নিখাদ খবর ডেস্ক
সম্প্রতি ট্রাম্প প্রশাসনের দুই শতাধিক কোটি ডলারের বরাদ্দ কাটছাঁট প্রস্তাবের বিরুদ্ধে নড়েচরে বসেছে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়। ফলে বোস্টনের ফেডারেল আদালতে মামলা দায়ের করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
সোমবার (২১ এপ্রিল) এই মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে একটি কমিউনিটি বার্তায় জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির সভাপতি অ্যালান গার্বার।
এদিকে হার্ভার্ডের আইনজীবীরা ১৪ এপ্রিল প্রশাসনকে সাফ জানিয়ে দেয়, বিশ্ববিদ্যালয় তার স্বাধীনতা বিসর্জন দেবে না বা সাংবিধানিক অধিকার ত্যাগ করবে না। হার্ভার্ড বা অন্য কোনো প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় ফেডারেল সরকারের নিয়ন্ত্রণে যেতে পারে না। তাই হার্ভার্ড নীতিগতভাবে সরকারের শর্ত মেনে নেবে না।
মামলায় বলা হয়েছে, “সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে সরকারের এমন সব গুরুত্বপূর্ণ তহবিল বন্ধ করা হয়েছে, যে তহবিল দিয়ে অমূল্য গবেষণা করা হয়। এই মামলাটি হার্ভার্ডে একাডেমিক সিদ্ধান্তের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার জন্য সরকারের তহবিল আটকানোর বিষয় নিয়ে।”
এদিকে, হার্ভার্ডের প্রাক্তন শিক্ষার্থী সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেন, “আমি বিশ্ববিদ্যালয়টির অবস্থানকে সমর্থন করি।”
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অভিজাত এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইহুদি বিদ্বেষের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের দাবি সংবলিত একটি তালিকা পাঠায় ট্রাম্প প্রশাসন। গত সপ্তাহে হার্ভার্ড তা প্রত্যাখ্যান করলে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২২০ কোটি ডলারের ফেডারেল তহবিল আটকে দেওয়ার ঘোষণা দেন। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়টির কর-ছাড় সুবিধা বাতিলের হুমকি দেওয়া হয়।
এর পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে সোমবার মামলা করেছে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়।
হার্ভার্ডের প্রেসিডেন্ট অ্যালান এম গার্বার সোমবার লেখা এক চিঠিতে বলেছেন, “সরকারের বাড়াবাড়ির পরিণতি হবে মারাত্মক ও দীর্ঘস্থায়ী।”
সংবাদমাধ্যম এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বোস্টনের ফেডারেল আদালতে দায়ের করা হার্ভার্ডের মামলায় বলা হয়েছে, সরকার ইহুদি বিদ্বেষমূলক উদ্বেগের সঙ্গে চিকিৎসা, বৈজ্ঞানিক, প্রযুক্তিগত বা অন্যান্য গবেষণার মধ্যে কোনো যুক্তিসঙ্গত সংযোগ শনাক্ত করতে পারেনি এবং পারেও না।
এ বিষয়ে সোমবার রাতে হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র হ্যারিসন ফিল্ডস বলেন, “হার্ভার্ডের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ফেডারেল সহায়তার অনুদান, সংগ্রামী আমেরিকান পরিবারগুলোর ট্যাক্সের অর্থ থেকে দেওয়া হয়। তাদের (হার্ভাডের) অতিরিক্ত বেতনভোগী আমলাদের তোষণ করার দিন শেষের পথে। করদাতাদের তহবিল একটি বিশেষ সুবিধা এবং হার্ভার্ড সেই সুবিধা পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় মৌলিক শর্তগুলো পূরণে ব্যর্থ হয়েছে।”
হার্ভার্ড প্রেসিডেন্ট গার্বার বলেন, “তহবিল স্থগিতের ফলে ক্যান্সার, আলঝেইমার, পারকিনসনস রোগ সম্পর্কিত গবেষণাসহ গুরুত্বপূর্ণ গবেষণাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।” নতুন বৈজ্ঞানিক সাফল্যের অর্থায়নে ম্যাসাচুসেটসে অবস্থিত প্রখ্যাত মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
হার্ভার্ড ক্যাম্পাসে ইহুদি বিদ্বেষের সমস্যা রয়েছে জানিয়ে গার্বার জানান, এই সমস্যা নিয়ে কাজ করতে তিনি একাধিক টাস্কফোর্স গঠন করেছেন। ইহুদি বিদ্বেষ ও মুসলিম বিদ্বেষের ওপর নজর রাখা দুটি টাস্কফোর্সের প্রতিবেদন প্রকাশ করবে বিশ্ববিদ্যালয়।
হার্ভার্ডের কাছে মার্কিন প্রশাসন যেসব দাবি জানিয়েছিল, তার মধ্যে রয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রম দেখভালে সরকার অনুমোদিত বহিরাগত নিরীক্ষককে দায়িত্ব দেওয়া। নিয়োগ ও ভর্তির তথ্যের মতো বিষয়ে হস্তক্ষেপ। এসব দাবি প্রত্যাখ্যান করে হার্ভার্ড একটি চিঠি প্রকাশ করে।
সম্প্রতি ট্রাম্প প্রশাসনের দুই শতাধিক কোটি ডলারের বরাদ্দ কাটছাঁট প্রস্তাবের বিরুদ্ধে নড়েচরে বসেছে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়। ফলে বোস্টনের ফেডারেল আদালতে মামলা দায়ের করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
সোমবার (২১ এপ্রিল) এই মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে একটি কমিউনিটি বার্তায় জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির সভাপতি অ্যালান গার্বার।
এদিকে হার্ভার্ডের আইনজীবীরা ১৪ এপ্রিল প্রশাসনকে সাফ জানিয়ে দেয়, বিশ্ববিদ্যালয় তার স্বাধীনতা বিসর্জন দেবে না বা সাংবিধানিক অধিকার ত্যাগ করবে না। হার্ভার্ড বা অন্য কোনো প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় ফেডারেল সরকারের নিয়ন্ত্রণে যেতে পারে না। তাই হার্ভার্ড নীতিগতভাবে সরকারের শর্ত মেনে নেবে না।
মামলায় বলা হয়েছে, “সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে সরকারের এমন সব গুরুত্বপূর্ণ তহবিল বন্ধ করা হয়েছে, যে তহবিল দিয়ে অমূল্য গবেষণা করা হয়। এই মামলাটি হার্ভার্ডে একাডেমিক সিদ্ধান্তের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার জন্য সরকারের তহবিল আটকানোর বিষয় নিয়ে।”
এদিকে, হার্ভার্ডের প্রাক্তন শিক্ষার্থী সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেন, “আমি বিশ্ববিদ্যালয়টির অবস্থানকে সমর্থন করি।”
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অভিজাত এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইহুদি বিদ্বেষের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের দাবি সংবলিত একটি তালিকা পাঠায় ট্রাম্প প্রশাসন। গত সপ্তাহে হার্ভার্ড তা প্রত্যাখ্যান করলে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২২০ কোটি ডলারের ফেডারেল তহবিল আটকে দেওয়ার ঘোষণা দেন। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়টির কর-ছাড় সুবিধা বাতিলের হুমকি দেওয়া হয়।
এর পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে সোমবার মামলা করেছে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়।
হার্ভার্ডের প্রেসিডেন্ট অ্যালান এম গার্বার সোমবার লেখা এক চিঠিতে বলেছেন, “সরকারের বাড়াবাড়ির পরিণতি হবে মারাত্মক ও দীর্ঘস্থায়ী।”
সংবাদমাধ্যম এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বোস্টনের ফেডারেল আদালতে দায়ের করা হার্ভার্ডের মামলায় বলা হয়েছে, সরকার ইহুদি বিদ্বেষমূলক উদ্বেগের সঙ্গে চিকিৎসা, বৈজ্ঞানিক, প্রযুক্তিগত বা অন্যান্য গবেষণার মধ্যে কোনো যুক্তিসঙ্গত সংযোগ শনাক্ত করতে পারেনি এবং পারেও না।
এ বিষয়ে সোমবার রাতে হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র হ্যারিসন ফিল্ডস বলেন, “হার্ভার্ডের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ফেডারেল সহায়তার অনুদান, সংগ্রামী আমেরিকান পরিবারগুলোর ট্যাক্সের অর্থ থেকে দেওয়া হয়। তাদের (হার্ভাডের) অতিরিক্ত বেতনভোগী আমলাদের তোষণ করার দিন শেষের পথে। করদাতাদের তহবিল একটি বিশেষ সুবিধা এবং হার্ভার্ড সেই সুবিধা পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় মৌলিক শর্তগুলো পূরণে ব্যর্থ হয়েছে।”
হার্ভার্ড প্রেসিডেন্ট গার্বার বলেন, “তহবিল স্থগিতের ফলে ক্যান্সার, আলঝেইমার, পারকিনসনস রোগ সম্পর্কিত গবেষণাসহ গুরুত্বপূর্ণ গবেষণাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।” নতুন বৈজ্ঞানিক সাফল্যের অর্থায়নে ম্যাসাচুসেটসে অবস্থিত প্রখ্যাত মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
হার্ভার্ড ক্যাম্পাসে ইহুদি বিদ্বেষের সমস্যা রয়েছে জানিয়ে গার্বার জানান, এই সমস্যা নিয়ে কাজ করতে তিনি একাধিক টাস্কফোর্স গঠন করেছেন। ইহুদি বিদ্বেষ ও মুসলিম বিদ্বেষের ওপর নজর রাখা দুটি টাস্কফোর্সের প্রতিবেদন প্রকাশ করবে বিশ্ববিদ্যালয়।
হার্ভার্ডের কাছে মার্কিন প্রশাসন যেসব দাবি জানিয়েছিল, তার মধ্যে রয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রম দেখভালে সরকার অনুমোদিত বহিরাগত নিরীক্ষককে দায়িত্ব দেওয়া। নিয়োগ ও ভর্তির তথ্যের মতো বিষয়ে হস্তক্ষেপ। এসব দাবি প্রত্যাখ্যান করে হার্ভার্ড একটি চিঠি প্রকাশ করে।
ভারতের দিকে তাক করা আছে পাকিস্তানের ১৩০টি পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র। ঘোরি, শাহিন, গজনবি মিসাইল প্রস্তুত রয়েছে এবং যে কোনো ভারতীয় আগ্রাসনের জবাব দিতে তারা সর্বাত্মক প্রস্তুত আছে।
২০ ঘণ্টা আগেকাশ্মির সীমান্তের নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) বরাবর ভারত ও পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে আবারও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (১ মে) রাতে এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। তবে এতে হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি।
২০ ঘণ্টা আগেপাকিস্তানি সেনাবাহিনী ভারতকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের মদদদাতা বলে অভিযোগ করেছে। ২২ এপ্রিল পহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলার পর থেকে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা সর্বকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। ওই হামলায় ২৬ জন নিহত হয়েছিল। নয়াদিল্লি তাৎক্ষণিকভাবে ওই হামলার জন্য ইসলামাবাদকে দায়ী করে।
৩ দিন আগেরাখাইনে মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রে মানবিক করিডর স্থাপনের জন্য আগে মিয়ানমার ও বাংলাদেশ সরকারকে একমত হতে হবে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের ঢাকা কার্যালয়। আজ বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
৩ দিন আগেভারতের দিকে তাক করা আছে পাকিস্তানের ১৩০টি পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র। ঘোরি, শাহিন, গজনবি মিসাইল প্রস্তুত রয়েছে এবং যে কোনো ভারতীয় আগ্রাসনের জবাব দিতে তারা সর্বাত্মক প্রস্তুত আছে।
কাশ্মির সীমান্তের নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) বরাবর ভারত ও পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে আবারও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (১ মে) রাতে এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। তবে এতে হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি।
পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ভারতকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের মদদদাতা বলে অভিযোগ করেছে। ২২ এপ্রিল পহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলার পর থেকে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা সর্বকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। ওই হামলায় ২৬ জন নিহত হয়েছিল। নয়াদিল্লি তাৎক্ষণিকভাবে ওই হামলার জন্য ইসলামাবাদকে দায়ী করে।
রাখাইনে মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রে মানবিক করিডর স্থাপনের জন্য আগে মিয়ানমার ও বাংলাদেশ সরকারকে একমত হতে হবে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের ঢাকা কার্যালয়। আজ বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।