অঞ্চলে এবং বাকি চারটি দেশের বিভিন্ন স্থানে নির্মিত হবে, যার সুনির্দিষ্ট অবস্থান পরবর্তীতে সরকার ঘোষণা করবে
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সাংবাদিকদের স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ নিশ্চিত করতে সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন