আনন্দ অশ্রু নিয়ে উত্তর গাজায় ফিরছেন ফিলিস্তিনিরা

প্রতিনিধি
নিখাদ খবর ডেস্ক
Thumbnail image
মুক্তি পাওয়া এক ফিলিস্তিনিতে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁর স্বজন। শনিবার রামাল্লায়। ছবি: রয়টার্স

যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী তিনজন জিম্মিকে হামাস মুক্তি দেওয়ার পর ৩৬৯ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল। আজ শনিবার তাদের মুক্তি দেওয়া হয়। এসব ফিলিস্তিনিদের গাড়ি আসার আগে দখলকৃত পশ্চিম তীরের রামাল্লায় বিশাল জনসমাগম তৈরি হয়। কেননা আগে থেকে জানানো হয়েছিল সেখানে মুক্তিপ্রাপ্ত ফিলিস্তিনিদের ছোট একটি অংশকে আনা হবে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, বন্দিদের আত্মীয়-স্বজনসহ অনেকেই সেখানে উপস্থিত হয়। সেখানে থাকা অনেককে স্বস্তি প্রকাশ করতে দেখা গেছে। তারা স্বস্তি প্রকাশ করে বলেছেন, যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকার কারণেই শনিবার অনেকের মুক্তি সম্ভব হয়েছে।

২০০০ থেকে ২০০৫ সালের মধ্যে ফিলিস্তিনি ইন্তিফাদার সময় আটক হওয়া একজনের মুক্তির অপেক্ষায় থাকা স্বজন বিবিসিকে বলেন, ‘আমরা খুবই উদ্বিগ্ন ছিলাম, যুদ্ধবিরতির চুক্তি ভেস্তে যেতে পারে এই আশঙ্কায় আমরা ঘুমাতেও পারিনি। আমরা অনেকটাই হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। আমাদের প্রার্থনা ছিল যুদ্ধবিরতি বজায় থাকুক, গাজা পুনর্নির্মাণ হোক এবং সব বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হোক।’

আজ শনিবার ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ যাদের মুক্তি দিয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন ইসরায়েলিদের ওপর প্রাণঘাতী হামলার দায়ে দণ্ডিত ব্যক্তিরা, যাদের কোনো বিচার কিংবা অভিযোগ ছাড়াই আটক করা হয়েছিল।

ফিলিস্তিনি বন্দি সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েল যেসব ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিচ্ছে তাদের মধ্যে ২৯ জন পশ্চিম তীরের এবং সাতজন জেরুজালেম ও আশপাশের এলাকার। ২০২৩ সালের ৭ই অক্টোবরের পর গাজা থেকে আটক হওয়া ৩৩৩ জনকে মুক্তি দেওয়া হবে বলেও সংস্থাটি জানিয়েছে।

মুক্তিপ্রাপ্ত ফিলিস্তিনি বন্দিদের মধ্যে কিছু ব্যক্তি ইসরায়েলিদের ওপর প্রাণঘাতী হামলার দায়ে দণ্ডিত হলেও বেশিরভাগই যুদ্ধকালীন সময়ে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন এবং তাদের বিরুদ্ধে কোনো আনুষ্ঠানিক অভিযোগ বা বিচার হয়নি।

এর আগে গাজার যুদ্ধবিরতির ভবিষ্যৎ নিয়ে নানা শঙ্কার মধ্যেই শনিবার আরও তিনজন ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। ইসরায়েলের সাথে যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে তাদেরকে গাজার খান ইউনিস থেকে রেডক্রসের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ জানিয়েছে, শনিবার মুক্তি পাওয়া তিনজন বন্দি ইতোমধ্যে ইসরায়েলে পৌঁছেছে। গণমাধ্যমে প্রকাশ পাওয়া বেশ কিছু ছবিতে দেখা যায় জিম্মিদের মুক্তি দেয়ার আগে তাদেরকে ঘিরে রয়েছেন বন্দুকধারীরা। গাজা যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে তারা হামাসের হাতে বন্দি ছিলেন।

দীর্ঘ ১৫ মাসের ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ৪৮ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এখনো নিখোঁজ কয়েক হাজার মানুষ। নিহতের তালিকায় নিখোঁজদের অন্তর্ভুক্ত করলে প্রাণহানির সংখ্যা দাঁড়ায় ৬১ হাজারের বেশি। আর আহতের সংখ্যা এক লাখের বেশি। এ ছাড়া ২০ লাখের বেশি মানুষকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করা হয়েছে।

বিষয়:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংকট নিয়ে আরও পড়ুন

এ ঘটনায় কোনো বাংলাদেশি নাগরিক জড়িত ছিল না। গ্রেফতার হওয়া ৬৭ জন ব্যক্তির মধ্যে কেউ-ই বাংলাদেশি নন, এমনকি মৃত বা আহতদের মধ্যেও কোনো বাংলাদেশি ছিল না

১৯ মিনিট আগে

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্পষ্ট করে বলেছেন, রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধের অবসান ঘটাতে চাইলে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার আশা ছাড়তে হবে।

৩ ঘণ্টা আগে

ভুক্তভোগীদের বয়স ১৯ থেকে ৬১ বছরের মধ্যে। তাদের মধ্যে নয়জন পুরুষ এবং তিনজন নারী। নিহত তিনজন পুরুষের বয়স ছিল ১৯, ২৭ ও ৩৫ বছর। ঘটনাস্থলেই মারা যান ১৯ বছরের তরুণ, আর বাকি দুজন হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন

৫ ঘণ্টা আগে

সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত বুনের জেলা সেখানে এখনও কমপক্ষে ২০৯ জন নিখোঁজ রয়েছেন, তবে আশঙ্কা করা হচ্ছে যে সংখ্যাটি আরো বাড়তে পারে। বুনেরের ডেপুটি কমিশনার অফিসের মুখপাত্র জাহাঙ্গীর খান বলেছেন, উদ্ধারকারী দল আটটি অজ্ঞাত মৃতদেহ দাফন করেছে। তাদের পরিবারের কোনো সদস্যকে জীবিত পাওয়া যায়নি

৬ ঘণ্টা আগে